Ajker Patrika

আইসিটি অ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা করতেই জরুরি সভা: আ.লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রেস সচিব

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ মে ২০২৫, ২১: ১৬
কেশবপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেশবপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আমরা আমাদের সরকারে বিবৃতি দিয়েছি। আজ রাতে মিটিং আছে, সেখানে আইসিটি অ্যাক্টের অধ্যাদেশ প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করতেই আজ রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি মিটিং।’

আজ শনিবার বিকেলে যশোরের কেশবপুর পাথরা পল্লি উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪২ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টের পতনে তাদের (ভারতের) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সে কারণে তারা আমাদের কয়েকটি মিডিয়ার সম্প্রচার সে দেশে বন্ধ করেছে। আমরা তা করতে চাই না। আমরা অনেক দিন থেকে দেখছি, তারা আমাদের নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নেই, বরং জোরে কথা বলে নাটক করে বিনোদন দেওয়াটা যেন তাদের সাংবাদিকতা। সে ক্ষেত্রে আমাদের সাংবাদিকতা অনেক দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের যে মিডিয়াগুলো বন্ধ করা হয়েছে, তারা অনেক ভালো নিউজ করে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

কিছু মিডিয়া স্বৈরাচারী শাসকের টুলস ছিল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘বিগত সময়ে কিছু কিছু মিডিয়া মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। বিরোধী দলের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। অনেক মিডিয়া আওয়ামী লীগের টুলস হিসেবে কাজ করেছে। এখন আমরা চাই, আমাদের সাংবাদিকতা দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয় হোক। তাতে মিডিয়ার লাভ। কেননা সামনে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে, তখন স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারবেন। এখনই আপনারা আপনাদের জায়গা গড়ে নেন।’

ভুয়া মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে কোনো মামলা দিয়ে হয়রানি করতে বিশ্বাসী না। আমরা কি কোনো মামলা দিচ্ছি, মামলা তো দিচ্ছে রাজনৈতিক দল। আমাদের সরকার বলে দিয়েছে, তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কাউকে কোনো হয়রানি করা আমাদের কোনো উদ্দেশ্য নয়।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সদস্য ও পাথরা পল্লি উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এস এম রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন।

এর আগে ‘এসো মিলি প্রাণের টানে, সম্প্রীতির বাঁধনে’ স্লোগানে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাঁদের লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাঁদের ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।

পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উৎসবের আবহ বিরাজ করছে। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এলাকায় এসেছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রাক্তনীরা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ছিলেন বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। এলাকার সাধারণ মানুষও এই উৎসবে শামিল হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুশিয়ারায় গোসল করতে নেমে নারী নিখোঁজ

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি 
কুশিয়ারা নদী। ছবি: সংগৃহীত
কুশিয়ারা নদী। ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে হাসিনা আক্তার বুলু (২২) নামের এক নারী নিখোঁজ হয়েছেন।

আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের রাণীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ ওই নারী রাণীনগর গ্রামের তামিম মিয়ার স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ বেলা ১টার দিকে ওই গৃহবধূ বসতবাড়ির পাশে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যান। এর পর থেকে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও উদ্ধার করতে পারেননি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ করছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর উদ্দিন বলেন, স্থানীয়ভাবে ওই গৃহবধূকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উদীচী ট্র্যাজেডি দিবসে ৩ মিনিট স্তব্ধ নেত্রকোনা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনায় উদীচী কার্যালয়ে বোমা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নেত্রকোনায় উদীচী কার্যালয়ে বোমা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ ৮ ডিসেম্বর, নেত্রকোনা ট্র্যাজেডি দিবস। দুই দশক আগে ২০০৫ সালের এই দিনে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী নেত্রকোনা কার্যালয়ের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলা করে জঙ্গিসংগঠন জেএমবি। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আজ সোমবার ১০টা ৪০ মিনিট থেকে তিন মিনিট ‘স্তব্ধ নেত্রকোনা’ কর্মসূচি পালিত হয়।

নেত্রকোনা ট্র্যাজেডি দিবস উদ্‌যাপন কমিটি এই কর্মসূচি দেয়।

কর্মসূচি অনুযায়ী, ঘড়ির কাটায় ১০টা ৪০ বাজার সঙ্গে সঙ্গে নেত্রকোনাবাসী তিন মিনিট নীরবতা পালন করেন। এ সময় শহরের রাস্তায় যানবাহনগুলো দাঁড়িয়ে থাকে, হাঁটেননি কোনো পথচারীও। দোকানিরাও এ সময় নেমে আসেন রাস্তায়। তাঁরা শ্রদ্ধা জানান ২০ বছর আগে নেত্রকোনা উদীচীতে বোমা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি। পাশাপাশি ঘৃণা জানানো হয় জঙ্গিগোষ্ঠীকে।

দিনটি উপলক্ষে আজ সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জেলা শহরের উদীচী কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ, উদীচী ট্র্যাজেডি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্মৃতিচারণ ও গণসংগীত হয়। সেখানে মানব না এই বন্ধনে, তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর, কারা মোর ঘর ভেঙেছে, এ লড়াই বাঁচার লড়াই, প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য ইত্যাদি গণসংগীত গান শিল্পীরা। এ সময় ট্র্যাজেডি দিবস উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উদীচীর সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা উদীচীর সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, প্রবীণ সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল, বোমা হামলায় আহত সংস্কৃতিকর্মী তুষার কান্তি রায়, জেলা উদীচীর সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান, গবেষক আলী আহাম্মদ খান আইয়োব, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন পরিষদ নেত্রকোনা শাখার সভাপতি পূরবী কুণ্ডু, কবি এনামূল হক পলাশ, নারী নেত্রী কোহিনূর বেগম, নারী প্রগতির কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মৃণাল চক্রবর্তী, প্রথম আলোর প্রতিনিধি পল্লব চক্রবর্তী প্রমুখ। পরে তিন মিনিট ‘স্তব্ধ নেত্রকোনা’ কর্মসূচি পালন শেষে সন্ত্রাস, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী মানববন্ধন হয়। শেষে শহীদদের কবর জিয়ারত, শ্মশানের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়।

আজ সমাবেশ চলাকালে নেত্রকোনা উদীচীর সহসভাপতি মাসুদুর রহমান খান বলেন, ‘দ্রুত বিচার ও বিস্ফোরক মামলার রায় কার্যকর হওয়ায় আমরা খুশি। তবে জঙ্গিবাদের মূল উৎপাটন করতে হলে আরও শিকড়ে যেতে হবে। স্থানীয় মদদদাতাদের খুঁজে বের করতে হবে। তা না হলে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নির্মূল সম্ভব হবে না।’

২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী নেত্রকোনা সংসদ কার্যালয়ের সামনে জেএমবির বোমা হামলায় প্রাণ হারান জেলা উদীচীর সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক খাজা হায়দার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদীপ্তা পাল শেলি, মোটরসাইকেল মেকানিকস যাদব দাস, পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী রাণী আক্তার, মাছ বিক্রেতা আফতাব উদ্দিন, শ্রমিক রইছ মিয়া ও ভিক্ষুক জয়নাল। এ ছাড়া বোমা হামলাকারী আল বাকি মো. কাফিও নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক।

এদিকে ঘটনার ২০ বছর পার হলেও এখনো সেই স্মৃতি তাড়া করে বেড়ায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম খাজা হায়দার হোসেনকে হারিয়ে এখনো দিশেহারা তাঁর স্ত্রী শাহানাজ পারভিন। স্বামীর রেখে যাওয়া এক চিলতে জায়গার ওপর একটি টিনের চালাঘরে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে থাকেন তিনি। আর শহরের নিউটাউন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে সুদীপ্তা পাল শেলির পরিবার। একমাত্র উপার্জনক্ষম মেয়েকে হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে দিন পার করছেন মা অরুণা রাণী পাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ: তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে করা মামলায় রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ২০২৩–২৪ সেশনের এক শিক্ষার্থীকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাত উল্লাহ তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার এ নির্দেশ দেন।

কারাগার থেকে ওই শিক্ষার্থীকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীর পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং দুদিনের পুলিশ রিমান্ডে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২৬ নভেম্বর তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে কলেজে নেন এবং বনানী থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘ফারিহা আক্তার’ নামের একটি ফেসবুক আইডি ‘শাহ মাহমুদ’ নামের আরেক ফেসবুক আইডির একটি পোস্টের নিচে মন্তব্য করে। ওই মন্তব্যে নবী মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন, ফারিহা আক্তার নামের আইডিটি নকল এবং সেটি ব্যবহার করতেন ওই শিক্ষার্থী।

ওই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা তাঁকে ক্যাম্পাসে আটক করেন এবং ঘটনাটি কলেজ প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে আসে। সেখানে প্রশাসনের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থী নিজের কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তাঁকে আটকের পর বনানী থানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা হয়।

মামলায় বলা হয়েছে, ওই শিক্ষার্থী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যসহ মুসলিম নারীদের পোশাক ও আচরণ নিয়ে আপত্তিকর কথা লিখতেন ফেসবুকে। এগুলো শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে না, বরং নারীদের মর্যাদাকেও অপমান করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাকসু নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ডহীন আখ্যা দিল ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল

বেরোবি প্রতিনিধি 
ব্রাকসু নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ডহীন আখ্যা দিল ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ এবং মেরুদণ্ডহীন আখ্যা দিয়েছে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী সংসদ। নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় একাধিক ভুলত্রুটি ও এক পক্ষের চাপে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেটে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী সংসদের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বেরোবি শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. মাইদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, শিক্ষার্থীদের বহুল প্রত্যাশিত ব্রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুমোদন হলেও শুরু থেকে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের চরম অযোগ্যতা ও ব্যর্থতার কারণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ আজ হাস্যকর বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের শীতকালীন ছুটির দাবির বিষয়টি পাশ কাটিয়ে একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য গঠনতন্ত্র ও ভোটার তালিকায় অসংখ্য ভুলত্রুটি নিয়ে তড়িঘড়ি করে একটি বিতর্কিত নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ব্যর্থতার দায় নিয়ে দুবার পদত্যাগ ও একবার নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করার পর তারা কথা দিয়েছিল—ভোটার তালিকায় বিদ্যমান ত্রুটিগুলো তারা সংশোধন করে পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

মাইদুল আরও বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এই প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন বিতর্কিত। ত্রুটিগুলো নিয়েই তারা আবারও অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শীতকালীন ছুটির বিষয়টিকে উপেক্ষা করে একটি পক্ষের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য একটি প্রহসনমূলক নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা অনাস্থা প্রকাশ করছি, কারণ, এই কমিশনের সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেওয়ার সক্ষমতা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত