Ajker Patrika

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ‘বিরোধিতা করায়’ ইবির ১৯ শিক্ষককে শোকজ

ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গণ-অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করার অভিযোগে কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৯ জন শিক্ষকসহ ৬১ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। তাঁদের মধ্য থেকে ১৯ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার ও আজ সোমবার শিক্ষকদের এ শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। অভিযোগের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ শিক্ষক, ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৩১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। গত মঙ্গলবার ওই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের হুমকি, ভীতি প্রদর্শন, গালাগালি, উসকানিমূলক স্লোগান ও পুলিশের গ্রেপ্তার-হয়রানির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

শোকজ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকি বিল্লাহ, অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. রাসিদুজ্জামান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা বানু।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন; হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন, অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন; অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা; সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন এবং ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান।

আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ; আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল, অধ্যাপক ড. বেরা মণ্ডল; আল ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন। এ ছাড়া ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসান, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজেদুল হক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৯ জন শিক্ষককে শোকজ নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যদের নোটিশ এখনো দেওয়া হয়নি। জবাব পর্যালোচনা করে যদি দেখা যায় কারও কোনো অপরাধ নেই, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সিন্ডিকেট প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত