খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের ১৭ ঘণ্টা পার হয়েছে আজ মঙ্গলবার। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। দাবি পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।
একজন শিক্ষার্থী রাতে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে অনশন থেকে সরে যান। অন্য একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসে অনশন থেকে নিয়ে গেছেন। এদিকে ছাত্রদের অনশন ভাঙাতে তৎপর রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তর। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা।
গতকাল সোমবার পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে অংশ নেন। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওই দিন বেলা ২টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা দুর্বার বাংলা পাদদেশের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন। এরপর বেলা ৩টায় সেখান জড়ো হওয়া দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দার পূর্ব দিকে অবস্থান নেন। এরপর সেখানে বিভিন্ন বিভাগের ৩২ জন শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে আমরণ অনশন শুরু করেন। বাকি শিক্ষার্থীরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের চারদিকে অবস্থান নিয়ে তাঁদের উৎসাহ দেয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে অর্ধশতাধিক শিক্ষক গতকাল সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের আমরণ কর্মসূচি থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়। সকালে তারা আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।
বেলা আড়াইটায় ছাত্র কল্যাণ পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুলসংখ্যক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত অনশনস্থল স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় অবস্থান নেন। এরপর বেলা ৩টার পর অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে সরে এসে আলোচনা টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়ে একাধিক শিক্ষক বক্তৃতা দেন। এ সময় শিক্ষকেরা তাঁদের জুস পান করার অনুরোধ জানিয়ে অনশন থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। এভাবে টানা আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও শিক্ষার্থীদের নমনীয় করতে না পেরে ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালকসহ শিক্ষকেরা সেখান থেকে চলে যান। যাওয়ার সময় তাঁরা বলে যান আমরা আবারও তোমাদের কাছে আসব আলোচনার সুযোগ সব সময় রয়েছে।
এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীরা ভিসি’র পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনড় থাকে। তাদের সাফ কথা আমাদের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা অনশন থেকে সরব না। প্রয়োজন হলে আমাদের এখানে মৃত্যু হবে।
অনশনরত শিক্ষার্থী মো. রাহাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এক দফা, এক দাবি ভিসির পদত্যাগ। আমাদের দাবি যেদিন মেনে নেওয়া হবে, সেদিন আমাদের অনশন শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্টেরিম দিকে তাকিয়ে আছি, ইনট্রিম কখন আমাদের দিকে তাকাবে? আমাদের কুয়েটে গত দুই মাস ধরে যতটুকু আন্দোলন হয়েছে, শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমরা রেল ব্লকেট করছি? না রাস্তা ব্লকেট করছি? এমনকি আমরা যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গেছি তখন পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার জন্যই কি ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না? ইন্টেরিম কাছে আমাদের প্রশ্ন?’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ যে শিক্ষকেরা আমাদের কাছে এসেছেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় অনেক দেরি হয়ে গেছে। উনারা যখন আসছে তার আগে আমাদের দমানোর জন্য আমাদের প্রতি মামলা করা হয়েছে, এমনকি আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের পরে আবার নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে আমাদের দমানো যায়। শুধু এই তদন্ত কমিটি নয়, আবার শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছিল যাতে আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য বসতে না পারি। এত হামলা, এত বহিষ্কারের পরে ছাত্ররা আর তাদের দাবি থেকে ফেরত যেতে চাই না। আমরা শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব এই কারণে যে তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছেন।’
আইইএম বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল বলেন, ‘আন্দোলন তো শুরু হয়েছে দুই মাস ধরে। ৬ দফার যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করছিলাম কিন্তু সেটা মানা হয় নাই। এরপর আমরা ভিসিকে বর্জন করি। আমরা ঢাকায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের স্মারকলিপি দিয়ে আসি। এ কারণে যে ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাবে। কিন্তু দুই মাস হয়ে গেল ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাই নাই।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার জুলাইয়ের রক্তের ওপর দিয়ে, ছাত্রদের রক্তের ওপর দিয়ে অসলো। অথচ এই সরকার ছাত্রদের দিকে তাকাল না। যেখানে আমাদের একটা ন্যায্য দাবি। আমরা হামলা খাইছি, মামলা খাইছি, আমরা কোপ খাইছি, গুলি খাইছি, আমরা আহত হইছি। আমরা চাইছি ওইটা আমাদের বিচার করে দেন। ওইটা ছিল আমাদের ন্যায্য দাবি। কিন্তু সেটা মানা হয়নি।’
উপল আরও বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনরত ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলো। এরপর হলে খুলে দিয়ে আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাইলাম। কারণ আমাদের ক্লাসে ফিরতে হবে। তখন আমাদের নামে মামলা দেওয়া হলো। আমাদের ২৪ ঘণ্টা খোলা আকাশের নিচে রাখা হলো। আমাদের আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে ৩০ জনকে বহিষ্কার করা হলো। এরপর আলাদা একটা তদন্ত কমিটি করা হলো, যাতে কেউ আন্দোলন করতে না আসে। আন্দোলনকারীদের ভয় দেখানো হলো, বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হলো। এই সবকিছুর পর আমরা এক দফায় এসেছি।’
শিক্ষকদের আলোচনার প্রস্তাব সম্পর্কে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ তৌফিক আহমেদ বলেন, ‘আলোচনার সময় এখন আর নেই। আমরা স্যারদের সঙ্গে বসার অনেক চেষ্টা করেছি। আমরা বলেছি সমঝোতার সুযোগ আছে, হলগুলো খুলে দিন। তাহলে হয়তো তখন সমঝোতা হয়ে যেত। আর যে পাঁচটা দাবি অন্তত এই পাঁচটা দাবি যদি মানত। আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসছেন এই বসাটা আরও আগে বসলে সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু এখন যখন আমরা হার্ড লাইনে চলে এসেছি এখন আর কথা বলার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘যত দিন আমাদের এই দাবি আদায় না হবে, তাতে আমাদের যত ক্ষতি হয়ে যাক আমরা এখানে আমরণ অনশন করব।’
রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় আসেন। এ সময় তাঁরা শিক্ষার্থীদের আবারও অনুরোধ করেন অনশন থেকে সরে এসে আলোচনা বসার জন্য। এ ছাড়াও তারা এ সময় শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের ১৭ ঘণ্টা পার হয়েছে আজ মঙ্গলবার। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। দাবি পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।
একজন শিক্ষার্থী রাতে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে অনশন থেকে সরে যান। অন্য একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসে অনশন থেকে নিয়ে গেছেন। এদিকে ছাত্রদের অনশন ভাঙাতে তৎপর রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তর। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা।
গতকাল সোমবার পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে অংশ নেন। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওই দিন বেলা ২টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা দুর্বার বাংলা পাদদেশের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন। এরপর বেলা ৩টায় সেখান জড়ো হওয়া দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দার পূর্ব দিকে অবস্থান নেন। এরপর সেখানে বিভিন্ন বিভাগের ৩২ জন শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে আমরণ অনশন শুরু করেন। বাকি শিক্ষার্থীরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের চারদিকে অবস্থান নিয়ে তাঁদের উৎসাহ দেয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে অর্ধশতাধিক শিক্ষক গতকাল সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের আমরণ কর্মসূচি থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়। সকালে তারা আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।
বেলা আড়াইটায় ছাত্র কল্যাণ পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুলসংখ্যক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত অনশনস্থল স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় অবস্থান নেন। এরপর বেলা ৩টার পর অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে সরে এসে আলোচনা টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়ে একাধিক শিক্ষক বক্তৃতা দেন। এ সময় শিক্ষকেরা তাঁদের জুস পান করার অনুরোধ জানিয়ে অনশন থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। এভাবে টানা আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও শিক্ষার্থীদের নমনীয় করতে না পেরে ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালকসহ শিক্ষকেরা সেখান থেকে চলে যান। যাওয়ার সময় তাঁরা বলে যান আমরা আবারও তোমাদের কাছে আসব আলোচনার সুযোগ সব সময় রয়েছে।
এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীরা ভিসি’র পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনড় থাকে। তাদের সাফ কথা আমাদের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা অনশন থেকে সরব না। প্রয়োজন হলে আমাদের এখানে মৃত্যু হবে।
অনশনরত শিক্ষার্থী মো. রাহাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এক দফা, এক দাবি ভিসির পদত্যাগ। আমাদের দাবি যেদিন মেনে নেওয়া হবে, সেদিন আমাদের অনশন শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্টেরিম দিকে তাকিয়ে আছি, ইনট্রিম কখন আমাদের দিকে তাকাবে? আমাদের কুয়েটে গত দুই মাস ধরে যতটুকু আন্দোলন হয়েছে, শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমরা রেল ব্লকেট করছি? না রাস্তা ব্লকেট করছি? এমনকি আমরা যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গেছি তখন পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার জন্যই কি ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না? ইন্টেরিম কাছে আমাদের প্রশ্ন?’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ যে শিক্ষকেরা আমাদের কাছে এসেছেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় অনেক দেরি হয়ে গেছে। উনারা যখন আসছে তার আগে আমাদের দমানোর জন্য আমাদের প্রতি মামলা করা হয়েছে, এমনকি আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের পরে আবার নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে আমাদের দমানো যায়। শুধু এই তদন্ত কমিটি নয়, আবার শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছিল যাতে আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য বসতে না পারি। এত হামলা, এত বহিষ্কারের পরে ছাত্ররা আর তাদের দাবি থেকে ফেরত যেতে চাই না। আমরা শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব এই কারণে যে তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছেন।’
আইইএম বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল বলেন, ‘আন্দোলন তো শুরু হয়েছে দুই মাস ধরে। ৬ দফার যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করছিলাম কিন্তু সেটা মানা হয় নাই। এরপর আমরা ভিসিকে বর্জন করি। আমরা ঢাকায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের স্মারকলিপি দিয়ে আসি। এ কারণে যে ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাবে। কিন্তু দুই মাস হয়ে গেল ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাই নাই।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার জুলাইয়ের রক্তের ওপর দিয়ে, ছাত্রদের রক্তের ওপর দিয়ে অসলো। অথচ এই সরকার ছাত্রদের দিকে তাকাল না। যেখানে আমাদের একটা ন্যায্য দাবি। আমরা হামলা খাইছি, মামলা খাইছি, আমরা কোপ খাইছি, গুলি খাইছি, আমরা আহত হইছি। আমরা চাইছি ওইটা আমাদের বিচার করে দেন। ওইটা ছিল আমাদের ন্যায্য দাবি। কিন্তু সেটা মানা হয়নি।’
উপল আরও বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনরত ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলো। এরপর হলে খুলে দিয়ে আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাইলাম। কারণ আমাদের ক্লাসে ফিরতে হবে। তখন আমাদের নামে মামলা দেওয়া হলো। আমাদের ২৪ ঘণ্টা খোলা আকাশের নিচে রাখা হলো। আমাদের আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে ৩০ জনকে বহিষ্কার করা হলো। এরপর আলাদা একটা তদন্ত কমিটি করা হলো, যাতে কেউ আন্দোলন করতে না আসে। আন্দোলনকারীদের ভয় দেখানো হলো, বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হলো। এই সবকিছুর পর আমরা এক দফায় এসেছি।’
শিক্ষকদের আলোচনার প্রস্তাব সম্পর্কে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ তৌফিক আহমেদ বলেন, ‘আলোচনার সময় এখন আর নেই। আমরা স্যারদের সঙ্গে বসার অনেক চেষ্টা করেছি। আমরা বলেছি সমঝোতার সুযোগ আছে, হলগুলো খুলে দিন। তাহলে হয়তো তখন সমঝোতা হয়ে যেত। আর যে পাঁচটা দাবি অন্তত এই পাঁচটা দাবি যদি মানত। আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসছেন এই বসাটা আরও আগে বসলে সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু এখন যখন আমরা হার্ড লাইনে চলে এসেছি এখন আর কথা বলার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘যত দিন আমাদের এই দাবি আদায় না হবে, তাতে আমাদের যত ক্ষতি হয়ে যাক আমরা এখানে আমরণ অনশন করব।’
রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় আসেন। এ সময় তাঁরা শিক্ষার্থীদের আবারও অনুরোধ করেন অনশন থেকে সরে এসে আলোচনা বসার জন্য। এ ছাড়াও তারা এ সময় শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন।
বেলা পৌনে ১২টায় ঢাকা কলেজের একদল শিক্ষার্থী ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কের পাশে সিটি কলেজের সামনে অবস্থান নিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। অন্যদিকে সিটি কলেজের ভেতর থেকে কিছু শিক্ষার্থী ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ সড়ক থেকে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে সিটি কলেজের সামনে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি...
৩৮ মিনিট আগেরাজশাহীতে এক ব্যক্তির চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে সাড়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছিল রিকশাচালকের যোগসাজশে। পুলিশ মো. মাসুম (৩০) নামের ওই রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ছিনতাই কাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেযশোরের দুঃখ হিসেবে পরিচিত ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে পরিদর্শন করলেন মন্ত্রণালয়ের তিন উপদেষ্টা। আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভবদহ স্লুইসগেট ২১ ভেন্ট এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত করা বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ স্টোরে পড়ে থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে নষ্ট হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১ ঘণ্টা আগে