কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে আয়া এবং নার্সদের টানা হিঁচড়ায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে ডেলিভারি শেষ না করে অপারেশন থিয়েটারে প্রসূতিকে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত নার্স ও আয়ারা। পর ভেতরে গিয়ে স্বজনেরা দেখেন মৃত নবজাতকের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে দুপুরে স্ত্রীর প্রসব ব্যথা উঠলে বিকেলে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন ওই নারীর স্বামী কুষ্টিয়া শহরতলির মোল্লা তেঘড়িয়ার মোল্লাপাড়া এলাকার আমিরুল মল্লিক।
জানতে চাইলে আমিরুল মল্লিক বলেন, ‘প্রসব বেদনা উঠলে স্ত্রীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই। আমি সেখানকার ডাক্তার এবং নার্সদের বলেছিলাম সমস্যা থাকলে সিজার করতে। কিন্তু হাসপাতালের নার্সরা রোগী দেখে জানান, নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান হবে। এরপর তাঁরা বিভিন্ন ওষুধ খাইয়ে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমাদের অমতে এবং ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে দুইজন আয়া এবং নার্স মিলে ডেলিভারি করানোর জন্য প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর নবজাতকের শরীরের বিভিন্ন অংশ ধরে টেনে-হিঁচড়ে ডেলিভারি করার চেষ্টা করেন। বারবার সিজার অপারেশনের কথা বললে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন নার্সরা।’
আমিরুল মল্লিক আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর এক নার্স এসে বলেন, আপনার বাচ্চা আর বেঁচে নেই। ভেতরে গিয়ে দেখি নবজাতকের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন। তখন তাদের অবহেলায় বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বললে, হাসপাতালে কর্মরত নার্স-আয়ারা আমার সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু করে। আমি এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
প্রসূতির শাশুড়ি শেফালী খাতুন বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় নার্স ও আয়ারা মিলে টেনে-হিঁচড়ে বাচ্চা বের করার চেষ্টা করেন। এতে আমার ছেলের বউয়ের বাচ্চা মারা যায়। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে হাসপাতালে কর্তব্যরত কয়েকজন নার্সকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন, ওই সময় তাঁদের ডিউটি ছিল না। কী হয়েছে এটিও সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। তবে নরমাল ডেলিভারির সময় সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ছিলেন না। শুধু নার্সরা ছিলেন। এর বেশি কিছু জানেন না। ওই নার্সদের নাম জানতে চাইলে দ্রুত চলে যান তাঁরা।
অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে কারও গাফিলতি বা অনিয়ম পাওয়া গেলে অবশ্যই বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুষ্টিয়ায় চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে আয়া এবং নার্সদের টানা হিঁচড়ায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে ডেলিভারি শেষ না করে অপারেশন থিয়েটারে প্রসূতিকে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত নার্স ও আয়ারা। পর ভেতরে গিয়ে স্বজনেরা দেখেন মৃত নবজাতকের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে দুপুরে স্ত্রীর প্রসব ব্যথা উঠলে বিকেলে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন ওই নারীর স্বামী কুষ্টিয়া শহরতলির মোল্লা তেঘড়িয়ার মোল্লাপাড়া এলাকার আমিরুল মল্লিক।
জানতে চাইলে আমিরুল মল্লিক বলেন, ‘প্রসব বেদনা উঠলে স্ত্রীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই। আমি সেখানকার ডাক্তার এবং নার্সদের বলেছিলাম সমস্যা থাকলে সিজার করতে। কিন্তু হাসপাতালের নার্সরা রোগী দেখে জানান, নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান হবে। এরপর তাঁরা বিভিন্ন ওষুধ খাইয়ে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমাদের অমতে এবং ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে দুইজন আয়া এবং নার্স মিলে ডেলিভারি করানোর জন্য প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর নবজাতকের শরীরের বিভিন্ন অংশ ধরে টেনে-হিঁচড়ে ডেলিভারি করার চেষ্টা করেন। বারবার সিজার অপারেশনের কথা বললে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন নার্সরা।’
আমিরুল মল্লিক আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর এক নার্স এসে বলেন, আপনার বাচ্চা আর বেঁচে নেই। ভেতরে গিয়ে দেখি নবজাতকের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন। তখন তাদের অবহেলায় বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বললে, হাসপাতালে কর্মরত নার্স-আয়ারা আমার সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু করে। আমি এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
প্রসূতির শাশুড়ি শেফালী খাতুন বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় নার্স ও আয়ারা মিলে টেনে-হিঁচড়ে বাচ্চা বের করার চেষ্টা করেন। এতে আমার ছেলের বউয়ের বাচ্চা মারা যায়। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে হাসপাতালে কর্তব্যরত কয়েকজন নার্সকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন, ওই সময় তাঁদের ডিউটি ছিল না। কী হয়েছে এটিও সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। তবে নরমাল ডেলিভারির সময় সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ছিলেন না। শুধু নার্সরা ছিলেন। এর বেশি কিছু জানেন না। ওই নার্সদের নাম জানতে চাইলে দ্রুত চলে যান তাঁরা।
অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে কারও গাফিলতি বা অনিয়ম পাওয়া গেলে অবশ্যই বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির ১ নম্বর সদস্য রফিকুল ইসলাম লাবু পদত্যাগ করেছেন। কারণ হিসেবে লাবু পদত্যাগপত্রে কমিটির নেতাদের শৃঙ্খলাবর্জিত কর্মকাণ্ড, সমন্বয়হীনতা, অবাঞ্ছিত কার্যক্রম ও ব্যাপক অনিয়মের কথা বলেছেন। পাশাপাশি তিনি এক খোলা চিঠিতে উপজেলা নেতাদের বিরুদ্ধে
১ মিনিট আগেহাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে বগুড়ার কুন্দারহাটে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা। আজ সোমবার কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার সামনে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেনকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সেগুলো ভেঙে সঠিক জায়গায় নেওয়ার কাজও শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল ইসলাম। আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ডিআরইউ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সমস্যার..
১১ মিনিট আগেবগুড়ার শেরপুরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁর অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর শামছুল উলুম বালিকা দাখিল মাদ্রাসায়।
১৭ মিনিট আগে