খুলনা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আবহমান কাল থেকে আমাদের এই দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করি। এমন একটি দেশ দুনিয়ায় কমই আছে।’ আজ বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার ডুমুরিয়ার আঠারমাইল মোড়ে জামায়াতের পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এমন একটি দেশকে বিগত দিনে যারা শাসন করেছে, একটানা সাড়ে ১৫ বছর, তারা মনের মতো করে সাজাতে পারেনি। তারা দেশকে না সাজিয়ে নিজেদের সাজিয়েছে। দেশের মানুষের হাতে কাজ তুলে দেওয়ার পরিবর্তে দেশের মানুষের রিজিক তারা তুলে নিয়েছে। লাখো বেকারের মিছিলে জনগণ ছিল পিষ্ট। এই সর্বনাশের জন্য সরকার দায়ী।’
ডা. শফিক বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কলম হাত থেকে কেড়ে নিয়ে গুন্ডাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এ দেশের মানুষের হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘এখন অনেকে জিজ্ঞেস করেন, তারা নির্বাচনে আসবে কি? আমি বলি, যারা গণহত্যা করেছে, গদিতে থাকার জন্য দেশের মানুষের কেনা অস্ত্র দিয়ে দেশের মানুষের বুকে গুলি ছুড়েছে; তারা কি এই দেশের রাজনীতি করার অধিকার রাখে? স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও শান্তি দিতে চাইছে না। এই সমাজকে, দেশকে অস্থির করার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’
জামায়াতের প্রধান বলেন, ‘আমরা এ দেশকে ভালোবাসি, এ দেশকে গড়তে চাই। এমন একটি সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে চাই, যেখানে দুর্নীতিবাজ দখলদারদের অস্তিত্ব থাকবে না। যে সমাজে আমাদের মা-বোনেরা ইজ্জতের সঙ্গে গৃহে এবং বাইরে সমস্ত জায়গায় চলতে পারবে। যে সমাজে যোগ্যতা অনুযায়ী যুবকেরা কাজ করতে চায়, সে সমাজ আমরা হাতে হাত রেখে গড়ে তুলব ইনশা আল্লাহ। এমন একটি সমাজ আমরা বাংলাদেশে কায়েম করতে চাই, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আদালতের দরজায় গিয়ে মানুষকে কাঁদতে হবে না; বরং আদালত দায়িত্ব নিয়ে মানুষকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেবে। এ জন্য আপনাদের তৈরি থাকতে হবে বৃহত্তর কোরবানির জন্য, জিহাদের জন্য। মানুষের মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সাম্যের দিক থেকে, ন্যায়বিচারের দিক থেকে একটি দেশ ও জাতি গঠন না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশা আল্লাহ। ন্যায়সংগত কাজে সবাইকে পাশে চাই এবং সমর্থন চাই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমির মাওলানা শহিদুল ইসলাম মুকুল।
উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোক্তার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা মহানগরীর সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গাওসুল আযম হাদী, খুলনা উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি বেলাল হোসাইন রিয়াদ, সেক্রেটারি আবু ইউসুফ ফকির প্রমুখ।
পথসভায় বক্তব্য শেষে জামায়াতের আমির পাইকগাছা হয়ে কয়রা উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে দুটি সভায় তিনি বক্তব্য দেবেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আবহমান কাল থেকে আমাদের এই দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করি। এমন একটি দেশ দুনিয়ায় কমই আছে।’ আজ বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার ডুমুরিয়ার আঠারমাইল মোড়ে জামায়াতের পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এমন একটি দেশকে বিগত দিনে যারা শাসন করেছে, একটানা সাড়ে ১৫ বছর, তারা মনের মতো করে সাজাতে পারেনি। তারা দেশকে না সাজিয়ে নিজেদের সাজিয়েছে। দেশের মানুষের হাতে কাজ তুলে দেওয়ার পরিবর্তে দেশের মানুষের রিজিক তারা তুলে নিয়েছে। লাখো বেকারের মিছিলে জনগণ ছিল পিষ্ট। এই সর্বনাশের জন্য সরকার দায়ী।’
ডা. শফিক বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কলম হাত থেকে কেড়ে নিয়ে গুন্ডাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এ দেশের মানুষের হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘এখন অনেকে জিজ্ঞেস করেন, তারা নির্বাচনে আসবে কি? আমি বলি, যারা গণহত্যা করেছে, গদিতে থাকার জন্য দেশের মানুষের কেনা অস্ত্র দিয়ে দেশের মানুষের বুকে গুলি ছুড়েছে; তারা কি এই দেশের রাজনীতি করার অধিকার রাখে? স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও শান্তি দিতে চাইছে না। এই সমাজকে, দেশকে অস্থির করার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’
জামায়াতের প্রধান বলেন, ‘আমরা এ দেশকে ভালোবাসি, এ দেশকে গড়তে চাই। এমন একটি সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে চাই, যেখানে দুর্নীতিবাজ দখলদারদের অস্তিত্ব থাকবে না। যে সমাজে আমাদের মা-বোনেরা ইজ্জতের সঙ্গে গৃহে এবং বাইরে সমস্ত জায়গায় চলতে পারবে। যে সমাজে যোগ্যতা অনুযায়ী যুবকেরা কাজ করতে চায়, সে সমাজ আমরা হাতে হাত রেখে গড়ে তুলব ইনশা আল্লাহ। এমন একটি সমাজ আমরা বাংলাদেশে কায়েম করতে চাই, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আদালতের দরজায় গিয়ে মানুষকে কাঁদতে হবে না; বরং আদালত দায়িত্ব নিয়ে মানুষকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেবে। এ জন্য আপনাদের তৈরি থাকতে হবে বৃহত্তর কোরবানির জন্য, জিহাদের জন্য। মানুষের মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সাম্যের দিক থেকে, ন্যায়বিচারের দিক থেকে একটি দেশ ও জাতি গঠন না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশা আল্লাহ। ন্যায়সংগত কাজে সবাইকে পাশে চাই এবং সমর্থন চাই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমির মাওলানা শহিদুল ইসলাম মুকুল।
উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোক্তার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা মহানগরীর সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গাওসুল আযম হাদী, খুলনা উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি বেলাল হোসাইন রিয়াদ, সেক্রেটারি আবু ইউসুফ ফকির প্রমুখ।
পথসভায় বক্তব্য শেষে জামায়াতের আমির পাইকগাছা হয়ে কয়রা উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে দুটি সভায় তিনি বক্তব্য দেবেন।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে