চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে তাপমাত্রার পারদ। প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের হাপিত্যেশ। আজ বুধবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি সারা দেশেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১২ এপ্রিল জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর থেকে ক্রমেই ওপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। ১৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও ১৫ এপ্রিল এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন না।
স্বাভাবিক দিনের তুলনায় শহরে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যাও কম। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কাজের তাগিদে বাইরে বেরিয়ে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের।
চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচণ্ড গরমে এ জেলার মানুষের কষ্টের শেষ নেই। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রখর তাপ; কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রচণ্ড দাবদাহে প্রকৃতিও নিস্তেজ। হালকা বাতাস থাকলেও সেটিও গরম ছড়াচ্ছে। প্রাণিকুলও ছড়াচ্ছে তপ্ত নিশ্বাস।
জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের চা-দোকানি নিয়াজ আলী বলেন, ‘খরিদদার কম। বেচাবিক্রি নেই। গরমে মানুষ রাতেও চা কম খাচ্ছে। কিন্তু আমাদের কী করার? পেটের দায়ে দোকান খুলে বসতেই হচ্ছে।’
‘গরমে দ্রুত খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খুব কম করে রান্না করা হচ্ছে। একটা বিরাট সমস্যা, একে তো কাস্টমার কম, তারপর আবার দিনে তিন থেকে চারবার অল্প অল্প করে রান্না করতে হচ্ছে।’ বলেন, আলমডাঙ্গা শহরের হোটেল ব্যবসায়ী বাবু মিয়া।
সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজারের শরবত বিক্রেতা আলম হোসেন বলেন, ‘গরমে বেচাবিক্রি ভালো। মানুষ শরবত খাচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বিট লবণ দিয়ে লেবুর শরবত বিক্রি বেশি। সন্ধ্যার পরও প্রচুর ভিড় হচ্ছে।’
দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের ডাব বিক্রেতা তরু মিয়া বলেন, ‘অন্য সময়ের থেকে বেশি ডাব বিক্রি হচ্ছে। সন্ধ্যার পরও বিক্রি বেড়েছে। তবে সারা দিন আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।’
‘মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। ভুট্টা পেকে গেছে। কিন্তু ভয় করছে কাটতে। কীভাবে কাটব? একা তো সম্ভব না। আবার শ্রমিকেরা এত রোদে কাজ করতে চাচ্ছেও না। সব মিলিয়ে একটা বাজে অবস্থা।’ বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মজম মালিতা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী হলে এর সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।’
জামিনুর রহমান আরও বলেন, আজ দুপুর ১২টায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বেলা ৩টায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২২ শতাংশ। গতকাল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এটি বিকেল ৬টার পর বলা যাবে।’
চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে তাপমাত্রার পারদ। প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের হাপিত্যেশ। আজ বুধবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি সারা দেশেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১২ এপ্রিল জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর থেকে ক্রমেই ওপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। ১৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও ১৫ এপ্রিল এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন না।
স্বাভাবিক দিনের তুলনায় শহরে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যাও কম। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কাজের তাগিদে বাইরে বেরিয়ে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের।
চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচণ্ড গরমে এ জেলার মানুষের কষ্টের শেষ নেই। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রখর তাপ; কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রচণ্ড দাবদাহে প্রকৃতিও নিস্তেজ। হালকা বাতাস থাকলেও সেটিও গরম ছড়াচ্ছে। প্রাণিকুলও ছড়াচ্ছে তপ্ত নিশ্বাস।
জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের চা-দোকানি নিয়াজ আলী বলেন, ‘খরিদদার কম। বেচাবিক্রি নেই। গরমে মানুষ রাতেও চা কম খাচ্ছে। কিন্তু আমাদের কী করার? পেটের দায়ে দোকান খুলে বসতেই হচ্ছে।’
‘গরমে দ্রুত খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খুব কম করে রান্না করা হচ্ছে। একটা বিরাট সমস্যা, একে তো কাস্টমার কম, তারপর আবার দিনে তিন থেকে চারবার অল্প অল্প করে রান্না করতে হচ্ছে।’ বলেন, আলমডাঙ্গা শহরের হোটেল ব্যবসায়ী বাবু মিয়া।
সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজারের শরবত বিক্রেতা আলম হোসেন বলেন, ‘গরমে বেচাবিক্রি ভালো। মানুষ শরবত খাচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বিট লবণ দিয়ে লেবুর শরবত বিক্রি বেশি। সন্ধ্যার পরও প্রচুর ভিড় হচ্ছে।’
দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের ডাব বিক্রেতা তরু মিয়া বলেন, ‘অন্য সময়ের থেকে বেশি ডাব বিক্রি হচ্ছে। সন্ধ্যার পরও বিক্রি বেড়েছে। তবে সারা দিন আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।’
‘মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। ভুট্টা পেকে গেছে। কিন্তু ভয় করছে কাটতে। কীভাবে কাটব? একা তো সম্ভব না। আবার শ্রমিকেরা এত রোদে কাজ করতে চাচ্ছেও না। সব মিলিয়ে একটা বাজে অবস্থা।’ বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মজম মালিতা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী হলে এর সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।’
জামিনুর রহমান আরও বলেন, আজ দুপুর ১২টায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বেলা ৩টায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২২ শতাংশ। গতকাল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এটি বিকেল ৬টার পর বলা যাবে।’
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ওরফে মামুন হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১৮ মার্চ ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এই নতুন তারিখ ধার্য করেন।
৮ মিনিট আগেঝিনাইদহ সদর উপজেলার মাথুরাপুর আদর্শ এতিমখানায় ইফতারে বেঁচে যাওয়া দুই টুকরো কমলা খাওয়ায় মোহাম্মদ সাগর (১৬) নামের এক শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে আহত করেছেন সহকারী শিক্ষক ইমরান হাওলাদার।
১৩ মিনিট আগেবরিশাল সিটি করপোরেশনের হাট-বাজার ইজারা নিয়ে আজ বুধবার দিনভর নগর ভবনে হট্টগোল হয়েছে। মারধরের শিকার হয়েছে এক যুবক। নগরের ১৫টি হাট-বাজার, ২টি বাসস্ট্যান্ড, ৩টি পাবলিক টয়লেট এবং ১টি জবাইখানার ইজারার শিডিউল জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ।
২৯ মিনিট আগেজননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮টি মামলায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৮১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে