আব্দুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ আবার তামাক চাষে জড়িয়ে পড়ছেন। হালদায় চলছে বেপরোয়া বালু উত্তোলনও।
হালদা নদীর উজানে তামাক চাষে উদ্বেগ জানিয়ে চট্টগ্রামের হালদা রিসার্চ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা হেরিটেজ আইনে হালদা অববাহিকায় তামাক নিষিদ্ধ সত্ত্বেও সম্প্রতি কিছু পরিবেশ বিনষ্টকারী মানুষের অজ্ঞতায় এবং তামাক কোম্পানির প্ররোচনায় তামাক চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার তামাক চাষ বিষয়ে আইনে আরও কঠোরতা আনতে যাচ্ছে। তামাক চাষ বিষয়ে ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। হালদা রক্ষায় প্রশাসন আরও কঠোর হবে।
হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া আরও বলেন, ‘হালদার উজানে তামাক চাষের ফলে তামাকের নিজস্ব বিষাক্ততা ও তামাক চাষে অত্যধিক মাত্রায় ব্যবহৃত কীটনাশক, রাসায়নিক সার হালদার পানিকে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত করছে। এতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ডলফিনসহ মিঠাপানির সকল মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। হালদাকে বাঁচাতে না পারলে মৎস্য খাতে আমাদের বিশাল ক্ষতি হবে।’
উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রথমে হালদা নদীর উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, কালাপানি, ছদরখীল, তুলাবিল, বড়বিল, যোগ্যাছোলা, গ্যাসফিল্ড, দক্ষিণ কালাপানি, দশবিল, ডাইনছড়ি, সালদা, বাটনাতলী এলাকায় শত শত হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়।
এ সময় এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের বেশির ভাগ তামাক চাষ নির্ভর হয়ে পড়ে। স্কুল-মাদ্রাসা ঘেঁষে তামাক চাষ, অবাধে গাছ কেটে চুল্লিতে তামাক পোড়ানো এবং তামাক পাতা থেকে নির্গত পানি হালদায় মিশে মিঠা পানির মাছের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হয়। তখন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে তামাকের বিকল্প চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে আসে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কমতে থাকে তামাক চাষ। বিকল্প চাষাবাদে এগিয়ে আসে ৭০-৮০ শতাংশ কৃষক। কিন্তু অবশিষ্ট ২০-৩০ শতাংশ কৃষক অতিমুনাফার লোভে তামাক কোম্পানির প্রলোভনে তামাক চাষ অব্যাহত রাখে। চলতি মৌসুমেও ২০ একর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। একেবারে হালদা নদী ও এর উপশাখা ঘেঁষে লাগানো তামাক এখন দৃশ্যমান।
হালদার উৎপত্তি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়ন হাসুকপাড়া এলাকার হালদাচড়ায়। দীর্ঘ ৯৮ কিলোমিটার বয়ে চট্টগ্রাম শহরের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় গিয়ে মিশেছে। মানিকছড়ি উপজেলার সদর থেকে ৫-৬ কিলোমিটার পশ্চিমে হালদা নদীর উজান ও শাখাপ্রশাখার চরে সবুজ শাকসবজি চাষ হলেও কিছু কৃষক অধিক লোভে তামাক কোম্পানি থেকে অগ্রিম বীজ, সার, কীটনাশক নিয়ে বিষাক্ত তামাক চাষ করছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হালদার উজান গোরখানা, ছদরখীল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হালদা নদীঘেঁষা জমিতে তামাকের চারা মাথা উঁচু করে বেড়ে উঠছে। গোরখানায় ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে তামাক চাষ করেছেন আছারতলীর চাষি মো. আবদুল মতিন। সবজি না করে তামাক চাষ কেন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হালদা খাল চরের মাটির উর্বরতা শক্তি কমায় শাকসবজি চাষে লোকসান গুনতে হয়। অতিরিক্ত রাসায়নিক সারে তামাক ভালো হয়। তামাক চাষের প্রয়োজনীয় সব সার, ওষুধ তামাক কোম্পানি আমাদের অগ্রিম দিয়ে সহযোগিতা করে। এতে পুঁজি নিয়ে চাষিকে টেনশন করতে হয় না। গত বছর প্রতি কেজি শুকনা তামাকপাতা ভালোমন্দ হিসেবে ১৮০-২১৬ টাকা দরে দিয়েছে কোম্পানি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা নদী আমাদের অমূল্য সম্পদ। এই নদীর উজানে এক দশক আগে যে হারে তামাক চাষ করা হতো, এখন তা একেবারে নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। আগের তামাকচাষিদের তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সম্পৃক্ত করতে কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ ও আইডিএফ যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। শাকসবজি চাষাবাদে জৈব সারের ওপর জোর দেওয়া এবং সরকারি প্রণোদনায় হালদাপাড়ের কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নির্মূলে কাজ চলছে। জনসচেতনতা বাড়লে তামাক নির্মূল সহজ হয়। এই জন্য জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা উচিত।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তামাক চাষের ফলে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের নির্যাস হালদা নদীর পানিতে মেশায় মাছের প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষেত্র ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানিকছড়ি মৎস্য অফিস এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে হালদাপাড়সংশ্লিষ্ট এলাকায় তামাকের বিকল্প চাষাবাদ যেমন পুকুরে উন্নত জাতের মাছ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। সরকারি পোনা বিতরণেও ওখানকার লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। আগে হালদাপাড়ে তামাক চাষ বেশি হলেও এখন কমে আসছে। এবার ১১ জন চাষি ২০ একর জায়গায় তামাক লাগিয়েছেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে।’

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ আবার তামাক চাষে জড়িয়ে পড়ছেন। হালদায় চলছে বেপরোয়া বালু উত্তোলনও।
হালদা নদীর উজানে তামাক চাষে উদ্বেগ জানিয়ে চট্টগ্রামের হালদা রিসার্চ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা হেরিটেজ আইনে হালদা অববাহিকায় তামাক নিষিদ্ধ সত্ত্বেও সম্প্রতি কিছু পরিবেশ বিনষ্টকারী মানুষের অজ্ঞতায় এবং তামাক কোম্পানির প্ররোচনায় তামাক চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার তামাক চাষ বিষয়ে আইনে আরও কঠোরতা আনতে যাচ্ছে। তামাক চাষ বিষয়ে ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। হালদা রক্ষায় প্রশাসন আরও কঠোর হবে।
হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া আরও বলেন, ‘হালদার উজানে তামাক চাষের ফলে তামাকের নিজস্ব বিষাক্ততা ও তামাক চাষে অত্যধিক মাত্রায় ব্যবহৃত কীটনাশক, রাসায়নিক সার হালদার পানিকে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত করছে। এতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ডলফিনসহ মিঠাপানির সকল মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। হালদাকে বাঁচাতে না পারলে মৎস্য খাতে আমাদের বিশাল ক্ষতি হবে।’
উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রথমে হালদা নদীর উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, কালাপানি, ছদরখীল, তুলাবিল, বড়বিল, যোগ্যাছোলা, গ্যাসফিল্ড, দক্ষিণ কালাপানি, দশবিল, ডাইনছড়ি, সালদা, বাটনাতলী এলাকায় শত শত হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়।
এ সময় এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের বেশির ভাগ তামাক চাষ নির্ভর হয়ে পড়ে। স্কুল-মাদ্রাসা ঘেঁষে তামাক চাষ, অবাধে গাছ কেটে চুল্লিতে তামাক পোড়ানো এবং তামাক পাতা থেকে নির্গত পানি হালদায় মিশে মিঠা পানির মাছের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হয়। তখন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে তামাকের বিকল্প চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে আসে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কমতে থাকে তামাক চাষ। বিকল্প চাষাবাদে এগিয়ে আসে ৭০-৮০ শতাংশ কৃষক। কিন্তু অবশিষ্ট ২০-৩০ শতাংশ কৃষক অতিমুনাফার লোভে তামাক কোম্পানির প্রলোভনে তামাক চাষ অব্যাহত রাখে। চলতি মৌসুমেও ২০ একর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। একেবারে হালদা নদী ও এর উপশাখা ঘেঁষে লাগানো তামাক এখন দৃশ্যমান।
হালদার উৎপত্তি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়ন হাসুকপাড়া এলাকার হালদাচড়ায়। দীর্ঘ ৯৮ কিলোমিটার বয়ে চট্টগ্রাম শহরের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় গিয়ে মিশেছে। মানিকছড়ি উপজেলার সদর থেকে ৫-৬ কিলোমিটার পশ্চিমে হালদা নদীর উজান ও শাখাপ্রশাখার চরে সবুজ শাকসবজি চাষ হলেও কিছু কৃষক অধিক লোভে তামাক কোম্পানি থেকে অগ্রিম বীজ, সার, কীটনাশক নিয়ে বিষাক্ত তামাক চাষ করছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হালদার উজান গোরখানা, ছদরখীল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হালদা নদীঘেঁষা জমিতে তামাকের চারা মাথা উঁচু করে বেড়ে উঠছে। গোরখানায় ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে তামাক চাষ করেছেন আছারতলীর চাষি মো. আবদুল মতিন। সবজি না করে তামাক চাষ কেন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হালদা খাল চরের মাটির উর্বরতা শক্তি কমায় শাকসবজি চাষে লোকসান গুনতে হয়। অতিরিক্ত রাসায়নিক সারে তামাক ভালো হয়। তামাক চাষের প্রয়োজনীয় সব সার, ওষুধ তামাক কোম্পানি আমাদের অগ্রিম দিয়ে সহযোগিতা করে। এতে পুঁজি নিয়ে চাষিকে টেনশন করতে হয় না। গত বছর প্রতি কেজি শুকনা তামাকপাতা ভালোমন্দ হিসেবে ১৮০-২১৬ টাকা দরে দিয়েছে কোম্পানি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা নদী আমাদের অমূল্য সম্পদ। এই নদীর উজানে এক দশক আগে যে হারে তামাক চাষ করা হতো, এখন তা একেবারে নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। আগের তামাকচাষিদের তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সম্পৃক্ত করতে কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ ও আইডিএফ যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। শাকসবজি চাষাবাদে জৈব সারের ওপর জোর দেওয়া এবং সরকারি প্রণোদনায় হালদাপাড়ের কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নির্মূলে কাজ চলছে। জনসচেতনতা বাড়লে তামাক নির্মূল সহজ হয়। এই জন্য জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা উচিত।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তামাক চাষের ফলে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের নির্যাস হালদা নদীর পানিতে মেশায় মাছের প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষেত্র ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানিকছড়ি মৎস্য অফিস এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে হালদাপাড়সংশ্লিষ্ট এলাকায় তামাকের বিকল্প চাষাবাদ যেমন পুকুরে উন্নত জাতের মাছ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। সরকারি পোনা বিতরণেও ওখানকার লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। আগে হালদাপাড়ে তামাক চাষ বেশি হলেও এখন কমে আসছে। এবার ১১ জন চাষি ২০ একর জায়গায় তামাক লাগিয়েছেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে।’
আব্দুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ আবার তামাক চাষে জড়িয়ে পড়ছেন। হালদায় চলছে বেপরোয়া বালু উত্তোলনও।
হালদা নদীর উজানে তামাক চাষে উদ্বেগ জানিয়ে চট্টগ্রামের হালদা রিসার্চ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা হেরিটেজ আইনে হালদা অববাহিকায় তামাক নিষিদ্ধ সত্ত্বেও সম্প্রতি কিছু পরিবেশ বিনষ্টকারী মানুষের অজ্ঞতায় এবং তামাক কোম্পানির প্ররোচনায় তামাক চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার তামাক চাষ বিষয়ে আইনে আরও কঠোরতা আনতে যাচ্ছে। তামাক চাষ বিষয়ে ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। হালদা রক্ষায় প্রশাসন আরও কঠোর হবে।
হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া আরও বলেন, ‘হালদার উজানে তামাক চাষের ফলে তামাকের নিজস্ব বিষাক্ততা ও তামাক চাষে অত্যধিক মাত্রায় ব্যবহৃত কীটনাশক, রাসায়নিক সার হালদার পানিকে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত করছে। এতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ডলফিনসহ মিঠাপানির সকল মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। হালদাকে বাঁচাতে না পারলে মৎস্য খাতে আমাদের বিশাল ক্ষতি হবে।’
উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রথমে হালদা নদীর উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, কালাপানি, ছদরখীল, তুলাবিল, বড়বিল, যোগ্যাছোলা, গ্যাসফিল্ড, দক্ষিণ কালাপানি, দশবিল, ডাইনছড়ি, সালদা, বাটনাতলী এলাকায় শত শত হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়।
এ সময় এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের বেশির ভাগ তামাক চাষ নির্ভর হয়ে পড়ে। স্কুল-মাদ্রাসা ঘেঁষে তামাক চাষ, অবাধে গাছ কেটে চুল্লিতে তামাক পোড়ানো এবং তামাক পাতা থেকে নির্গত পানি হালদায় মিশে মিঠা পানির মাছের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হয়। তখন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে তামাকের বিকল্প চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে আসে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কমতে থাকে তামাক চাষ। বিকল্প চাষাবাদে এগিয়ে আসে ৭০-৮০ শতাংশ কৃষক। কিন্তু অবশিষ্ট ২০-৩০ শতাংশ কৃষক অতিমুনাফার লোভে তামাক কোম্পানির প্রলোভনে তামাক চাষ অব্যাহত রাখে। চলতি মৌসুমেও ২০ একর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। একেবারে হালদা নদী ও এর উপশাখা ঘেঁষে লাগানো তামাক এখন দৃশ্যমান।
হালদার উৎপত্তি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়ন হাসুকপাড়া এলাকার হালদাচড়ায়। দীর্ঘ ৯৮ কিলোমিটার বয়ে চট্টগ্রাম শহরের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় গিয়ে মিশেছে। মানিকছড়ি উপজেলার সদর থেকে ৫-৬ কিলোমিটার পশ্চিমে হালদা নদীর উজান ও শাখাপ্রশাখার চরে সবুজ শাকসবজি চাষ হলেও কিছু কৃষক অধিক লোভে তামাক কোম্পানি থেকে অগ্রিম বীজ, সার, কীটনাশক নিয়ে বিষাক্ত তামাক চাষ করছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হালদার উজান গোরখানা, ছদরখীল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হালদা নদীঘেঁষা জমিতে তামাকের চারা মাথা উঁচু করে বেড়ে উঠছে। গোরখানায় ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে তামাক চাষ করেছেন আছারতলীর চাষি মো. আবদুল মতিন। সবজি না করে তামাক চাষ কেন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হালদা খাল চরের মাটির উর্বরতা শক্তি কমায় শাকসবজি চাষে লোকসান গুনতে হয়। অতিরিক্ত রাসায়নিক সারে তামাক ভালো হয়। তামাক চাষের প্রয়োজনীয় সব সার, ওষুধ তামাক কোম্পানি আমাদের অগ্রিম দিয়ে সহযোগিতা করে। এতে পুঁজি নিয়ে চাষিকে টেনশন করতে হয় না। গত বছর প্রতি কেজি শুকনা তামাকপাতা ভালোমন্দ হিসেবে ১৮০-২১৬ টাকা দরে দিয়েছে কোম্পানি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা নদী আমাদের অমূল্য সম্পদ। এই নদীর উজানে এক দশক আগে যে হারে তামাক চাষ করা হতো, এখন তা একেবারে নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। আগের তামাকচাষিদের তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সম্পৃক্ত করতে কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ ও আইডিএফ যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। শাকসবজি চাষাবাদে জৈব সারের ওপর জোর দেওয়া এবং সরকারি প্রণোদনায় হালদাপাড়ের কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নির্মূলে কাজ চলছে। জনসচেতনতা বাড়লে তামাক নির্মূল সহজ হয়। এই জন্য জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা উচিত।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তামাক চাষের ফলে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের নির্যাস হালদা নদীর পানিতে মেশায় মাছের প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষেত্র ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানিকছড়ি মৎস্য অফিস এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে হালদাপাড়সংশ্লিষ্ট এলাকায় তামাকের বিকল্প চাষাবাদ যেমন পুকুরে উন্নত জাতের মাছ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। সরকারি পোনা বিতরণেও ওখানকার লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। আগে হালদাপাড়ে তামাক চাষ বেশি হলেও এখন কমে আসছে। এবার ১১ জন চাষি ২০ একর জায়গায় তামাক লাগিয়েছেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে।’

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ আবার তামাক চাষে জড়িয়ে পড়ছেন। হালদায় চলছে বেপরোয়া বালু উত্তোলনও।
হালদা নদীর উজানে তামাক চাষে উদ্বেগ জানিয়ে চট্টগ্রামের হালদা রিসার্চ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা হেরিটেজ আইনে হালদা অববাহিকায় তামাক নিষিদ্ধ সত্ত্বেও সম্প্রতি কিছু পরিবেশ বিনষ্টকারী মানুষের অজ্ঞতায় এবং তামাক কোম্পানির প্ররোচনায় তামাক চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার তামাক চাষ বিষয়ে আইনে আরও কঠোরতা আনতে যাচ্ছে। তামাক চাষ বিষয়ে ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। হালদা রক্ষায় প্রশাসন আরও কঠোর হবে।
হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া আরও বলেন, ‘হালদার উজানে তামাক চাষের ফলে তামাকের নিজস্ব বিষাক্ততা ও তামাক চাষে অত্যধিক মাত্রায় ব্যবহৃত কীটনাশক, রাসায়নিক সার হালদার পানিকে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত করছে। এতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ডলফিনসহ মিঠাপানির সকল মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। হালদাকে বাঁচাতে না পারলে মৎস্য খাতে আমাদের বিশাল ক্ষতি হবে।’
উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রথমে হালদা নদীর উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, কালাপানি, ছদরখীল, তুলাবিল, বড়বিল, যোগ্যাছোলা, গ্যাসফিল্ড, দক্ষিণ কালাপানি, দশবিল, ডাইনছড়ি, সালদা, বাটনাতলী এলাকায় শত শত হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়।
এ সময় এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের বেশির ভাগ তামাক চাষ নির্ভর হয়ে পড়ে। স্কুল-মাদ্রাসা ঘেঁষে তামাক চাষ, অবাধে গাছ কেটে চুল্লিতে তামাক পোড়ানো এবং তামাক পাতা থেকে নির্গত পানি হালদায় মিশে মিঠা পানির মাছের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হয়। তখন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে তামাকের বিকল্প চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে আসে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কমতে থাকে তামাক চাষ। বিকল্প চাষাবাদে এগিয়ে আসে ৭০-৮০ শতাংশ কৃষক। কিন্তু অবশিষ্ট ২০-৩০ শতাংশ কৃষক অতিমুনাফার লোভে তামাক কোম্পানির প্রলোভনে তামাক চাষ অব্যাহত রাখে। চলতি মৌসুমেও ২০ একর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। একেবারে হালদা নদী ও এর উপশাখা ঘেঁষে লাগানো তামাক এখন দৃশ্যমান।
হালদার উৎপত্তি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়ন হাসুকপাড়া এলাকার হালদাচড়ায়। দীর্ঘ ৯৮ কিলোমিটার বয়ে চট্টগ্রাম শহরের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় গিয়ে মিশেছে। মানিকছড়ি উপজেলার সদর থেকে ৫-৬ কিলোমিটার পশ্চিমে হালদা নদীর উজান ও শাখাপ্রশাখার চরে সবুজ শাকসবজি চাষ হলেও কিছু কৃষক অধিক লোভে তামাক কোম্পানি থেকে অগ্রিম বীজ, সার, কীটনাশক নিয়ে বিষাক্ত তামাক চাষ করছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হালদার উজান গোরখানা, ছদরখীল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হালদা নদীঘেঁষা জমিতে তামাকের চারা মাথা উঁচু করে বেড়ে উঠছে। গোরখানায় ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে তামাক চাষ করেছেন আছারতলীর চাষি মো. আবদুল মতিন। সবজি না করে তামাক চাষ কেন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হালদা খাল চরের মাটির উর্বরতা শক্তি কমায় শাকসবজি চাষে লোকসান গুনতে হয়। অতিরিক্ত রাসায়নিক সারে তামাক ভালো হয়। তামাক চাষের প্রয়োজনীয় সব সার, ওষুধ তামাক কোম্পানি আমাদের অগ্রিম দিয়ে সহযোগিতা করে। এতে পুঁজি নিয়ে চাষিকে টেনশন করতে হয় না। গত বছর প্রতি কেজি শুকনা তামাকপাতা ভালোমন্দ হিসেবে ১৮০-২১৬ টাকা দরে দিয়েছে কোম্পানি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদা নদী আমাদের অমূল্য সম্পদ। এই নদীর উজানে এক দশক আগে যে হারে তামাক চাষ করা হতো, এখন তা একেবারে নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। আগের তামাকচাষিদের তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সম্পৃক্ত করতে কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ ও আইডিএফ যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। শাকসবজি চাষাবাদে জৈব সারের ওপর জোর দেওয়া এবং সরকারি প্রণোদনায় হালদাপাড়ের কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নির্মূলে কাজ চলছে। জনসচেতনতা বাড়লে তামাক নির্মূল সহজ হয়। এই জন্য জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা উচিত।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তামাক চাষের ফলে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের নির্যাস হালদা নদীর পানিতে মেশায় মাছের প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষেত্র ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানিকছড়ি মৎস্য অফিস এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে হালদাপাড়সংশ্লিষ্ট এলাকায় তামাকের বিকল্প চাষাবাদ যেমন পুকুরে উন্নত জাতের মাছ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। সরকারি পোনা বিতরণেও ওখানকার লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। আগে হালদাপাড়ে তামাক চাষ বেশি হলেও এখন কমে আসছে। এবার ১১ জন চাষি ২০ একর জায়গায় তামাক লাগিয়েছেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে।’

রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন।
৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৩২ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুল ইসলাম জানান, রাতে ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে খবর আসে হাইকোর্টের সামনে কোনো যানবাহনের ধাক্কায় এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই নারী ভবঘুরে প্রকৃতির। হাইকোর্ট এলাকায় থাকতেন। তাঁর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুল ইসলাম জানান, রাতে ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে খবর আসে হাইকোর্টের সামনে কোনো যানবাহনের ধাক্কায় এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই নারী ভবঘুরে প্রকৃতির। হাইকোর্ট এলাকায় থাকতেন। তাঁর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন।
৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৩২ মিনিট আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন। কৃষিবিদেরা মনে করছেন, কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়ালে এই পদ্ধতির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এই পদ্ধতিতে ধানখেতে বাঁশের খুঁটি বা ডাল পুঁতে দেওয়া হয়, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির শিকারি পাখি এসে বসে। এই পাখিগুলো ধানগাছের ক্ষতিকর পোকামাকড়, বিশেষ করে মাজরা পোকা খেয়ে ফেলে। ফলে ফসলে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কমে যায়, কীটনাশকের ব্যবহার ও খরচ হ্রাস পায় এবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে। পাখিদের মল থেকে জৈব সার তৈরি হওয়ায় জমির উর্বরতা শক্তিও বাড়ে।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা বিচ্ছিন্নভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। প্রায় ১০০ শতক জমিতে ২৫-৩০টি ডেথ পাচিং দেওয়া হয়েছে। বাঁশের খুঁটি বা গাছের ডালের মাথায় খড় বেঁধে পাখির বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশির ভাগ কৃষক পরিবেশবান্ধব এই ডেথ পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
কৃষকেরা জানান, জেলায় সবচেয়ে বেশি আমন ধান চাষ হয় এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা যায়। এই পোকা ধানের ডিগ পাতা কেটে দেওয়ায় অনেক সময় পচন রোগের সৃষ্টি হয়। এই আক্রমণ মোকাবিলায় কীটনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি তাঁরা পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে আমার ধানখেতে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি। এই পদ্ধতির কারণে পোকামাকড় কম আসে। আমরা ধানের চারা রোপণের কয়েক সপ্তাহ পর থেকে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করি। কিছুদিন আগে জমির প্রায় পুরোটা মাজরা পোকার আক্রমণের শিকার হয়েছে। পোকা দমনে কীটনাশক ছিটানোর পাশাপাশি পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি।’
কৃষকদের মতে, বিশেষ করে শালিক ও ফিঙে—এই দুই ধরনের পাখি পাচিংয়ে বসে পোকা নিধনে প্রধান ভূমিকা রাখে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ পূরণ করেছে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, পাচিং পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকেরা সুফল পাচ্ছেন। যারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তাঁদের খরচ কম হয় এবং সুফল বেশি হয়। এটি পরিবেশ বান্ধব। কম খরচে বাঁশের খুঁটি দ্বারা সহজে এটি করা যায়। বিশেষ করে মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন।

মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন। কৃষিবিদেরা মনে করছেন, কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়ালে এই পদ্ধতির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এই পদ্ধতিতে ধানখেতে বাঁশের খুঁটি বা ডাল পুঁতে দেওয়া হয়, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির শিকারি পাখি এসে বসে। এই পাখিগুলো ধানগাছের ক্ষতিকর পোকামাকড়, বিশেষ করে মাজরা পোকা খেয়ে ফেলে। ফলে ফসলে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কমে যায়, কীটনাশকের ব্যবহার ও খরচ হ্রাস পায় এবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে। পাখিদের মল থেকে জৈব সার তৈরি হওয়ায় জমির উর্বরতা শক্তিও বাড়ে।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা বিচ্ছিন্নভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। প্রায় ১০০ শতক জমিতে ২৫-৩০টি ডেথ পাচিং দেওয়া হয়েছে। বাঁশের খুঁটি বা গাছের ডালের মাথায় খড় বেঁধে পাখির বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশির ভাগ কৃষক পরিবেশবান্ধব এই ডেথ পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
কৃষকেরা জানান, জেলায় সবচেয়ে বেশি আমন ধান চাষ হয় এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা যায়। এই পোকা ধানের ডিগ পাতা কেটে দেওয়ায় অনেক সময় পচন রোগের সৃষ্টি হয়। এই আক্রমণ মোকাবিলায় কীটনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি তাঁরা পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে আমার ধানখেতে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি। এই পদ্ধতির কারণে পোকামাকড় কম আসে। আমরা ধানের চারা রোপণের কয়েক সপ্তাহ পর থেকে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করি। কিছুদিন আগে জমির প্রায় পুরোটা মাজরা পোকার আক্রমণের শিকার হয়েছে। পোকা দমনে কীটনাশক ছিটানোর পাশাপাশি পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি।’
কৃষকদের মতে, বিশেষ করে শালিক ও ফিঙে—এই দুই ধরনের পাখি পাচিংয়ে বসে পোকা নিধনে প্রধান ভূমিকা রাখে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ পূরণ করেছে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, পাচিং পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকেরা সুফল পাচ্ছেন। যারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তাঁদের খরচ কম হয় এবং সুফল বেশি হয়। এটি পরিবেশ বান্ধব। কম খরচে বাঁশের খুঁটি দ্বারা সহজে এটি করা যায়। বিশেষ করে মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন।

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৩২ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নবীনগর প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা। তিনি নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, মফিজুর রহমান দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দিনভর উপজেলার বিটঘর বাজারে দলীয় প্রচারপত্র বিতরণ করেন। সন্ধ্যায় উপজেলায় ফিরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যান। এরপর তিনি উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। রাত ৮টা ১০ মিনিটে পৌর এলাকার আদালতপাড়া অতিক্রম করার পরপরই দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে তাঁকে উদ্দেশ করে পরপর তিনটি গুলি করে। দুটি গুলি তাঁর পিঠে এবং একটি কোমরের নিচে লাগে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
দুর্বৃত্তরা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, মফিজুর রহমানের পিঠে দুটি এবং কোমরের নিচে একটি গুলি লেগেছে। তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কোনো লাইট ছিল না। অন্ধকার থাকায় অপরাধীরা ওত পেতে বসে ছিল। আমরা তদন্ত করছি।’
এই ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এই হামলার সঙ্গে কারা জড়িত, তা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা। তিনি নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, মফিজুর রহমান দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দিনভর উপজেলার বিটঘর বাজারে দলীয় প্রচারপত্র বিতরণ করেন। সন্ধ্যায় উপজেলায় ফিরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যান। এরপর তিনি উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। রাত ৮টা ১০ মিনিটে পৌর এলাকার আদালতপাড়া অতিক্রম করার পরপরই দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে তাঁকে উদ্দেশ করে পরপর তিনটি গুলি করে। দুটি গুলি তাঁর পিঠে এবং একটি কোমরের নিচে লাগে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
দুর্বৃত্তরা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, মফিজুর রহমানের পিঠে দুটি এবং কোমরের নিচে একটি গুলি লেগেছে। তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কোনো লাইট ছিল না। অন্ধকার থাকায় অপরাধীরা ওত পেতে বসে ছিল। আমরা তদন্ত করছি।’
এই ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এই হামলার সঙ্গে কারা জড়িত, তা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন।
৪ মিনিট আগে
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
৩২ মিনিট আগেদুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের পাহাড়, নদী ও সবুজ প্রকৃতির মধ্যেও বহু জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত থাকত। সেই পতিত জমিতে এক অনন্য সাফল্যের গল্প তৈরি করেছেন তিন মামা-ভাগনে রনি মিত্র, নিকঞ্জ মণ্ডল ও সুমন মল্লিক।
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
বাগান গড়তে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান রনি মিত্র। তবে এ বছরের ফলন থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রির আশা করছেন তাঁরা। আগামী মৌসুমে ফলন বাড়লে লাভের পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।
তিন মামা-ভাগনে বলেন, স্থানীয় চাহিদা মেটানোই তাদের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে দুর্গাপুরের হাটবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা, জেলা শহর এবং ময়মনসিংহ পর্যন্ত এই বাগানের মাল্টা বাজারজাত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাগানের অর্ধেকের বেশি মাল্টা বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি ক্রেতারা জানান, গাছ থেকে সরাসরি বাজারে আসা এই ফরমালিনমুক্ত মাল্টার চাহিদা অনেক বেশি। তাঁরা এখান থেকে পাইকারি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ কর বলেন, ‘ফরমালিনমুক্ত মাল্টা পেয়ে আমরা খুব খুশি। এতে সহজে পূরণ হচ্ছে ভিটামিন সি-এর চাহিদা।’
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হক বলেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি মাল্টা বাজারজাতের উপযুক্ত সময়। তিনি জানান, এই তিন মামা-ভাগনে যথাসময়ে ফল বাজারজাত করায় ভোক্তারা মাল্টার আসল স্বাদ পাচ্ছেন।
পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে মাত্র তিন বছরে এই তিন মামা-ভাগনে যে সফলতার গল্প তৈরি করেছেন, তা এখন দুর্গাপুরের অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের পাহাড়, নদী ও সবুজ প্রকৃতির মধ্যেও বহু জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত থাকত। সেই পতিত জমিতে এক অনন্য সাফল্যের গল্প তৈরি করেছেন তিন মামা-ভাগনে রনি মিত্র, নিকঞ্জ মণ্ডল ও সুমন মল্লিক।
২০২২ সালে তাঁরা সীমান্তঘেঁষা বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। প্রথমে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৩০০ চারা নিয়ে শুরু করলেও পরে আরও ২০০ চারা রোপণ করেন। বর্তমানে ৫০০ চারার বাগানে টসটসে মাল্টা ঝুলছে।
বাগান গড়তে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান রনি মিত্র। তবে এ বছরের ফলন থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রির আশা করছেন তাঁরা। আগামী মৌসুমে ফলন বাড়লে লাভের পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।
তিন মামা-ভাগনে বলেন, স্থানীয় চাহিদা মেটানোই তাদের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে দুর্গাপুরের হাটবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা, জেলা শহর এবং ময়মনসিংহ পর্যন্ত এই বাগানের মাল্টা বাজারজাত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাগানের অর্ধেকের বেশি মাল্টা বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি ক্রেতারা জানান, গাছ থেকে সরাসরি বাজারে আসা এই ফরমালিনমুক্ত মাল্টার চাহিদা অনেক বেশি। তাঁরা এখান থেকে পাইকারি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ কর বলেন, ‘ফরমালিনমুক্ত মাল্টা পেয়ে আমরা খুব খুশি। এতে সহজে পূরণ হচ্ছে ভিটামিন সি-এর চাহিদা।’
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হক বলেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি মাল্টা বাজারজাতের উপযুক্ত সময়। তিনি জানান, এই তিন মামা-ভাগনে যথাসময়ে ফল বাজারজাত করায় ভোক্তারা মাল্টার আসল স্বাদ পাচ্ছেন।
পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে মাত্র তিন বছরে এই তিন মামা-ভাগনে যে সফলতার গল্প তৈরি করেছেন, তা এখন দুর্গাপুরের অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

হালদাপাড়ে তামাক চাষ, অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পোড়ানো ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। তামাকের বিকল্প চাষাবাদে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্টের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কৃষকেরা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ‘পাচিং’ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার হাওর এলাকা এবং সমতল ভূমিতে বাঁশ বা গাছের খুঁটি ব্যবহার করে এই ‘ডেথ পাচিং’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন।
৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুর রহমান ওরফে মুকুল (৫২) উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে