কাজী শামিম আহমেদ, খুলনা
তরুণ নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রায় এক ডজন প্রার্থী খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বড় অংশ বয়সে তরুণ এবং নির্বাচনী মাঠে নতুন মুখ। তবে বয়সে তরুণ হলেও উদ্যম, সাংগঠনিক দক্ষতা ও স্থানীয় উন্নয়নে ভূমিকা তাঁদের সম্ভাবনাময় প্রার্থীতে পরিণত করবে বলে আশাবাদী কর্মী-সমর্থকেরা।
খুলনা-১ আসনে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক ওয়াহিদুজ্জামান ইতিমধ্যে দাকোপ ও বটিয়াঘাটা অঞ্চলে নিজের কার্যক্রম দৃশ্যমান করেছেন। মসজিদ, মাদ্রাসা ও রাস্তাঘাটের উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা স্থানীয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দুর্গাপূজায় তিনি বিভিন্ন এলাকার শতাধিক মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেছেন। এ আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন দলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার হালদার।
খুলনা-২ আসনে দলটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল হক নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। জানা গেছে, এ আসনে এখন পর্যন্ত তিনিই একক মনোনয়নপ্রত্যাশী।
খুলনা-৩ আসনে এনসিপির হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন এস এম আরিফুর রহমান মিঠু। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। নির্বাচনী এলাকা খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা এলাকায় নিজস্ব একটি শক্ত বলয় রয়েছে সাবেক এই বিএনপি নেতার। পদযাত্রাসহ দলের প্রায় কর্মসূচিতেই তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল।
মিঠু বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা প্রয়াত এস এম এ রব খুলনার উন্নয়নে কাজ করেছেন। আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। খুলনার মিল-কলকারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের পাশে থেকে আন্দোলন, সংগ্রাম করেছি। নির্বাচনী এলাকায় আমার এবং আমার পরিবারের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দল মনোনয়ন দিলে আশা করি ভালো রেজাল্ট আসবে।’
খুলনা-৪ আসনে এনসিপির হয়ে ভোটের মাঠে লড়তে পারেন জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফয়জুল্লাহ। তা ছাড়া আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা মোল্লা শওকাত হোসেন বাবুল ও জেলা এনসিপির নেতা মুজাহিদুল ইসলাম। সাবেক এক বিএনপি নেতাও এই আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
খুলনা-৫ আসনে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তানজিল মাহমুদকে ভোটের লড়াইয়ে দেখা যেতে পারে। নির্বাচনী এলাকা ফুলতলা ও ডুমুরিয়ায় তিনি ইতিমধ্যে সক্রিয় হয়েছেন। বিভিন্ন উৎসবে তাঁর ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়। তা ছাড়া স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তানজিল। এ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদুর রহমানও এনসিপি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন।
খুলনা-৬ আসনে এনসিপির হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জেলার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি নির্বাচন করতে পারেন। বাপ্পির গ্রামের বাড়ি পাইকগাছা উপজেলায়। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুবাদে কয়রা-পাইকগাছা অঞ্চলে তাঁর আলাদা সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে। তবে নিজের ভোটব্যাংক বাড়াতে নিজ এলাকায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের শেল্টার দেওয়ার অভিযোগও আছে বাপ্পির বিরুদ্ধে। এই আসনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক নেতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বলও মনোনয়ন চাইতে পারেন। সদ্য শেষ হওয়া জাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হলেও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। মনোনয়ন চাইতে পারেন দলটির খুলনা জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক মাফতুন আহমেদ।
তরুণ নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রায় এক ডজন প্রার্থী খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বড় অংশ বয়সে তরুণ এবং নির্বাচনী মাঠে নতুন মুখ। তবে বয়সে তরুণ হলেও উদ্যম, সাংগঠনিক দক্ষতা ও স্থানীয় উন্নয়নে ভূমিকা তাঁদের সম্ভাবনাময় প্রার্থীতে পরিণত করবে বলে আশাবাদী কর্মী-সমর্থকেরা।
খুলনা-১ আসনে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক ওয়াহিদুজ্জামান ইতিমধ্যে দাকোপ ও বটিয়াঘাটা অঞ্চলে নিজের কার্যক্রম দৃশ্যমান করেছেন। মসজিদ, মাদ্রাসা ও রাস্তাঘাটের উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা স্থানীয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দুর্গাপূজায় তিনি বিভিন্ন এলাকার শতাধিক মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেছেন। এ আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন দলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার হালদার।
খুলনা-২ আসনে দলটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল হক নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। জানা গেছে, এ আসনে এখন পর্যন্ত তিনিই একক মনোনয়নপ্রত্যাশী।
খুলনা-৩ আসনে এনসিপির হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন এস এম আরিফুর রহমান মিঠু। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। নির্বাচনী এলাকা খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা এলাকায় নিজস্ব একটি শক্ত বলয় রয়েছে সাবেক এই বিএনপি নেতার। পদযাত্রাসহ দলের প্রায় কর্মসূচিতেই তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল।
মিঠু বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা প্রয়াত এস এম এ রব খুলনার উন্নয়নে কাজ করেছেন। আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। খুলনার মিল-কলকারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের পাশে থেকে আন্দোলন, সংগ্রাম করেছি। নির্বাচনী এলাকায় আমার এবং আমার পরিবারের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দল মনোনয়ন দিলে আশা করি ভালো রেজাল্ট আসবে।’
খুলনা-৪ আসনে এনসিপির হয়ে ভোটের মাঠে লড়তে পারেন জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফয়জুল্লাহ। তা ছাড়া আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা মোল্লা শওকাত হোসেন বাবুল ও জেলা এনসিপির নেতা মুজাহিদুল ইসলাম। সাবেক এক বিএনপি নেতাও এই আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
খুলনা-৫ আসনে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তানজিল মাহমুদকে ভোটের লড়াইয়ে দেখা যেতে পারে। নির্বাচনী এলাকা ফুলতলা ও ডুমুরিয়ায় তিনি ইতিমধ্যে সক্রিয় হয়েছেন। বিভিন্ন উৎসবে তাঁর ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়। তা ছাড়া স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তানজিল। এ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদুর রহমানও এনসিপি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন।
খুলনা-৬ আসনে এনসিপির হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জেলার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি নির্বাচন করতে পারেন। বাপ্পির গ্রামের বাড়ি পাইকগাছা উপজেলায়। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুবাদে কয়রা-পাইকগাছা অঞ্চলে তাঁর আলাদা সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে। তবে নিজের ভোটব্যাংক বাড়াতে নিজ এলাকায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের শেল্টার দেওয়ার অভিযোগও আছে বাপ্পির বিরুদ্ধে। এই আসনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক নেতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বলও মনোনয়ন চাইতে পারেন। সদ্য শেষ হওয়া জাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হলেও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। মনোনয়ন চাইতে পারেন দলটির খুলনা জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক মাফতুন আহমেদ।
‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
৬ ঘণ্টা আগেরোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল
৬ ঘণ্টা আগেহাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
৬ ঘণ্টা আগে