যশোর প্রতিনিধি
যশোরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ তুলে দেশ ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িত মালিক ও চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত প্রসূতি তাজরিন সুলতানার চাচা আবদুল আলিম।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল আলিমের অভিযোগ, গত ১৬ মে প্রসূতি তাজরিন সুলতানা রুকুকে দেশ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৭ মে ভোরে চিকিৎসক সন্দীপ কুমার পাল ওরফে এসকে পাল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমের তাজরিনের কন্যা সন্তান জন্ম হয়। ১৮ মে সকাল থেকে প্রসূতি অস্বাভাবিক পেট ফোলা শুরু হয়। বিকেলে ডা. শাহীন কবির এসে রোগী দেখে নার্সদের বলেন, ‘রোগীর পেটে গ্যাস হচ্ছে। সব ওষুধ পাল্টে দাও।’ নতুন ওষুধ খাওয়ার রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়। রাতে ডা. সন্দীপ পালকে রোগীর অবস্থা জানানো হয়।
আবদুল আলিম আরও বলেন, ‘চিকিৎসক সন্দীপ পাল এসে বলেন, ‘‘রোগী ভালো আছে, টেনশনের কারণ নেই।’’ পরে আবার রোগীর অবস্থা জানাতে গেলে চিকিৎসক সন্দীপ পাল ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনদের মারতে আসেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘‘রোগীর ডায়রিয়ার লক্ষণ।’’ ওই অবস্থায় ১৯ মে দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ ক্লিনিকে এলে আমরা তাকে রোগীর কাছে নিয়ে যাই। তিনি এসে বলেন, ‘‘এই কলেরার স্যালাইন কে দিয়েছেন? বলেই তিনি নিজেই টেনে স্যালাইন খুলে ফেলেন। তখন আমরা বলি, ডা. স্যার দিয়েছেন। এই ওষুধ খাওয়ানোর পর রোগী আর কথা বলতে পারছে না। রাজু আহমেদ আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন।’
একপর্যায়ে তড়িঘড়ি করে রোগী রেফার্ড করে দেয় দেশ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। ২০ মে ভোরে খুলনা সিটি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মারা যায়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ২৯ মে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ, ডাক্তার সন্দীপ পালসহ চারজনের নামে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি সদর আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। মামলা তুলে নিতে বিবাদী পক্ষের লোকজন নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অভিযুক্ত ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারা যাওয়া রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করলেই তো আমরা অপরাধী নয়। রোগীর রিপোর্ট অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দিয়েছে। এখানে যদি চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি থাকে; সেটা স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তে উঠে আসবে। তারা যেহেতু তদন্ত রির্পোট দেয়নি; তাহলে আমাদের ঢালাও ভাবে অভিযোগ দেওয়া ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই অসুস্থ; আমি কাউকে হুমকি দিব কীভাবে? শুনেছি আদালতে ভুক্তভোগীরা মামলা করেছে; আদালতেই বিচার করবে।’
এ বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীর যিনি সিজার করেছেন; সেই ডাক্তার সার্জারির ওপরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী নয়। আবার অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা যখন অবনতি হয়; তখন ডাক্তার তার চিকিৎসার অবহেলা করেছে। তদন্ত রিপোর্ট এখনো আসেনি; তবে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি চিকিৎসকের গাফিলতি রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ তুলে দেশ ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িত মালিক ও চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত প্রসূতি তাজরিন সুলতানার চাচা আবদুল আলিম।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল আলিমের অভিযোগ, গত ১৬ মে প্রসূতি তাজরিন সুলতানা রুকুকে দেশ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৭ মে ভোরে চিকিৎসক সন্দীপ কুমার পাল ওরফে এসকে পাল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমের তাজরিনের কন্যা সন্তান জন্ম হয়। ১৮ মে সকাল থেকে প্রসূতি অস্বাভাবিক পেট ফোলা শুরু হয়। বিকেলে ডা. শাহীন কবির এসে রোগী দেখে নার্সদের বলেন, ‘রোগীর পেটে গ্যাস হচ্ছে। সব ওষুধ পাল্টে দাও।’ নতুন ওষুধ খাওয়ার রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়। রাতে ডা. সন্দীপ পালকে রোগীর অবস্থা জানানো হয়।
আবদুল আলিম আরও বলেন, ‘চিকিৎসক সন্দীপ পাল এসে বলেন, ‘‘রোগী ভালো আছে, টেনশনের কারণ নেই।’’ পরে আবার রোগীর অবস্থা জানাতে গেলে চিকিৎসক সন্দীপ পাল ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনদের মারতে আসেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘‘রোগীর ডায়রিয়ার লক্ষণ।’’ ওই অবস্থায় ১৯ মে দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ ক্লিনিকে এলে আমরা তাকে রোগীর কাছে নিয়ে যাই। তিনি এসে বলেন, ‘‘এই কলেরার স্যালাইন কে দিয়েছেন? বলেই তিনি নিজেই টেনে স্যালাইন খুলে ফেলেন। তখন আমরা বলি, ডা. স্যার দিয়েছেন। এই ওষুধ খাওয়ানোর পর রোগী আর কথা বলতে পারছে না। রাজু আহমেদ আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন।’
একপর্যায়ে তড়িঘড়ি করে রোগী রেফার্ড করে দেয় দেশ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। ২০ মে ভোরে খুলনা সিটি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মারা যায়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ২৯ মে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ, ডাক্তার সন্দীপ পালসহ চারজনের নামে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি সদর আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। মামলা তুলে নিতে বিবাদী পক্ষের লোকজন নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অভিযুক্ত ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারা যাওয়া রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করলেই তো আমরা অপরাধী নয়। রোগীর রিপোর্ট অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দিয়েছে। এখানে যদি চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি থাকে; সেটা স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তে উঠে আসবে। তারা যেহেতু তদন্ত রির্পোট দেয়নি; তাহলে আমাদের ঢালাও ভাবে অভিযোগ দেওয়া ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই অসুস্থ; আমি কাউকে হুমকি দিব কীভাবে? শুনেছি আদালতে ভুক্তভোগীরা মামলা করেছে; আদালতেই বিচার করবে।’
এ বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীর যিনি সিজার করেছেন; সেই ডাক্তার সার্জারির ওপরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী নয়। আবার অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা যখন অবনতি হয়; তখন ডাক্তার তার চিকিৎসার অবহেলা করেছে। তদন্ত রিপোর্ট এখনো আসেনি; তবে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি চিকিৎসকের গাফিলতি রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোর প্রতিনিধি
যশোরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ তুলে দেশ ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িত মালিক ও চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত প্রসূতি তাজরিন সুলতানার চাচা আবদুল আলিম।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল আলিমের অভিযোগ, গত ১৬ মে প্রসূতি তাজরিন সুলতানা রুকুকে দেশ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৭ মে ভোরে চিকিৎসক সন্দীপ কুমার পাল ওরফে এসকে পাল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমের তাজরিনের কন্যা সন্তান জন্ম হয়। ১৮ মে সকাল থেকে প্রসূতি অস্বাভাবিক পেট ফোলা শুরু হয়। বিকেলে ডা. শাহীন কবির এসে রোগী দেখে নার্সদের বলেন, ‘রোগীর পেটে গ্যাস হচ্ছে। সব ওষুধ পাল্টে দাও।’ নতুন ওষুধ খাওয়ার রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়। রাতে ডা. সন্দীপ পালকে রোগীর অবস্থা জানানো হয়।
আবদুল আলিম আরও বলেন, ‘চিকিৎসক সন্দীপ পাল এসে বলেন, ‘‘রোগী ভালো আছে, টেনশনের কারণ নেই।’’ পরে আবার রোগীর অবস্থা জানাতে গেলে চিকিৎসক সন্দীপ পাল ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনদের মারতে আসেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘‘রোগীর ডায়রিয়ার লক্ষণ।’’ ওই অবস্থায় ১৯ মে দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ ক্লিনিকে এলে আমরা তাকে রোগীর কাছে নিয়ে যাই। তিনি এসে বলেন, ‘‘এই কলেরার স্যালাইন কে দিয়েছেন? বলেই তিনি নিজেই টেনে স্যালাইন খুলে ফেলেন। তখন আমরা বলি, ডা. স্যার দিয়েছেন। এই ওষুধ খাওয়ানোর পর রোগী আর কথা বলতে পারছে না। রাজু আহমেদ আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন।’
একপর্যায়ে তড়িঘড়ি করে রোগী রেফার্ড করে দেয় দেশ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। ২০ মে ভোরে খুলনা সিটি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মারা যায়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ২৯ মে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ, ডাক্তার সন্দীপ পালসহ চারজনের নামে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি সদর আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। মামলা তুলে নিতে বিবাদী পক্ষের লোকজন নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অভিযুক্ত ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারা যাওয়া রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করলেই তো আমরা অপরাধী নয়। রোগীর রিপোর্ট অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দিয়েছে। এখানে যদি চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি থাকে; সেটা স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তে উঠে আসবে। তারা যেহেতু তদন্ত রির্পোট দেয়নি; তাহলে আমাদের ঢালাও ভাবে অভিযোগ দেওয়া ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই অসুস্থ; আমি কাউকে হুমকি দিব কীভাবে? শুনেছি আদালতে ভুক্তভোগীরা মামলা করেছে; আদালতেই বিচার করবে।’
এ বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীর যিনি সিজার করেছেন; সেই ডাক্তার সার্জারির ওপরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী নয়। আবার অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা যখন অবনতি হয়; তখন ডাক্তার তার চিকিৎসার অবহেলা করেছে। তদন্ত রিপোর্ট এখনো আসেনি; তবে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি চিকিৎসকের গাফিলতি রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ তুলে দেশ ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িত মালিক ও চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত প্রসূতি তাজরিন সুলতানার চাচা আবদুল আলিম।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল আলিমের অভিযোগ, গত ১৬ মে প্রসূতি তাজরিন সুলতানা রুকুকে দেশ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৭ মে ভোরে চিকিৎসক সন্দীপ কুমার পাল ওরফে এসকে পাল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমের তাজরিনের কন্যা সন্তান জন্ম হয়। ১৮ মে সকাল থেকে প্রসূতি অস্বাভাবিক পেট ফোলা শুরু হয়। বিকেলে ডা. শাহীন কবির এসে রোগী দেখে নার্সদের বলেন, ‘রোগীর পেটে গ্যাস হচ্ছে। সব ওষুধ পাল্টে দাও।’ নতুন ওষুধ খাওয়ার রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়। রাতে ডা. সন্দীপ পালকে রোগীর অবস্থা জানানো হয়।
আবদুল আলিম আরও বলেন, ‘চিকিৎসক সন্দীপ পাল এসে বলেন, ‘‘রোগী ভালো আছে, টেনশনের কারণ নেই।’’ পরে আবার রোগীর অবস্থা জানাতে গেলে চিকিৎসক সন্দীপ পাল ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনদের মারতে আসেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘‘রোগীর ডায়রিয়ার লক্ষণ।’’ ওই অবস্থায় ১৯ মে দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ ক্লিনিকে এলে আমরা তাকে রোগীর কাছে নিয়ে যাই। তিনি এসে বলেন, ‘‘এই কলেরার স্যালাইন কে দিয়েছেন? বলেই তিনি নিজেই টেনে স্যালাইন খুলে ফেলেন। তখন আমরা বলি, ডা. স্যার দিয়েছেন। এই ওষুধ খাওয়ানোর পর রোগী আর কথা বলতে পারছে না। রাজু আহমেদ আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন।’
একপর্যায়ে তড়িঘড়ি করে রোগী রেফার্ড করে দেয় দেশ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। ২০ মে ভোরে খুলনা সিটি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মারা যায়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ২৯ মে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ, ডাক্তার সন্দীপ পালসহ চারজনের নামে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি সদর আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। মামলা তুলে নিতে বিবাদী পক্ষের লোকজন নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অভিযুক্ত ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারা যাওয়া রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করলেই তো আমরা অপরাধী নয়। রোগীর রিপোর্ট অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দিয়েছে। এখানে যদি চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি থাকে; সেটা স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তে উঠে আসবে। তারা যেহেতু তদন্ত রির্পোট দেয়নি; তাহলে আমাদের ঢালাও ভাবে অভিযোগ দেওয়া ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই অসুস্থ; আমি কাউকে হুমকি দিব কীভাবে? শুনেছি আদালতে ভুক্তভোগীরা মামলা করেছে; আদালতেই বিচার করবে।’
এ বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীর যিনি সিজার করেছেন; সেই ডাক্তার সার্জারির ওপরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী নয়। আবার অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা যখন অবনতি হয়; তখন ডাক্তার তার চিকিৎসার অবহেলা করেছে। তদন্ত রিপোর্ট এখনো আসেনি; তবে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি চিকিৎসকের গাফিলতি রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ২৯ মে শহরের কয়ানিজপাড়ার ফারুক হোসেন ও মুক্তা বানু দম্পতির বাড়িতে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ দুটি মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মাদক কারবারি দম্পতিকে। ঘটনার ১৪৬ দিন পর বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে জব্দ করা মোটরসাইকেলটি...
১০ মিনিট আগেহাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগেফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাদক কারবারি দম্পতিসহ জব্দ করা একটি মোটরসাইকেল ছয় মাস পর থানার বাইরে নিয়ে বিক্রির চেষ্টা করা হয়। পরে মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকের স্বজনদের সহায়তায় সেটি উদ্ধার করে ফের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ এলাকার পশ্চিমপাড়া থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় জনমনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে শহরের কয়ানিজপাড়ার ফারুক হোসেন ও মুক্তা বানু দম্পতির বাড়িতে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ দুটি মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মাদক ব্যবসায়ী দম্পতিকে। ঘটনার ১৪৬ দিন পর বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে জব্দ করা মোটরসাইকেলটি থানার বাইরে বিক্রির চেষ্টা করে একটি চক্র। এ সময় মোটরসাইকেলের মালিকের স্বজনেরা যৌথ বাহিনীর অভিযানে জব্দ করা মোটরসাইকেল হিসেবে চিহ্নিত করেন।
এ বিষয়ে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার মুক্তার ভাই আতিক হাসান বলেন, ‘আমার বোন ও তার স্বামীকে যৌথ বাহিনী মাদকসহ আটক করে। তখন তাদের মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়। বুধবার রাতে একজন ফোনে জানায়, মোটরসাইকেলটি থানার প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে মতির মোড়ে বিক্রি করার চেষ্টা হচ্ছে। আমি গিয়ে কাগজপত্র মিলিয়ে দেখি সেটি আমার বোনজামাইয়ের। এরপর পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়।’
স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যৌথ বাহিনী ওই দম্পতিকে মাদকসহ আটক করে এবং মোটরসাইকেলটি জব্দ করে নিয়ে যায়। কিন্তু থানার মালখানায় মোটরসাইকেলটি থাকার কথা। পরে সেটি থানার বাইরে পাওয়া গেল, এটা প্রশাসনের দুর্বলতা ছাড়া কিছু নয়।’
এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাদক কারবারি দম্পতিসহ জব্দ করা একটি মোটরসাইকেল ছয় মাস পর থানার বাইরে নিয়ে বিক্রির চেষ্টা করা হয়। পরে মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকের স্বজনদের সহায়তায় সেটি উদ্ধার করে ফের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ এলাকার পশ্চিমপাড়া থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় জনমনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে শহরের কয়ানিজপাড়ার ফারুক হোসেন ও মুক্তা বানু দম্পতির বাড়িতে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ দুটি মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মাদক ব্যবসায়ী দম্পতিকে। ঘটনার ১৪৬ দিন পর বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে জব্দ করা মোটরসাইকেলটি থানার বাইরে বিক্রির চেষ্টা করে একটি চক্র। এ সময় মোটরসাইকেলের মালিকের স্বজনেরা যৌথ বাহিনীর অভিযানে জব্দ করা মোটরসাইকেল হিসেবে চিহ্নিত করেন।
এ বিষয়ে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার মুক্তার ভাই আতিক হাসান বলেন, ‘আমার বোন ও তার স্বামীকে যৌথ বাহিনী মাদকসহ আটক করে। তখন তাদের মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়। বুধবার রাতে একজন ফোনে জানায়, মোটরসাইকেলটি থানার প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে মতির মোড়ে বিক্রি করার চেষ্টা হচ্ছে। আমি গিয়ে কাগজপত্র মিলিয়ে দেখি সেটি আমার বোনজামাইয়ের। এরপর পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়।’
স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যৌথ বাহিনী ওই দম্পতিকে মাদকসহ আটক করে এবং মোটরসাইকেলটি জব্দ করে নিয়ে যায়। কিন্তু থানার মালখানায় মোটরসাইকেলটি থাকার কথা। পরে সেটি থানার বাইরে পাওয়া গেল, এটা প্রশাসনের দুর্বলতা ছাড়া কিছু নয়।’
এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ তুলে দেশ ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িত মালিক ও চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত প্রসূতি তাজরিন সুলতানার চাচা আবদুল আলিম।
২৬ অক্টোবর ২০২৪হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগেফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে বন্ধুরা ওই যুবককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ভোরে খবর আসে, জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাটিতে একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে আহত ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কেউ বলতে পারেনি।
অপর দিকে হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ। তখন তাঁর পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে দ্রুত ট্রমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে বন্ধুরা ওই যুবককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ভোরে খবর আসে, জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাটিতে একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে আহত ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কেউ বলতে পারেনি।
অপর দিকে হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ। তখন তাঁর পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে দ্রুত ট্রমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ তুলে দেশ ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িত মালিক ও চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত প্রসূতি তাজরিন সুলতানার চাচা আবদুল আলিম।
২৬ অক্টোবর ২০২৪গত ২৯ মে শহরের কয়ানিজপাড়ার ফারুক হোসেন ও মুক্তা বানু দম্পতির বাড়িতে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ দুটি মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মাদক কারবারি দম্পতিকে। ঘটনার ১৪৬ দিন পর বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে জব্দ করা মোটরসাইকেলটি...
১০ মিনিট আগেজামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগেফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা। এসব গর্তে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে যায়। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।
জামালপুর পৌরসভার ৪, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়া, বোষপাড়া, ডাকপাড়াসহ বেশ কয়েকটি রাস্তা খানাখন্দে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ছাত্র-ছাত্রী আর রোগীদের অসুবিধা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। পৌরসভার মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়াসহ বিভিন্ন সড়ক জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা কষ্টকর।
কাচারীপাড়ার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অবস্থা এমন হয়েছে যে মনে হয় নর্দমায় বসবাস করছি। একটু বৃষ্টি হলে হাঁটুসমান পানিতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক হিসেবে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে থাকি; কিন্তু নাগরিক সুবিধা তো দেখি না।’
সরদারপাড়া এলাকার সামসুন নাহার বলেন, ‘বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। রিকশা ও অটোরিকশা খানাখন্দে পড়ে উল্টে যায়। অনেকের হাত-পা ভেঙেছে। পৌরসভার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। রাতে বাতি থাকে না। পৌরসভার প্রায় এলাকায় চুরি হচ্ছে অহরহ।’ রাস্তা মেরামত করে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে পিচের রাস্তাগুলো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পৌরসভার রাস্তাঘাটের ওপর পড়েছে। যেসব রাস্তা নষ্ট হচ্ছে, সেগুলোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে অভিযোগ এসেছে।
আব্দুল্লাহ বিন রশিদ আরও বলেন, ‘আমরা প্রকৌশলীকে প্রাক্কলন (এস্টিমেট) তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। যদি পৌরসভার বাজেট দিয়ে সম্ভব হয়, তাহলে দ্রুত কাজ শুরু করব। অথবা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বরাদ্দ এখনো আসেনি। বরাদ্দ আসামাত্র নিয়মিত বাজেটের মধ্যে এগুলো করার চেষ্টা করব।’
জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা। এসব গর্তে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে যায়। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।
জামালপুর পৌরসভার ৪, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়া, বোষপাড়া, ডাকপাড়াসহ বেশ কয়েকটি রাস্তা খানাখন্দে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ছাত্র-ছাত্রী আর রোগীদের অসুবিধা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। পৌরসভার মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়াসহ বিভিন্ন সড়ক জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা কষ্টকর।
কাচারীপাড়ার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অবস্থা এমন হয়েছে যে মনে হয় নর্দমায় বসবাস করছি। একটু বৃষ্টি হলে হাঁটুসমান পানিতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক হিসেবে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে থাকি; কিন্তু নাগরিক সুবিধা তো দেখি না।’
সরদারপাড়া এলাকার সামসুন নাহার বলেন, ‘বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। রিকশা ও অটোরিকশা খানাখন্দে পড়ে উল্টে যায়। অনেকের হাত-পা ভেঙেছে। পৌরসভার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। রাতে বাতি থাকে না। পৌরসভার প্রায় এলাকায় চুরি হচ্ছে অহরহ।’ রাস্তা মেরামত করে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে পিচের রাস্তাগুলো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পৌরসভার রাস্তাঘাটের ওপর পড়েছে। যেসব রাস্তা নষ্ট হচ্ছে, সেগুলোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে অভিযোগ এসেছে।
আব্দুল্লাহ বিন রশিদ আরও বলেন, ‘আমরা প্রকৌশলীকে প্রাক্কলন (এস্টিমেট) তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। যদি পৌরসভার বাজেট দিয়ে সম্ভব হয়, তাহলে দ্রুত কাজ শুরু করব। অথবা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বরাদ্দ এখনো আসেনি। বরাদ্দ আসামাত্র নিয়মিত বাজেটের মধ্যে এগুলো করার চেষ্টা করব।’
যশোরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ তুলে দেশ ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িত মালিক ও চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত প্রসূতি তাজরিন সুলতানার চাচা আবদুল আলিম।
২৬ অক্টোবর ২০২৪গত ২৯ মে শহরের কয়ানিজপাড়ার ফারুক হোসেন ও মুক্তা বানু দম্পতির বাড়িতে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ দুটি মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মাদক কারবারি দম্পতিকে। ঘটনার ১৪৬ দিন পর বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে জব্দ করা মোটরসাইকেলটি...
১০ মিনিট আগেহাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
১ ঘণ্টা আগেফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগেমো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)
ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়কের দুই পাশ, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা এবং বাড়িঘরের আশপাশে এখন সৌন্দর্য বিলাচ্ছে ছাতিম ফুল। সন্ধ্যা নামলেই এই ফুলের ঘ্রাণে যেন মাতোয়ারা হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ। গাছের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঝরা ফুল পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। আগে এই এলাকায় অনেক ছাতিমগাছ ছিল, এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।’
আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে গ্রামগঞ্জে অনেক ছাতিমগাছ দেখা যেত। এখন সংখ্যা কমে গেছে। তবে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি গাছ আছে, সন্ধ্যার পর আশপাশে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তাবাসসুম বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মন কেড়ে নেওয়ার মতো আকর্ষণীয়। রাত যত বাড়ে, এর ঘ্রাণ তত তীব্র হয়। আমাদের বাড়ির পাশে একটি গাছ আছে, প্রতিবছর এই ফুল ফোটার অপেক্ষায় থাকি।’
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মানুষকে বিমোহিত করে। ফুলের সৌন্দর্যের চেয়ে ঘ্রাণই মানুষকে বেশি টানে। গাছের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ফুল কাছ থেকে দেখা না গেলেও এর গন্ধে বোঝা যায়, গাছজুড়ে ফুল ফুটেছে।’
ইউনানি চিকিৎসকদের তথ্যমতে, ছাতিম ফুলের শুধু সৌন্দর্যই নয়, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণও। জ্বর উপশম, দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় ও পাতলা পায়খানা নিরাময়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, এমনকি চর্মরোগের চিকিৎসায়ও এই গাছের ছাল, পাতা ও কষ ব্যবহৃত হয়। এর ছাল থেকে তৈরি ক্বাথ ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায়ও কার্যকর।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর কোথাও গাছ চোখে না পড়লেও এর গন্ধ জানিয়ে দেয়, আশপাশে ফুটেছে ছাতিম ফুল। এই গাছের ভেষজ গুণও অনেক। তবে দিন দিন এর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ফুলের ঘ্রাণের পাশাপাশি চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে।
বিজ্ঞানসম্মতভাবে ছাতিম গাছের নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলাররিস (Alstonia scholaris)। এটি অ্যাপোসাইনেসি (Apocynaceae) পরিবারভুক্ত বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। ইংরেজিতে এটি ‘ডেভিলস ট্রি’ বা ‘ব্ল্যাকবোর্ড ট্রি’ নামে পরিচিত। বাংলায় পরিচিত নামগুলো হলো—ছাতিম, ছাতিয়ান বা ছাতইন। এর সংস্কৃত নাম হলো সপ্তপর্ণী। এর আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ছাতিমগাছ সাধারণত ২০ থেকে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছের ছাল ধূসর ও অসমতল। সাতটি পাতা একসঙ্গে গুচ্ছ আকারে থাকে। ফুল হালকা ঘিয়ে রঙের ও গুচ্ছাকারে ফোটে। এই গাছের কাঠ ব্ল্যাকবোর্ড, পেনসিল ও কফিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একসময় ব্রাহ্মণপাড়ার সর্বত্র যে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ ভেসে বেড়াত, এখন তা সীমিত। তবু বছরের এই সময়ে সন্ধ্যা নামলে ছাতিম ফুলের সুবাসে এখনো মুগ্ধ হয় ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি ও মানুষ।
ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়কের দুই পাশ, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা এবং বাড়িঘরের আশপাশে এখন সৌন্দর্য বিলাচ্ছে ছাতিম ফুল। সন্ধ্যা নামলেই এই ফুলের ঘ্রাণে যেন মাতোয়ারা হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ। গাছের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঝরা ফুল পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। আগে এই এলাকায় অনেক ছাতিমগাছ ছিল, এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।’
আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে গ্রামগঞ্জে অনেক ছাতিমগাছ দেখা যেত। এখন সংখ্যা কমে গেছে। তবে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি গাছ আছে, সন্ধ্যার পর আশপাশে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তাবাসসুম বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মন কেড়ে নেওয়ার মতো আকর্ষণীয়। রাত যত বাড়ে, এর ঘ্রাণ তত তীব্র হয়। আমাদের বাড়ির পাশে একটি গাছ আছে, প্রতিবছর এই ফুল ফোটার অপেক্ষায় থাকি।’
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মানুষকে বিমোহিত করে। ফুলের সৌন্দর্যের চেয়ে ঘ্রাণই মানুষকে বেশি টানে। গাছের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ফুল কাছ থেকে দেখা না গেলেও এর গন্ধে বোঝা যায়, গাছজুড়ে ফুল ফুটেছে।’
ইউনানি চিকিৎসকদের তথ্যমতে, ছাতিম ফুলের শুধু সৌন্দর্যই নয়, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণও। জ্বর উপশম, দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় ও পাতলা পায়খানা নিরাময়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, এমনকি চর্মরোগের চিকিৎসায়ও এই গাছের ছাল, পাতা ও কষ ব্যবহৃত হয়। এর ছাল থেকে তৈরি ক্বাথ ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায়ও কার্যকর।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর কোথাও গাছ চোখে না পড়লেও এর গন্ধ জানিয়ে দেয়, আশপাশে ফুটেছে ছাতিম ফুল। এই গাছের ভেষজ গুণও অনেক। তবে দিন দিন এর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ফুলের ঘ্রাণের পাশাপাশি চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে।
বিজ্ঞানসম্মতভাবে ছাতিম গাছের নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলাররিস (Alstonia scholaris)। এটি অ্যাপোসাইনেসি (Apocynaceae) পরিবারভুক্ত বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। ইংরেজিতে এটি ‘ডেভিলস ট্রি’ বা ‘ব্ল্যাকবোর্ড ট্রি’ নামে পরিচিত। বাংলায় পরিচিত নামগুলো হলো—ছাতিম, ছাতিয়ান বা ছাতইন। এর সংস্কৃত নাম হলো সপ্তপর্ণী। এর আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ছাতিমগাছ সাধারণত ২০ থেকে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছের ছাল ধূসর ও অসমতল। সাতটি পাতা একসঙ্গে গুচ্ছ আকারে থাকে। ফুল হালকা ঘিয়ে রঙের ও গুচ্ছাকারে ফোটে। এই গাছের কাঠ ব্ল্যাকবোর্ড, পেনসিল ও কফিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একসময় ব্রাহ্মণপাড়ার সর্বত্র যে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ ভেসে বেড়াত, এখন তা সীমিত। তবু বছরের এই সময়ে সন্ধ্যা নামলে ছাতিম ফুলের সুবাসে এখনো মুগ্ধ হয় ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি ও মানুষ।
যশোরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ তুলে দেশ ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িত মালিক ও চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত প্রসূতি তাজরিন সুলতানার চাচা আবদুল আলিম।
২৬ অক্টোবর ২০২৪গত ২৯ মে শহরের কয়ানিজপাড়ার ফারুক হোসেন ও মুক্তা বানু দম্পতির বাড়িতে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ দুটি মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মাদক কারবারি দম্পতিকে। ঘটনার ১৪৬ দিন পর বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে জব্দ করা মোটরসাইকেলটি...
১০ মিনিট আগেহাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগে