খুলনা প্রতিনিধি

খুলনা থেকে নিখোঁজ হয়ে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগম আগের বার নিজেই তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁর ছেলে মোহাম্মদ মিরাজ আল শাদী। খুলনার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, আজ সোমবার দুপুরে খুলনা পিবিআই কার্যালয়ে গিয়ে মায়ের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেওয়ার আগ্রহ জানান মিরাজ। পরে পুলিশ তাঁকে আদালতে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, মায়ের বিচার চেয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন মিরাজ।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরও জানান, রহিমা বেগম বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থেকে মিথ্যা কথা বলেছিলেন। জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণের বিষয়টি প্রচার করা হয়েছিল। এর সঙ্গে রহিমার অপহরণের ঘটনায় তাঁর দ্বিতীয় স্বামী বেল্লাল হাওলাদারও জড়িত। এই ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁর ছেলে। এর আগেও তাঁর মা আত্মগোপন করেছিল বলে জানিয়েছে তাঁর ছেলে মিরাজ।
এদিকে, গতকাল রোববার থেকে গুজব ছিল রহিমা বেগম আবারও নিখোঁজ হয়েছেন। তবে তাঁর মেয়ে আদুরি আক্তার জানিয়েছেন, রহিমা বেগম তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। রাত সোয়া ২টার দিকে দৌলতপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রহিমার ছেলে মিরাজ আল শাদী। মাকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে ২৮ আগস্ট দৌলতপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন রহিমার মেয়ে আদুরি। পরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:

খুলনা থেকে নিখোঁজ হয়ে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগম আগের বার নিজেই তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁর ছেলে মোহাম্মদ মিরাজ আল শাদী। খুলনার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, আজ সোমবার দুপুরে খুলনা পিবিআই কার্যালয়ে গিয়ে মায়ের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেওয়ার আগ্রহ জানান মিরাজ। পরে পুলিশ তাঁকে আদালতে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, মায়ের বিচার চেয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন মিরাজ।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরও জানান, রহিমা বেগম বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থেকে মিথ্যা কথা বলেছিলেন। জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণের বিষয়টি প্রচার করা হয়েছিল। এর সঙ্গে রহিমার অপহরণের ঘটনায় তাঁর দ্বিতীয় স্বামী বেল্লাল হাওলাদারও জড়িত। এই ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁর ছেলে। এর আগেও তাঁর মা আত্মগোপন করেছিল বলে জানিয়েছে তাঁর ছেলে মিরাজ।
এদিকে, গতকাল রোববার থেকে গুজব ছিল রহিমা বেগম আবারও নিখোঁজ হয়েছেন। তবে তাঁর মেয়ে আদুরি আক্তার জানিয়েছেন, রহিমা বেগম তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। রাত সোয়া ২টার দিকে দৌলতপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রহিমার ছেলে মিরাজ আল শাদী। মাকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে ২৮ আগস্ট দৌলতপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন রহিমার মেয়ে আদুরি। পরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:

বরগুনার বামনা উপজেলায় ৬ বছর আগে শুরু হওয়া মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এ নিয়ে আশাহত স্থানীয় মুসল্লিরা। জানা গেছে, মসজিদটি নির্মাণে একের পর এক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। সর্বশেষ, গত বছরের জানুয়ারি আবার মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ সময় পিলারসহ দোতলার ছাদ ঢালাই পর্যন্ত সম্পন্ন হয়।
৫ মিনিট আগে
এবার আলু নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন চাষিরা। ১ কেজি আলু উৎপাদনের পর হিমাগারে মজুতে কৃষকের মোট খরচ পড়েছে ৩৫ টাকা। আর পাইকারি বাজারে স্থানীয় লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৮ টাকা কেজিতে। হল্যান্ড বা কার্ডিনাল লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ টাকায়। এ অবস্থায় গড়ে ১ কেজিই কৃষকের প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম জেলায় ১৬টি সংসদীয় আসন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া)। আগের ইতিহাস বলছে, এই আসন থেকে যে দল জয়ী হয়, সেই দলই সরকার গঠন করে। আবার চট্টগ্রাম-৯-এর সংসদ সদস্য স্থান পান সরকারের মন্ত্রিসভায়ও।
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগেবরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার বামনা উপজেলায় ৬ বছর আগে শুরু হওয়া মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এ নিয়ে আশাহত স্থানীয় মুসল্লিরা। জানা গেছে, মসজিদটি নির্মাণে একের পর এক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। সর্বশেষ, গত বছরের জানুয়ারি আবার মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ সময় পিলারসহ দোতলার ছাদ ঢালাই পর্যন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর আবার থমকে যায় কাজ। এর মধ্যে ঠিকাদারও পরিবর্তন করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতিকেন্দ্র নির্মাণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বামনা উপজেলায়ও মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইসলামিক বই বিক্রি, ইমাম প্রশিক্ষণ, ইসলামি গবেষণা, হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, হজ যাত্রীদের নিবন্ধন প্রভৃতি কার্যক্রম মডেল মসজিদ থেকে পরিচালিত হবে। বামনা উপজেলায় ১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালে ৯০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করার জন্য তিন তলা মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুরুতে মঠবাড়িয়ার সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি উদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এএসআই জেবি বামনা মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য নির্বাচিত হয়। সে সময় বামনা কোর্ট বিল্ডিং ভেঙে সেখানে মসজিদ নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আপত্তিতে সেখানে নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিন পর কোর্ট বিল্ডিংয়ে পাশে উপজেলা পরিষদের দুটি পরিত্যক্ত ডরমিটরি ও কর্মকর্তাদের দুটি বাস ভেঙে সেখানে ৪০ শতক জমিতে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরে নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মসজিদের পাইলিং নির্মাণ শেষ না করেই কাজ বন্ধ করে চলে যায়। পরে গণপূর্ত অধিদপ্তর ১ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে মোট ১৩ কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা নির্ধারণ করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেয়। গত বছরের জানুয়ারি মাসে মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিপন জমাদ্দার ওরফে রাঙ্গা রিপনের এমকেটি নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবার মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করে। সে সময় মসজিদটির পিলারসহ দোতলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জেলে যান বামনার মডেল মসজিদ নির্মাণের ঠিকাদার রিপন জমাদ্দার ওরফে রাঙ্গা রিপন। এরপর থেকেই ঝিমিয়ে পড়ে নির্মাণকাজ।
এ অবস্থায় বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের দাবিতে স্থানীয় মুসল্লিরা কয়েকবার জেলা প্রশাসক ও গণপূর্ত দপ্তরে লিখিত আবেদন এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বলেও জানা গেছে।
উপজেলার হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা কবির হাওলাদার আক্ষেপ করে বলেন, ‘যে উপজেলায়
যাই দেখি, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদের মিনার। মনের আনন্দে অনেক জায়গায় গিয়ে নামাজ আদায় করেছি। কত হতভাগা আমরা, ছয় বছর ধরে এখনো কাজ চলে অথচ মসজিদের আকৃতিই তৈরি হলো না।’ শুধু কবির হাওলাদারই নন,
বামনার মডেল মসজিদ নির্মাণের ধীরগতিতে আশাহত এখানকার সব ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
এ ব্যাপারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বামনা উপজেলার সভাপতি আবদুস সোবাহান খান বলেন, ‘আমাদের পাশের মঠবাড়িয়া, বেতাগী, কাঠালিয়া, পাথরঘাটার মুসল্লিরা
মডেল মসজিদে নামাজ আদায় করেন, আর আমরা নির্মাণকাজ দেখেই যাচ্ছি। দ্রুত মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানাই।’
বামনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ রানা বলেন, ‘দেশের ৫৬০টি মডেল মসজিদ বিদেশি দাতা সংস্থার অনুদানে নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের লোক দিয়ে এর কাজ করাচ্ছিল। দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ফেরদৌস ও রিপন দুর্নীতি করে এখন জেলে। আমরা চাই নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে দ্রুত এর কাজ সম্পন্ন করা হোক।’
এ বিষয়ে বামনার মডেল মসজিদ নির্মাণের বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সুজন মিয়া বলেন, ‘আমাদের এ প্রতিষ্ঠানের মালিক দুজন। তাঁদের মধ্যে একজন রাজনৈতিক মামলায় জেলে এবং অন্য জন কিছু দিন আগে মারা গেছেন। তাই অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মসজিদ নির্মাণকাজ কিছুটা মন্থর হয়ে পড়ে। মডেল মসজিদের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোল্যা রবিউল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কয়েকবার বামনা উপজেলার মডেল মসজিদের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক পরিলক্ষিত না হলে তাদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বরগুনার বামনা উপজেলায় ৬ বছর আগে শুরু হওয়া মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এ নিয়ে আশাহত স্থানীয় মুসল্লিরা। জানা গেছে, মসজিদটি নির্মাণে একের পর এক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। সর্বশেষ, গত বছরের জানুয়ারি আবার মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ সময় পিলারসহ দোতলার ছাদ ঢালাই পর্যন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর আবার থমকে যায় কাজ। এর মধ্যে ঠিকাদারও পরিবর্তন করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতিকেন্দ্র নির্মাণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বামনা উপজেলায়ও মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইসলামিক বই বিক্রি, ইমাম প্রশিক্ষণ, ইসলামি গবেষণা, হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, হজ যাত্রীদের নিবন্ধন প্রভৃতি কার্যক্রম মডেল মসজিদ থেকে পরিচালিত হবে। বামনা উপজেলায় ১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালে ৯০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করার জন্য তিন তলা মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুরুতে মঠবাড়িয়ার সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি উদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এএসআই জেবি বামনা মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য নির্বাচিত হয়। সে সময় বামনা কোর্ট বিল্ডিং ভেঙে সেখানে মসজিদ নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আপত্তিতে সেখানে নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিন পর কোর্ট বিল্ডিংয়ে পাশে উপজেলা পরিষদের দুটি পরিত্যক্ত ডরমিটরি ও কর্মকর্তাদের দুটি বাস ভেঙে সেখানে ৪০ শতক জমিতে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরে নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মসজিদের পাইলিং নির্মাণ শেষ না করেই কাজ বন্ধ করে চলে যায়। পরে গণপূর্ত অধিদপ্তর ১ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে মোট ১৩ কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা নির্ধারণ করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেয়। গত বছরের জানুয়ারি মাসে মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিপন জমাদ্দার ওরফে রাঙ্গা রিপনের এমকেটি নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবার মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করে। সে সময় মসজিদটির পিলারসহ দোতলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জেলে যান বামনার মডেল মসজিদ নির্মাণের ঠিকাদার রিপন জমাদ্দার ওরফে রাঙ্গা রিপন। এরপর থেকেই ঝিমিয়ে পড়ে নির্মাণকাজ।
এ অবস্থায় বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের দাবিতে স্থানীয় মুসল্লিরা কয়েকবার জেলা প্রশাসক ও গণপূর্ত দপ্তরে লিখিত আবেদন এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বলেও জানা গেছে।
উপজেলার হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা কবির হাওলাদার আক্ষেপ করে বলেন, ‘যে উপজেলায়
যাই দেখি, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদের মিনার। মনের আনন্দে অনেক জায়গায় গিয়ে নামাজ আদায় করেছি। কত হতভাগা আমরা, ছয় বছর ধরে এখনো কাজ চলে অথচ মসজিদের আকৃতিই তৈরি হলো না।’ শুধু কবির হাওলাদারই নন,
বামনার মডেল মসজিদ নির্মাণের ধীরগতিতে আশাহত এখানকার সব ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
এ ব্যাপারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বামনা উপজেলার সভাপতি আবদুস সোবাহান খান বলেন, ‘আমাদের পাশের মঠবাড়িয়া, বেতাগী, কাঠালিয়া, পাথরঘাটার মুসল্লিরা
মডেল মসজিদে নামাজ আদায় করেন, আর আমরা নির্মাণকাজ দেখেই যাচ্ছি। দ্রুত মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানাই।’
বামনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ রানা বলেন, ‘দেশের ৫৬০টি মডেল মসজিদ বিদেশি দাতা সংস্থার অনুদানে নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের লোক দিয়ে এর কাজ করাচ্ছিল। দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ফেরদৌস ও রিপন দুর্নীতি করে এখন জেলে। আমরা চাই নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে দ্রুত এর কাজ সম্পন্ন করা হোক।’
এ বিষয়ে বামনার মডেল মসজিদ নির্মাণের বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সুজন মিয়া বলেন, ‘আমাদের এ প্রতিষ্ঠানের মালিক দুজন। তাঁদের মধ্যে একজন রাজনৈতিক মামলায় জেলে এবং অন্য জন কিছু দিন আগে মারা গেছেন। তাই অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মসজিদ নির্মাণকাজ কিছুটা মন্থর হয়ে পড়ে। মডেল মসজিদের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোল্যা রবিউল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কয়েকবার বামনা উপজেলার মডেল মসজিদের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক পরিলক্ষিত না হলে তাদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

খুলনা থেকে নিখোঁজ হয়ে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগম আগের বার নিজেই তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁর ছেলে মোহাম্মদ....
১৭ অক্টোবর ২০২২
এবার আলু নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন চাষিরা। ১ কেজি আলু উৎপাদনের পর হিমাগারে মজুতে কৃষকের মোট খরচ পড়েছে ৩৫ টাকা। আর পাইকারি বাজারে স্থানীয় লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৮ টাকা কেজিতে। হল্যান্ড বা কার্ডিনাল লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ টাকায়। এ অবস্থায় গড়ে ১ কেজিই কৃষকের প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম জেলায় ১৬টি সংসদীয় আসন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া)। আগের ইতিহাস বলছে, এই আসন থেকে যে দল জয়ী হয়, সেই দলই সরকার গঠন করে। আবার চট্টগ্রাম-৯-এর সংসদ সদস্য স্থান পান সরকারের মন্ত্রিসভায়ও।
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

এবার আলু নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন চাষিরা। ১ কেজি আলু উৎপাদনের পর হিমাগারে মজুতে কৃষকের মোট খরচ পড়েছে ৩৫ টাকা। আর পাইকারি বাজারে স্থানীয় লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৮ টাকা কেজিতে। হল্যান্ড বা কার্ডিনাল লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ টাকায়। এ অবস্থায় গড়ে ১ কেজিই কৃষকের প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।
আলু ব্যবসায়ী, চাষি, কৃষি বিভাগ ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজার উঠছে না। গত বছরের অক্টোবরে যেখানে বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকায়, সেখানে এবার দাম ঠেকেছে তলানিতে। মৌসুমের শুরু থেকেই দাম পড়ে আছে। ফলে সব আলুচাষিরই লোকসান হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় আলুর বার্ষিক চাহিদা ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৫ টন। এ বছর ৩৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ ৩০ হাজার ৫১৭ টন, যা জেলার বার্ষিক চাহিদার ৯ গুণ বেশি। গত বছর ৩৪ হাজার ৯৫৫ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছিল ৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮২৪ টন। তবে সেবার কৃষকের লাভ হয়েছিল। ফলে এবার আরও ৩ হাজার ৫৪৫ হেক্টরে বেশি আলু চাষ করা হয়। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে ৯১ হাজার ৬৯৩ টন।
রাজশাহীতে আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগার রয়েছে ৩৯টি। এর মধ্যে ৩৭টি সচল। এসব হিমাগারের ধারণক্ষমতা ৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৫০ টন। তবে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯১ টন। এর মধ্যে খাবার আলু ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৩২ টন। আর বীজ আলু ৭৩ হাজার ৭৫৯ টন। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ২৯ হাজার ৩০৫ টন আলু হিমাগার থেকে বের হয়েছে। বাকি আছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৮৬ টন। এই আলু এখন কৃষকের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতিদিনই বাজার মনিটরিং করে থাকে। সবশেষ গত রোববার তাদের তথ্যে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে হল্যান্ড বা কার্ডিনাল লাল আলু বিক্রি হয়েছে ১২-১৩ টাকা কেজিতে। আর স্থানীয় লাল আলু বিক্রি হয়েছে ১৫-১৮ টাকায়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর আলু বিক্রি হয়েছে ১৫-২০ টাকায়। আর চলতি ২৪ অক্টোবর বিক্রি হয় ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে। এ বছর আলুর দর অনেক কম।
আলুচাষিরা বলছেন, গত আগস্টে সরকার হিমাগার গেটে কমপক্ষে ২২ টাকা দামে ৫০ হাজার টন আলু কেনার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কৃষক ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, কোথাও পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই দরে আলু কেনেননি। ২২ টাকায় আলু বিক্রি করতে পারলেও কৃষকদের লোকসান অর্ধেকে নামত বলে তাঁরা জানিয়েছেন। কিন্তু এখন কেজিতেই লোকসান ২০ টাকা। কৃষককে লাভের মুখ দেখতে হলে আলু দাম ৪০ টাকার ওপরে ওঠাতে হবে। কিন্তু খুচরা বাজারেই এখন স্থানীয় লাল আলু ২০-২৫ ও হল্যান্ড ১৪-১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব আলু অনেকেই গোখাদ্য হিসেবে বস্তাসহ কিনছেন।
জেলা আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আহাদ আলী আলুর দরপতনের জন্য বেশি উৎপাদন ও হিমাগারে পচে যাওয়াকে দায়ী করছেন। তাঁর মতে, পাইকারি বাজারে দাম কম হওয়ায় হিমাগার থেকে আলু তুলে বাজারে নেওয়ার খরচও উঠছে না। অনেকে আলু হিমাগার থেকে তুলতে পারছেন না।
জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহানা আখতার জাহান বলেন, গত বছর আলুর দাম বেশি থাকায় কৃষকেরা এবার বেশি পরিমাণে চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম একেবারেই কমে গেছে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনও একই কথা বলছেন। তিনি বলেন, রাজশাহী জেলার উদ্বৃত্ত আলু আগের বছরগুলোতে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়েছে। তাই বাজার ঠিক থেকেছে। এবার সব জেলাতেই আলুর উৎপাদন বেশি। ফলে সবখানেই মূল্য কম। চেষ্টা করেও বাড়ানো যাচ্ছে না।

এবার আলু নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন চাষিরা। ১ কেজি আলু উৎপাদনের পর হিমাগারে মজুতে কৃষকের মোট খরচ পড়েছে ৩৫ টাকা। আর পাইকারি বাজারে স্থানীয় লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৮ টাকা কেজিতে। হল্যান্ড বা কার্ডিনাল লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ টাকায়। এ অবস্থায় গড়ে ১ কেজিই কৃষকের প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।
আলু ব্যবসায়ী, চাষি, কৃষি বিভাগ ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজার উঠছে না। গত বছরের অক্টোবরে যেখানে বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকায়, সেখানে এবার দাম ঠেকেছে তলানিতে। মৌসুমের শুরু থেকেই দাম পড়ে আছে। ফলে সব আলুচাষিরই লোকসান হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় আলুর বার্ষিক চাহিদা ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৫ টন। এ বছর ৩৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ ৩০ হাজার ৫১৭ টন, যা জেলার বার্ষিক চাহিদার ৯ গুণ বেশি। গত বছর ৩৪ হাজার ৯৫৫ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছিল ৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮২৪ টন। তবে সেবার কৃষকের লাভ হয়েছিল। ফলে এবার আরও ৩ হাজার ৫৪৫ হেক্টরে বেশি আলু চাষ করা হয়। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে ৯১ হাজার ৬৯৩ টন।
রাজশাহীতে আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগার রয়েছে ৩৯টি। এর মধ্যে ৩৭টি সচল। এসব হিমাগারের ধারণক্ষমতা ৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৫০ টন। তবে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯১ টন। এর মধ্যে খাবার আলু ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৩২ টন। আর বীজ আলু ৭৩ হাজার ৭৫৯ টন। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ২৯ হাজার ৩০৫ টন আলু হিমাগার থেকে বের হয়েছে। বাকি আছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৮৬ টন। এই আলু এখন কৃষকের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতিদিনই বাজার মনিটরিং করে থাকে। সবশেষ গত রোববার তাদের তথ্যে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে হল্যান্ড বা কার্ডিনাল লাল আলু বিক্রি হয়েছে ১২-১৩ টাকা কেজিতে। আর স্থানীয় লাল আলু বিক্রি হয়েছে ১৫-১৮ টাকায়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর আলু বিক্রি হয়েছে ১৫-২০ টাকায়। আর চলতি ২৪ অক্টোবর বিক্রি হয় ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে। এ বছর আলুর দর অনেক কম।
আলুচাষিরা বলছেন, গত আগস্টে সরকার হিমাগার গেটে কমপক্ষে ২২ টাকা দামে ৫০ হাজার টন আলু কেনার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কৃষক ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, কোথাও পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই দরে আলু কেনেননি। ২২ টাকায় আলু বিক্রি করতে পারলেও কৃষকদের লোকসান অর্ধেকে নামত বলে তাঁরা জানিয়েছেন। কিন্তু এখন কেজিতেই লোকসান ২০ টাকা। কৃষককে লাভের মুখ দেখতে হলে আলু দাম ৪০ টাকার ওপরে ওঠাতে হবে। কিন্তু খুচরা বাজারেই এখন স্থানীয় লাল আলু ২০-২৫ ও হল্যান্ড ১৪-১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব আলু অনেকেই গোখাদ্য হিসেবে বস্তাসহ কিনছেন।
জেলা আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আহাদ আলী আলুর দরপতনের জন্য বেশি উৎপাদন ও হিমাগারে পচে যাওয়াকে দায়ী করছেন। তাঁর মতে, পাইকারি বাজারে দাম কম হওয়ায় হিমাগার থেকে আলু তুলে বাজারে নেওয়ার খরচও উঠছে না। অনেকে আলু হিমাগার থেকে তুলতে পারছেন না।
জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহানা আখতার জাহান বলেন, গত বছর আলুর দাম বেশি থাকায় কৃষকেরা এবার বেশি পরিমাণে চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম একেবারেই কমে গেছে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনও একই কথা বলছেন। তিনি বলেন, রাজশাহী জেলার উদ্বৃত্ত আলু আগের বছরগুলোতে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়েছে। তাই বাজার ঠিক থেকেছে। এবার সব জেলাতেই আলুর উৎপাদন বেশি। ফলে সবখানেই মূল্য কম। চেষ্টা করেও বাড়ানো যাচ্ছে না।

খুলনা থেকে নিখোঁজ হয়ে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগম আগের বার নিজেই তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁর ছেলে মোহাম্মদ....
১৭ অক্টোবর ২০২২
বরগুনার বামনা উপজেলায় ৬ বছর আগে শুরু হওয়া মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এ নিয়ে আশাহত স্থানীয় মুসল্লিরা। জানা গেছে, মসজিদটি নির্মাণে একের পর এক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। সর্বশেষ, গত বছরের জানুয়ারি আবার মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ সময় পিলারসহ দোতলার ছাদ ঢালাই পর্যন্ত সম্পন্ন হয়।
৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম জেলায় ১৬টি সংসদীয় আসন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া)। আগের ইতিহাস বলছে, এই আসন থেকে যে দল জয়ী হয়, সেই দলই সরকার গঠন করে। আবার চট্টগ্রাম-৯-এর সংসদ সদস্য স্থান পান সরকারের মন্ত্রিসভায়ও।
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলায় ১৬টি সংসদীয় আসন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া)। আগের ইতিহাস বলছে, এই আসন থেকে যে দল জয়ী হয়, সেই দলই সরকার গঠন করে। আবার চট্টগ্রাম-৯-এর সংসদ সদস্য স্থান পান সরকারের মন্ত্রিসভায়ও। ১৯৯১ থেকে অনুষ্ঠিত প্রায় সব কটি সংসদ নির্বাচনে এমনটিই ঘটে এসেছে। তাই এবার এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে সবচেয়ে বেশি দৌড়ঝাঁপ চলছে। বিশেষ করে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এদিকে জামায়াতে ইসলামী আগেভাগেই প্রার্থী ঠিক করে ফেলায় তিনি একা মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্র বলেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবার ভোটের রাজনীতির সমীকরণ ভিন্ন। চট্টগ্রাম-৯ আসনে এবার বিএনপি-আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি-জামায়াত লড়াই হবে। এনসিপি, জাতীয় পাটি, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থীরাও থাকতে পারেন মাঠে।
১৯৯১ সালে আবদুল্লাহ আল নোমান এই আসন থেকে বিএনপির টিকিটে বিজয়ী হয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এখান থেকে আওয়ামী লীগের এম এ মান্নান বিজয়ী হয়ে মন্ত্রী হন। ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান বিজয়ী হয়ে হন খাদ্যমন্ত্রী। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম বিএসসি চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে হন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু বিজয়ী হন এখানে। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
এবার চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেতে তৎপর চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। তাঁর ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনও রয়েছেন সক্রিয়। অবশ্য হাটহাজারী আসনেই তাঁর আগ্রহ বেশি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া মাঠে আছেন বর্তমান সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এবং নগর বিএনপির দুই যুগ্ন আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল এবং এস এম সাইফুল আলমও আলোচনায় রয়েছেন। প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানও আছেন মাঠে। অবশ্য চট্টগ্রাম-১০ আসনও তাঁর নজরে রয়েছে।
জানতে চাইলে মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সিটি মেয়র ও মন্ত্রী থাকাকালে পুরো চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করেছি। শত শত লোকের চাকরির ব্যবস্থা করেছি। দল চাইলে নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী শামসুল আলম বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া এবং ধানের শীষে নির্বাচন করাটা যেন আমার অপরাধ ছিল। এ কারণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বলতে গেলে ধ্বংসই করে দিয়েছে। এরপরও আমি দল ছেড়ে যাইনি। এবার দলের মূল্যায়নের অপেক্ষায় থাকলাম।’
নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে সাতবার জেলে গেছি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়ে। আশা করছি দল আমার এ ত্যাগের মূল্যায়ন করবে।’
জানতে চাইলে প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সভাপতি সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়া বা সংসদ সদস্য হওয়া কখনোই আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। এটা জনগণের ভালোবাসা, আস্থা ও দলের সিদ্ধান্ত। দল চাইলে অবশ্যই নির্বাচনী মাঠে থাকব।’
জামায়াতের প্রার্থী চালাচ্ছেন জোর প্রচারণা
জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে এ কে এম ফজলুল হকের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসনের বিভিন্ন এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছেন। জানতে চাইলে জামায়াতের এই প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য লোককে ভোট দিয়ে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার আহ্বান রাখছি।’

চট্টগ্রাম জেলায় ১৬টি সংসদীয় আসন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া)। আগের ইতিহাস বলছে, এই আসন থেকে যে দল জয়ী হয়, সেই দলই সরকার গঠন করে। আবার চট্টগ্রাম-৯-এর সংসদ সদস্য স্থান পান সরকারের মন্ত্রিসভায়ও। ১৯৯১ থেকে অনুষ্ঠিত প্রায় সব কটি সংসদ নির্বাচনে এমনটিই ঘটে এসেছে। তাই এবার এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে সবচেয়ে বেশি দৌড়ঝাঁপ চলছে। বিশেষ করে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এদিকে জামায়াতে ইসলামী আগেভাগেই প্রার্থী ঠিক করে ফেলায় তিনি একা মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্র বলেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবার ভোটের রাজনীতির সমীকরণ ভিন্ন। চট্টগ্রাম-৯ আসনে এবার বিএনপি-আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি-জামায়াত লড়াই হবে। এনসিপি, জাতীয় পাটি, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থীরাও থাকতে পারেন মাঠে।
১৯৯১ সালে আবদুল্লাহ আল নোমান এই আসন থেকে বিএনপির টিকিটে বিজয়ী হয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এখান থেকে আওয়ামী লীগের এম এ মান্নান বিজয়ী হয়ে মন্ত্রী হন। ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান বিজয়ী হয়ে হন খাদ্যমন্ত্রী। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম বিএসসি চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে হন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু বিজয়ী হন এখানে। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
এবার চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেতে তৎপর চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। তাঁর ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনও রয়েছেন সক্রিয়। অবশ্য হাটহাজারী আসনেই তাঁর আগ্রহ বেশি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া মাঠে আছেন বর্তমান সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এবং নগর বিএনপির দুই যুগ্ন আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল এবং এস এম সাইফুল আলমও আলোচনায় রয়েছেন। প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানও আছেন মাঠে। অবশ্য চট্টগ্রাম-১০ আসনও তাঁর নজরে রয়েছে।
জানতে চাইলে মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সিটি মেয়র ও মন্ত্রী থাকাকালে পুরো চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করেছি। শত শত লোকের চাকরির ব্যবস্থা করেছি। দল চাইলে নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী শামসুল আলম বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া এবং ধানের শীষে নির্বাচন করাটা যেন আমার অপরাধ ছিল। এ কারণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বলতে গেলে ধ্বংসই করে দিয়েছে। এরপরও আমি দল ছেড়ে যাইনি। এবার দলের মূল্যায়নের অপেক্ষায় থাকলাম।’
নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে সাতবার জেলে গেছি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়ে। আশা করছি দল আমার এ ত্যাগের মূল্যায়ন করবে।’
জানতে চাইলে প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সভাপতি সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়া বা সংসদ সদস্য হওয়া কখনোই আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। এটা জনগণের ভালোবাসা, আস্থা ও দলের সিদ্ধান্ত। দল চাইলে অবশ্যই নির্বাচনী মাঠে থাকব।’
জামায়াতের প্রার্থী চালাচ্ছেন জোর প্রচারণা
জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে এ কে এম ফজলুল হকের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসনের বিভিন্ন এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছেন। জানতে চাইলে জামায়াতের এই প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য লোককে ভোট দিয়ে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার আহ্বান রাখছি।’

খুলনা থেকে নিখোঁজ হয়ে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগম আগের বার নিজেই তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁর ছেলে মোহাম্মদ....
১৭ অক্টোবর ২০২২
বরগুনার বামনা উপজেলায় ৬ বছর আগে শুরু হওয়া মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এ নিয়ে আশাহত স্থানীয় মুসল্লিরা। জানা গেছে, মসজিদটি নির্মাণে একের পর এক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। সর্বশেষ, গত বছরের জানুয়ারি আবার মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ সময় পিলারসহ দোতলার ছাদ ঢালাই পর্যন্ত সম্পন্ন হয়।
৫ মিনিট আগে
এবার আলু নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন চাষিরা। ১ কেজি আলু উৎপাদনের পর হিমাগারে মজুতে কৃষকের মোট খরচ পড়েছে ৩৫ টাকা। আর পাইকারি বাজারে স্থানীয় লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৮ টাকা কেজিতে। হল্যান্ড বা কার্ডিনাল লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ টাকায়। এ অবস্থায় গড়ে ১ কেজিই কৃষকের প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।
৮ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, এটি একটি অপমৃত্যু মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী আবুল কালাম আজাদের (৩৫) মাথায় লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি মোবারক হোসেন জানান, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ ওপর থেকে ভারী বিয়ারিং প্যাডটি পড়ে যায়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার পর প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রোরেলের চলাচল। পরে বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত, আর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তবে বিয়ারিং প্যাড মেরামতের জন্য আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার সকাল ১১টা থেকে পুরো লাইনে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।
ফাওজুল কবির খান আরও জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের কোনো কর্মক্ষম সদস্য থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, এটি একটি অপমৃত্যু মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী আবুল কালাম আজাদের (৩৫) মাথায় লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি মোবারক হোসেন জানান, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ ওপর থেকে ভারী বিয়ারিং প্যাডটি পড়ে যায়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার পর প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রোরেলের চলাচল। পরে বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত, আর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তবে বিয়ারিং প্যাড মেরামতের জন্য আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার সকাল ১১টা থেকে পুরো লাইনে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।
ফাওজুল কবির খান আরও জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের কোনো কর্মক্ষম সদস্য থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

খুলনা থেকে নিখোঁজ হয়ে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগম আগের বার নিজেই তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁর ছেলে মোহাম্মদ....
১৭ অক্টোবর ২০২২
বরগুনার বামনা উপজেলায় ৬ বছর আগে শুরু হওয়া মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এ নিয়ে আশাহত স্থানীয় মুসল্লিরা। জানা গেছে, মসজিদটি নির্মাণে একের পর এক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। সর্বশেষ, গত বছরের জানুয়ারি আবার মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ সময় পিলারসহ দোতলার ছাদ ঢালাই পর্যন্ত সম্পন্ন হয়।
৫ মিনিট আগে
এবার আলু নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন চাষিরা। ১ কেজি আলু উৎপাদনের পর হিমাগারে মজুতে কৃষকের মোট খরচ পড়েছে ৩৫ টাকা। আর পাইকারি বাজারে স্থানীয় লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৮ টাকা কেজিতে। হল্যান্ড বা কার্ডিনাল লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ টাকায়। এ অবস্থায় গড়ে ১ কেজিই কৃষকের প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম জেলায় ১৬টি সংসদীয় আসন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া)। আগের ইতিহাস বলছে, এই আসন থেকে যে দল জয়ী হয়, সেই দলই সরকার গঠন করে। আবার চট্টগ্রাম-৯-এর সংসদ সদস্য স্থান পান সরকারের মন্ত্রিসভায়ও।
১২ মিনিট আগে