Ajker Patrika

মাদারগঞ্জ মডেল থানার সেই এসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি  
এসআই মো. জাহিদুল হাসান। ফাইল ছবি
এসআই মো. জাহিদুল হাসান। ফাইল ছবি

জামালপুরের মাদারগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহিদুল হাসানের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আনীত অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জামালপুর পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পরিদর্শক মো. গোলাম সারোয়ার।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে কাফিউলের ২২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন পার্শ্ববর্তী পূর্ব সুখনগরী গ্রামের মৃত সোলায়মানের ছেলে সানাউল্লাহ। এ নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি সানাউল্লাহকে আসামি দিয়ে কাফিউলের স্ত্রী মেরিনা বেগম জামালপুর আদালতে মামলা করেন। ওই মামলা জামালপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা রয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর আসামি ছানাউল্লাহ মামলা প্রত্যাহার করতে কাফিউলসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি দেন। এ নিয়ে গত ১০ মার্চ সানাউল্লার বিরুদ্ধে আদালতে আরও একটি মামলা করেন মেরিনা বেগম। মামলাটি ইসলামপুর থানা-পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৭ মার্চ কাফিউলের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ টাকা আত্মসাতের মনগড়া অভিযোগ তোলে আদালতে মামলা করেন আসামি সানাউল্লাহ।

তবে কাফিউলের দাবি, মামলায় উল্লিখিত সময় ও তারিখে ঘটনাস্থলে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ডাহা মিথ্যা।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল হাসান মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সানাউল্লাহর পক্ষে আদালতে মনগড়া প্রতিবেদেন দাখিল করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এ নিয়ে ৯ জুলাই আইনগত প্রতিকার চেয়ে ইসলামপুর পৌর শহরের দক্ষিণ দরিয়াবাদ এলাকায় বসবাসকারী ভুক্তভোগী কাফিউল জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। তবে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন অভিযুক্ত এসআই জাহিদুল হাসান।

উল্লেখ্য, ১৫ জুলাই আজকের পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ‘টাকা নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ, এসপির কাছে ভুক্তভোগী’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ হলে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে কাফিউল বলেন, ‘আজ বিকেলে ইসলামপুর থানা-পুলিশের মাধ্যমে একটি নোটিশ পেয়েছি। ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৩ আগস্ট বেলা ১১টায় অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি যথাসময়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে এসআই জাহিদের দুর্নীতির সাক্ষ্য দেব।’

অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জামালপুর পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পরিদর্শক মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘এসআই জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযোগকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় দুই ডাকাত দলের গোলাগুলি, নিহত ১

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় চিংড়ি জোনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম সিরাজুল ইসলাম (৩৭)। তিনি চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে এবং একটি ডাকাত দলের সদস্য। গুলিবিদ্ধ দুজনের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, চকরিয়ার উপকূলীয় চিংড়ি জোনে ডাকাতি, ঘের দখল, চাঁদা উত্তোলন করতেন জাহাঙ্গীর আলম ও নেজাম উদ্দিনের ডাকাত গ্রুপ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আলাদা গ্রুপ তৈরি করেন তাঁরা। এরপর কয়েক দফা দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শনিবার সকাল থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গোলাগুলিতে নেজাম ডাকাত গ্রুপের সদস্য সিরাজসহ আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে সিরাজকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ পর্যন্ত উভয় পক্ষের অন্তত ৮০-৯০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াছিন মিয়া বলেন, চিংড়ি জোন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সওদাগরঘোনা এলাকায় অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে হামলা-সংঘর্ষ, পৌরসভার ৩ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ

ভোলা প্রতিনিধি
পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যান জ্বলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যান জ্বলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভোলা শহরের নতুনবাজারে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পৌরসভার অন্তত ২০ কর্মচারী আহত হন। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আজ শনিবার বিকেলে নতুনবাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ও তার আশপাশে অভিযান চালানোর সময় হকার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করেছে হামলাকারীরা।

পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. ওমর ফারুক বলেন, নতুনবাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও হকাররা পৌরসভার জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা বসিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। বহুবার নোটিশ দেওয়ার পরেও তাঁরা তাঁদের স্থাপনা সরিয়ে নেননি। নোটিশের সর্বশেষ তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েক দিন পর আজ বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন ও হকাররা বিকেলে পৌরসভার কর্মীদের ওপর হামলা চালান। তাঁরা পৌরসভার তিনটি ময়লা বহনকারী পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেন।

পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. শরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রায় শেষ মুহূর্তে বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন ও হকাররা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ অন্তত ২০ জন আহত হই। হামলাকারীরা পৌরসভার তিনটি ময়লা বহনকারী পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পৌরসভার পিকআপ ভ্যানে আগুন জ্বলছিল। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’ ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী শরিফ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বরং আমাদের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দোকান ভেঙে ফেলেছে পৌরসভার লোকজন।’

এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গত ৮-১০ দিন ধরে পৌর এলাকায় বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছিলাম। আজ শনিবার ছিল এ অভিযানের শেষ দিন। যারা অবৈধভাবে পৌরসভার স্থাপনা দখল করেছিল, তারাই শেষ মুহূর্তে ময়লা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।’ এতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে চড়, তদন্ত করছে পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে রুস্তম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর সাত-আট বছর বয়সী মেয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল। তখন ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

পুলিশ দাবি করেছে, এতে তাদের কোনো সদস্য জড়িত নয়। কে শিশুটিকে চড় মেরেছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গত বৃহস্পতিবার ভোরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুই পক্ষের মারামারির সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে মো. জাহিদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হন। সেদিন সন্ধ্যায় সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তখন রুস্তমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুস্তমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে থাকা কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। পরে শিশুটিকে তার বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেন।

অভিযানের সময় সেখানে ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মফিজ উদ্দিন। ঘটনার বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি রুস্তমকে গ্রেপ্তারের পর সেখান থেকে নিয়ে আসছিলাম আমরা। ওখানে পুলিশের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকে ছিলেন। টানাহেঁচড়ার মধ্যে কে চড় মেরেছে, সেটি দেখিনি। আমরা তদন্ত করে সেটা বের করার চেষ্টা করছি।’

পুলিশ জানিয়েছে, মো. জাহিদ হত্যার ঘটনায় করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রুস্তম। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাঁকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় বিভিন্ন মামলার আসামিরা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নানা কৌশল নেয়। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী ও বাচ্চাদের দিয়ে নানা পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়।

ওই ঘটনার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। পুলিশ চড় মারেনি। রুস্তমকে গ্রেপ্তার করার পর মেয়েটি ওর বাবার কাছে এসে কান্না করতে থাকে। তখন ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। কাজটি ঠিক হয়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভ্যানগাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় নারী নিহত

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি  
ট্রাকের ধাক্কায় আহতদের হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ট্রাকের ধাক্কায় আহতদের হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ভ্যানগাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় সিক্ত খাতুন (২৬) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরদিয়া জামরুলতলা এলাকায় বাগেরহাট-রূপসা আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত সিক্ত খাতুন উপজেলার আট্টাকা গ্রামের মৃত কালাম শেখের মেয়ে। এ ঘটনায় ভ্যানচালক শাহাদাৎ হোসেন (৫৫) এবং আরেক ভ্যানযাত্রী শাহেব আলী (৬৫) আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যাত্রীবাহী ভ্যানটি ছোটবাহিরদিয়া জোড়াকবর এলাকা থেকে ফকিরহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিল। ভ্যানটি জামরুলতলা এসে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা রূপসাগামী একটি ট্রাক এটিকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে সিক্ত খাতুন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত দুজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফকিরহাট মডেল থানার ওসি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ার সময় বাহিরদিয়া ক্যাম্প পুলিশ জব্দ করেছে। ট্রাকচালক ও সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত