সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে দেদার তোলা হচ্ছে হবিগঞ্জের সিলিকা বালু। এতে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতিকেরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় জেলার ৪টি উপজেলার চা-বাগানের ছড়া এবং কয়েকটি নদী থেকে অবাধে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হলেও নেই কোনো পদক্ষেপ। উল্টো বালু উত্তোলনের কারণে ধসের ঝুঁকি থাকায় এলাকাছাড়া হচ্ছে পরিবার; নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক।
হবিগঞ্জের মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জের একটি অংশের চা-বাগানের ছড়া থেকে তোলা হচ্ছে সিলিকা বালু। এ ছাড়া মাধবপুরের সোনাই নদ, বাহুবলের করাঙ্গী নদী ও চুনারুঘাটের খোয়াই নদ থেকেও অবাধে তোলা হচ্ছে বালু। কোনো অনুমোদন না থাকলেও রাত-দিন চলছে বালু লুটপাট। এ জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে নির্বিচার সিলিকা বালু উত্তোলন করায় পাহাড়-টিলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে এবং আশপাশের রাস্তাঘাট, স্কুল, চা-শ্রমিকদের বসতঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
বালু বিক্রির সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক ঘনফুট সিলিকা বালু বিক্রি হয় ৪০ টাকায়। প্রতিটি ট্রাক্টরে তোলা হচ্ছে গড়ে ১২০ ঘনফুট বালু; এর বাজারমূল্য প্রায় ৫ হাজার টাকা। প্রতিরাতে ৭০ থেকে ৮০টি ট্রাক্টরে বালু পরিবহন করা হয়। গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার বালু অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। মাসিক হিসাবে এই অঙ্ক কোটি টাকার বেশি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, সিলিকা বালুর নেশায় হবিগঞ্জ জেলার প্রকৃতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে বারবার বিষয়টি দেখানো হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সিলিকা বালু লুটপাটের সঙ্গে কারা জড়িত, এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়ে বেশ কিছু নাম জানা গেছে। মাধবপুরে বালু উত্তোলনে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তাঁর সহকারী হিসেবে রয়েছেন উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বিএনপি নেতা জালাল মেম্বার। এই চক্র শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সুরমা চা-বাগান, তেলিয়াপাড়া চা-বাগান, বনগাঁও, ভাণ্ডুরা, ইটাখোলা ছড়া, চৌমুহনী ইউনিয়নের রসুলপুর এবং তুলসীপুর থেকে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হয়।
ইউপি সদস্য জালাল মোবাইলে বলেন, তিনি ও পারভেজ চেয়ারম্যান উপজেলার মনতলা নামক স্থান থেকে বৈধভাবে বালুমহালের ইজারা নিয়েছেন। যদিও বিভিন্ন স্থান থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনে তাঁদের নাম আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এর সদুত্তর দেননি।
তবে মাধবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিলিকা বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে এই উপজেলায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বালু পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে।
সিলিকা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যখন অভিযানে যাই, তখন তাদের পাই না। যে কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন বড় বড় ট্রাকে বালু পরিবহন করা হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনেরও সখ্য রয়েছে। যে কারণে নীরবে এসব সহ্য করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
সাতছড়ি ত্রিপুরাপল্লির হেডম্যান চিত্ত রঞ্জন দেববর্মা বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর আগে আমাদের টিলার চারপাশ থেকে প্রচুর সিলিকা বালু উত্তোলন করা হয়েছিল; যার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। বৃষ্টি এলেই টিলায় ধস নামছে। এখন পর্যন্ত ১০টি পরিবার ত্রিপুরাপল্লি ছেড়েছে।’
চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে দেউন্দি চা-বাগান পর্যন্ত ৬ সদস্যের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের মাহফুজ মিয়া, রিংকু মিয়া, বাবলু মিয়া, মাসুক মিয়া, ইউপি সদস্য ফয়েজ মিয়া ও মহিমাউড়া গ্রামের কাউসার মিয়া। এ ছাড়া এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন আবদুল্লাহপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়া, কাঠালবাড়ি গ্রামের খয়ের মিয়া তালুকদার ও মিষ্টু মিয়া, হলহলিয়া গ্রামের জসিম মিয়া, পাইকপাড়া গ্রামের মো. রমজান আলী, সাঁটিয়াজুরী ইউনিয়নের দারাগাও দেওছড়া থেকে যুবলীগ সভাপতি কাউসার মিয়া ও স্থানীয় রুস্তম আলী।
প্রশাসন কী করে
বাপা হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, হবিগঞ্জের সব কটি চা-বাগান ও রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিন-রাতে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়। প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও তা বন্ধ হয় না। এখনো যদি সিলিকা বালু উত্তোলন বন্ধ না করা হয়, আর কয়েক বছর পর হবিগঞ্জের পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিপর্যয় নেমে আসবে।
এই বালু উত্তোলন নিয়ে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন চুনারুঘাটের সদ্য সাবেক ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন থেকে সিলিকা বালুর কোনো মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। তবে রাতের আঁধারে প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। আমরা খবর পেলে অভিযান চালাই। বালু উত্তোলনের মেশিন ধ্বংস করার পাশাপাশি জরিমানা ও মামলা দিচ্ছি। তবে লোকবলের অভাবে পুরোপুরি উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্পকারখানায় এসব সিলিকা বালু বিক্রি হচ্ছে। যদি পুলিশ বালু পরিবহনের রাস্তাগুলোতে চেকপোস্ট বসায়, তাহলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে দেদার তোলা হচ্ছে হবিগঞ্জের সিলিকা বালু। এতে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতিকেরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় জেলার ৪টি উপজেলার চা-বাগানের ছড়া এবং কয়েকটি নদী থেকে অবাধে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হলেও নেই কোনো পদক্ষেপ। উল্টো বালু উত্তোলনের কারণে ধসের ঝুঁকি থাকায় এলাকাছাড়া হচ্ছে পরিবার; নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক।
হবিগঞ্জের মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জের একটি অংশের চা-বাগানের ছড়া থেকে তোলা হচ্ছে সিলিকা বালু। এ ছাড়া মাধবপুরের সোনাই নদ, বাহুবলের করাঙ্গী নদী ও চুনারুঘাটের খোয়াই নদ থেকেও অবাধে তোলা হচ্ছে বালু। কোনো অনুমোদন না থাকলেও রাত-দিন চলছে বালু লুটপাট। এ জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে নির্বিচার সিলিকা বালু উত্তোলন করায় পাহাড়-টিলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে এবং আশপাশের রাস্তাঘাট, স্কুল, চা-শ্রমিকদের বসতঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
বালু বিক্রির সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক ঘনফুট সিলিকা বালু বিক্রি হয় ৪০ টাকায়। প্রতিটি ট্রাক্টরে তোলা হচ্ছে গড়ে ১২০ ঘনফুট বালু; এর বাজারমূল্য প্রায় ৫ হাজার টাকা। প্রতিরাতে ৭০ থেকে ৮০টি ট্রাক্টরে বালু পরিবহন করা হয়। গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার বালু অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। মাসিক হিসাবে এই অঙ্ক কোটি টাকার বেশি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, সিলিকা বালুর নেশায় হবিগঞ্জ জেলার প্রকৃতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে বারবার বিষয়টি দেখানো হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সিলিকা বালু লুটপাটের সঙ্গে কারা জড়িত, এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়ে বেশ কিছু নাম জানা গেছে। মাধবপুরে বালু উত্তোলনে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তাঁর সহকারী হিসেবে রয়েছেন উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বিএনপি নেতা জালাল মেম্বার। এই চক্র শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সুরমা চা-বাগান, তেলিয়াপাড়া চা-বাগান, বনগাঁও, ভাণ্ডুরা, ইটাখোলা ছড়া, চৌমুহনী ইউনিয়নের রসুলপুর এবং তুলসীপুর থেকে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হয়।
ইউপি সদস্য জালাল মোবাইলে বলেন, তিনি ও পারভেজ চেয়ারম্যান উপজেলার মনতলা নামক স্থান থেকে বৈধভাবে বালুমহালের ইজারা নিয়েছেন। যদিও বিভিন্ন স্থান থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনে তাঁদের নাম আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এর সদুত্তর দেননি।
তবে মাধবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিলিকা বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে এই উপজেলায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বালু পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে।
সিলিকা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যখন অভিযানে যাই, তখন তাদের পাই না। যে কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন বড় বড় ট্রাকে বালু পরিবহন করা হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনেরও সখ্য রয়েছে। যে কারণে নীরবে এসব সহ্য করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
সাতছড়ি ত্রিপুরাপল্লির হেডম্যান চিত্ত রঞ্জন দেববর্মা বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর আগে আমাদের টিলার চারপাশ থেকে প্রচুর সিলিকা বালু উত্তোলন করা হয়েছিল; যার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। বৃষ্টি এলেই টিলায় ধস নামছে। এখন পর্যন্ত ১০টি পরিবার ত্রিপুরাপল্লি ছেড়েছে।’
চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে দেউন্দি চা-বাগান পর্যন্ত ৬ সদস্যের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের মাহফুজ মিয়া, রিংকু মিয়া, বাবলু মিয়া, মাসুক মিয়া, ইউপি সদস্য ফয়েজ মিয়া ও মহিমাউড়া গ্রামের কাউসার মিয়া। এ ছাড়া এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন আবদুল্লাহপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়া, কাঠালবাড়ি গ্রামের খয়ের মিয়া তালুকদার ও মিষ্টু মিয়া, হলহলিয়া গ্রামের জসিম মিয়া, পাইকপাড়া গ্রামের মো. রমজান আলী, সাঁটিয়াজুরী ইউনিয়নের দারাগাও দেওছড়া থেকে যুবলীগ সভাপতি কাউসার মিয়া ও স্থানীয় রুস্তম আলী।
প্রশাসন কী করে
বাপা হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, হবিগঞ্জের সব কটি চা-বাগান ও রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিন-রাতে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়। প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও তা বন্ধ হয় না। এখনো যদি সিলিকা বালু উত্তোলন বন্ধ না করা হয়, আর কয়েক বছর পর হবিগঞ্জের পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিপর্যয় নেমে আসবে।
এই বালু উত্তোলন নিয়ে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন চুনারুঘাটের সদ্য সাবেক ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন থেকে সিলিকা বালুর কোনো মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। তবে রাতের আঁধারে প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। আমরা খবর পেলে অভিযান চালাই। বালু উত্তোলনের মেশিন ধ্বংস করার পাশাপাশি জরিমানা ও মামলা দিচ্ছি। তবে লোকবলের অভাবে পুরোপুরি উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্পকারখানায় এসব সিলিকা বালু বিক্রি হচ্ছে। যদি পুলিশ বালু পরিবহনের রাস্তাগুলোতে চেকপোস্ট বসায়, তাহলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে দেদার তোলা হচ্ছে হবিগঞ্জের সিলিকা বালু। এতে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতিকেরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় জেলার ৪টি উপজেলার চা-বাগানের ছড়া এবং কয়েকটি নদী থেকে অবাধে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হলেও নেই কোনো পদক্ষেপ। উল্টো বালু উত্তোলনের কারণে ধসের ঝুঁকি থাকায় এলাকাছাড়া হচ্ছে পরিবার; নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক।
হবিগঞ্জের মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জের একটি অংশের চা-বাগানের ছড়া থেকে তোলা হচ্ছে সিলিকা বালু। এ ছাড়া মাধবপুরের সোনাই নদ, বাহুবলের করাঙ্গী নদী ও চুনারুঘাটের খোয়াই নদ থেকেও অবাধে তোলা হচ্ছে বালু। কোনো অনুমোদন না থাকলেও রাত-দিন চলছে বালু লুটপাট। এ জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে নির্বিচার সিলিকা বালু উত্তোলন করায় পাহাড়-টিলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে এবং আশপাশের রাস্তাঘাট, স্কুল, চা-শ্রমিকদের বসতঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
বালু বিক্রির সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক ঘনফুট সিলিকা বালু বিক্রি হয় ৪০ টাকায়। প্রতিটি ট্রাক্টরে তোলা হচ্ছে গড়ে ১২০ ঘনফুট বালু; এর বাজারমূল্য প্রায় ৫ হাজার টাকা। প্রতিরাতে ৭০ থেকে ৮০টি ট্রাক্টরে বালু পরিবহন করা হয়। গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার বালু অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। মাসিক হিসাবে এই অঙ্ক কোটি টাকার বেশি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, সিলিকা বালুর নেশায় হবিগঞ্জ জেলার প্রকৃতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে বারবার বিষয়টি দেখানো হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সিলিকা বালু লুটপাটের সঙ্গে কারা জড়িত, এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়ে বেশ কিছু নাম জানা গেছে। মাধবপুরে বালু উত্তোলনে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তাঁর সহকারী হিসেবে রয়েছেন উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বিএনপি নেতা জালাল মেম্বার। এই চক্র শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সুরমা চা-বাগান, তেলিয়াপাড়া চা-বাগান, বনগাঁও, ভাণ্ডুরা, ইটাখোলা ছড়া, চৌমুহনী ইউনিয়নের রসুলপুর এবং তুলসীপুর থেকে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হয়।
ইউপি সদস্য জালাল মোবাইলে বলেন, তিনি ও পারভেজ চেয়ারম্যান উপজেলার মনতলা নামক স্থান থেকে বৈধভাবে বালুমহালের ইজারা নিয়েছেন। যদিও বিভিন্ন স্থান থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনে তাঁদের নাম আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এর সদুত্তর দেননি।
তবে মাধবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিলিকা বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে এই উপজেলায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বালু পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে।
সিলিকা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যখন অভিযানে যাই, তখন তাদের পাই না। যে কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন বড় বড় ট্রাকে বালু পরিবহন করা হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনেরও সখ্য রয়েছে। যে কারণে নীরবে এসব সহ্য করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
সাতছড়ি ত্রিপুরাপল্লির হেডম্যান চিত্ত রঞ্জন দেববর্মা বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর আগে আমাদের টিলার চারপাশ থেকে প্রচুর সিলিকা বালু উত্তোলন করা হয়েছিল; যার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। বৃষ্টি এলেই টিলায় ধস নামছে। এখন পর্যন্ত ১০টি পরিবার ত্রিপুরাপল্লি ছেড়েছে।’
চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে দেউন্দি চা-বাগান পর্যন্ত ৬ সদস্যের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের মাহফুজ মিয়া, রিংকু মিয়া, বাবলু মিয়া, মাসুক মিয়া, ইউপি সদস্য ফয়েজ মিয়া ও মহিমাউড়া গ্রামের কাউসার মিয়া। এ ছাড়া এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন আবদুল্লাহপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়া, কাঠালবাড়ি গ্রামের খয়ের মিয়া তালুকদার ও মিষ্টু মিয়া, হলহলিয়া গ্রামের জসিম মিয়া, পাইকপাড়া গ্রামের মো. রমজান আলী, সাঁটিয়াজুরী ইউনিয়নের দারাগাও দেওছড়া থেকে যুবলীগ সভাপতি কাউসার মিয়া ও স্থানীয় রুস্তম আলী।
প্রশাসন কী করে
বাপা হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, হবিগঞ্জের সব কটি চা-বাগান ও রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিন-রাতে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়। প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও তা বন্ধ হয় না। এখনো যদি সিলিকা বালু উত্তোলন বন্ধ না করা হয়, আর কয়েক বছর পর হবিগঞ্জের পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিপর্যয় নেমে আসবে।
এই বালু উত্তোলন নিয়ে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন চুনারুঘাটের সদ্য সাবেক ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন থেকে সিলিকা বালুর কোনো মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। তবে রাতের আঁধারে প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। আমরা খবর পেলে অভিযান চালাই। বালু উত্তোলনের মেশিন ধ্বংস করার পাশাপাশি জরিমানা ও মামলা দিচ্ছি। তবে লোকবলের অভাবে পুরোপুরি উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্পকারখানায় এসব সিলিকা বালু বিক্রি হচ্ছে। যদি পুলিশ বালু পরিবহনের রাস্তাগুলোতে চেকপোস্ট বসায়, তাহলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে দেদার তোলা হচ্ছে হবিগঞ্জের সিলিকা বালু। এতে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতিকেরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় জেলার ৪টি উপজেলার চা-বাগানের ছড়া এবং কয়েকটি নদী থেকে অবাধে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হলেও নেই কোনো পদক্ষেপ। উল্টো বালু উত্তোলনের কারণে ধসের ঝুঁকি থাকায় এলাকাছাড়া হচ্ছে পরিবার; নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক।
হবিগঞ্জের মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জের একটি অংশের চা-বাগানের ছড়া থেকে তোলা হচ্ছে সিলিকা বালু। এ ছাড়া মাধবপুরের সোনাই নদ, বাহুবলের করাঙ্গী নদী ও চুনারুঘাটের খোয়াই নদ থেকেও অবাধে তোলা হচ্ছে বালু। কোনো অনুমোদন না থাকলেও রাত-দিন চলছে বালু লুটপাট। এ জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে নির্বিচার সিলিকা বালু উত্তোলন করায় পাহাড়-টিলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে এবং আশপাশের রাস্তাঘাট, স্কুল, চা-শ্রমিকদের বসতঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
বালু বিক্রির সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক ঘনফুট সিলিকা বালু বিক্রি হয় ৪০ টাকায়। প্রতিটি ট্রাক্টরে তোলা হচ্ছে গড়ে ১২০ ঘনফুট বালু; এর বাজারমূল্য প্রায় ৫ হাজার টাকা। প্রতিরাতে ৭০ থেকে ৮০টি ট্রাক্টরে বালু পরিবহন করা হয়। গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার বালু অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। মাসিক হিসাবে এই অঙ্ক কোটি টাকার বেশি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, সিলিকা বালুর নেশায় হবিগঞ্জ জেলার প্রকৃতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে বারবার বিষয়টি দেখানো হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সিলিকা বালু লুটপাটের সঙ্গে কারা জড়িত, এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়ে বেশ কিছু নাম জানা গেছে। মাধবপুরে বালু উত্তোলনে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তাঁর সহকারী হিসেবে রয়েছেন উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বিএনপি নেতা জালাল মেম্বার। এই চক্র শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সুরমা চা-বাগান, তেলিয়াপাড়া চা-বাগান, বনগাঁও, ভাণ্ডুরা, ইটাখোলা ছড়া, চৌমুহনী ইউনিয়নের রসুলপুর এবং তুলসীপুর থেকে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হয়।
ইউপি সদস্য জালাল মোবাইলে বলেন, তিনি ও পারভেজ চেয়ারম্যান উপজেলার মনতলা নামক স্থান থেকে বৈধভাবে বালুমহালের ইজারা নিয়েছেন। যদিও বিভিন্ন স্থান থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনে তাঁদের নাম আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এর সদুত্তর দেননি।
তবে মাধবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিলিকা বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে এই উপজেলায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বালু পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে।
সিলিকা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যখন অভিযানে যাই, তখন তাদের পাই না। যে কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন বড় বড় ট্রাকে বালু পরিবহন করা হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনেরও সখ্য রয়েছে। যে কারণে নীরবে এসব সহ্য করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
সাতছড়ি ত্রিপুরাপল্লির হেডম্যান চিত্ত রঞ্জন দেববর্মা বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর আগে আমাদের টিলার চারপাশ থেকে প্রচুর সিলিকা বালু উত্তোলন করা হয়েছিল; যার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। বৃষ্টি এলেই টিলায় ধস নামছে। এখন পর্যন্ত ১০টি পরিবার ত্রিপুরাপল্লি ছেড়েছে।’
চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে দেউন্দি চা-বাগান পর্যন্ত ৬ সদস্যের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের মাহফুজ মিয়া, রিংকু মিয়া, বাবলু মিয়া, মাসুক মিয়া, ইউপি সদস্য ফয়েজ মিয়া ও মহিমাউড়া গ্রামের কাউসার মিয়া। এ ছাড়া এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন আবদুল্লাহপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়া, কাঠালবাড়ি গ্রামের খয়ের মিয়া তালুকদার ও মিষ্টু মিয়া, হলহলিয়া গ্রামের জসিম মিয়া, পাইকপাড়া গ্রামের মো. রমজান আলী, সাঁটিয়াজুরী ইউনিয়নের দারাগাও দেওছড়া থেকে যুবলীগ সভাপতি কাউসার মিয়া ও স্থানীয় রুস্তম আলী।
প্রশাসন কী করে
বাপা হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, হবিগঞ্জের সব কটি চা-বাগান ও রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিন-রাতে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়। প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও তা বন্ধ হয় না। এখনো যদি সিলিকা বালু উত্তোলন বন্ধ না করা হয়, আর কয়েক বছর পর হবিগঞ্জের পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিপর্যয় নেমে আসবে।
এই বালু উত্তোলন নিয়ে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন চুনারুঘাটের সদ্য সাবেক ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন থেকে সিলিকা বালুর কোনো মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। তবে রাতের আঁধারে প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। আমরা খবর পেলে অভিযান চালাই। বালু উত্তোলনের মেশিন ধ্বংস করার পাশাপাশি জরিমানা ও মামলা দিচ্ছি। তবে লোকবলের অভাবে পুরোপুরি উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্পকারখানায় এসব সিলিকা বালু বিক্রি হচ্ছে। যদি পুলিশ বালু পরিবহনের রাস্তাগুলোতে চেকপোস্ট বসায়, তাহলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
১ মিনিট আগে
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন।
৭ মিনিট আগে
ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে
হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ...
৪০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার নিষ্কৃতি চাকমা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিএসসিআর এবং পিজিএস একাডেমিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির প্রশংসা করে নিষ্কৃতি চাকমা বলেন, সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে ব্রেস্ট ক্যানসারে প্রাণহানির ঝুঁকি অনেক কমে আসে।
অনুষ্ঠানে ডা. সায়রা বানু শিউলীর নেতৃত্বে চিকিৎসক দল উদ্বুদ্ধকরণ ও ভিডিও প্রদর্শনীসহ নারী পুলিশ সদস্যদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রবিউল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সিএসসিআর চেয়ারম্যান ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, মহিলা শল্যচিকিৎসক দলের প্রধান ডা. সায়রা বানু শিউলী, ডা. বিন্দু রানী গোপ, ডা. অন্তরা কর, সিএসসিআর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এবং সিএসসিআর ও পিজিএস একাডেমিয়ার সহযোগিতায় অক্টোবর মাসজুড়ে বিনা মূল্যে চিকিৎসা, পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ ছাড় এবং বিনা মূল্যে ব্রেস্ট সার্জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি শনি, সোম ও বুধবার বেলা ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সিএসসিআর হাসপাতালে বিনা মূল্যে স্ক্রিনিং ও পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, মেয়রের সুপারিশে ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের বিনা মূল্যে অস্ত্রোপচার কার্যক্রমও মাসব্যাপী অব্যাহত থাকবে।

অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার নিষ্কৃতি চাকমা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিএসসিআর এবং পিজিএস একাডেমিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির প্রশংসা করে নিষ্কৃতি চাকমা বলেন, সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে ব্রেস্ট ক্যানসারে প্রাণহানির ঝুঁকি অনেক কমে আসে।
অনুষ্ঠানে ডা. সায়রা বানু শিউলীর নেতৃত্বে চিকিৎসক দল উদ্বুদ্ধকরণ ও ভিডিও প্রদর্শনীসহ নারী পুলিশ সদস্যদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রবিউল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সিএসসিআর চেয়ারম্যান ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, মহিলা শল্যচিকিৎসক দলের প্রধান ডা. সায়রা বানু শিউলী, ডা. বিন্দু রানী গোপ, ডা. অন্তরা কর, সিএসসিআর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এবং সিএসসিআর ও পিজিএস একাডেমিয়ার সহযোগিতায় অক্টোবর মাসজুড়ে বিনা মূল্যে চিকিৎসা, পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ ছাড় এবং বিনা মূল্যে ব্রেস্ট সার্জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি শনি, সোম ও বুধবার বেলা ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সিএসসিআর হাসপাতালে বিনা মূল্যে স্ক্রিনিং ও পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, মেয়রের সুপারিশে ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের বিনা মূল্যে অস্ত্রোপচার কার্যক্রমও মাসব্যাপী অব্যাহত থাকবে।

নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে দেদার তোলা হচ্ছে হবিগঞ্জের সিলিকা বালু। এতে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতিকেরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় জেলার ৪টি উপজেলার চা-বাগানের ছড়া এবং কয়েকটি নদী থেকে অবাধে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হলেও নেই কোনো পদক্ষেপ।
২০ আগস্ট ২০২৫
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন।
৭ মিনিট আগে
ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে
হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ...
৪০ মিনিট আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় নলকূপ খনন করতে গিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া গ্রামের হোটেলশ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে গভীর নলকূপের জন্য খনন করতে গিয়ে এই গ্যাসের সন্ধান মিলে। আর সেই গ্যাস দিয়েই নূর মোহাম্মদের পরিবারসহ আশপাশের কয়েকটি পরিবার ১১ দিন ধরে রান্নাবান্না করছে।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোটেলশ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে ১৪ অক্টোবর সকালে মিস্ত্রিরা দেড় ইঞ্চি পাইপ দিয়ে প্রায় ৫৫ ফুট গভীরে মাটি খনন শুরু করেন। কিছু সময় পর পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হতে শুরু করে। পরে আরও দুটি স্থানে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত খনন করলেও একইভাবে গ্যাস পাওয়া যায়। দুটি খনন বন্ধ করে দেওয়া হলেও একটি স্থান দিয়ে অনবরত গ্যাস বের হতে থাকে।
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন। স্থানীয় যুবক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা সরকারের সম্পদ। পাশের জামালপুর জেলায় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের খবর এসেছে। এখানেও অনুসন্ধান করলে গ্যাসক্ষেত্রের সম্ভাবনা থাকতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ খোঁজ নিতে আসেনি।’
গৃহিণী শারমিন আক্তার (২৮) বলেন, ‘প্রায় ১০ দিন ধরে এই গ্যাস দিয়েই আমরা রান্না করতেছি। আশপাশের মহিলারাও এখানেই রান্না করছে। তবে কিছুটা ভয়ও লাগে। আমরা চাই দ্রুত যেন এই বিষয়ে একটা ব্যবস্থা হয়।’
বাড়ির মালিক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘গ্যাস তো ঝুঁকিপূর্ণ জিনিস। নিচে কতটা গ্যাস আছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা হলে বিপদ হতে পারে। সরকার বিষয়টি দেখলে ভালো হতো।’
রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ হযরত বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাই এবং উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। তবে আমরা কিছুটা আতঙ্কে আছি। কারণ, কখন কী ঘটে বলা যায় না।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। আজ বিকেলে বাপেক্স এবং আগামীকাল তিতাস গ্যাসের প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে আসবে।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় নলকূপ খনন করতে গিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া গ্রামের হোটেলশ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে গভীর নলকূপের জন্য খনন করতে গিয়ে এই গ্যাসের সন্ধান মিলে। আর সেই গ্যাস দিয়েই নূর মোহাম্মদের পরিবারসহ আশপাশের কয়েকটি পরিবার ১১ দিন ধরে রান্নাবান্না করছে।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোটেলশ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে ১৪ অক্টোবর সকালে মিস্ত্রিরা দেড় ইঞ্চি পাইপ দিয়ে প্রায় ৫৫ ফুট গভীরে মাটি খনন শুরু করেন। কিছু সময় পর পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হতে শুরু করে। পরে আরও দুটি স্থানে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত খনন করলেও একইভাবে গ্যাস পাওয়া যায়। দুটি খনন বন্ধ করে দেওয়া হলেও একটি স্থান দিয়ে অনবরত গ্যাস বের হতে থাকে।
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন। স্থানীয় যুবক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা সরকারের সম্পদ। পাশের জামালপুর জেলায় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের খবর এসেছে। এখানেও অনুসন্ধান করলে গ্যাসক্ষেত্রের সম্ভাবনা থাকতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ খোঁজ নিতে আসেনি।’
গৃহিণী শারমিন আক্তার (২৮) বলেন, ‘প্রায় ১০ দিন ধরে এই গ্যাস দিয়েই আমরা রান্না করতেছি। আশপাশের মহিলারাও এখানেই রান্না করছে। তবে কিছুটা ভয়ও লাগে। আমরা চাই দ্রুত যেন এই বিষয়ে একটা ব্যবস্থা হয়।’
বাড়ির মালিক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘গ্যাস তো ঝুঁকিপূর্ণ জিনিস। নিচে কতটা গ্যাস আছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা হলে বিপদ হতে পারে। সরকার বিষয়টি দেখলে ভালো হতো।’
রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ হযরত বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাই এবং উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। তবে আমরা কিছুটা আতঙ্কে আছি। কারণ, কখন কী ঘটে বলা যায় না।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। আজ বিকেলে বাপেক্স এবং আগামীকাল তিতাস গ্যাসের প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে আসবে।’

নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে দেদার তোলা হচ্ছে হবিগঞ্জের সিলিকা বালু। এতে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতিকেরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় জেলার ৪টি উপজেলার চা-বাগানের ছড়া এবং কয়েকটি নদী থেকে অবাধে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হলেও নেই কোনো পদক্ষেপ।
২০ আগস্ট ২০২৫
অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
১ মিনিট আগে
ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে
হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ...
৪০ মিনিট আগেঝালকাঠি, প্রতিনিধি

ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় নাসিম আকনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসিমের সঙ্গে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক শহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
শহিদুল ইসলামের বরাত দিয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সায়েম আকন বলেন, ‘নলবুনিয়া এলাকায় একটি ঠিকাদারির কাজ পরিদর্শন শেষে তাঁরা মোটরসাইকেলে রাজাপুরে ফিরছিলেন। পথে পাথরঘাটাগামী হামিম পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নাসিম আকন ছিটকে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পান এবং ডোবায় পড়ে যান। শহিদুলও মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান।’
আবু সায়েম আকন আরও বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। শহিদুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। তবে নাসিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। বাসটি শনাক্ত করে চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।’

ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় নাসিম আকনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসিমের সঙ্গে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক শহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
শহিদুল ইসলামের বরাত দিয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সায়েম আকন বলেন, ‘নলবুনিয়া এলাকায় একটি ঠিকাদারির কাজ পরিদর্শন শেষে তাঁরা মোটরসাইকেলে রাজাপুরে ফিরছিলেন। পথে পাথরঘাটাগামী হামিম পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নাসিম আকন ছিটকে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পান এবং ডোবায় পড়ে যান। শহিদুলও মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান।’
আবু সায়েম আকন আরও বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। শহিদুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। তবে নাসিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। বাসটি শনাক্ত করে চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।’

নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে দেদার তোলা হচ্ছে হবিগঞ্জের সিলিকা বালু। এতে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতিকেরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় জেলার ৪টি উপজেলার চা-বাগানের ছড়া এবং কয়েকটি নদী থেকে অবাধে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হলেও নেই কোনো পদক্ষেপ।
২০ আগস্ট ২০২৫
অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
১ মিনিট আগে
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন।
৭ মিনিট আগে
হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ...
৪০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে।
আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ চিকিৎসা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি বার্ষিক অনুদান এক কোটি থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এখন সেবা কার্যক্রম আরও ভালো চলবে।’
সচিব আরও বলেন, অনুদানের দুই কোটি টাকার মধ্যে ৪০ শতাংশ ব্যয় হবে বেতন-ভাতা প্রদানে। আর ৬০ শতাংশ ব্যবহৃত হবে সরঞ্জাম ক্রয় ও চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে। উন্নত কার্ডিয়াক সেবা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স সংযোজনের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষিত জনবল বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যসচিব।
হৃদ্রোগ এখন দেশের অন্যতম স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যুহারের প্রধান কারণ উল্লেখ করে সচিব বলেন, হৃদ্রোগ প্রতিরোধ, প্রাথমিক শনাক্তকরণ ও উন্নত চিকিৎসাসেবায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরাঞ্চলের জনগণের সেবায় প্রতিষ্ঠানটিকে আরও শক্তিশালী করতেই বার্ষিক সরকারি অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট রাজশাহীর পরিচালক ও চিফ কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. মো. রইছ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. হাবিবুর রহমান এবং সিভিল সার্জন রাজিউল করিম।
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য এনামুল হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী। আরও বক্তব্য দেন নির্বাহী সদস্য ডা. মো. ওয়াসিম হোসেন।

হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে।
আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ চিকিৎসা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি বার্ষিক অনুদান এক কোটি থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এখন সেবা কার্যক্রম আরও ভালো চলবে।’
সচিব আরও বলেন, অনুদানের দুই কোটি টাকার মধ্যে ৪০ শতাংশ ব্যয় হবে বেতন-ভাতা প্রদানে। আর ৬০ শতাংশ ব্যবহৃত হবে সরঞ্জাম ক্রয় ও চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে। উন্নত কার্ডিয়াক সেবা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স সংযোজনের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষিত জনবল বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যসচিব।
হৃদ্রোগ এখন দেশের অন্যতম স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যুহারের প্রধান কারণ উল্লেখ করে সচিব বলেন, হৃদ্রোগ প্রতিরোধ, প্রাথমিক শনাক্তকরণ ও উন্নত চিকিৎসাসেবায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরাঞ্চলের জনগণের সেবায় প্রতিষ্ঠানটিকে আরও শক্তিশালী করতেই বার্ষিক সরকারি অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট রাজশাহীর পরিচালক ও চিফ কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. মো. রইছ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. হাবিবুর রহমান এবং সিভিল সার্জন রাজিউল করিম।
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য এনামুল হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী। আরও বক্তব্য দেন নির্বাহী সদস্য ডা. মো. ওয়াসিম হোসেন।

নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে দেদার তোলা হচ্ছে হবিগঞ্জের সিলিকা বালু। এতে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতিকেরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় জেলার ৪টি উপজেলার চা-বাগানের ছড়া এবং কয়েকটি নদী থেকে অবাধে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হলেও নেই কোনো পদক্ষেপ।
২০ আগস্ট ২০২৫
অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
১ মিনিট আগে
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন।
৭ মিনিট আগে
ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগে