ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২ থেকে তেল অপসারণের সময় ফের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার (১ জুলাই) বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় সাগর নন্দিনী-২।
দমকল বাহিনীর ১২টি ইউনিট দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আজ (মঙ্গলবার) ভোর ৬টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা।
বিস্ফোরণের পর ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম ও পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল সার্বিক বিষয়ে তদারকি করেন। ফলে নদী-তীরবর্তী বাসিন্দারা গৃহপালিত প্রাণী এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে স্টেডিয়ামসংলগ্ন প্রাইমারি স্কুল ও ফাজিল মাদ্রাসায় রাত্রি যাপন করেন।
আহত ১৫ জনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিলে গুরুতর আহত দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ সদস্যসহ দুজনকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। অপরজন বরিশালেই চিকিৎসাধীন। বাকি ১১ জন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানা যায়, গত শনিবার (১ জুলাই) বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় সাগর নন্দিনী-২। এতে দগ্ধ চারজন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল সোমবার নিখোঁজ চারজনের মৃতদেহ ও ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
বিস্ফোরিত জাহাজে ডিজেল ও পেট্রল ছিল ১১ লাখ লিটার। গত রোববার প্রায় ৭ লাখ লিটার তেল অপসারণ করা হয়েছে। ওই স্থানে সাগর নন্দিনী-২ ও সাগর নন্দিনী-৪ নোঙর করা ছিল। গতকাল (সোমবার) বাকি তেল অপসারণ করার সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে শরীরের প্রায় ৬০ ভাগ দগ্ধ হওয়া আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন ঝালকাঠি পুলিশ লাইনের কনস্টেবল শওকত জামিন (২৪) ও দীপ সমাদ্দার (২৫)। অপরজন সুকানী শরীফ আহমেদ (৩৫)। আহতদের মধ্যে কনস্টেবল শওকত জামিন (২৪) ও জাহাজের স্টাফ শরীফ আহমেদকে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
আহত সাগর নন্দিনী-২ জাহাজের বাবুর্চি বেলাল হোসেন বলেন, ‘একটি পাম্প সচল করে ৪/৫ ঘণ্টা কাজ করা যায়। সেখানে অতিরিক্ত কাজ করার সময় পাম্প গরম হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। আমি ছিলাম রান্নার কাজে, আগুন দেখেই নদীতে লাফিয়ে পড়ি। ওই সময়ে নৌবাহিনীর দুজন গোসল করতে ছিল। তাঁদের কোনো সন্ধান এখনো পাওয়া যাচ্ছে না।’
আহত এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘আমরা জাহাজের পাশেই ট্রলারে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হওয়ায় আমাদের ট্রলারের চালকও নদীতে লাফিয়ে পড়েন। আমরা মহাবিপদের মধ্যে পড়ে যাই। ট্রলারটিকেও সরাতে পারছিলাম না। আগুনের তাপ প্রচণ্ডভাবে আমাদের শরীরে লাগে। জীবন বাঁচাতে আমরাও যে যার মতো করে নদীতে লাফিয়ে পড়ি।’
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুগন্ধা নদীতে ফের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ও আহত ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিকাণ্ডে ঝালকাঠি, বরিশালসহ দমকল বাহিনীর ১২টি ইউনিট দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আজ (মঙ্গলবার) ভোর ৬টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘নদী-তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য রাতে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামসংলগ্ন মসজিদবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছিল।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুগন্ধা নদীতে ফের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ও আহত ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে আলাদা ইউনিট চালু করে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, এঁদের মধ্যে গুরুতর আহত দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি ১২ জনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীদের সার্বিক চিকিৎসার বিষয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয় সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন বলেও জানান সিভিল সার্জন।
আরও পড়ুন—

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২ থেকে তেল অপসারণের সময় ফের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার (১ জুলাই) বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় সাগর নন্দিনী-২।
দমকল বাহিনীর ১২টি ইউনিট দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আজ (মঙ্গলবার) ভোর ৬টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা।
বিস্ফোরণের পর ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম ও পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল সার্বিক বিষয়ে তদারকি করেন। ফলে নদী-তীরবর্তী বাসিন্দারা গৃহপালিত প্রাণী এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে স্টেডিয়ামসংলগ্ন প্রাইমারি স্কুল ও ফাজিল মাদ্রাসায় রাত্রি যাপন করেন।
আহত ১৫ জনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিলে গুরুতর আহত দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ সদস্যসহ দুজনকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। অপরজন বরিশালেই চিকিৎসাধীন। বাকি ১১ জন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানা যায়, গত শনিবার (১ জুলাই) বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় সাগর নন্দিনী-২। এতে দগ্ধ চারজন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল সোমবার নিখোঁজ চারজনের মৃতদেহ ও ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
বিস্ফোরিত জাহাজে ডিজেল ও পেট্রল ছিল ১১ লাখ লিটার। গত রোববার প্রায় ৭ লাখ লিটার তেল অপসারণ করা হয়েছে। ওই স্থানে সাগর নন্দিনী-২ ও সাগর নন্দিনী-৪ নোঙর করা ছিল। গতকাল (সোমবার) বাকি তেল অপসারণ করার সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে শরীরের প্রায় ৬০ ভাগ দগ্ধ হওয়া আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন ঝালকাঠি পুলিশ লাইনের কনস্টেবল শওকত জামিন (২৪) ও দীপ সমাদ্দার (২৫)। অপরজন সুকানী শরীফ আহমেদ (৩৫)। আহতদের মধ্যে কনস্টেবল শওকত জামিন (২৪) ও জাহাজের স্টাফ শরীফ আহমেদকে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
আহত সাগর নন্দিনী-২ জাহাজের বাবুর্চি বেলাল হোসেন বলেন, ‘একটি পাম্প সচল করে ৪/৫ ঘণ্টা কাজ করা যায়। সেখানে অতিরিক্ত কাজ করার সময় পাম্প গরম হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। আমি ছিলাম রান্নার কাজে, আগুন দেখেই নদীতে লাফিয়ে পড়ি। ওই সময়ে নৌবাহিনীর দুজন গোসল করতে ছিল। তাঁদের কোনো সন্ধান এখনো পাওয়া যাচ্ছে না।’
আহত এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘আমরা জাহাজের পাশেই ট্রলারে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হওয়ায় আমাদের ট্রলারের চালকও নদীতে লাফিয়ে পড়েন। আমরা মহাবিপদের মধ্যে পড়ে যাই। ট্রলারটিকেও সরাতে পারছিলাম না। আগুনের তাপ প্রচণ্ডভাবে আমাদের শরীরে লাগে। জীবন বাঁচাতে আমরাও যে যার মতো করে নদীতে লাফিয়ে পড়ি।’
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুগন্ধা নদীতে ফের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ও আহত ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিকাণ্ডে ঝালকাঠি, বরিশালসহ দমকল বাহিনীর ১২টি ইউনিট দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আজ (মঙ্গলবার) ভোর ৬টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘নদী-তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য রাতে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামসংলগ্ন মসজিদবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছিল।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুগন্ধা নদীতে ফের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ও আহত ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে আলাদা ইউনিট চালু করে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, এঁদের মধ্যে গুরুতর আহত দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি ১২ জনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীদের সার্বিক চিকিৎসার বিষয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয় সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন বলেও জানান সিভিল সার্জন।
আরও পড়ুন—

গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ মিনিট আগে
সারজিস বলেন, ‘যারা আগামীর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চাচ্ছে, যারা নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতিকে বানচাল করতে চাচ্ছে দেশে ও দেশের বাইরে, ওই এজেন্টদের এটা একটা খেলা। আর হাদিকে গুলি করার মধ্য দিয়ে এই খেলা তারা শুরু করল। আগামীতে আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে, যে পথে চলছি, সেই পথ থেকে...
৯ মিনিট আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে পরপর দুটি হাতে তৈরি ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ককটেল বিস্ফোরণে বিকট শব্দ হলেও এতে কেউ হতাহত হয়নি কিংবা কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. আরিফ-উজ-জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি সেনাসদস্যদের টহলও বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে পরপর দুটি হাতে তৈরি ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ককটেল বিস্ফোরণে বিকট শব্দ হলেও এতে কেউ হতাহত হয়নি কিংবা কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. আরিফ-উজ-জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি সেনাসদস্যদের টহলও বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২ থেকে তেল অপসারণের সময় ফের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার (১ জুলাই) বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় সাগর নন্দিনী-২।
০৪ জুলাই ২০২৩
সারজিস বলেন, ‘যারা আগামীর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চাচ্ছে, যারা নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতিকে বানচাল করতে চাচ্ছে দেশে ও দেশের বাইরে, ওই এজেন্টদের এটা একটা খেলা। আর হাদিকে গুলি করার মধ্য দিয়ে এই খেলা তারা শুরু করল। আগামীতে আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে, যে পথে চলছি, সেই পথ থেকে...
৯ মিনিট আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

বুলেট শুধু শরিফ ওসমান হাদির মাথায় নয়, এই বুলেট বাংলাদেশের ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাওয়া যে অভ্যুত্থান, তার বুকে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল শুক্রবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির প্রতিবাদে পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিলে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, ‘যারা আগামীর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চাচ্ছে, যারা নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতিকে বানচাল করতে চাচ্ছে দেশে ও দেশের বাইরে, ওই এজেন্টদের এটা একটা খেলা। আর হাদিকে গুলি করার মধ্য দিয়ে এই খেলা তারা শুরু করল। আগামীতে আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে, যে পথে চলছি, সেই পথ থেকে বিপথে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি অভ্যুত্থানের আগ থেকে অভ্যুত্থানের পর পর্যন্ত ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধের সিনা টান করে কথা বলে এসেছেন। যারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের ভয় দেখানোর জন্য হাদিকে গুলি করা হয়েছে। বিগত কয়েক মাসে এই বাংলাদেশে বিভিন্ন পরিচয়ে সীমান্ত দিয়ে এমন অনেক মানুষকে অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে। যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এসেছে।’
সারজিস বলেন, ‘আমাদের সামনে শুধু নির্বাচনী লড়াই নয়, আমাদের সামনে বাংলাদেশকে রক্ষা করার লড়াই। আমাদের সামনে শুধু ভোটের লড়াই নয়, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংসের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই। আওয়ামী সন্ত্রাসী যারা ছিল, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। তাদের সঙ্গে ইন্টারনাল আপস করে, ইন্টারনাল প্রটেকশন দিয়ে এই বাংলাদেশে আগামীতে কোনো কিছু সুষ্ঠুভাবে হতে পারে না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করছি, সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। খুনি-সন্ত্রাসী, তাদের দোসর এবং বাইরে থেকে যারা ষড়যন্ত্র করছে, যারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, অগ্রযাত্রা থামাতে চায়, যাদের স্বার্থ বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে মিলছে না, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সবাইকে বলি, লুতুপুতু করে আগামীর বাংলাদেশে খুনিদের আশ্রয় দিয়ে কখনোই শান্তি ফেরানো সম্ভব নয়। দিনে এক কথা, রাতে এক কথা, এই যদি হয় অবস্থা; তাহলে আগামীতে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবেন না।’

বুলেট শুধু শরিফ ওসমান হাদির মাথায় নয়, এই বুলেট বাংলাদেশের ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাওয়া যে অভ্যুত্থান, তার বুকে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল শুক্রবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির প্রতিবাদে পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিলে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, ‘যারা আগামীর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চাচ্ছে, যারা নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতিকে বানচাল করতে চাচ্ছে দেশে ও দেশের বাইরে, ওই এজেন্টদের এটা একটা খেলা। আর হাদিকে গুলি করার মধ্য দিয়ে এই খেলা তারা শুরু করল। আগামীতে আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে, যে পথে চলছি, সেই পথ থেকে বিপথে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি অভ্যুত্থানের আগ থেকে অভ্যুত্থানের পর পর্যন্ত ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধের সিনা টান করে কথা বলে এসেছেন। যারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের ভয় দেখানোর জন্য হাদিকে গুলি করা হয়েছে। বিগত কয়েক মাসে এই বাংলাদেশে বিভিন্ন পরিচয়ে সীমান্ত দিয়ে এমন অনেক মানুষকে অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে। যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এসেছে।’
সারজিস বলেন, ‘আমাদের সামনে শুধু নির্বাচনী লড়াই নয়, আমাদের সামনে বাংলাদেশকে রক্ষা করার লড়াই। আমাদের সামনে শুধু ভোটের লড়াই নয়, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংসের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই। আওয়ামী সন্ত্রাসী যারা ছিল, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। তাদের সঙ্গে ইন্টারনাল আপস করে, ইন্টারনাল প্রটেকশন দিয়ে এই বাংলাদেশে আগামীতে কোনো কিছু সুষ্ঠুভাবে হতে পারে না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করছি, সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। খুনি-সন্ত্রাসী, তাদের দোসর এবং বাইরে থেকে যারা ষড়যন্ত্র করছে, যারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, অগ্রযাত্রা থামাতে চায়, যাদের স্বার্থ বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে মিলছে না, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সবাইকে বলি, লুতুপুতু করে আগামীর বাংলাদেশে খুনিদের আশ্রয় দিয়ে কখনোই শান্তি ফেরানো সম্ভব নয়। দিনে এক কথা, রাতে এক কথা, এই যদি হয় অবস্থা; তাহলে আগামীতে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবেন না।’

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২ থেকে তেল অপসারণের সময় ফের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার (১ জুলাই) বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় সাগর নন্দিনী-২।
০৪ জুলাই ২০২৩
গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ মিনিট আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার-সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার-সংলগ্ন ওই ঘরে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তাঁর মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে তাঁরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার-সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার-সংলগ্ন ওই ঘরে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তাঁর মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে তাঁরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২ থেকে তেল অপসারণের সময় ফের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার (১ জুলাই) বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় সাগর নন্দিনী-২।
০৪ জুলাই ২০২৩
গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ মিনিট আগে
সারজিস বলেন, ‘যারা আগামীর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চাচ্ছে, যারা নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতিকে বানচাল করতে চাচ্ছে দেশে ও দেশের বাইরে, ওই এজেন্টদের এটা একটা খেলা। আর হাদিকে গুলি করার মধ্য দিয়ে এই খেলা তারা শুরু করল। আগামীতে আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে, যে পথে চলছি, সেই পথ থেকে...
৯ মিনিট আগে
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগেমীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খাদেম উল কায়েস ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওই জমির ১৫৫ শতাংশ দখলের লিখিত অভিযোগ করা হয়। প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, আইনসচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ পাঠিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন জমির মালিক লাচাউ রাখাইন।
লাচাউ রাখাইনের স্বজনেরা জানান, লাচাউয়ের স্বামী অংশাচিং রাখাইন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) কর্মকর্তা হিসেবে বহু বছর কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি চাকরিসূত্রে বদলি হন অস্ট্রেলিয়ায়। তারপর থেকে তিনি পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন। লাচাউ রাখাইন ও তাঁর দুই ছেলে পরে সেখানকার নাগরিকত্বও পান। যদিও তাঁরা প্রতিবছর কলাপাড়ার কালাচানপাড়ায় নিজেদের বাড়িতে আসতেন। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অংশাচিং অসুস্থ হয়ে পড়ায় সে বছর তাঁদের আর দেশে আসা সম্ভব হয়নি। দুই ছেলে সেখানকার সরকারি চাকরিতে থাকায় তাঁরাও দেশে ফিরতে পারেননি। এভাবেই কেটে যায় এক যুগ।
লাচাউয়ের স্বজনদের অভিযোগ, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে লাচাউ রাখাইন দেশে এসে জানতে পারেন, তিনি ও তাঁর দুই ছেলের নামে ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে একাধিক নকল খতিয়ান, জাল দলিল এবং ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বানানো হয়েছে। এসব নথির ভিত্তিতে তাঁদের জমি আত্মসাৎ করা হয়। আর এ দখলে নেতৃত্ব দিয়েছেন কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বারেক মোল্লা, তাঁর ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি হোসেন মোল্লাসহ অনেক নেতা। যাঁরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে পলাতক। এ ছাড়া রয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েস, তাঁর ভাই মাওলানা হারুন ও বেয়াই ইউসুফ মুসল্লিসহ কয়েকজন।
এই চক্রের বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করায় লাচাউদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি দেশে এসেছিলেন লাচাউ রাখাইন ও তাঁর বড় ছেলে উয়েন চিং রাখাইনের স্ত্রী খেনমা ম্যা। লাচাউ রাখাইন (৮৬) বলেন, ‘আমি জমি উদ্ধার করতে গেলে আমাকে হুমকি-ধমকি দেয়; যাতে আমরা এলাকায় না যেতে পারি। এই অন্যায়ের সঙ্গে যারা জড়িত, আমি তাদের সবার বিচার চাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে।’
অভিযোগে যা আছে
অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েসের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের বিবরণ অনুযায়ী, কলাপাড়ার আলীপুর মৌজার ৬৩ নম্বর বিএস খতিয়ানের ৪২০৪, ৫, ৬, ১১, ১২, ৭৪ ও ৪৪৪২, ৪৩৮৭ এবং ৪৬১০ নম্বর দাগের ৮.০৬ একর ভূমির মালিক লাচাউ রাখাইন ও তাঁর পরিবার। তবে তাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালে লাচাউ রাখাইন ও তাঁর দুই ছেলে উয়েন চিং ও ম্যাওয়েন চিংয়ের নামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ও অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সিল ও সই জাল করে ২০০০ সালের ৮ আগস্ট ক্ষমতাপত্র তৈরি করা হয়। ওই আমমোক্তারনামা মূলে জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যমে খাদেম উল কায়েস তাঁর স্ত্রী মোসা. আইরিন জেসমিন ও বেয়াই মো. ইউসুফ মুসল্লির নামে ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল কবলা দলিল তৈরি করে ১৫৫ শতাংশ জমি দখল করেন।
ওই আমমোক্তারনামার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৬ জুন জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রথম আদালতে লাচাউ বাদী হয়ে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি পটুয়াখালী সদর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আমমোক্তারনামার বৈধতা যাচাইয়ে সিআইডি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তথ্য চাইলে ২০২৫ সালের ২৪ এপ্রিল রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো. তানজিল কবির স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘৪৩০ নম্বর আমমোক্তারনামা’ সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ২৭ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আদালতকে এই আমমোক্তারনামা-সংক্রান্ত কোনো তথ্য না পাওয়ার কথা জানায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক মোল্লা আলীপুর মৌজার ১০৪২ এসএ খতিয়ান এবং ৩০৫ নম্বর বিএস খতিয়ানের জমি জাল কাগজ তৈরি করে কিছু দখল করেছেন। অন্যদিকে তাঁর ভাই এলাকার যুবলীগের সাবেক সভাপতি হোসেন মোল্লা একই ১০৪২ এসএ খতিয়ান ও ১৭৬১ নম্বর বিএস খতিয়ানের ২১৯ দাগ থেকে ১৮ শতাংশ, ৪৭৪ নম্বর খতিয়ান, ১০৮৬ ও ১০৮৮ খতিয়ান থেকে ৮.৫০ শতাংশ এবং ৬২ নম্বর খতিয়ানের ৪২০৬ দাগ থেকে ১২ শতাংশ জমি দখল করে বিভিন্ন স্থানে বসতবাড়ি ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা ৪৩০টি ভুয়া আমমোক্তারনামা নোটারি করে এসব জমি নিজেদের দখলে নেন।
এ বিষয়ে হোসেন মোল্লা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা, ভুল কথা। আমরা অংশাচির কাছ থেকে দলিল নিয়েছি, তিনি আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন, বসাইয়াও দিয়েছেন। ২০১০ সালের পর কিছু জমি দখল হয়েছে, সেটা তো আমরা করিনি।’
জানতে চাইলে বারেক মোল্লা মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘দলিল ছাড়া আমার জমি নাই ১ শতাংশও। আমার জমি তাদের থেকে নিলে অল্প নেওয়া থাকতে পারে। কিন্তু আমার জমি অন্য মানুষের থেকে নেওয়া, মংচোবার থেকে নেওয়া। এ ছাড়া তাদের অনেক জমি আছে, তারা দলিল দেয় নাই। কিন্তু মানুষ দখল করে আছে। দলিল দেছে, আর না দেছে, সব অংশাচি বাবুর ডায়েরিতে লেখা আছে। সে যদি আসে এবং একদিন বসে কোটি কোটি টাকার জমি বের হয়ে যাবে।’
সরেজমিন চিত্র
সম্প্রতি এক বিকেলে আলীপুরের থ্রি পয়েন্টের পশ্চিম পাশে গিয়ে লাচাউয়ের অভিযোগে উল্লেখ করা দাগের ২১ শতাংশ জমির ওপর একটি মার্কেট দেখা যায়। সেখানে রয়েছে ৮টি দোকান এবং পেছনে নির্মিত হয়েছে ৫টি বসতঘর। এলাকাবাসীর ভাষ্য, এই মার্কেটটি ‘খাদেম উল কায়েস জজের মার্কেট’ নামে পরিচিত। এর আশপাশে অধিকাংশ জমি ইউসুফ মুসল্লি বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এ সময় কথা হয় ওই মার্কেটের ঝালাইয়ের দোকানদার মো. কালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি, এটা জজ (খাদেম উল) সাহেবের জমি, তাঁর বউয়ের নামে। এখানে ৮টি দোকান ও ৫টির মতো ঘর আছে। এসবের ভাড়া তাঁর ভাই হারুন মাওলানা উঠান।’
এ সময় ওই এলাকার বাসিন্দা টাইলস দোকানের মালিক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ইউসুফ মুসল্লির সঙ্গে যুদ্ধ করে আমার আসতে হয়েছে, সে আমার থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে, বলেছে এ জমি সব তাঁর। স্ট্যাম্প আছে। সে এখানে অনেকের কাছ থেকে নিয়েছে। এখনো বলে জমি তাঁর।’ ইসমাইল আরও বলেন, ‘ইউসুফ মুসল্লি বহুত টাকা খাইছে। ১ কোটি টাকার মতো নেছে। উনি (খাদেম উল সাহেব) ওনার (ইউসুফ মুসল্লি) সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় এসে ঠ্যাক (সমর্থন) দিতেন।’
অতিরিক্ত সচিব যা বলেন
অভিযোগের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েস মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আইন, নিয়ম সবার জন্য সমান। সেখানে যদি কোনো ঝামেলা থাকে সেটা কোর্ট দেখবে, অথরিটি দেখবে। কিন্তু কথা হলো, জমি তো সবাই কিনতে পারবে, আল্লাহ যদি সামর্থ্য দেয় আপনি কিনতে পারবেন, আমি ১ ইঞ্চি পারব। আইন আছে, সাবরেজিস্ট্রি অফিস আছে। কেউ যদি কারও প্রতি অন্যায় করে দেখার মতো এজেন্সিও আছে।’
ইউসুফ মুসল্লি ও মাওলানা হারুনের বিষয়ে জানতে চাইলে খাদেম উল কায়েস বলেন, ‘আমার বেয়াই বলে কথা না, আইনে যার জন্য যেটা প্রযোজ্য, তার জন্য সেটাই হবে। ইউসুফ মুসল্লির জবাব সে দেবে। আমার ভাই কিছু করলে তাঁর সাথে কথা বলেন, তাঁরা কী বলে শোনেন। নিয়মের বাইরে গেলে আমরা কেউ কিছু করতে পারব না, সাপোর্ট করি না, করবও না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউসুফ মুসল্লি ও মাওলানা হারুনের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দিলেও তাঁরা রিসিভ করেননি।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কালাচানপাড়ায় একটি রাখাইন পরিবারের প্রায় ৪০ একর জমি জবরদখল হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীরা জালিয়াতির মাধ্যমে অধিকাংশ জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খাদেম উল কায়েস ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওই জমির ১৫৫ শতাংশ দখলের লিখিত অভিযোগ করা হয়। প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, আইনসচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ পাঠিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন জমির মালিক লাচাউ রাখাইন।
লাচাউ রাখাইনের স্বজনেরা জানান, লাচাউয়ের স্বামী অংশাচিং রাখাইন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) কর্মকর্তা হিসেবে বহু বছর কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি চাকরিসূত্রে বদলি হন অস্ট্রেলিয়ায়। তারপর থেকে তিনি পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন। লাচাউ রাখাইন ও তাঁর দুই ছেলে পরে সেখানকার নাগরিকত্বও পান। যদিও তাঁরা প্রতিবছর কলাপাড়ার কালাচানপাড়ায় নিজেদের বাড়িতে আসতেন। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অংশাচিং অসুস্থ হয়ে পড়ায় সে বছর তাঁদের আর দেশে আসা সম্ভব হয়নি। দুই ছেলে সেখানকার সরকারি চাকরিতে থাকায় তাঁরাও দেশে ফিরতে পারেননি। এভাবেই কেটে যায় এক যুগ।
লাচাউয়ের স্বজনদের অভিযোগ, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে লাচাউ রাখাইন দেশে এসে জানতে পারেন, তিনি ও তাঁর দুই ছেলের নামে ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে একাধিক নকল খতিয়ান, জাল দলিল এবং ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বানানো হয়েছে। এসব নথির ভিত্তিতে তাঁদের জমি আত্মসাৎ করা হয়। আর এ দখলে নেতৃত্ব দিয়েছেন কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বারেক মোল্লা, তাঁর ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি হোসেন মোল্লাসহ অনেক নেতা। যাঁরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে পলাতক। এ ছাড়া রয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েস, তাঁর ভাই মাওলানা হারুন ও বেয়াই ইউসুফ মুসল্লিসহ কয়েকজন।
এই চক্রের বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করায় লাচাউদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি দেশে এসেছিলেন লাচাউ রাখাইন ও তাঁর বড় ছেলে উয়েন চিং রাখাইনের স্ত্রী খেনমা ম্যা। লাচাউ রাখাইন (৮৬) বলেন, ‘আমি জমি উদ্ধার করতে গেলে আমাকে হুমকি-ধমকি দেয়; যাতে আমরা এলাকায় না যেতে পারি। এই অন্যায়ের সঙ্গে যারা জড়িত, আমি তাদের সবার বিচার চাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে।’
অভিযোগে যা আছে
অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েসের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের বিবরণ অনুযায়ী, কলাপাড়ার আলীপুর মৌজার ৬৩ নম্বর বিএস খতিয়ানের ৪২০৪, ৫, ৬, ১১, ১২, ৭৪ ও ৪৪৪২, ৪৩৮৭ এবং ৪৬১০ নম্বর দাগের ৮.০৬ একর ভূমির মালিক লাচাউ রাখাইন ও তাঁর পরিবার। তবে তাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালে লাচাউ রাখাইন ও তাঁর দুই ছেলে উয়েন চিং ও ম্যাওয়েন চিংয়ের নামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ও অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সিল ও সই জাল করে ২০০০ সালের ৮ আগস্ট ক্ষমতাপত্র তৈরি করা হয়। ওই আমমোক্তারনামা মূলে জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যমে খাদেম উল কায়েস তাঁর স্ত্রী মোসা. আইরিন জেসমিন ও বেয়াই মো. ইউসুফ মুসল্লির নামে ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল কবলা দলিল তৈরি করে ১৫৫ শতাংশ জমি দখল করেন।
ওই আমমোক্তারনামার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৬ জুন জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রথম আদালতে লাচাউ বাদী হয়ে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি পটুয়াখালী সদর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আমমোক্তারনামার বৈধতা যাচাইয়ে সিআইডি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তথ্য চাইলে ২০২৫ সালের ২৪ এপ্রিল রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো. তানজিল কবির স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘৪৩০ নম্বর আমমোক্তারনামা’ সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ২৭ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আদালতকে এই আমমোক্তারনামা-সংক্রান্ত কোনো তথ্য না পাওয়ার কথা জানায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক মোল্লা আলীপুর মৌজার ১০৪২ এসএ খতিয়ান এবং ৩০৫ নম্বর বিএস খতিয়ানের জমি জাল কাগজ তৈরি করে কিছু দখল করেছেন। অন্যদিকে তাঁর ভাই এলাকার যুবলীগের সাবেক সভাপতি হোসেন মোল্লা একই ১০৪২ এসএ খতিয়ান ও ১৭৬১ নম্বর বিএস খতিয়ানের ২১৯ দাগ থেকে ১৮ শতাংশ, ৪৭৪ নম্বর খতিয়ান, ১০৮৬ ও ১০৮৮ খতিয়ান থেকে ৮.৫০ শতাংশ এবং ৬২ নম্বর খতিয়ানের ৪২০৬ দাগ থেকে ১২ শতাংশ জমি দখল করে বিভিন্ন স্থানে বসতবাড়ি ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা ৪৩০টি ভুয়া আমমোক্তারনামা নোটারি করে এসব জমি নিজেদের দখলে নেন।
এ বিষয়ে হোসেন মোল্লা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা, ভুল কথা। আমরা অংশাচির কাছ থেকে দলিল নিয়েছি, তিনি আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন, বসাইয়াও দিয়েছেন। ২০১০ সালের পর কিছু জমি দখল হয়েছে, সেটা তো আমরা করিনি।’
জানতে চাইলে বারেক মোল্লা মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘দলিল ছাড়া আমার জমি নাই ১ শতাংশও। আমার জমি তাদের থেকে নিলে অল্প নেওয়া থাকতে পারে। কিন্তু আমার জমি অন্য মানুষের থেকে নেওয়া, মংচোবার থেকে নেওয়া। এ ছাড়া তাদের অনেক জমি আছে, তারা দলিল দেয় নাই। কিন্তু মানুষ দখল করে আছে। দলিল দেছে, আর না দেছে, সব অংশাচি বাবুর ডায়েরিতে লেখা আছে। সে যদি আসে এবং একদিন বসে কোটি কোটি টাকার জমি বের হয়ে যাবে।’
সরেজমিন চিত্র
সম্প্রতি এক বিকেলে আলীপুরের থ্রি পয়েন্টের পশ্চিম পাশে গিয়ে লাচাউয়ের অভিযোগে উল্লেখ করা দাগের ২১ শতাংশ জমির ওপর একটি মার্কেট দেখা যায়। সেখানে রয়েছে ৮টি দোকান এবং পেছনে নির্মিত হয়েছে ৫টি বসতঘর। এলাকাবাসীর ভাষ্য, এই মার্কেটটি ‘খাদেম উল কায়েস জজের মার্কেট’ নামে পরিচিত। এর আশপাশে অধিকাংশ জমি ইউসুফ মুসল্লি বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এ সময় কথা হয় ওই মার্কেটের ঝালাইয়ের দোকানদার মো. কালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি, এটা জজ (খাদেম উল) সাহেবের জমি, তাঁর বউয়ের নামে। এখানে ৮টি দোকান ও ৫টির মতো ঘর আছে। এসবের ভাড়া তাঁর ভাই হারুন মাওলানা উঠান।’
এ সময় ওই এলাকার বাসিন্দা টাইলস দোকানের মালিক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ইউসুফ মুসল্লির সঙ্গে যুদ্ধ করে আমার আসতে হয়েছে, সে আমার থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে, বলেছে এ জমি সব তাঁর। স্ট্যাম্প আছে। সে এখানে অনেকের কাছ থেকে নিয়েছে। এখনো বলে জমি তাঁর।’ ইসমাইল আরও বলেন, ‘ইউসুফ মুসল্লি বহুত টাকা খাইছে। ১ কোটি টাকার মতো নেছে। উনি (খাদেম উল সাহেব) ওনার (ইউসুফ মুসল্লি) সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় এসে ঠ্যাক (সমর্থন) দিতেন।’
অতিরিক্ত সচিব যা বলেন
অভিযোগের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদেম উল কায়েস মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আইন, নিয়ম সবার জন্য সমান। সেখানে যদি কোনো ঝামেলা থাকে সেটা কোর্ট দেখবে, অথরিটি দেখবে। কিন্তু কথা হলো, জমি তো সবাই কিনতে পারবে, আল্লাহ যদি সামর্থ্য দেয় আপনি কিনতে পারবেন, আমি ১ ইঞ্চি পারব। আইন আছে, সাবরেজিস্ট্রি অফিস আছে। কেউ যদি কারও প্রতি অন্যায় করে দেখার মতো এজেন্সিও আছে।’
ইউসুফ মুসল্লি ও মাওলানা হারুনের বিষয়ে জানতে চাইলে খাদেম উল কায়েস বলেন, ‘আমার বেয়াই বলে কথা না, আইনে যার জন্য যেটা প্রযোজ্য, তার জন্য সেটাই হবে। ইউসুফ মুসল্লির জবাব সে দেবে। আমার ভাই কিছু করলে তাঁর সাথে কথা বলেন, তাঁরা কী বলে শোনেন। নিয়মের বাইরে গেলে আমরা কেউ কিছু করতে পারব না, সাপোর্ট করি না, করবও না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউসুফ মুসল্লি ও মাওলানা হারুনের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দিলেও তাঁরা রিসিভ করেননি।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২ থেকে তেল অপসারণের সময় ফের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার (১ জুলাই) বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় সাগর নন্দিনী-২।
০৪ জুলাই ২০২৩
গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ মিনিট আগে
সারজিস বলেন, ‘যারা আগামীর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চাচ্ছে, যারা নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতিকে বানচাল করতে চাচ্ছে দেশে ও দেশের বাইরে, ওই এজেন্টদের এটা একটা খেলা। আর হাদিকে গুলি করার মধ্য দিয়ে এই খেলা তারা শুরু করল। আগামীতে আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে, যে পথে চলছি, সেই পথ থেকে...
৯ মিনিট আগে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার বাজার সংলগ্ন মরণ সাহার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের মালিক মরণ সাহার মা অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় অচেতন মরণ সাহা
১ ঘণ্টা আগে