আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের হাসিনা বেগম নামের এক বৃদ্ধা বেশ কিছুদিন ঠান্ডা জ্বরে ভুগছেন। এসেছেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে। ডাক্তার তাঁকে দেখেশুনে কিছু ওষুধ কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ওষুধ না থাকায় এখান থেকে ওষুধ দিচ্ছে না, বাইরে থেকে কিনে নিতে বলেছেন ডাক্তার। হাসিনা বেগমের মতো অনেকেই সেবা নিতে এসে ওষুধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলার চিকিৎসাসেবা চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র (ইউএইচ অ্যান্ড এফডব্লিউসি) এবং কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি)। তবে কয়েক মাস ধরেই ওষুধ নেই স্বাস্থ্যসেবার প্রথম ধাপের প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে ৫৯টি, পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৭টি, মা ও শিশুকল্যাণকেন্দ্র ৫টি, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৭৬টি। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এসব প্রতিষ্ঠান থেকে খাবার স্যালাইনসহ ২৭টি ওষুধ সরবরাহ করা হতো।
হাসিনা বেগম বৃদ্ধা বলেন, ‘আমার ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। আমি এই হাসপাতাল থেকে জ্বর, ঠান্ডার ওষুধ নিই। স্যালাইন দেয়, গ্যাসের ওষুধ দেয়। কিন্তু ৫-৬ মাস কোনো ওষুধ পাচ্ছি না আমরা।’
শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের রহিমা বেগম বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে আগে ওষুধ দিত। কিন্তু কয়েক মাস ধরে দিচ্ছে না। ক্লিনিকে গিয়ে চাইলে বলে, সরকার ওষুধ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কোথা থেকে দেব।’
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা রিক্তা খাতুন বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বর মাসে আমরা সর্বশেষ ওষুধ পেয়েছি।’ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক তাশরীফ বিল্লাহ বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অপর্যাপ্ত। এ অবস্থায় শুধু মুখে মুখে পরামর্শ দেওয়া ছাড়া উপায় দেখছি না।’
ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোহা. মোজাম্মেল করিম বলেন, ‘বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কোনো ওষুধের সরবরাহ নেই।’
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘কিছুদিন ধরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে ওষুধের সরবরাহ পুরোপুরি সচল করার বিষয়টি নিয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের হাসিনা বেগম নামের এক বৃদ্ধা বেশ কিছুদিন ঠান্ডা জ্বরে ভুগছেন। এসেছেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে। ডাক্তার তাঁকে দেখেশুনে কিছু ওষুধ কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ওষুধ না থাকায় এখান থেকে ওষুধ দিচ্ছে না, বাইরে থেকে কিনে নিতে বলেছেন ডাক্তার। হাসিনা বেগমের মতো অনেকেই সেবা নিতে এসে ওষুধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলার চিকিৎসাসেবা চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র (ইউএইচ অ্যান্ড এফডব্লিউসি) এবং কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি)। তবে কয়েক মাস ধরেই ওষুধ নেই স্বাস্থ্যসেবার প্রথম ধাপের প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে ৫৯টি, পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৭টি, মা ও শিশুকল্যাণকেন্দ্র ৫টি, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৭৬টি। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এসব প্রতিষ্ঠান থেকে খাবার স্যালাইনসহ ২৭টি ওষুধ সরবরাহ করা হতো।
হাসিনা বেগম বৃদ্ধা বলেন, ‘আমার ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। আমি এই হাসপাতাল থেকে জ্বর, ঠান্ডার ওষুধ নিই। স্যালাইন দেয়, গ্যাসের ওষুধ দেয়। কিন্তু ৫-৬ মাস কোনো ওষুধ পাচ্ছি না আমরা।’
শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের রহিমা বেগম বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে আগে ওষুধ দিত। কিন্তু কয়েক মাস ধরে দিচ্ছে না। ক্লিনিকে গিয়ে চাইলে বলে, সরকার ওষুধ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কোথা থেকে দেব।’
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা রিক্তা খাতুন বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বর মাসে আমরা সর্বশেষ ওষুধ পেয়েছি।’ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক তাশরীফ বিল্লাহ বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অপর্যাপ্ত। এ অবস্থায় শুধু মুখে মুখে পরামর্শ দেওয়া ছাড়া উপায় দেখছি না।’
ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোহা. মোজাম্মেল করিম বলেন, ‘বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কোনো ওষুধের সরবরাহ নেই।’
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘কিছুদিন ধরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে ওষুধের সরবরাহ পুরোপুরি সচল করার বিষয়টি নিয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
নওগাঁর রাণীনগরে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ে অর্জিত হয়নি। কৃষকেরা ধান না দেওয়ায় এবং মিলাররা চাল না দেওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় মিলারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা।
১ ঘণ্টা আগেযশোর জেলায় এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত গত পাঁচ মাসে ৩৬ জন খুন হয়েছেন। বিভিন্ন থানায় ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে ২২টি। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে এসব ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অপরাধপ্রবণতা বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগেসিলেট জেলায় অবৈধভাবে পাহাড় ও টিলা কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ভোট গণনার কাজ চলছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে