খুবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশের শহরগুলোতে উদ্বেগজনক হারে সামাজিক বিভাজন বাড়ছে। ধর্ম, শিক্ষা, চিকিৎসা, উপার্জনের সক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধাসহ নানা ধরনের বিষয়কে ঘিরে গত ১০ বছরে আশঙ্কাজনক বিভাজন লক্ষ করা গেছে শহরগুলোতে। একই সঙ্গে শহরতলিতে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত বসতি স্থাপনের কারণে শ্রেণিবৈষম্য বাড়ছে। এ ছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে বসবাসের অযোগ্য হচ্ছে শহর। এসব তথ্য উঠে এসেছে একটি গবেষণায়। আন্তদেশীয় এক গবেষণার বাংলাদেশ অংশের ফলাফল হিসেবে উঠে আসে এসব তথ্য।
জানা যায়, যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে আটটি দেশের মোট ৯টি সংস্থা বৃহৎ এই প্রকল্পে কাজ করছে। সেন্টার ফর সাসটেইনেবল, হেলদি অ্যান্ড লার্নিং সিটিজ অ্যান্ড নেইবারহুডস (এসএইচএলসি) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের প্রকল্পটির কাজ চলছে সাতটি উন্নয়নশীল দেশে। এর জন্য প্রতিটি দেশের দুটি করে বড় ও ছোট শহর বেছে নেওয়া হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঢাকা ও খুলনা শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই গবেষণা প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নগরায়ণের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর টেকসই সমাধানে চার বছর ধরে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে গবেষণাকর্মটির সঙ্গে যুক্ত আছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (ইউআরপি) ডিসিপ্লিন।
গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্ব দেওয়া খুবির ইউআরপি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক শিল্পী রায় বলেন, ‘বাংলাদেশের শহরগুলোর সামাজিক বিভাজন ও শহরতলির পরিবর্তন উদ্বেগজনক। এই উদ্বেগ বার্তায় নীতিনির্ধারকেরা সাড়া দিলে আমাদের গবেষণা সার্থক হবে।'
গবেষণায় উঠে আসে ঝুঁকিপূর্ণ নগরায়ণের তথ্য। সেখানে বলা হয়, ঢাকা শহরে আশঙ্কাজনক হারে নগরায়ণ হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা শহরের আয়তন ৩০৭ বর্গকিলোমিটার। তবে গত ৩০ বছরে ঢাকার আশপাশে ২৫৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে উঠেছে। একই সময়ে খুলনায় বেড়েছে প্রায় ১৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা; মোট আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার। ঢাকায় গড়ে প্রতিবছর ৮ শতাংশ হারে নগরায়ণ হচ্ছে, যে হার খুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ।
নতুন গড়ে ওঠা এসব বসতি কেড়ে নিয়েছে কৃষিজমি ও জলাভূমি। নগরায়ণের এই প্রক্রিয়ায় ঢাকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হারিয়েছে ২৩৪ বর্গকিলোমিটার কৃষিজমি এবং ৩২ বর্গকিলোমিটার গাছপালা ও জলাভূমি। অন্যদিকে খুলনায় হারিয়ে গেছে প্রায় ৪২ বর্গকিলোমিটার কৃষিজমি এবং প্রায় পাঁচ বর্গকিলোমিটার জলাশয়।
শহরের বাইরে অপরিকল্পিতভাবে দ্রুতগতিতে নতুন বসতি গড়ে উঠছে। এখানে সুপেয় পানি, পয়োনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সড়কযোগাযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকসেবার অপ্রতুলতা রয়েছে। শহরের প্রান্তিক এলাকাগুলোতে উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন একটা লাগেনি। এর ফলে শহরের ভেতরে এরই মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ প্রায় ৭০ শতাংশ মহল্লা আরও ঘিঞ্জি হয়ে উঠছে।
এর ফলে সৃষ্ট সামাজিক বিভাজনের চিত্র গবেষণায় উঠে আসে। গবেষণায় বলা হয়, ঢাকা ও খুলনা উভয় শহরেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান শহরজুড়ে বাস করছে। তবে সনাতন ও খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীরা বাস করছে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়। যেমন-রাজধানীর পুরান ঢাকা ও খুলনার বড়বাজার এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাসের হার মূল শহরের তুলনায় যথাক্রমে ১০ গুণ ও দ্বিগুণের বেশি। ধর্মের এই প্রান্তিকতা বাড়তে থাকলে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার সময় ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে।
ধর্ম ছাড়াও ঢাকা শহর সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিভাজিত। নগরীর কিছু জায়গা অভিজাত মানুষের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। আয়ের ভিত্তিতে ঢাকা শহর আট ও খুলনা শহর পাঁচ শ্রেণিতে বিভাজিত হয়ে পড়ছে।
উভয় শহরেই নাগরিক সুবিধাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্থানিক বৈষম্য বেড়ে চলেছে। ঢাকার ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশ বাড়িতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। খুলনায় এই চিত্র আরও ভয়াবহ। ঢাকা শহরে গত ২০ বছরে সরকারি উদ্যোগে কোনো বিদ্যালয় গড়ে ওঠেনি। বেশির ভাগ মধ্য ও নিম্ন আয়ের এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় মানসম্মত স্কুল অপ্রতুল। তবে অভিজাত আবাসিক এলাকায় ব্যয়বহুল ও মানসম্মত স্কুল আছে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থা উভয় শহরে নাজুক। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ক্লিনিক, ফার্মেসি ইত্যাদি গড়ে ওঠায় যানজট সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার প্রান্তিক এলাকার মানুষকে এই সুবিধা নিতে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে।
গবেষণার সুপারিশ ও সমাধান অংশে বলা হয়, বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া নানা পরিকল্পনার অধীনে ঢাকায় কিছু উন্নয়নকাজ হলেও খুলনার ক্ষেত্রে সেটি একেবারেই কম। এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গবেষকেরা নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশে চারটি প্রধান সুপারিশ করেছেন। প্রথমত, ঢাকা ও খুলনা উভয়ের জন্য শহরতলির পরিকল্পনাটাই আগামীর মূল চ্যালেঞ্জ। তবে এই পরিকল্পনা শহরের ভেতর থেকে শহরের বাইরের এলাকার জন্য বেশি প্রযোজ্য। দ্বিতীয়ত, শহরে মানুষের বসবাসের ক্ষেত্রে বিভাজনটা কমানো প্রয়োজন। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটা খুবই জরুরি। তৃতীয়ত, পরিকল্পনা বাস্তবতার আলোকে ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে তৈরি করতে হবে। এখানে পশ্চিমা ধারণার প্রভাব কমিয়ে আনতে হবে। একই সঙ্গে পরিকল্পনাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিতে হবে। চতুর্থত, ঢাকা শহরকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। মানুষের মাঝে রাজধানীমুখী হওয়ার প্রভাব না কমাতে পারলে শুধু ঢাকা নয়, খুলনাসহ অন্য শহরগুলোর সমস্যা দূর হবে না। তবে এ বিষয়ে শুধু ঢাকা বা খুলনাকে নিয়ে ভাবলে হবে না। জাতীয় পর্যায়ে মানুষের জীবনব্যবস্থার একটা চিত্র দাঁড় করাতে হবে। পাঁচ বছরব্যাপী জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে নগরায়ণ পরিকল্পনার সমন্বয় ঘটাতে হবে। আবার মহল্লা পর্যায়ে গবেষণা ও পরিকল্পনা বাড়াতে হবে।
এসএইচএলসি প্রকল্পের ইন-কান্ট্রি কো-ইনভেস্টিগেটর এবং খুবির ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক তানজিল সওগাত বলেন, ‘নগরায়ণের যে গতিপ্রকৃতি আমাদের গবেষণায় উঠে এসেছে, তা নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায় না আনলে আমরা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় ব্যর্থ হব।’

বাংলাদেশের শহরগুলোতে উদ্বেগজনক হারে সামাজিক বিভাজন বাড়ছে। ধর্ম, শিক্ষা, চিকিৎসা, উপার্জনের সক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধাসহ নানা ধরনের বিষয়কে ঘিরে গত ১০ বছরে আশঙ্কাজনক বিভাজন লক্ষ করা গেছে শহরগুলোতে। একই সঙ্গে শহরতলিতে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত বসতি স্থাপনের কারণে শ্রেণিবৈষম্য বাড়ছে। এ ছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে বসবাসের অযোগ্য হচ্ছে শহর। এসব তথ্য উঠে এসেছে একটি গবেষণায়। আন্তদেশীয় এক গবেষণার বাংলাদেশ অংশের ফলাফল হিসেবে উঠে আসে এসব তথ্য।
জানা যায়, যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে আটটি দেশের মোট ৯টি সংস্থা বৃহৎ এই প্রকল্পে কাজ করছে। সেন্টার ফর সাসটেইনেবল, হেলদি অ্যান্ড লার্নিং সিটিজ অ্যান্ড নেইবারহুডস (এসএইচএলসি) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের প্রকল্পটির কাজ চলছে সাতটি উন্নয়নশীল দেশে। এর জন্য প্রতিটি দেশের দুটি করে বড় ও ছোট শহর বেছে নেওয়া হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঢাকা ও খুলনা শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই গবেষণা প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নগরায়ণের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর টেকসই সমাধানে চার বছর ধরে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে গবেষণাকর্মটির সঙ্গে যুক্ত আছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (ইউআরপি) ডিসিপ্লিন।
গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্ব দেওয়া খুবির ইউআরপি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক শিল্পী রায় বলেন, ‘বাংলাদেশের শহরগুলোর সামাজিক বিভাজন ও শহরতলির পরিবর্তন উদ্বেগজনক। এই উদ্বেগ বার্তায় নীতিনির্ধারকেরা সাড়া দিলে আমাদের গবেষণা সার্থক হবে।'
গবেষণায় উঠে আসে ঝুঁকিপূর্ণ নগরায়ণের তথ্য। সেখানে বলা হয়, ঢাকা শহরে আশঙ্কাজনক হারে নগরায়ণ হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা শহরের আয়তন ৩০৭ বর্গকিলোমিটার। তবে গত ৩০ বছরে ঢাকার আশপাশে ২৫৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে উঠেছে। একই সময়ে খুলনায় বেড়েছে প্রায় ১৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা; মোট আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার। ঢাকায় গড়ে প্রতিবছর ৮ শতাংশ হারে নগরায়ণ হচ্ছে, যে হার খুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ।
নতুন গড়ে ওঠা এসব বসতি কেড়ে নিয়েছে কৃষিজমি ও জলাভূমি। নগরায়ণের এই প্রক্রিয়ায় ঢাকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হারিয়েছে ২৩৪ বর্গকিলোমিটার কৃষিজমি এবং ৩২ বর্গকিলোমিটার গাছপালা ও জলাভূমি। অন্যদিকে খুলনায় হারিয়ে গেছে প্রায় ৪২ বর্গকিলোমিটার কৃষিজমি এবং প্রায় পাঁচ বর্গকিলোমিটার জলাশয়।
শহরের বাইরে অপরিকল্পিতভাবে দ্রুতগতিতে নতুন বসতি গড়ে উঠছে। এখানে সুপেয় পানি, পয়োনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সড়কযোগাযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকসেবার অপ্রতুলতা রয়েছে। শহরের প্রান্তিক এলাকাগুলোতে উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন একটা লাগেনি। এর ফলে শহরের ভেতরে এরই মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ প্রায় ৭০ শতাংশ মহল্লা আরও ঘিঞ্জি হয়ে উঠছে।
এর ফলে সৃষ্ট সামাজিক বিভাজনের চিত্র গবেষণায় উঠে আসে। গবেষণায় বলা হয়, ঢাকা ও খুলনা উভয় শহরেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান শহরজুড়ে বাস করছে। তবে সনাতন ও খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীরা বাস করছে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়। যেমন-রাজধানীর পুরান ঢাকা ও খুলনার বড়বাজার এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাসের হার মূল শহরের তুলনায় যথাক্রমে ১০ গুণ ও দ্বিগুণের বেশি। ধর্মের এই প্রান্তিকতা বাড়তে থাকলে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার সময় ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে।
ধর্ম ছাড়াও ঢাকা শহর সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিভাজিত। নগরীর কিছু জায়গা অভিজাত মানুষের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। আয়ের ভিত্তিতে ঢাকা শহর আট ও খুলনা শহর পাঁচ শ্রেণিতে বিভাজিত হয়ে পড়ছে।
উভয় শহরেই নাগরিক সুবিধাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্থানিক বৈষম্য বেড়ে চলেছে। ঢাকার ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশ বাড়িতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। খুলনায় এই চিত্র আরও ভয়াবহ। ঢাকা শহরে গত ২০ বছরে সরকারি উদ্যোগে কোনো বিদ্যালয় গড়ে ওঠেনি। বেশির ভাগ মধ্য ও নিম্ন আয়ের এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় মানসম্মত স্কুল অপ্রতুল। তবে অভিজাত আবাসিক এলাকায় ব্যয়বহুল ও মানসম্মত স্কুল আছে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থা উভয় শহরে নাজুক। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ক্লিনিক, ফার্মেসি ইত্যাদি গড়ে ওঠায় যানজট সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার প্রান্তিক এলাকার মানুষকে এই সুবিধা নিতে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে।
গবেষণার সুপারিশ ও সমাধান অংশে বলা হয়, বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া নানা পরিকল্পনার অধীনে ঢাকায় কিছু উন্নয়নকাজ হলেও খুলনার ক্ষেত্রে সেটি একেবারেই কম। এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গবেষকেরা নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশে চারটি প্রধান সুপারিশ করেছেন। প্রথমত, ঢাকা ও খুলনা উভয়ের জন্য শহরতলির পরিকল্পনাটাই আগামীর মূল চ্যালেঞ্জ। তবে এই পরিকল্পনা শহরের ভেতর থেকে শহরের বাইরের এলাকার জন্য বেশি প্রযোজ্য। দ্বিতীয়ত, শহরে মানুষের বসবাসের ক্ষেত্রে বিভাজনটা কমানো প্রয়োজন। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটা খুবই জরুরি। তৃতীয়ত, পরিকল্পনা বাস্তবতার আলোকে ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে তৈরি করতে হবে। এখানে পশ্চিমা ধারণার প্রভাব কমিয়ে আনতে হবে। একই সঙ্গে পরিকল্পনাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিতে হবে। চতুর্থত, ঢাকা শহরকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। মানুষের মাঝে রাজধানীমুখী হওয়ার প্রভাব না কমাতে পারলে শুধু ঢাকা নয়, খুলনাসহ অন্য শহরগুলোর সমস্যা দূর হবে না। তবে এ বিষয়ে শুধু ঢাকা বা খুলনাকে নিয়ে ভাবলে হবে না। জাতীয় পর্যায়ে মানুষের জীবনব্যবস্থার একটা চিত্র দাঁড় করাতে হবে। পাঁচ বছরব্যাপী জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে নগরায়ণ পরিকল্পনার সমন্বয় ঘটাতে হবে। আবার মহল্লা পর্যায়ে গবেষণা ও পরিকল্পনা বাড়াতে হবে।
এসএইচএলসি প্রকল্পের ইন-কান্ট্রি কো-ইনভেস্টিগেটর এবং খুবির ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক তানজিল সওগাত বলেন, ‘নগরায়ণের যে গতিপ্রকৃতি আমাদের গবেষণায় উঠে এসেছে, তা নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায় না আনলে আমরা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় ব্যর্থ হব।’

ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
১৩ মিনিট আগে
করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
২৩ মিনিট আগে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি নিয়ে শিক্ষকেরা সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়ে বেলা দেড়টার পরে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের অভিমুখে যাত্রা করেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
ভৈরব জেলার দাবিতে আন্দোলনে ট্রেনে হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সমাবেশে অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলা রক্ষার মুখপাত্র ও কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়ন বলেন, ‘কিছু সন্ত্রাসী যাত্রীবাহী ট্রেনে মধ্যযুগীয় কায়দায় পাথর নিক্ষেপ করেছে। সেই ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছে। আপনারা জেলার দাবি করবেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার, ওইখানে নাক গলাব না। আমি শুধু বলব, আপনারা ট্রেনে হামলা করে নৈতিকভাবে সেটা হারিয়েছেন। ট্রেনে হামলার ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এগুলো না করে, যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জের সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ বিএনপির যিনি দায়িত্বে রয়েছেন শরীফুল আলম। আপনারা উনার মাধ্যমে আপনাদের দাবি সচিবালয়ে, মন্ত্রণালয়ে, উপদেষ্টাদের নিকট পৌঁছান। কিন্তু আপনারা ট্রেন আটকে পাথর নিক্ষেপ করেছেন। হামলা-ভাঙচুর করেছেন। সহিংসতা ঘটিয়েছেন। এটা ফ্যাসিস্টের কাজ। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলা রক্ষার মুখপাত্র ও কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়নের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন, সাবেক সদস্যসচিব ফয়সাল প্রিন্স, হয়বতনগর বয়েজ ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জনি, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুসরাত জাহান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম লিমন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তুহিন। সমাবেশ পরিচালনা করেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোদাচ্ছির তুসি।

ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
ভৈরব জেলার দাবিতে আন্দোলনে ট্রেনে হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সমাবেশে অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলা রক্ষার মুখপাত্র ও কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়ন বলেন, ‘কিছু সন্ত্রাসী যাত্রীবাহী ট্রেনে মধ্যযুগীয় কায়দায় পাথর নিক্ষেপ করেছে। সেই ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছে। আপনারা জেলার দাবি করবেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার, ওইখানে নাক গলাব না। আমি শুধু বলব, আপনারা ট্রেনে হামলা করে নৈতিকভাবে সেটা হারিয়েছেন। ট্রেনে হামলার ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এগুলো না করে, যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জের সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ বিএনপির যিনি দায়িত্বে রয়েছেন শরীফুল আলম। আপনারা উনার মাধ্যমে আপনাদের দাবি সচিবালয়ে, মন্ত্রণালয়ে, উপদেষ্টাদের নিকট পৌঁছান। কিন্তু আপনারা ট্রেন আটকে পাথর নিক্ষেপ করেছেন। হামলা-ভাঙচুর করেছেন। সহিংসতা ঘটিয়েছেন। এটা ফ্যাসিস্টের কাজ। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলা রক্ষার মুখপাত্র ও কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়নের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন, সাবেক সদস্যসচিব ফয়সাল প্রিন্স, হয়বতনগর বয়েজ ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জনি, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুসরাত জাহান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম লিমন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তুহিন। সমাবেশ পরিচালনা করেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোদাচ্ছির তুসি।

বাংলাদেশের শহরগুলোতে উদ্বেগজনক হারে সামাজিক বিভাজন বাড়ছে। ধর্ম, শিক্ষা, চিকিৎসা, উপার্জনের সক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধাসহ নানা ধরনের বিষয়কে ঘিরে গত ১০ বছরে আশঙ্কাজনক বিভাজন লক্ষ্য করা গেছে শহরগুলোতে। একই সঙ্গে শহরতলিতে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত বসতি স্থাপনের ফলে শ্রেণিবৈষম্য বাড়ছে। এ ছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য
২৩ জানুয়ারি ২০২২
করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
২৩ মিনিট আগে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি নিয়ে শিক্ষকেরা সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়ে বেলা দেড়টার পরে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের অভিমুখে যাত্রা করেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে প্রতিষ্ঠানটির সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত রাজউকের শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা না জুয়া, শিক্ষা শিক্ষা’, ‘জুয়া বন্ধ কর, পরীক্ষা চালু কর’, ‘আমাদের দাবি, মানতে হবে, মানতে হবে’ সহ নানা শ্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, কোভিড-১৯ বা করোনাকালীন সময়ে স্কুল পর্যায় বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে লটারির ব্যবস্থা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। তারই ধারাবাহিকতায় রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজেও ষষ্ঠ শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এখন দেশে করোনা মহামারি নেই। তবুও করোনাকালে চালু হওয়া লটারি পদ্ধতি এখনো চালু রয়েছে। যার কারণে মেধাবীরা ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমরা লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরিক্ষার মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজউক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিক আয়মান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা লটারি পদ্ধতি বাতিল করে ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করেছি। আমাদের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও একমত। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের কাছে লটারি পদ্ধতি বাতিলের আমাদের দাবি আমাদের।’
আয়মান আরও বলেন, ‘আমরা রোববার পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের পুরাতন নির্দেশনা বাতিল করে নতুন নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকব। নাহলে রোববার থেকে ক্লাস বর্জন করে আমরা নতুন কর্মসূচি শুরু করব।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে রাজউক কলেজের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হয়।

করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে প্রতিষ্ঠানটির সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত রাজউকের শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা না জুয়া, শিক্ষা শিক্ষা’, ‘জুয়া বন্ধ কর, পরীক্ষা চালু কর’, ‘আমাদের দাবি, মানতে হবে, মানতে হবে’ সহ নানা শ্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, কোভিড-১৯ বা করোনাকালীন সময়ে স্কুল পর্যায় বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে লটারির ব্যবস্থা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। তারই ধারাবাহিকতায় রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজেও ষষ্ঠ শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এখন দেশে করোনা মহামারি নেই। তবুও করোনাকালে চালু হওয়া লটারি পদ্ধতি এখনো চালু রয়েছে। যার কারণে মেধাবীরা ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমরা লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরিক্ষার মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজউক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিক আয়মান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা লটারি পদ্ধতি বাতিল করে ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করেছি। আমাদের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও একমত। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের কাছে লটারি পদ্ধতি বাতিলের আমাদের দাবি আমাদের।’
আয়মান আরও বলেন, ‘আমরা রোববার পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের পুরাতন নির্দেশনা বাতিল করে নতুন নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকব। নাহলে রোববার থেকে ক্লাস বর্জন করে আমরা নতুন কর্মসূচি শুরু করব।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে রাজউক কলেজের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হয়।

বাংলাদেশের শহরগুলোতে উদ্বেগজনক হারে সামাজিক বিভাজন বাড়ছে। ধর্ম, শিক্ষা, চিকিৎসা, উপার্জনের সক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধাসহ নানা ধরনের বিষয়কে ঘিরে গত ১০ বছরে আশঙ্কাজনক বিভাজন লক্ষ্য করা গেছে শহরগুলোতে। একই সঙ্গে শহরতলিতে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত বসতি স্থাপনের ফলে শ্রেণিবৈষম্য বাড়ছে। এ ছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য
২৩ জানুয়ারি ২০২২
ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
১৩ মিনিট আগে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি নিয়ে শিক্ষকেরা সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়ে বেলা দেড়টার পরে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের অভিমুখে যাত্রা করেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেগোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি

সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ২ নম্বর পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের আহারকান্দি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. আলী ওরফে আল আমিন (৩০)। তিনি ওই গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহারকান্দি বাজারের দোকানের পেছনের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মোস্তফা মিয়া এবং নুর হোসেনের লোকজন। এতে আল আমিন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে প্রাথমিকভাবে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে প্রাথমিকভাবে আটক এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, লাশ ওসমানী মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।

সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ২ নম্বর পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের আহারকান্দি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. আলী ওরফে আল আমিন (৩০)। তিনি ওই গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহারকান্দি বাজারের দোকানের পেছনের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মোস্তফা মিয়া এবং নুর হোসেনের লোকজন। এতে আল আমিন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে প্রাথমিকভাবে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে প্রাথমিকভাবে আটক এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, লাশ ওসমানী মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশের শহরগুলোতে উদ্বেগজনক হারে সামাজিক বিভাজন বাড়ছে। ধর্ম, শিক্ষা, চিকিৎসা, উপার্জনের সক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধাসহ নানা ধরনের বিষয়কে ঘিরে গত ১০ বছরে আশঙ্কাজনক বিভাজন লক্ষ্য করা গেছে শহরগুলোতে। একই সঙ্গে শহরতলিতে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত বসতি স্থাপনের ফলে শ্রেণিবৈষম্য বাড়ছে। এ ছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য
২৩ জানুয়ারি ২০২২
ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
১৩ মিনিট আগে
করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
২৩ মিনিট আগে
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি নিয়ে শিক্ষকেরা সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়ে বেলা দেড়টার পরে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের অভিমুখে যাত্রা করেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি নিয়ে শিক্ষকেরা সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়ে বেলা দেড়টার পরে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের অভিমুখে যাত্রা করেন তাঁরা। বেলা ২টার দিকে সচিবালয়ের গেটের প্রবেশমুখে ঢোকার চেষ্টা করেন শিক্ষকেরা। প্রায় ৩০ মিনিট ধাক্কাধাক্কির পর পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে বেশ কয়েকজন আহত হন।
লালমনিরহাট হাতীবান্ধা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে যাচ্ছিলাম। আমরা সেখানে যাব এবং আমাদের দাবি নিয়ে কথা বলব; কিন্তু পুলিশ বাধা দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, এটা দুঃখজনক। আমাদের কানে-মুখে জলকামান নিক্ষেপ করেছে। এটা কেমন দেশ যে শিক্ষকদের ওপর হামলা করা হয়! মৃত্যু হলেও আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
জয়পুরহাট থেকে আসা শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমরা জাতীয়করণ চাই। সরকার দিতে চাইলেও তারা আটকে রাখে। অথচ সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, আমাদের দাবি মেনে নেবে। কিন্তু সরকার টালবাহানা করছে।’

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি নিয়ে শিক্ষকেরা সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়ে বেলা দেড়টার পরে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের অভিমুখে যাত্রা করেন তাঁরা। বেলা ২টার দিকে সচিবালয়ের গেটের প্রবেশমুখে ঢোকার চেষ্টা করেন শিক্ষকেরা। প্রায় ৩০ মিনিট ধাক্কাধাক্কির পর পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে বেশ কয়েকজন আহত হন।
লালমনিরহাট হাতীবান্ধা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে যাচ্ছিলাম। আমরা সেখানে যাব এবং আমাদের দাবি নিয়ে কথা বলব; কিন্তু পুলিশ বাধা দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, এটা দুঃখজনক। আমাদের কানে-মুখে জলকামান নিক্ষেপ করেছে। এটা কেমন দেশ যে শিক্ষকদের ওপর হামলা করা হয়! মৃত্যু হলেও আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
জয়পুরহাট থেকে আসা শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমরা জাতীয়করণ চাই। সরকার দিতে চাইলেও তারা আটকে রাখে। অথচ সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, আমাদের দাবি মেনে নেবে। কিন্তু সরকার টালবাহানা করছে।’

বাংলাদেশের শহরগুলোতে উদ্বেগজনক হারে সামাজিক বিভাজন বাড়ছে। ধর্ম, শিক্ষা, চিকিৎসা, উপার্জনের সক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধাসহ নানা ধরনের বিষয়কে ঘিরে গত ১০ বছরে আশঙ্কাজনক বিভাজন লক্ষ্য করা গেছে শহরগুলোতে। একই সঙ্গে শহরতলিতে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত বসতি স্থাপনের ফলে শ্রেণিবৈষম্য বাড়ছে। এ ছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য
২৩ জানুয়ারি ২০২২
ভৈরব জেলা দাবির বিপরীতে এবার অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে এই সমাবেশ করে তারা।
১৩ মিনিট আগে
করোনাকালে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
২৩ মিনিট আগে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে