রাশেদুল ইসলাম রনি, বকশীগঞ্জ (জামালপুর)

ভূতেও এখন পাহাড়ে থাকতে ভয় পায়। দিনের বেলাতেই কাউকে পাওয়া যায় না। সবাই এখন শহরে থাকে। কেউ কাজ কাম করে আবার কেউ পড়াশোনা। আগে অনেক লোক ছিল। এখন পাহাড়ের মধ্যে কোনো নিরাপত্তা নেই। দিনের বেলাও কোনো একটা দুর্ঘটনা হয়ে গেলেও কি হচ্ছে এলাকার মধ্যে তা কেউ বুঝতেই পারবে না। তাই আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। এ ভাবেই কথাগুলো বলছিলেন জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার কামালপুরের পাহাড়ি এলাকা দিঘলাকোনা গ্রামের জয় দাংগো।
শুধু জয় দাংগো নয়, সেই গ্রামের পাহাড়ি জনপদের আরেক বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী পুদি মারাক জানান, সবুজ পাহাড়ের গা ঘেঁষা বাড়িটিতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ছোট একটি সুখের সংসার ছিল তাঁর। সেই ছোট সংসারটি এখন আরও ছোট হয়ে এসেছে। পাহাড়ে কর্মসংস্থান না থাকায় জীবিকার তাগিদে ঢাকায় কাজ করেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা। শেষ জীবনে পাহাড়ের মায়া না ছাড়তে পারাই ছোট বাড়িটিতে এখন একাই থাকেন তিনি। বাড়ির কাজ ও বাগানের পরিচর্যা করেই জীবনের শেষদিনগুলো পার করছেন তিনি।
পুদি মারাক বলেন, ‘আগে আমগরে কত সুখের সংসার ছিল। এখন আমি একাই থাকি। আমার ছেলেমেয়েরা সব বাইরে থাকে। কাজ কাম করে। বছরে দুই একবার আহে। আবার যায়গা। আমি এখন একা মানুষ। কোথায় যামু? পাহাড়ে মায়া ছাড়তে পারতাছিনা। তাই আমার শেষ জীবনটা এখানেই কাটামু।’
বকশিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, কামালপুর ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজার ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বসবাস থাকলেও সেখানে এখন বাস করছেন মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ জন।
সীমান্ত ঘেঁষা এই পাহাড়ি জনপদে শত বছরের অধিক সময় ধরে হাজারো গারো জনগোষ্ঠীর বাস। পাহাড়ে জুমচাষ, ফল, ফুল ও ফসল উৎপাদন করে বিক্রি এবং কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করত এই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর পরিবারগুলো। তবে পাহাড়ে জুমচাষ বন্ধসহ নানা কারণে বনভূমি ব্যবহারে নিষেধ থাকায় কর্মসংস্থানের অভাব দেখা দিয়েছে এসব অঞ্চলে। ফলে জীবিকার তাগিদে পাহাড় ছেড়ে এখন শহরমুখী হচ্ছে আদিবাসী পরিবারের কর্মক্ষম প্রায় প্রতিটি সদস্য।
স্থানীয়দের দাবি, অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী শহরমুখী হওয়ায় এখন ধ্বংসের মুখে বনভূমি। বিলুপ্তির পথে তাঁদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এ ছাড়াও এই অঞ্চলে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তাহীনতা।
পাহাড়ি এলাকা সাতানিপাড়ার বাসিন্দা নপু মারাক নপ্তরীও বলেন, ‘আগে আমাদের কৃষ্টি কালচার যা ছিল তা এখন লালন করতে পারি না। কেন না আমাদের জুমচাষ নেই। পাহাড়ে কাজ নেই। কেউ থাকে না। আগে কিছুদিন পরপর আমাদের এখানে নাচাগানা হতো। এখন বছরে একদিনও কেউ মিল হতে পারি না। এ সমস্ত কারণে আমাদের কৃষ্টি কালচারও সমস্তই বিলুপ্তির পথে।’
ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে বেড়াতে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজেশ খোকশি বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরা পাহাড়ে না থাকার কারণে বিশেষ করে পাহাড় ধ্বংস হচ্ছে। পাহাড় ধ্বংস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীও ক্ষতি হচ্ছে। আদিবাসীদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি কালচার সবগুলোই বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে।
ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর নেতাদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ গ্রামমুখী উন্নয়ন ও বনভূমি ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হলেই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরা আবারও ফিরে আসবে পাহাড়ে। বিলুপ্তি হওয়ার পথ থেকে রক্ষা পাবে তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পিটিশন সাংমা বলেন, এখানে কোনো কর্মসংস্থান নাই। আগে বনে আমরা জুম চাষসহ বিভিন্ন ফসল করতে পারতাম। নানা বিধিনিষেধের কারণে এখন আমরা সেখান থেকে বঞ্চিত। তাই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর প্রতিটি ঘর থেকে লোকজন জীবিকা নির্বাহের জন্য শহরমুখী হচ্ছেন। সরকার যদি আমাদের জন্য বন ব্যবহারের অনুমতি দেয় তাহলে আমরা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী চিরস্থায়ীভাবে আবার আগের মতো বসবাস করতে পারব।
দিঘলাকোনা এলাকার সাধু আন্দ্রে ধর্মপল্লির পুরোহিত ফাদার ডোমিনিক সরকার সিএসসি বলেন, এখানে শিক্ষার সেই ধরনের কোনো সুযোগ নেই। আবার উন্নত জীবনেরও সুযোগ নেই। কোনো চাকরির সেই ধরনের সম্ভাবনাও এখানে নেই। তাই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জনগণেরা শহরে চলে যাচ্ছেন।
ফাদার ডোমিনিক সরকার সিএসসি আরও বলেন, পাহাড়িদের যদি আবার তাঁদের নিজস্বতায় ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে সেখানে প্রয়োজন হবে কর্মসংস্থানের। যদি সরকার চিন্তা করেন গ্রামমুখী উন্নয়ন করার তাহলেই সম্ভব। তাহলে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি এগিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর যারা বকশিগঞ্জে আছেন। তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসন এরই মধ্যে একটি কালচারাল একাডেমিসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি দিয়েছেন। এতে করে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জনগণেরা তাঁদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জনগণের পাশে উপজেলা প্রশাসন সব সময় আছে। তাঁরা যেন আমাদের সঙ্গে মূল ধারায় চলতে পারে। এ ছাড়া দিন দিন পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী সংখ্যা কমে যাওয়াটা কিছুটা চিন্তাজনক। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কাজ করবে।

ভূতেও এখন পাহাড়ে থাকতে ভয় পায়। দিনের বেলাতেই কাউকে পাওয়া যায় না। সবাই এখন শহরে থাকে। কেউ কাজ কাম করে আবার কেউ পড়াশোনা। আগে অনেক লোক ছিল। এখন পাহাড়ের মধ্যে কোনো নিরাপত্তা নেই। দিনের বেলাও কোনো একটা দুর্ঘটনা হয়ে গেলেও কি হচ্ছে এলাকার মধ্যে তা কেউ বুঝতেই পারবে না। তাই আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। এ ভাবেই কথাগুলো বলছিলেন জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার কামালপুরের পাহাড়ি এলাকা দিঘলাকোনা গ্রামের জয় দাংগো।
শুধু জয় দাংগো নয়, সেই গ্রামের পাহাড়ি জনপদের আরেক বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী পুদি মারাক জানান, সবুজ পাহাড়ের গা ঘেঁষা বাড়িটিতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ছোট একটি সুখের সংসার ছিল তাঁর। সেই ছোট সংসারটি এখন আরও ছোট হয়ে এসেছে। পাহাড়ে কর্মসংস্থান না থাকায় জীবিকার তাগিদে ঢাকায় কাজ করেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা। শেষ জীবনে পাহাড়ের মায়া না ছাড়তে পারাই ছোট বাড়িটিতে এখন একাই থাকেন তিনি। বাড়ির কাজ ও বাগানের পরিচর্যা করেই জীবনের শেষদিনগুলো পার করছেন তিনি।
পুদি মারাক বলেন, ‘আগে আমগরে কত সুখের সংসার ছিল। এখন আমি একাই থাকি। আমার ছেলেমেয়েরা সব বাইরে থাকে। কাজ কাম করে। বছরে দুই একবার আহে। আবার যায়গা। আমি এখন একা মানুষ। কোথায় যামু? পাহাড়ে মায়া ছাড়তে পারতাছিনা। তাই আমার শেষ জীবনটা এখানেই কাটামু।’
বকশিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, কামালপুর ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজার ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বসবাস থাকলেও সেখানে এখন বাস করছেন মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ জন।
সীমান্ত ঘেঁষা এই পাহাড়ি জনপদে শত বছরের অধিক সময় ধরে হাজারো গারো জনগোষ্ঠীর বাস। পাহাড়ে জুমচাষ, ফল, ফুল ও ফসল উৎপাদন করে বিক্রি এবং কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করত এই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর পরিবারগুলো। তবে পাহাড়ে জুমচাষ বন্ধসহ নানা কারণে বনভূমি ব্যবহারে নিষেধ থাকায় কর্মসংস্থানের অভাব দেখা দিয়েছে এসব অঞ্চলে। ফলে জীবিকার তাগিদে পাহাড় ছেড়ে এখন শহরমুখী হচ্ছে আদিবাসী পরিবারের কর্মক্ষম প্রায় প্রতিটি সদস্য।
স্থানীয়দের দাবি, অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী শহরমুখী হওয়ায় এখন ধ্বংসের মুখে বনভূমি। বিলুপ্তির পথে তাঁদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এ ছাড়াও এই অঞ্চলে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তাহীনতা।
পাহাড়ি এলাকা সাতানিপাড়ার বাসিন্দা নপু মারাক নপ্তরীও বলেন, ‘আগে আমাদের কৃষ্টি কালচার যা ছিল তা এখন লালন করতে পারি না। কেন না আমাদের জুমচাষ নেই। পাহাড়ে কাজ নেই। কেউ থাকে না। আগে কিছুদিন পরপর আমাদের এখানে নাচাগানা হতো। এখন বছরে একদিনও কেউ মিল হতে পারি না। এ সমস্ত কারণে আমাদের কৃষ্টি কালচারও সমস্তই বিলুপ্তির পথে।’
ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে বেড়াতে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজেশ খোকশি বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরা পাহাড়ে না থাকার কারণে বিশেষ করে পাহাড় ধ্বংস হচ্ছে। পাহাড় ধ্বংস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীও ক্ষতি হচ্ছে। আদিবাসীদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি কালচার সবগুলোই বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে।
ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর নেতাদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ গ্রামমুখী উন্নয়ন ও বনভূমি ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হলেই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরা আবারও ফিরে আসবে পাহাড়ে। বিলুপ্তি হওয়ার পথ থেকে রক্ষা পাবে তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পিটিশন সাংমা বলেন, এখানে কোনো কর্মসংস্থান নাই। আগে বনে আমরা জুম চাষসহ বিভিন্ন ফসল করতে পারতাম। নানা বিধিনিষেধের কারণে এখন আমরা সেখান থেকে বঞ্চিত। তাই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর প্রতিটি ঘর থেকে লোকজন জীবিকা নির্বাহের জন্য শহরমুখী হচ্ছেন। সরকার যদি আমাদের জন্য বন ব্যবহারের অনুমতি দেয় তাহলে আমরা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী চিরস্থায়ীভাবে আবার আগের মতো বসবাস করতে পারব।
দিঘলাকোনা এলাকার সাধু আন্দ্রে ধর্মপল্লির পুরোহিত ফাদার ডোমিনিক সরকার সিএসসি বলেন, এখানে শিক্ষার সেই ধরনের কোনো সুযোগ নেই। আবার উন্নত জীবনেরও সুযোগ নেই। কোনো চাকরির সেই ধরনের সম্ভাবনাও এখানে নেই। তাই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জনগণেরা শহরে চলে যাচ্ছেন।
ফাদার ডোমিনিক সরকার সিএসসি আরও বলেন, পাহাড়িদের যদি আবার তাঁদের নিজস্বতায় ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে সেখানে প্রয়োজন হবে কর্মসংস্থানের। যদি সরকার চিন্তা করেন গ্রামমুখী উন্নয়ন করার তাহলেই সম্ভব। তাহলে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি এগিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর যারা বকশিগঞ্জে আছেন। তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসন এরই মধ্যে একটি কালচারাল একাডেমিসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি দিয়েছেন। এতে করে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জনগণেরা তাঁদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জনগণের পাশে উপজেলা প্রশাসন সব সময় আছে। তাঁরা যেন আমাদের সঙ্গে মূল ধারায় চলতে পারে। এ ছাড়া দিন দিন পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী সংখ্যা কমে যাওয়াটা কিছুটা চিন্তাজনক। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কাজ করবে।
রাশেদুল ইসলাম রনি, বকশীগঞ্জ (জামালপুর)

ভূতেও এখন পাহাড়ে থাকতে ভয় পায়। দিনের বেলাতেই কাউকে পাওয়া যায় না। সবাই এখন শহরে থাকে। কেউ কাজ কাম করে আবার কেউ পড়াশোনা। আগে অনেক লোক ছিল। এখন পাহাড়ের মধ্যে কোনো নিরাপত্তা নেই। দিনের বেলাও কোনো একটা দুর্ঘটনা হয়ে গেলেও কি হচ্ছে এলাকার মধ্যে তা কেউ বুঝতেই পারবে না। তাই আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। এ ভাবেই কথাগুলো বলছিলেন জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার কামালপুরের পাহাড়ি এলাকা দিঘলাকোনা গ্রামের জয় দাংগো।
শুধু জয় দাংগো নয়, সেই গ্রামের পাহাড়ি জনপদের আরেক বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী পুদি মারাক জানান, সবুজ পাহাড়ের গা ঘেঁষা বাড়িটিতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ছোট একটি সুখের সংসার ছিল তাঁর। সেই ছোট সংসারটি এখন আরও ছোট হয়ে এসেছে। পাহাড়ে কর্মসংস্থান না থাকায় জীবিকার তাগিদে ঢাকায় কাজ করেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা। শেষ জীবনে পাহাড়ের মায়া না ছাড়তে পারাই ছোট বাড়িটিতে এখন একাই থাকেন তিনি। বাড়ির কাজ ও বাগানের পরিচর্যা করেই জীবনের শেষদিনগুলো পার করছেন তিনি।
পুদি মারাক বলেন, ‘আগে আমগরে কত সুখের সংসার ছিল। এখন আমি একাই থাকি। আমার ছেলেমেয়েরা সব বাইরে থাকে। কাজ কাম করে। বছরে দুই একবার আহে। আবার যায়গা। আমি এখন একা মানুষ। কোথায় যামু? পাহাড়ে মায়া ছাড়তে পারতাছিনা। তাই আমার শেষ জীবনটা এখানেই কাটামু।’
বকশিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, কামালপুর ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজার ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বসবাস থাকলেও সেখানে এখন বাস করছেন মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ জন।
সীমান্ত ঘেঁষা এই পাহাড়ি জনপদে শত বছরের অধিক সময় ধরে হাজারো গারো জনগোষ্ঠীর বাস। পাহাড়ে জুমচাষ, ফল, ফুল ও ফসল উৎপাদন করে বিক্রি এবং কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করত এই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর পরিবারগুলো। তবে পাহাড়ে জুমচাষ বন্ধসহ নানা কারণে বনভূমি ব্যবহারে নিষেধ থাকায় কর্মসংস্থানের অভাব দেখা দিয়েছে এসব অঞ্চলে। ফলে জীবিকার তাগিদে পাহাড় ছেড়ে এখন শহরমুখী হচ্ছে আদিবাসী পরিবারের কর্মক্ষম প্রায় প্রতিটি সদস্য।
স্থানীয়দের দাবি, অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী শহরমুখী হওয়ায় এখন ধ্বংসের মুখে বনভূমি। বিলুপ্তির পথে তাঁদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এ ছাড়াও এই অঞ্চলে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তাহীনতা।
পাহাড়ি এলাকা সাতানিপাড়ার বাসিন্দা নপু মারাক নপ্তরীও বলেন, ‘আগে আমাদের কৃষ্টি কালচার যা ছিল তা এখন লালন করতে পারি না। কেন না আমাদের জুমচাষ নেই। পাহাড়ে কাজ নেই। কেউ থাকে না। আগে কিছুদিন পরপর আমাদের এখানে নাচাগানা হতো। এখন বছরে একদিনও কেউ মিল হতে পারি না। এ সমস্ত কারণে আমাদের কৃষ্টি কালচারও সমস্তই বিলুপ্তির পথে।’
ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে বেড়াতে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজেশ খোকশি বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরা পাহাড়ে না থাকার কারণে বিশেষ করে পাহাড় ধ্বংস হচ্ছে। পাহাড় ধ্বংস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীও ক্ষতি হচ্ছে। আদিবাসীদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি কালচার সবগুলোই বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে।
ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর নেতাদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ গ্রামমুখী উন্নয়ন ও বনভূমি ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হলেই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরা আবারও ফিরে আসবে পাহাড়ে। বিলুপ্তি হওয়ার পথ থেকে রক্ষা পাবে তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পিটিশন সাংমা বলেন, এখানে কোনো কর্মসংস্থান নাই। আগে বনে আমরা জুম চাষসহ বিভিন্ন ফসল করতে পারতাম। নানা বিধিনিষেধের কারণে এখন আমরা সেখান থেকে বঞ্চিত। তাই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর প্রতিটি ঘর থেকে লোকজন জীবিকা নির্বাহের জন্য শহরমুখী হচ্ছেন। সরকার যদি আমাদের জন্য বন ব্যবহারের অনুমতি দেয় তাহলে আমরা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী চিরস্থায়ীভাবে আবার আগের মতো বসবাস করতে পারব।
দিঘলাকোনা এলাকার সাধু আন্দ্রে ধর্মপল্লির পুরোহিত ফাদার ডোমিনিক সরকার সিএসসি বলেন, এখানে শিক্ষার সেই ধরনের কোনো সুযোগ নেই। আবার উন্নত জীবনেরও সুযোগ নেই। কোনো চাকরির সেই ধরনের সম্ভাবনাও এখানে নেই। তাই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জনগণেরা শহরে চলে যাচ্ছেন।
ফাদার ডোমিনিক সরকার সিএসসি আরও বলেন, পাহাড়িদের যদি আবার তাঁদের নিজস্বতায় ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে সেখানে প্রয়োজন হবে কর্মসংস্থানের। যদি সরকার চিন্তা করেন গ্রামমুখী উন্নয়ন করার তাহলেই সম্ভব। তাহলে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি এগিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর যারা বকশিগঞ্জে আছেন। তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসন এরই মধ্যে একটি কালচারাল একাডেমিসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি দিয়েছেন। এতে করে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জনগণেরা তাঁদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জনগণের পাশে উপজেলা প্রশাসন সব সময় আছে। তাঁরা যেন আমাদের সঙ্গে মূল ধারায় চলতে পারে। এ ছাড়া দিন দিন পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী সংখ্যা কমে যাওয়াটা কিছুটা চিন্তাজনক। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কাজ করবে।

ভূতেও এখন পাহাড়ে থাকতে ভয় পায়। দিনের বেলাতেই কাউকে পাওয়া যায় না। সবাই এখন শহরে থাকে। কেউ কাজ কাম করে আবার কেউ পড়াশোনা। আগে অনেক লোক ছিল। এখন পাহাড়ের মধ্যে কোনো নিরাপত্তা নেই। দিনের বেলাও কোনো একটা দুর্ঘটনা হয়ে গেলেও কি হচ্ছে এলাকার মধ্যে তা কেউ বুঝতেই পারবে না। তাই আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। এ ভাবেই কথাগুলো বলছিলেন জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার কামালপুরের পাহাড়ি এলাকা দিঘলাকোনা গ্রামের জয় দাংগো।
শুধু জয় দাংগো নয়, সেই গ্রামের পাহাড়ি জনপদের আরেক বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী পুদি মারাক জানান, সবুজ পাহাড়ের গা ঘেঁষা বাড়িটিতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ছোট একটি সুখের সংসার ছিল তাঁর। সেই ছোট সংসারটি এখন আরও ছোট হয়ে এসেছে। পাহাড়ে কর্মসংস্থান না থাকায় জীবিকার তাগিদে ঢাকায় কাজ করেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা। শেষ জীবনে পাহাড়ের মায়া না ছাড়তে পারাই ছোট বাড়িটিতে এখন একাই থাকেন তিনি। বাড়ির কাজ ও বাগানের পরিচর্যা করেই জীবনের শেষদিনগুলো পার করছেন তিনি।
পুদি মারাক বলেন, ‘আগে আমগরে কত সুখের সংসার ছিল। এখন আমি একাই থাকি। আমার ছেলেমেয়েরা সব বাইরে থাকে। কাজ কাম করে। বছরে দুই একবার আহে। আবার যায়গা। আমি এখন একা মানুষ। কোথায় যামু? পাহাড়ে মায়া ছাড়তে পারতাছিনা। তাই আমার শেষ জীবনটা এখানেই কাটামু।’
বকশিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, কামালপুর ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজার ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বসবাস থাকলেও সেখানে এখন বাস করছেন মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ জন।
সীমান্ত ঘেঁষা এই পাহাড়ি জনপদে শত বছরের অধিক সময় ধরে হাজারো গারো জনগোষ্ঠীর বাস। পাহাড়ে জুমচাষ, ফল, ফুল ও ফসল উৎপাদন করে বিক্রি এবং কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করত এই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর পরিবারগুলো। তবে পাহাড়ে জুমচাষ বন্ধসহ নানা কারণে বনভূমি ব্যবহারে নিষেধ থাকায় কর্মসংস্থানের অভাব দেখা দিয়েছে এসব অঞ্চলে। ফলে জীবিকার তাগিদে পাহাড় ছেড়ে এখন শহরমুখী হচ্ছে আদিবাসী পরিবারের কর্মক্ষম প্রায় প্রতিটি সদস্য।
স্থানীয়দের দাবি, অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী শহরমুখী হওয়ায় এখন ধ্বংসের মুখে বনভূমি। বিলুপ্তির পথে তাঁদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এ ছাড়াও এই অঞ্চলে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তাহীনতা।
পাহাড়ি এলাকা সাতানিপাড়ার বাসিন্দা নপু মারাক নপ্তরীও বলেন, ‘আগে আমাদের কৃষ্টি কালচার যা ছিল তা এখন লালন করতে পারি না। কেন না আমাদের জুমচাষ নেই। পাহাড়ে কাজ নেই। কেউ থাকে না। আগে কিছুদিন পরপর আমাদের এখানে নাচাগানা হতো। এখন বছরে একদিনও কেউ মিল হতে পারি না। এ সমস্ত কারণে আমাদের কৃষ্টি কালচারও সমস্তই বিলুপ্তির পথে।’
ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে বেড়াতে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজেশ খোকশি বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরা পাহাড়ে না থাকার কারণে বিশেষ করে পাহাড় ধ্বংস হচ্ছে। পাহাড় ধ্বংস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীও ক্ষতি হচ্ছে। আদিবাসীদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি কালচার সবগুলোই বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে।
ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর নেতাদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ গ্রামমুখী উন্নয়ন ও বনভূমি ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হলেই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরা আবারও ফিরে আসবে পাহাড়ে। বিলুপ্তি হওয়ার পথ থেকে রক্ষা পাবে তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পিটিশন সাংমা বলেন, এখানে কোনো কর্মসংস্থান নাই। আগে বনে আমরা জুম চাষসহ বিভিন্ন ফসল করতে পারতাম। নানা বিধিনিষেধের কারণে এখন আমরা সেখান থেকে বঞ্চিত। তাই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর প্রতিটি ঘর থেকে লোকজন জীবিকা নির্বাহের জন্য শহরমুখী হচ্ছেন। সরকার যদি আমাদের জন্য বন ব্যবহারের অনুমতি দেয় তাহলে আমরা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী চিরস্থায়ীভাবে আবার আগের মতো বসবাস করতে পারব।
দিঘলাকোনা এলাকার সাধু আন্দ্রে ধর্মপল্লির পুরোহিত ফাদার ডোমিনিক সরকার সিএসসি বলেন, এখানে শিক্ষার সেই ধরনের কোনো সুযোগ নেই। আবার উন্নত জীবনেরও সুযোগ নেই। কোনো চাকরির সেই ধরনের সম্ভাবনাও এখানে নেই। তাই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জনগণেরা শহরে চলে যাচ্ছেন।
ফাদার ডোমিনিক সরকার সিএসসি আরও বলেন, পাহাড়িদের যদি আবার তাঁদের নিজস্বতায় ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে সেখানে প্রয়োজন হবে কর্মসংস্থানের। যদি সরকার চিন্তা করেন গ্রামমুখী উন্নয়ন করার তাহলেই সম্ভব। তাহলে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি এগিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর যারা বকশিগঞ্জে আছেন। তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসন এরই মধ্যে একটি কালচারাল একাডেমিসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি দিয়েছেন। এতে করে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জনগণেরা তাঁদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জনগণের পাশে উপজেলা প্রশাসন সব সময় আছে। তাঁরা যেন আমাদের সঙ্গে মূল ধারায় চলতে পারে। এ ছাড়া দিন দিন পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী সংখ্যা কমে যাওয়াটা কিছুটা চিন্তাজনক। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কাজ করবে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লা বহনকারী একটি গাড়ির চাপায় ইকবাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি লন্ড্রির দোকানে কাজ করতেন।
৪ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারসংলগ্ন ইনাতনগর গ্রামের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগে
আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে কিশোরগঞ্জের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান ফোরামের সদস্যসচিব মো. শরীফুল ইসলাম
২৮ মিনিট আগে
জুলাই সনদে কিছু রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর না করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ, অধিকাংশ দলই একমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেছে।’ তিনি যোগ করেন, যারা স্বাক্ষর করেনি, তাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য আছে, এর বাইরে সব বিষয়ে তারা একমত।
২ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লা বহনকারী একটি গাড়ির চাপায় ইকবাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি লন্ড্রির দোকানে কাজ করতেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টি এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ বলেছে, ময়লার গাড়িটি চালকের সহকারী চালাচ্ছিলেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত রাত ১১টার দিকে কলাপট্টি এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন ইকবাল হোসেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চালককে আটক করা হয়। গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে।
ইকবালের ভাই মো. তরিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার পশ্চিম চোখরা গ্রামে। বাবার নাম মৃত আবুল হোসেন। যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকায় একটি বাসায় স্ত্রী কুলসুম আক্তার ও দশ বছরের ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ইকবাল হোসেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বরে রাজধানীর পান্থপথে এক সংবাদকর্মীকে চাপা দেয় সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি। পরে র্যাব ওই গাড়ির চালককে আটক করে এবং জানায়, তিনি সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত কর্মচারী ছিলেন না। এমনকি তাঁর ভারী যান চালানোর কোনো লাইসেন্স ছিল না।
এর আগে একই মাসে রাজধানীর গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় মারা যান নটর ডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী। এই ঘটনায়ও ময়লার গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মূল চালকের সহকারী। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গাড়িটির মূল চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের দুজনের কারোই ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লা বহনকারী একটি গাড়ির চাপায় ইকবাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি লন্ড্রির দোকানে কাজ করতেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টি এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ বলেছে, ময়লার গাড়িটি চালকের সহকারী চালাচ্ছিলেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত রাত ১১টার দিকে কলাপট্টি এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন ইকবাল হোসেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চালককে আটক করা হয়। গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে।
ইকবালের ভাই মো. তরিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার পশ্চিম চোখরা গ্রামে। বাবার নাম মৃত আবুল হোসেন। যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকায় একটি বাসায় স্ত্রী কুলসুম আক্তার ও দশ বছরের ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ইকবাল হোসেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বরে রাজধানীর পান্থপথে এক সংবাদকর্মীকে চাপা দেয় সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি। পরে র্যাব ওই গাড়ির চালককে আটক করে এবং জানায়, তিনি সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত কর্মচারী ছিলেন না। এমনকি তাঁর ভারী যান চালানোর কোনো লাইসেন্স ছিল না।
এর আগে একই মাসে রাজধানীর গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় মারা যান নটর ডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী। এই ঘটনায়ও ময়লার গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মূল চালকের সহকারী। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গাড়িটির মূল চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের দুজনের কারোই ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না।

ভূতেও এখন পাহাড়ে থাকতে ভয় পায়। দিনের বেলাতেই কাউকে পাওয়া যায় না। সবাই এখন শহরে থাকে। কেউ কাজ কাম করে আবার কেউ পড়াশোনা। আগে অনেক লোক ছিল। এখন পাহাড়ের মধ্যে
১৯ জানুয়ারি ২০২২
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারসংলগ্ন ইনাতনগর গ্রামের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগে
আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে কিশোরগঞ্জের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান ফোরামের সদস্যসচিব মো. শরীফুল ইসলাম
২৮ মিনিট আগে
জুলাই সনদে কিছু রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর না করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ, অধিকাংশ দলই একমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেছে।’ তিনি যোগ করেন, যারা স্বাক্ষর করেনি, তাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য আছে, এর বাইরে সব বিষয়ে তারা একমত।
২ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারসংলগ্ন ইনাতনগর গ্রামের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী মনজুরা আক্তার (৩৭) ও তাঁর মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা (১০)। আব্দুল্লাহ আল মামুন চাঁদপুর জেলার দেয়ালিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তাঁরা বাসযোগে সুনামগঞ্জের পর্যটন স্পট টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে এসেছিলেন। মামুন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন লিমিটেডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।
জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন তাঁর পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে সেঁজুতি ট্রাভেলসের বাসে সুনামগঞ্জে আসছিলেন। বাসটি পাগলা বাজার-সংলগ্ন ইনাতনগর (শত্রুমর্দন বাঘেরকোনা) গ্রামের কাছে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান এবং বাসটি রাস্তার পাশের খাদে উল্টে পড়ে যায়।
জয়কলস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার চৌধুরী দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের নীচে চাপা পড়া নিহত মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে।
ওসি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারসংলগ্ন ইনাতনগর গ্রামের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী মনজুরা আক্তার (৩৭) ও তাঁর মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা (১০)। আব্দুল্লাহ আল মামুন চাঁদপুর জেলার দেয়ালিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তাঁরা বাসযোগে সুনামগঞ্জের পর্যটন স্পট টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে এসেছিলেন। মামুন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন লিমিটেডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।
জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন তাঁর পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে সেঁজুতি ট্রাভেলসের বাসে সুনামগঞ্জে আসছিলেন। বাসটি পাগলা বাজার-সংলগ্ন ইনাতনগর (শত্রুমর্দন বাঘেরকোনা) গ্রামের কাছে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান এবং বাসটি রাস্তার পাশের খাদে উল্টে পড়ে যায়।
জয়কলস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার চৌধুরী দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের নীচে চাপা পড়া নিহত মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে।
ওসি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

ভূতেও এখন পাহাড়ে থাকতে ভয় পায়। দিনের বেলাতেই কাউকে পাওয়া যায় না। সবাই এখন শহরে থাকে। কেউ কাজ কাম করে আবার কেউ পড়াশোনা। আগে অনেক লোক ছিল। এখন পাহাড়ের মধ্যে
১৯ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লা বহনকারী একটি গাড়ির চাপায় ইকবাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি লন্ড্রির দোকানে কাজ করতেন।
৪ মিনিট আগে
আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে কিশোরগঞ্জের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান ফোরামের সদস্যসচিব মো. শরীফুল ইসলাম
২৮ মিনিট আগে
জুলাই সনদে কিছু রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর না করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ, অধিকাংশ দলই একমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেছে।’ তিনি যোগ করেন, যারা স্বাক্ষর করেনি, তাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য আছে, এর বাইরে সব বিষয়ে তারা একমত।
২ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে কিশোরগঞ্জের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান ফোরামের সদস্যসচিব মো. শরীফুল ইসলাম।

শরিফুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে থাকা অপশক্তি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা জনগণের অর্জিত মহান স্বাধীনতা ও জুলাই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যার ফলে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এক চরম হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে কিশোরগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম (মুবিন) দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বিভিন্ন বক্তব্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন। যা দলের গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী।’
তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও গঠনতন্ত্র বিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় ফয়জুল করিমকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ফোরামের সাবেক সহসভাপতি মো. শফিউজ্জামান শফি, শেখ মাসুদ ইকবাল, আহ্বায়ক কমিটি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা প্রমুখ।
এ বিষয়ে কথা বলতে আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে বেশ কয়েকবার ফোন কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ফেসবুক লাইভে এসে বিএনপির সব পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের কথা বলেন ফয়জুল করিম। গত ৯ অক্টোবর লিখিত আবেদন করে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। আইনজীবী ফয়জুল করিম দীর্ঘদিন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সদস্য ছিলেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
ফয়জুল করিম মুবিনের বাবা মরহুম ফজলুল করিম ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী (১৯৭৮–৮২)। তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফয়জুল করিম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সম্পর্কে চাচাতো ভাই আইনজীবী ফয়জুল করিম।
গত বুধবার (২২ অক্টোবর) বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আওয়ামী লীগের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন ফয়জুল করিম মুবিন। ফেসবুক আইডিতে ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অবশ্যই আসবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
ফয়জুল করিম মুবিনের বাবা মরহুম ফজলুল করিম ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী (১৯৭৮–৮২)। তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফয়জুল করিম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সম্পর্কে চাচাতো ভাই আইনজীবী ফয়জুল করিম।
এ বিষয়ে কথা হয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জের সদস্যসচিব আইনজীবী মো. শরীফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মুবিন ফেসবুক লাইভে এসে বিএনপি থেকে পদত্যাগ এবং আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু করেননি। আজ তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এদিকে ফয়জুল করিমের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ঘোষণা নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া একটি লাইভে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। মুবিন কেন আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিলেন এবং এর পেছনে কোন রাজনৈতিক চিন্তা কাজ করেছে—সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম এখন নিষিদ্ধ। এমন প্রেক্ষাপটে ফয়জুল করিম মুবিনের আওয়ামী লীগে যোগদান নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতেও নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে কিশোরগঞ্জের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান ফোরামের সদস্যসচিব মো. শরীফুল ইসলাম।

শরিফুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে থাকা অপশক্তি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা জনগণের অর্জিত মহান স্বাধীনতা ও জুলাই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যার ফলে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এক চরম হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে কিশোরগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম (মুবিন) দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বিভিন্ন বক্তব্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন। যা দলের গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী।’
তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও গঠনতন্ত্র বিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় ফয়জুল করিমকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ফোরামের সাবেক সহসভাপতি মো. শফিউজ্জামান শফি, শেখ মাসুদ ইকবাল, আহ্বায়ক কমিটি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা প্রমুখ।
এ বিষয়ে কথা বলতে আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে বেশ কয়েকবার ফোন কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ফেসবুক লাইভে এসে বিএনপির সব পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের কথা বলেন ফয়জুল করিম। গত ৯ অক্টোবর লিখিত আবেদন করে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। আইনজীবী ফয়জুল করিম দীর্ঘদিন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সদস্য ছিলেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
ফয়জুল করিম মুবিনের বাবা মরহুম ফজলুল করিম ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী (১৯৭৮–৮২)। তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফয়জুল করিম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সম্পর্কে চাচাতো ভাই আইনজীবী ফয়জুল করিম।
গত বুধবার (২২ অক্টোবর) বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আওয়ামী লীগের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন ফয়জুল করিম মুবিন। ফেসবুক আইডিতে ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অবশ্যই আসবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
ফয়জুল করিম মুবিনের বাবা মরহুম ফজলুল করিম ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী (১৯৭৮–৮২)। তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফয়জুল করিম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সম্পর্কে চাচাতো ভাই আইনজীবী ফয়জুল করিম।
এ বিষয়ে কথা হয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জের সদস্যসচিব আইনজীবী মো. শরীফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মুবিন ফেসবুক লাইভে এসে বিএনপি থেকে পদত্যাগ এবং আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু করেননি। আজ তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এদিকে ফয়জুল করিমের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ঘোষণা নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া একটি লাইভে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। মুবিন কেন আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিলেন এবং এর পেছনে কোন রাজনৈতিক চিন্তা কাজ করেছে—সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম এখন নিষিদ্ধ। এমন প্রেক্ষাপটে ফয়জুল করিম মুবিনের আওয়ামী লীগে যোগদান নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতেও নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ভূতেও এখন পাহাড়ে থাকতে ভয় পায়। দিনের বেলাতেই কাউকে পাওয়া যায় না। সবাই এখন শহরে থাকে। কেউ কাজ কাম করে আবার কেউ পড়াশোনা। আগে অনেক লোক ছিল। এখন পাহাড়ের মধ্যে
১৯ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লা বহনকারী একটি গাড়ির চাপায় ইকবাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি লন্ড্রির দোকানে কাজ করতেন।
৪ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারসংলগ্ন ইনাতনগর গ্রামের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগে
জুলাই সনদে কিছু রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর না করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ, অধিকাংশ দলই একমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেছে।’ তিনি যোগ করেন, যারা স্বাক্ষর করেনি, তাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য আছে, এর বাইরে সব বিষয়ে তারা একমত।
২ ঘণ্টা আগেমাগুরা প্রতিনিধি

আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
আজ সকালে মাগুরা-ঢাকা রোড এলাকায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই শহীদদের যেন জাতি মনে রাখে, সে উদ্দেশ্যেই এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মাগুরার কিছু শহীদের কথা মানুষ ভুলে গেছে। কারণ, তাঁদের স্মরণে এমন কোনো স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি হয়নি।
জুলাই সনদে কিছু রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর না করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ, অধিকাংশ দলই একমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেছে।’ তিনি যোগ করেন, যারা স্বাক্ষর করেনি, তাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য আছে, এর বাইরে সব বিষয়ে তারা একমত।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সব দল একমত এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে প্রস্তুত। এবার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে শফিকুল আলম বলেন, ‘তারা টাকার বিনিময়ে সব নির্বাচন করেছে, ভোট কারচুপি করেছে। কিন্তু এবার এর কোনোটি ঘটবে না। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবে।’
‘না ভোট’ প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি কোথাও একজন প্রার্থী থাকে, তবে সেখানে “না ভোট” হবে। এটি আরপিওতে (RPO) উল্লেখ আছে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আর কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
আজ সকালে মাগুরা-ঢাকা রোড এলাকায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই শহীদদের যেন জাতি মনে রাখে, সে উদ্দেশ্যেই এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মাগুরার কিছু শহীদের কথা মানুষ ভুলে গেছে। কারণ, তাঁদের স্মরণে এমন কোনো স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি হয়নি।
জুলাই সনদে কিছু রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর না করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ, অধিকাংশ দলই একমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেছে।’ তিনি যোগ করেন, যারা স্বাক্ষর করেনি, তাদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য আছে, এর বাইরে সব বিষয়ে তারা একমত।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সব দল একমত এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে প্রস্তুত। এবার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে শফিকুল আলম বলেন, ‘তারা টাকার বিনিময়ে সব নির্বাচন করেছে, ভোট কারচুপি করেছে। কিন্তু এবার এর কোনোটি ঘটবে না। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবে।’
‘না ভোট’ প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি কোথাও একজন প্রার্থী থাকে, তবে সেখানে “না ভোট” হবে। এটি আরপিওতে (RPO) উল্লেখ আছে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আর কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই।’

ভূতেও এখন পাহাড়ে থাকতে ভয় পায়। দিনের বেলাতেই কাউকে পাওয়া যায় না। সবাই এখন শহরে থাকে। কেউ কাজ কাম করে আবার কেউ পড়াশোনা। আগে অনেক লোক ছিল। এখন পাহাড়ের মধ্যে
১৯ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লা বহনকারী একটি গাড়ির চাপায় ইকবাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি লন্ড্রির দোকানে কাজ করতেন।
৪ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারসংলগ্ন ইনাতনগর গ্রামের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগে
আইনজীবী ফয়জুল করিম মুবিনকে কিশোরগঞ্জের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান ফোরামের সদস্যসচিব মো. শরীফুল ইসলাম
২৮ মিনিট আগে