ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
ছোটবেলায় মা–বাবা হারিয়ে দুই ভাই আকাশ মণ্ডল ও বিধান মণ্ডল দরিদ্র নানার কাছেই বেড়ে ওঠেন। অভাব-অনটন আর নানা সংকটের ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠলেও দুই ভাইয়ের কেউ কাউকে খুন করতে পারেন, এলাকার কেউ বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। গ্রামের সরকারি শিশু পরিবারের পার্শ্ববর্তী খাসজমিতে থাকতেন আকাশের নানা সন্তোষ মণ্ডল। আগে দুই ভাই একসঙ্গেই থাকতেন। সেখানেই এখন আকাশের ভাই বিধান মণ্ডল থাকেন।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বাকেরগঞ্জ এলাকা থেকে আকাশ মণ্ডলকে জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করে র্যাব।
প্রতিবেশীরা বলছেন, ছোটবেলায় বাবা জগদীশ মণ্ডল মারা যাওয়ার পর মা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তাঁর অন্যত্র বিয়ে হয়। ছোটবেলা থেকে অভাব-অনটন আর নানা সংকটে বেড়ে ওঠা দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোটখাটো চুরির অভিযোগ আছে। তবে আকাশ যে কাউকে খুন করতে পারেন, এটা ধারণায় আসে না কারও। একাই সাতজনকে হত্যা করে ফেলবেন আকাশ, তা–ও যাঁদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেন। এটা স্থানীয়দের কাছে রহস্যজনক বলে মনে হয়।
আকাশের বড় ভাইয়ের নাম ছিল বিধান মণ্ডল। বছর দেড়েক আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তাঁর নাম মো. আবির হোসাইন। আকাশ মণ্ডলও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন শোনা গেলেও বিষয়টি স্বজন বা অন্য কারও কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে গিয়ে আবিরকে পাওয়া যায়নি। সেখানে টিনের বেড়া-চালের ছোট্ট ঘরে দেখা মেলে তাঁর স্ত্রী আঁখি বেগমের সঙ্গে। এক বছর আগে আবিরের সঙ্গে বিয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার বাসিন্দা আঁখির। তিনি বলেন, বিয়ের পর একবারই আকাশ বাড়িতে এসেছিলেন। তা–ও এক বছর আগে। এরপর আর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।
তাঁদের ঘরের উল্টো পাশেই বাড়ি সৈয়দ জিহাদুল ইসলামের। তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে আকাশকে এলাকায় দেখি না। অভাব ও অভিভাবক না থাকায় এলাকায় মাছ-শাকের মতো ছোট চুরিতে এক-দুবার জড়িয়েছে আকাশ। তবে এমন নৃশংস হতে পারে তা মনে হয়নি। সে এলাকায় শান্ত স্বভাবের ছিল। মাছ ধরাসহ দিনমজুরির কাজ করত। বছর চার আগে ফকিরহাটের ফলতিতা বাজার এলাকায় সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির একটা ছোট দোকান দিয়েছিল দুই ভাই। তবে ওই দোকান বেশি দিন টেকেনি।’
ওই গ্রামের মো. জুয়েল বলেন, ‘নারীঘটিত একটা বিষয় নিয়ে দুই বছর আগে এলাকা ছেড়ে যায় আকাশ। এরপর আর তাকে দেখিনি। শুনেছি মাঝে একবার নাকি এসেছিল। আজ অনলাইনে দেখলাম জাহাজে সাত খুন করেছে এই আকাশই।’
গ্রামের বাসিন্দাদের ভাষ্য, এলাকায় থাকতে বিড়ি-সিগারেট খাওয়া ছাড়া কোনো মাদক সেবনে জড়িত এমন কখনো শোনেননি কেউ। সরকারি যে জমিতে তাঁর নানারা থাকতেন, সেখানেই তাঁদের জন্ম। ছোটবেলায় বাবা জগদীশ মণ্ডল মারা যাওয়ার পর মা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তাঁর অন্যত্র বিয়ে হয়। এরপর নানা-নানির কাছে বড় হতে থাকেন তাঁরা। শিশুকালে মা–বাবা হারিয়ে অভাব–অনটন, আর অবহেলার মধ্যে বেড়ে উঠেছেন আকাশ।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন আকাশের বড় ভাই আবির হোসাইন। তিনি বলেন, ‘এক বছর হলো তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ নেই। একটু মন কষাকষি হইছিল আমার সঙ্গে। তারপর আর কোনো যোগাযোগ নেই। এলাকা থেকে যাওয়ার পরই জাহাজে কাজ নেয়। তারপর একবারই বাড়ি এসেছে। তা–ও গত বছরের শীতের সময়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাবার বাড়ি পাশের মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া এলাকায়। তবে সেখানে আমরা কখনো যাইনি। আমাদের জন্ম এখানে।’
আকাশ বিয়ে করেছে কি না সে বিষয়েও জানা নেই উল্লেখ করে আবির বলেন, ‘এলাকায় থাকতে তো বিয়ে করেনি। জাহাজে জাহাজে থাকত—এটাই জানতাম। আর আমাদের কারও সঙ্গেই কোনো কথা হতো না। টিভিতে দেখে লোকে বলছে, প্রথমে তো বিশ্বাস করিনি। পরে দেখি আকাশরেই দেখায়। সে যদি ওই ঘটনা ঘটায়, তবে তার শাস্তি হোক।’ ঘটনার পর আকাশ বাড়িতে কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করেননি বলে দাবি তাঁর।
উল্লেখ্য, নিয়মিত বেতন-ভাতা ও ছুটি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আকাশ মণ্ডল প্রথমে জাহাজের মাস্টারকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেন। জাহাজের অন্য ব্যক্তিরা জীবিত থাকলে সহজে ধরা পড়ে যাবেন ভেবে বাকি সবাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। পরে আরও ছয়জনকে হত্যা করলেও তাঁদের মধ্যে একজন বেঁচে যান।
ছোটবেলায় মা–বাবা হারিয়ে দুই ভাই আকাশ মণ্ডল ও বিধান মণ্ডল দরিদ্র নানার কাছেই বেড়ে ওঠেন। অভাব-অনটন আর নানা সংকটের ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠলেও দুই ভাইয়ের কেউ কাউকে খুন করতে পারেন, এলাকার কেউ বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। গ্রামের সরকারি শিশু পরিবারের পার্শ্ববর্তী খাসজমিতে থাকতেন আকাশের নানা সন্তোষ মণ্ডল। আগে দুই ভাই একসঙ্গেই থাকতেন। সেখানেই এখন আকাশের ভাই বিধান মণ্ডল থাকেন।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বাকেরগঞ্জ এলাকা থেকে আকাশ মণ্ডলকে জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করে র্যাব।
প্রতিবেশীরা বলছেন, ছোটবেলায় বাবা জগদীশ মণ্ডল মারা যাওয়ার পর মা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তাঁর অন্যত্র বিয়ে হয়। ছোটবেলা থেকে অভাব-অনটন আর নানা সংকটে বেড়ে ওঠা দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোটখাটো চুরির অভিযোগ আছে। তবে আকাশ যে কাউকে খুন করতে পারেন, এটা ধারণায় আসে না কারও। একাই সাতজনকে হত্যা করে ফেলবেন আকাশ, তা–ও যাঁদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেন। এটা স্থানীয়দের কাছে রহস্যজনক বলে মনে হয়।
আকাশের বড় ভাইয়ের নাম ছিল বিধান মণ্ডল। বছর দেড়েক আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তাঁর নাম মো. আবির হোসাইন। আকাশ মণ্ডলও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন শোনা গেলেও বিষয়টি স্বজন বা অন্য কারও কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে গিয়ে আবিরকে পাওয়া যায়নি। সেখানে টিনের বেড়া-চালের ছোট্ট ঘরে দেখা মেলে তাঁর স্ত্রী আঁখি বেগমের সঙ্গে। এক বছর আগে আবিরের সঙ্গে বিয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার বাসিন্দা আঁখির। তিনি বলেন, বিয়ের পর একবারই আকাশ বাড়িতে এসেছিলেন। তা–ও এক বছর আগে। এরপর আর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।
তাঁদের ঘরের উল্টো পাশেই বাড়ি সৈয়দ জিহাদুল ইসলামের। তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে আকাশকে এলাকায় দেখি না। অভাব ও অভিভাবক না থাকায় এলাকায় মাছ-শাকের মতো ছোট চুরিতে এক-দুবার জড়িয়েছে আকাশ। তবে এমন নৃশংস হতে পারে তা মনে হয়নি। সে এলাকায় শান্ত স্বভাবের ছিল। মাছ ধরাসহ দিনমজুরির কাজ করত। বছর চার আগে ফকিরহাটের ফলতিতা বাজার এলাকায় সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির একটা ছোট দোকান দিয়েছিল দুই ভাই। তবে ওই দোকান বেশি দিন টেকেনি।’
ওই গ্রামের মো. জুয়েল বলেন, ‘নারীঘটিত একটা বিষয় নিয়ে দুই বছর আগে এলাকা ছেড়ে যায় আকাশ। এরপর আর তাকে দেখিনি। শুনেছি মাঝে একবার নাকি এসেছিল। আজ অনলাইনে দেখলাম জাহাজে সাত খুন করেছে এই আকাশই।’
গ্রামের বাসিন্দাদের ভাষ্য, এলাকায় থাকতে বিড়ি-সিগারেট খাওয়া ছাড়া কোনো মাদক সেবনে জড়িত এমন কখনো শোনেননি কেউ। সরকারি যে জমিতে তাঁর নানারা থাকতেন, সেখানেই তাঁদের জন্ম। ছোটবেলায় বাবা জগদীশ মণ্ডল মারা যাওয়ার পর মা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তাঁর অন্যত্র বিয়ে হয়। এরপর নানা-নানির কাছে বড় হতে থাকেন তাঁরা। শিশুকালে মা–বাবা হারিয়ে অভাব–অনটন, আর অবহেলার মধ্যে বেড়ে উঠেছেন আকাশ।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন আকাশের বড় ভাই আবির হোসাইন। তিনি বলেন, ‘এক বছর হলো তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ নেই। একটু মন কষাকষি হইছিল আমার সঙ্গে। তারপর আর কোনো যোগাযোগ নেই। এলাকা থেকে যাওয়ার পরই জাহাজে কাজ নেয়। তারপর একবারই বাড়ি এসেছে। তা–ও গত বছরের শীতের সময়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাবার বাড়ি পাশের মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া এলাকায়। তবে সেখানে আমরা কখনো যাইনি। আমাদের জন্ম এখানে।’
আকাশ বিয়ে করেছে কি না সে বিষয়েও জানা নেই উল্লেখ করে আবির বলেন, ‘এলাকায় থাকতে তো বিয়ে করেনি। জাহাজে জাহাজে থাকত—এটাই জানতাম। আর আমাদের কারও সঙ্গেই কোনো কথা হতো না। টিভিতে দেখে লোকে বলছে, প্রথমে তো বিশ্বাস করিনি। পরে দেখি আকাশরেই দেখায়। সে যদি ওই ঘটনা ঘটায়, তবে তার শাস্তি হোক।’ ঘটনার পর আকাশ বাড়িতে কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করেননি বলে দাবি তাঁর।
উল্লেখ্য, নিয়মিত বেতন-ভাতা ও ছুটি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আকাশ মণ্ডল প্রথমে জাহাজের মাস্টারকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেন। জাহাজের অন্য ব্যক্তিরা জীবিত থাকলে সহজে ধরা পড়ে যাবেন ভেবে বাকি সবাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। পরে আরও ছয়জনকে হত্যা করলেও তাঁদের মধ্যে একজন বেঁচে যান।
ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফেরার পথে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৬টায় দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুলবাড়ী উপজেলার রাঙ্গমাটি বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আজ মঙ্গলবারও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। আজ সকাল সোয়া ১১টার পর তাঁরা সচিবালয়ের বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে আসেন। সেখানেই বিক্ষোভ করছেন তাঁরা।
১৭ মিনিট আগেমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ও তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের দেবীপুর ও চক কল্যাণপুর গ্রামের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল প্রায় ২৫ বছর আগে।
১৯ মিনিট আগেপটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) আনসার সদস্য মো. জয়নুল আবেদীন (৪৮) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
৪৩ মিনিট আগে