Ajker Patrika

পুকুরে গোসল করতে নেমে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ মে ২০২৫, ১৮: ২৬
কুয়েট শিক্ষার্থী শান্তুনু কর্মকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়েট শিক্ষার্থী শান্তুনু কর্মকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুকুরে গোসল করতে নেমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তনু কর্মকার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে কুয়েট ক্যাম্পাসের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান।

শান্তনু পুরান ঢাকার জজকোর্ট এলাকার বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে। তিনি কুয়েটের ২৩ ব্যাচের ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা ৩টা ২০ মিনিটে কুয়েটের খানজাহান আলী হলসংলগ্ন পুকুরে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নামার পর শান্তনু নিখোঁজ হন। কুয়েটের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এর ৩০ মিনিট পর খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে আসে। তারা পুকুরে ৫ মিনিট তল্লাশি করে শান্তুনুর অচেতন দেহ উদ্ধার করে। এরপর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘পুকুরে ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনেছি।’

এদিকে শান্তনু কর্মকারের বাবা সুকুমার চন্দ্র কর্মকার এখনো ছেলের মৃত্যুর খবর জানেন না। বিকেল সোয়া ৫টায় তিনি বলেন, ছেলের অসুস্থতার খবর পেয়েছি। শুনেছি, সে এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা ময়মনসিংহে বেড়াতে এসেছি। খবর পেয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছি।

তিনি জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার বেড়া উপজেলা সদরের কর্মকারপাড়ায়। তবে তারা বর্তমানে পুরান ঢাকার জজকোর্ট এলাকায় বসবাস করেন।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, বেলা ৩টার দিকে কুয়েট শিক্ষার্থী শান্তনু গোসল করতে কুয়েটের পুকুরে নামে। তাঁর ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় সহপাঠীরা পুকুরের চারপাশে খোঁজ নিতে থাকেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খবর দেওয়া হলে তাঁরা বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁর মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক ওই শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তাঁর মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান বলেন, মৃত শিক্ষার্থীর মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত