Ajker Patrika

যশোরে আজহারীর মাহফিলে মানুষের ঢল, পদদলিত হয়ে আহত অন্তত ৫

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৪৬
ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত
ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

যশোরে মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে পদদলিত হয়ে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাতে শহরতলি পুলেটহাটের আদ–দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশের এলাকায় তাঁরা পদদলিত হন। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ রাত ১০টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বজলুর রশিদ।

আহতদের স্বজনেরা বলেন, আজ রাতে তাঁরা পুলেটহাটে মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে যাচ্ছিলেন। মাহফিল স্থলের প্রধান ফটকের সামনে যশোর–বেনাপোল মহাসড়কে অতিরিক্ত মানুষের সমাগমে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় সড়কে আগে যাওয়া-আসাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল শুরু হলে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে পড়ে যান। এতে পদদলিত হয়ে তাঁরা আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজন যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাহফিলে দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবীরা জানায়, অন্তত ৩০ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক মৃত্যুর খবরও রটেছে। যদিও এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি।

এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বজলুর রশিদ বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঁচজন ভর্তি হয়েছে।

এদিকে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষ দিনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে। আজহারির আসার খবরে মাহফিল প্রাঙ্গণে লাখখানেক মানুষের সমাগম ঘটে। আজ সকাল থেকে শীত উপেক্ষা করে মানুষের জমায়েত হয়। বিকেল থেকে মাহফিলের স্থান ছাপিয়ে সড়ক, মহাসড়কেও শিশু, নারী, পুরুষের ঢল নামে। দুপুরের পর সড়কে যানজট দেখা দেয়। এ জন্য অনেকে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছায়। সব সড়কের ঢেউ গিয়ে মেশে পুলেরহাটে। সন্ধ্যায় আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহও বক্তব্য দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার সকাল থেকেই যশোর-বেনাপোল, যশোর-ঝিনাইদহ, যশোর-মাগুরা, যশোর-খুলনা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ধরে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শহরতলির পুলেরহাটের অভিমুখে রওনা হয়েছে। দুপুরের পর সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বাড়ে। বাসের পাশাপাশি ট্রাক, মাইক্রো, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে মানুষ গন্তব্যে রওনা হন। এ ছাড়া ট্রেনে চড়েও অনেকে যশোর স্টেশনে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে, যানবাহনে চড়ে অনেকে গন্তব্যে যান। গোটা শহরতলিতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সন্ধ্যার পর পায়ে হাঁটা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়। অনেকেই মূল অনুষ্ঠানে স্থলে পৌঁছাতে পারেনি। দূর থেকেই বক্তব্য শুনতে হয়েছে।

শহরের রেলগেট এলাকায় যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা ইজিবাইকের যাত্রী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আজহারী সাহেব আসছেন শুনে এসেছি। মাহফিলে যাচ্ছি। কিন্তু পথে প্রচণ্ড জ্যামের কারণে আটকে আছি। খুব ধীরে যাচ্ছে যানবাহন। রোডে প্রচুর মানুষের ভিড়।’

যশোরে আজহারীর মাহফিলে মানুষের ঢল। ছবি: সংগৃহীত
যশোরে আজহারীর মাহফিলে মানুষের ঢল। ছবি: সংগৃহীত

লিমন হোসেন নামে এক রিকশা চালক বলেন, ‘চাঁচড়া পুলেরহাটের দিকে রিকশা নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। অনেক লোকের ভিড়। দুপুরের পর থেকে রিকশা নিয়ে ডালমিল পার হতে পারিনি। এখন যাত্রীরা সব হেঁটে যাচ্ছে। রেলগেট পার হলেই আর সামনে আগানো যাচ্ছে না।’

শহর ও শহরতলির প্রায় প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কের চিত্র একই। শহরের চাঁচড়া মোড় থেকে পুলেরহাট অভিমুখে সবচেয়ে বেশি মানুষের ঢল নামে। এসব সড়কের মানুষের ভোগান্তিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিকে মাহফিল উপলক্ষে চার দিনব্যাপী ইসলামী বই মেলা ও প্রদর্শনী করা হয়েছে। মেলায় ২২টি স্টল রয়েছে। একই সঙ্গে শিশুদের জন্য ‘কিডস জোন’ করা হয়েছে।

আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের মানব সম্পদ কর্মকর্তা জাহেদ হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন শুধু ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেনি। এখানে ইসলামী কৃষ্টি কালচার তুলে ধরা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় পাকিস্তানি গৃহবধূর পাসপোর্ট কেড়ে নেন স্বামী-শাশুড়ি, আটকে রেখে করতেন নির্যাতন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতন ও আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন এক পাকিস্তানি নারী। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। গতকাল রোববার বিকেলে দারুসসালাম থানার লালকুঠি বড় বাজার এলাকা থেকে ওই নারী ফোন করে অভিযোগ জানান।

আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রোববার বিকেলে লালকুঠির বড় বাজার এলাকার বাসুপাড়া থেকে একজন ইংরেজিভাষী নারী ৯৯৯-এ ফোন করেন। তিনি জানান, তিনি পাকিস্তানের নাগরিক এবং তাঁর তিন মাস বয়সী এক সন্তান রয়েছে।

ওই নারী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী নোবেল আহমেদ (২৭) ও শাশুড়ি প্রায় প্রতিদিন তাঁকে মারধর করেন এবং একটি কক্ষে আটকে রাখেন। তিনি বলেন, ‘আমি অনেকটা বন্দিজীবনের মতো অবস্থায় আছি।’

ওই নারী আরও জানান, তাঁর পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং তিনি পাকিস্তানে ফিরে যেতে চান। পরে ৯৯৯-এর ইংরেজি ডেস্কের কলটেকার কনস্টেবল সুমাইয়া জাহান ও প্লাবন দেব বিষয়টি দ্রুত দারুসসালাম থানায় জানান। তদারক করছিলেন ডিসপাচার এসআই বিরেন চন্দ্র দাশ।

নারীটি সঠিক ঠিকানা জানাতে না পারলেও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁর অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর দারুসসালাম থানার একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৫ বছর বয়সী ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই নারীর ননদ ও স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্য থানায় উপস্থিত হয়ে ওই নারীর পাসপোর্ট ফেরত দেন। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, তিন মাস বয়সী শিশুটির পাসপোর্ট তৈরি করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে মা-ছেলেকে পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

পুলিশ জানায়, পরে ওই নারী নিজ ইচ্ছায় তাঁর ননদের জিম্মায় ফিরে যান এবং কোনো লিখিত অভিযোগ দিতে রাজি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাম দলগুলোর হুঁশিয়ারি

বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে হরতাল ও যমুনা ঘেরাও

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা সমাবেশ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করে। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনসংলগ্ন জিপিও মোড়ে। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা সমাবেশ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করে। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনসংলগ্ন জিপিও মোড়ে। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল এবং মোংলা বন্দর কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ও দেশবিরোধী চুক্তি থেকে ফিরে না এলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশের বামপন্থী দলগুলোর দুটি জোটের নেতারা। এরই মধ্যে আগামী ৮ নভেম্বর চট্টগ্রামে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনসংলগ্ন জিপিও মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল-পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অভিমুখে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা। এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শুরু করেন দুই জোটের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে গেলে জিপিও মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে সেখানেই সমাবেশ করেন তাঁরা।

সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, বিদেশি সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। তার অংশ হিসেবে সরকার ঘোষণা করেছে, চট্টগ্রামের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল এবং মোংলা বন্দর কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়া হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই সে চুক্তি সম্পাদন তাঁরা করতে চান। শেখ হাসিনার সরকার ভারতের স্বার্থ রক্ষা করত। সে কারণেই তাকে উচ্ছেদের জন্য গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে ইজারা দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। তার অংশ হিসেবে বন্দর ইজারা দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে।

সরকারকে হুঁশিয়ার করে বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, এখনো সময় আছে। দেশবিরোধী চুক্তি থেকে ফিরে না এলে এ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে সরকারের বিরুদ্ধে আরেকটি গণ-অভ্যুত্থান হবে।

বজলুর রশীদ জানান, সরকার বর্তমান সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে আগামী ৮ নভেম্বর বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চাসহ অপরাপর বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলো চট্টগ্রামে সমাবেশ করবে। এরপরও সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন-হরতাল, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, বাম গণতান্ত্রিক দলগুলোর একজন নেতা-কর্মী জীবিত থাকতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে কোনোভাবেই বিকিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।

গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ডিপি ওয়ার্ল্ড বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পেয়েছিল, সেখানে তাদের অনেক বদনাম হয়েছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ। উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন ও রুহিন হোসেন প্রিন্স।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, বঙ্গোপসাগর আজ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের একটা যুদ্ধক্ষেত্রের মহড়া দেওয়ার জায়গা হিসেবে তৈরি হচ্ছে। আর বাংলাদেশকে সে যুদ্ধক্ষেত্রের একটা পটভূমি তৈরি করার কাজ করছে বর্তমান ইউনূস সরকার। বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব নানা ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়বে। এই সরকারের সে এখতিয়ার নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাউজানে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবির। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবির। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের রাউজানে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।

গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবির রাউজান থানার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে অস্ত্র মামলার আসামি হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরীর ডবলমুরিং থানার অস্ত্র মামলায় হুমায়ুন কবির দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাঁকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিতে অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে: সারজিস

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এনসিপির সাংগঠনিক সমন্বয় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এনসিপির সাংগঠনিক সমন্বয় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক না দিতে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এনসিপির সাংগঠনিক সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সারজিস আলম বলেন, যে রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের শর্ত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেবে, জুলাই শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ও পুনর্বাসন করবে, আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রশ্নে আপসহীন থাকবে, সেই দলের সঙ্গে এনসিপির অ্যালায়েন্স হতে পারে।

সারজিস আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া-পাওয়া শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক হতে পারে না। আমরাও চাই, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের জন্য নির্বাচন হোক, ফেব্রুয়ারিতে হলেও এনসিপির সমস্যা নেই।’

এনসিপি নেতা বলেন, ‘অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারী আচরণ এনসিপি ও এই তরুণ প্রজন্ম মেনে নেবে না। আইনগত বাধা না থাকা সত্ত্বেও এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিতে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে। বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে।

‘আমরা স্পষ্ট বলেছি, যেহেতু কোনো আইনগত বাধা নেই, আমরা আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রতীক হিসেবে শাপলাকে এনসিপির জন্য চাই এবং শাপলা প্রতীক নিয়েই আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব। আমরা ৬৪ জেলা ও ৪৯৫টি উপজেলায় একযোগে আন্দোলনের মাধ্যমে শাপলা আদায় করে নেব।’

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এই সংগঠক বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করিনি। কারণ, যেই জুলাই সনদের এখন পর্যন্ত আইনগত ভিত্তি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়, যেই জুলাই সনদে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কারগুলোর নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া রয়েছে, সেগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিশ্চিত না করে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিতে পারে না।’

সারজিস আলম আরও বলেন, গণভোটে জুলাই সনদ পাস হয়ে গেলে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে সরকার বাধ্য থাকবে কি না, প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরে এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দিকে যাবে কি না—এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার আগপর্যন্ত এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে পারে না। এনসিপি সেটা করেনি, এনসিপি নিজেদের মেরুদণ্ড সোজা রেখেছে।

টাঙ্গাইল জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেলের সভাপতিত্বে সভায় দলের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দারসহ জেলা-উপজেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত