Ajker Patrika

আমরণ অনশনের ১৭ ঘণ্টা, সরকারের দিকে তাকিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

খুলনা প্রতিনিধি
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দার পূর্ব দিকে অনশনে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দার পূর্ব দিকে অনশনে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের ১৭ ঘণ্টা পার হয়েছে আজ মঙ্গলবার। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। দাবি পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।

একজন শিক্ষার্থী রাতে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে অনশন থেকে সরে যান। অন্য একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসে অনশন থেকে নিয়ে গেছেন। এদিকে ছাত্রদের অনশন ভাঙাতে তৎপর রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তর। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা।

গতকাল সোমবার পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে অংশ নেন। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওই দিন বেলা ২টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা দুর্বার বাংলা পাদদেশের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন। এরপর বেলা ৩টায় সেখান জড়ো হওয়া দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দার পূর্ব দিকে অবস্থান নেন। এরপর সেখানে বিভিন্ন বিভাগের ৩২ জন শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে আমরণ অনশন শুরু করেন। বাকি শিক্ষার্থীরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের চারদিকে অবস্থান নিয়ে তাঁদের উৎসাহ দেয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে অর্ধশতাধিক শিক্ষক গতকাল সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের আমরণ কর্মসূচি থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়। সকালে তারা আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।

বেলা আড়াইটায় ছাত্র কল্যাণ পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুলসংখ্যক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত অনশনস্থল স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় অবস্থান নেন। এরপর বেলা ৩টার পর অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে সরে এসে আলোচনা টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়ে একাধিক শিক্ষক বক্তৃতা দেন। এ সময় শিক্ষকেরা তাঁদের জুস পান করার অনুরোধ জানিয়ে অনশন থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। এভাবে টানা আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও শিক্ষার্থীদের নমনীয় করতে না পেরে ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালকসহ শিক্ষকেরা সেখান থেকে চলে যান। যাওয়ার সময় তাঁরা বলে যান আমরা আবারও তোমাদের কাছে আসব আলোচনার সুযোগ সব সময় রয়েছে।

এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীরা ভিসি’র পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনড় থাকে। তাদের সাফ কথা আমাদের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা অনশন থেকে সরব না। প্রয়োজন হলে আমাদের এখানে মৃত্যু হবে।

অনশনরত শিক্ষার্থী মো. রাহাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এক দফা, এক দাবি ভিসির পদত্যাগ। আমাদের দাবি যেদিন মেনে নেওয়া হবে, সেদিন আমাদের অনশন শেষ হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্টেরিম দিকে তাকিয়ে আছি, ইনট্রিম কখন আমাদের দিকে তাকাবে? আমাদের কুয়েটে গত দুই মাস ধরে যতটুকু আন্দোলন হয়েছে, শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমরা রেল ব্লকেট করছি? না রাস্তা ব্লকেট করছি? এমনকি আমরা যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গেছি তখন পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার জন্যই কি ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না? ইন্টেরিম কাছে আমাদের প্রশ্ন?’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ যে শিক্ষকেরা আমাদের কাছে এসেছেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় অনেক দেরি হয়ে গেছে। উনারা যখন আসছে তার আগে আমাদের দমানোর জন্য আমাদের প্রতি মামলা করা হয়েছে, এমনকি আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের পরে আবার নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে আমাদের দমানো যায়। শুধু এই তদন্ত কমিটি নয়, আবার শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছিল যাতে আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য বসতে না পারি। এত হামলা, এত বহিষ্কারের পরে ছাত্ররা আর তাদের দাবি থেকে ফেরত যেতে চাই না। আমরা শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব এই কারণে যে তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছেন।’

আইইএম বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল বলেন, ‘আন্দোলন তো শুরু হয়েছে দুই মাস ধরে। ৬ দফার যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করছিলাম কিন্তু সেটা মানা হয় নাই। এরপর আমরা ভিসিকে বর্জন করি। আমরা ঢাকায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের স্মারকলিপি দিয়ে আসি। এ কারণে যে ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাবে। কিন্তু দুই মাস হয়ে গেল ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাই নাই।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার জুলাইয়ের রক্তের ওপর দিয়ে, ছাত্রদের রক্তের ওপর দিয়ে অসলো। অথচ এই সরকার ছাত্রদের দিকে তাকাল না। যেখানে আমাদের একটা ন্যায্য দাবি। আমরা হামলা খাইছি, মামলা খাইছি, আমরা কোপ খাইছি, গুলি খাইছি, আমরা আহত হইছি। আমরা চাইছি ওইটা আমাদের বিচার করে দেন। ওইটা ছিল আমাদের ন্যায্য দাবি। কিন্তু সেটা মানা হয়নি।’

উপল আরও বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনরত ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলো। এরপর হলে খুলে দিয়ে আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাইলাম। কারণ আমাদের ক্লাসে ফিরতে হবে। তখন আমাদের নামে মামলা দেওয়া হলো। আমাদের ২৪ ঘণ্টা খোলা আকাশের নিচে রাখা হলো। আমাদের আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে ৩০ জনকে বহিষ্কার করা হলো। এরপর আলাদা একটা তদন্ত কমিটি করা হলো, যাতে কেউ আন্দোলন করতে না আসে। আন্দোলনকারীদের ভয় দেখানো হলো, বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হলো। এই সবকিছুর পর আমরা এক দফায় এসেছি।’

শিক্ষকদের আলোচনার প্রস্তাব সম্পর্কে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ তৌফিক আহমেদ বলেন, ‘আলোচনার সময় এখন আর নেই। আমরা স্যারদের সঙ্গে বসার অনেক চেষ্টা করেছি। আমরা বলেছি সমঝোতার সুযোগ আছে, হলগুলো খুলে দিন। তাহলে হয়তো তখন সমঝোতা হয়ে যেত। আর যে পাঁচটা দাবি অন্তত এই পাঁচটা দাবি যদি মানত। আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসছেন এই বসাটা আরও আগে বসলে সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু এখন যখন আমরা হার্ড লাইনে চলে এসেছি এখন আর কথা বলার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘যত দিন আমাদের এই দাবি আদায় না হবে, তাতে আমাদের যত ক্ষতি হয়ে যাক আমরা এখানে আমরণ অনশন করব।’

রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় আসেন। এ সময় তাঁরা শিক্ষার্থীদের আবারও অনুরোধ করেন অনশন থেকে সরে এসে আলোচনা বসার জন্য। এ ছাড়াও তারা এ সময় শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সড়ক অবরোধ মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে টানা তিন দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা এম এ হান্নানের অনুসারীরা। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ববিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদকে প্রার্থী করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানের কর্মী-সমর্থকেরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন।

অবরোধ চলাকালে হান্নানের সমর্থকেরা ফরিদগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এতে সড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা যায়। সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেন তাঁরা। এতে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি আমানত গাজী, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ফারুক হোসেন প্রমুখ। এদিকে দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ ও চাঁদপুরের ডিবি পুলিশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় যুবক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
মো. কলিম। ছবি: সংগৃহীত
মো. কলিম। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া কিশোর শিহাব আলীকে (১৭) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম মো. কলিম (৩২)। গোদাগাড়ীর হাজিবান্দুড়িয়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। র‍্যাব-৫-এর সিপিএসসি, রাজশাহী ক্যাম্পের একটি দল গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার রাজাবাড়ীহাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

আজ বুধবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, বসন্তপুর গ্রামের কিশোর শিহাব আলীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে ১৪ বছরের এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে ২০ অক্টোবর রাত সোয়া ৭টার দিকে শিহাব তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে বের হয়।

রাত ৮টার দিকে তারা হাজিবান্দুড়িয়া মোড়ে পৌঁছালে ওই কিশোরীর প্রতিবেশীরা শিহাবের পথরোধ করে। তাদের হাতে ছিল বাঁশের লাঠি ও লোহার রড। তারা শিহাবকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিহাব প্রাণরক্ষায় পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয়।

এরপরও তাকে পিটিয়ে ফেলে রাখা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১ নভেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে সে মারা যায়। এ ঘটনায় শিহাবের বাবার করা মামলায় কলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্যাবের অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ল বিএসএফ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ল বিএসএফ

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন এলাকায় সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

স্থানীয় সীমান্ত সূত্র ও বিজিবি জানায়, ওই ইউনিয়নের বিপরীতে ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জ থানার সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম ভেল্কু লতামারী। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৫৪ নম্বরের উপপিলার ৩-এর সীমান্ত এলাকার শূন্যরেখায় ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা আজ ভোর ৫টা ২০ মিনিটে তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরপর কয়েকবার বিকট শব্দ হওয়ায় সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নি।

ঘটনা জানার পরপরই রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী কোম্পানি সদর ও শ্রীরামপুর ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিএসএফের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে রতনপুর ক্যাম্পের কমান্ডারকে চিঠি দেয়। পরে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ঘটনাস্থলের পাশে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী বৈঠকে ভারতের পক্ষে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রতনপুর ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর রণজিৎ মালি। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন শ্রীরামপুর ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোক্তার হোসেন।

পতাকা বৈঠকে সীমান্তে বিএসএফের সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। এ সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্তে সাত থেকে আটজনের একটি গরু চোরাকারবারির দল ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। তাদের ধাওয়া দিতে বিএসএফ বাধ্য হয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে।

এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, ‘আমরা সবকিছু শুনেছি। ইতিমধ্যে বিওপি কমান্ডারপর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। যেকোনো ধরনের চোরাচালানি তৎপরতা যদি তারা (বিএসএফ) দেখে, আমাদের যেন তৎক্ষণাৎ জানায়—সে ব্যাপারে তাদের বলা হয়েছে। যেকোনো কারণেই হোক, সীমান্তে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে অটোরিকশা-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেট মহানগরের খাদিমনগর এলাকায় অটোরিকশা ও বালুবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে মো. মুন্না মিয়া (২০) ও শাহপরান থানাধীন বাহুবল এলাকার তাজুল ইসলাম (৪০)।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত তিনজন হলেন শাহপরান থানার সুরমা গেট এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে রবিউল হাসান নয়ন (১৮), জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার মাহফুজুর রহমান নাইম (২১) ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং এলাকার মো. হাবিবুর লস্কর (৩৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এসএমপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহপরান থানাধীন খাদিমনগর এলাকায় অটোরিকশা ও মিনি ট্রাকের সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে শাহপরান থানা-পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে।

এ সময় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মুন্নাকে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় তাজুল ইসলাম নামের আরও একজন মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত