বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পরিতোষ মোদক ভিক্ষা করে সংসার চালান। যেদিন ভিক্ষা করেন না, সেদিন মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে উপোস থাকেন।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, পরিতোষ মোদকের পৈতৃক পেশা ছিল মিষ্টান্ন তৈরি ও বিক্রি করা। খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে পেশা হিসেবে বেছে নেন মোয়া-মুড়কি, বাদাম, ছোলা বিক্রি করার কাজ। বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ালেখা করা তাঁর ভাগ্যে জোটেনি।
একবার এক সড়ক দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যায় পরিতোষ মোদকের। ভেঙে যাওয়া পায়ের চিকিৎসা করাতে ঘরবাড়ি বিক্রি করে দেন। বর্তমানে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে তিনি ভিক্ষা করছেন। পরিতোষ মোদক ভিক্ষা করলেই খাবার জোটে পরিবারের।
সরেজমিনে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার ২ নম্বর ইউনিয়নের রঘু চৌধুরীপাড়া গ্রামের পরিতোষ মোদক (৩৭)। এই বয়সেই তাঁর জীবনের প্রতিটি পরতে গেঁথে আছে কেবল কষ্ট। চশমা লাগিয়েও চোখে ঝাপসা দেখেন। চোখের ডাক্তার বলে দিয়েছেন অপারেশন করতে হবে। কিন্তু অর্থের অভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
চার সন্তানের জনক পরিতোষ। দারিদ্র্যের কারণে দুটি সন্তানকে দত্তক দিয়েছেন। কারণ তাঁর স্ত্রী মণিকা মোদক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। তাই সন্তানদের প্রতি তেমন কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।
ভিক্ষা করতেও ভালো লাগে না বলে প্রতিদিন ভিক্ষা করতে বের হন না পরিতোষ মোদক। যেদিন ভিক্ষা করতে বের না হন, ওই দিন দুই শিশু ও মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রীকে নিয়ে উপোস থাকতে হয়। আবার পরিতোষের স্ত্রীর উৎপাতে বাড়ির মালিক প্রায়ই তাদের বাড়ি ছাড়ার জন্য তাগাদা দেন। কিন্তু অসুস্থ স্ত্রী ও ছোট দুটি শিশু নিয়ে পরিতোষের যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। হতাশ হয়ে পরিতোষ এখন কেবল চোখের জল ফেলে দিনরাত কাটাচ্ছেন।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের একটি ঘরের জন্য ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের কাছে গেলে সময়মতো না আসায় তারা বিষয়টা দেখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পরিতোষ মোদক বলেন, 'এত বড় পৃথিবীতে আমার কোনো যাওয়ার জায়গা নাই। আমি সরকারের নিকট সাহায্যের আবেদন করেছি। আমাকে যেন মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়া হয়।'
ইউপি সদস্য মো. জাহেদ মিয়া বলেন, 'পরিতোষের ঘরবাড়ি নেই এই কথা সত্য। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুবই অসহায় অবস্থায় আছেন। তাঁকে যদি সরকারিভাবে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়, তাহলে তাঁর জন্য খুবই উপকার হবে।'
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, 'পরিতোষ মোদকের কষ্ট দূর করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। ভবিষ্যতে আবার যদি গৃহহীনদের জন্য ঘর আসে, তাহলে অবশ্যই তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পরিতোষ মোদক ভিক্ষা করে সংসার চালান। যেদিন ভিক্ষা করেন না, সেদিন মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে উপোস থাকেন।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, পরিতোষ মোদকের পৈতৃক পেশা ছিল মিষ্টান্ন তৈরি ও বিক্রি করা। খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে পেশা হিসেবে বেছে নেন মোয়া-মুড়কি, বাদাম, ছোলা বিক্রি করার কাজ। বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ালেখা করা তাঁর ভাগ্যে জোটেনি।
একবার এক সড়ক দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যায় পরিতোষ মোদকের। ভেঙে যাওয়া পায়ের চিকিৎসা করাতে ঘরবাড়ি বিক্রি করে দেন। বর্তমানে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে তিনি ভিক্ষা করছেন। পরিতোষ মোদক ভিক্ষা করলেই খাবার জোটে পরিবারের।
সরেজমিনে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার ২ নম্বর ইউনিয়নের রঘু চৌধুরীপাড়া গ্রামের পরিতোষ মোদক (৩৭)। এই বয়সেই তাঁর জীবনের প্রতিটি পরতে গেঁথে আছে কেবল কষ্ট। চশমা লাগিয়েও চোখে ঝাপসা দেখেন। চোখের ডাক্তার বলে দিয়েছেন অপারেশন করতে হবে। কিন্তু অর্থের অভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
চার সন্তানের জনক পরিতোষ। দারিদ্র্যের কারণে দুটি সন্তানকে দত্তক দিয়েছেন। কারণ তাঁর স্ত্রী মণিকা মোদক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। তাই সন্তানদের প্রতি তেমন কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।
ভিক্ষা করতেও ভালো লাগে না বলে প্রতিদিন ভিক্ষা করতে বের হন না পরিতোষ মোদক। যেদিন ভিক্ষা করতে বের না হন, ওই দিন দুই শিশু ও মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রীকে নিয়ে উপোস থাকতে হয়। আবার পরিতোষের স্ত্রীর উৎপাতে বাড়ির মালিক প্রায়ই তাদের বাড়ি ছাড়ার জন্য তাগাদা দেন। কিন্তু অসুস্থ স্ত্রী ও ছোট দুটি শিশু নিয়ে পরিতোষের যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। হতাশ হয়ে পরিতোষ এখন কেবল চোখের জল ফেলে দিনরাত কাটাচ্ছেন।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের একটি ঘরের জন্য ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের কাছে গেলে সময়মতো না আসায় তারা বিষয়টা দেখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পরিতোষ মোদক বলেন, 'এত বড় পৃথিবীতে আমার কোনো যাওয়ার জায়গা নাই। আমি সরকারের নিকট সাহায্যের আবেদন করেছি। আমাকে যেন মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়া হয়।'
ইউপি সদস্য মো. জাহেদ মিয়া বলেন, 'পরিতোষের ঘরবাড়ি নেই এই কথা সত্য। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুবই অসহায় অবস্থায় আছেন। তাঁকে যদি সরকারিভাবে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়, তাহলে তাঁর জন্য খুবই উপকার হবে।'
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, 'পরিতোষ মোদকের কষ্ট দূর করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। ভবিষ্যতে আবার যদি গৃহহীনদের জন্য ঘর আসে, তাহলে অবশ্যই তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'
রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রাসেল মিয়া (৩১) নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
৩ মিনিট আগেবগুড়ার শেরপুরে এক চিকিৎসকের চেম্বারে প্রবেশ করে মারধর ও নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ উঠেছে অপর এক চিকিৎসকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে পৌরসভার ধুনট মোড় এলাকায় ন্যাশনাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগুনে পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভেতরে এখনো কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন ওই ভবনটির সামনে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত বন্ধ থাকা একটি বেসরকারি হাসপাতালে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় চার মাস ধরে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ‘সেন্ট্রাল সিটি হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে
১ ঘণ্টা আগে