Ajker Patrika

হবিগঞ্জে চলছে সিলিকা বালু তোলার মচ্ছব

  • হবিগঞ্জের চার উপজেলার ছড়া ও নদী থেকে দিনদুপুরে বালু লুট।
  • প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটছে লুটপাট, কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
  • প্রশাসন বলছে, লোকবলের অভাব, পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ 
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ০০
ছড়া থেকে অবৈধভাবে তোলা হয়েছে বালু। পাড়ে রাখা বালু ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। সম্প্রতি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছড়া থেকে অবৈধভাবে তোলা হয়েছে বালু। পাড়ে রাখা বালু ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। সম্প্রতি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে দেদার তোলা হচ্ছে হবিগঞ্জের সিলিকা বালু। এতে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতিকেরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় জেলার ৪টি উপজেলার চা-বাগানের ছড়া এবং কয়েকটি নদী থেকে অবাধে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হলেও নেই কোনো পদক্ষেপ। উল্টো বালু উত্তোলনের কারণে ধসের ঝুঁকি থাকায় এলাকাছাড়া হচ্ছে পরিবার; নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক।

হবিগঞ্জের মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জের একটি অংশের চা-বাগানের ছড়া থেকে তোলা হচ্ছে সিলিকা বালু। এ ছাড়া মাধবপুরের সোনাই নদ, বাহুবলের করাঙ্গী নদী ও চুনারুঘাটের খোয়াই নদ থেকেও অবাধে তোলা হচ্ছে বালু। কোনো অনুমোদন না থাকলেও রাত-দিন চলছে বালু লুটপাট। এ জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে নির্বিচার সিলিকা বালু উত্তোলন করায় পাহাড়-টিলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে এবং আশপাশের রাস্তাঘাট, স্কুল, চা-শ্রমিকদের বসতঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

বালু বিক্রির সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক ঘনফুট সিলিকা বালু বিক্রি হয় ৪০ টাকায়। প্রতিটি ট্রাক্টরে তোলা হচ্ছে গড়ে ১২০ ঘনফুট বালু; এর বাজারমূল্য প্রায় ৫ হাজার টাকা। প্রতিরাতে ৭০ থেকে ৮০টি ট্রাক্টরে বালু পরিবহন করা হয়। গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার বালু অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। মাসিক হিসাবে এই অঙ্ক কোটি টাকার বেশি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, সিলিকা বালুর নেশায় হবিগঞ্জ জেলার প্রকৃতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে বারবার বিষয়টি দেখানো হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সিলিকা বালু লুটপাটের সঙ্গে কারা জড়িত, এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়ে বেশ কিছু নাম জানা গেছে। মাধবপুরে বালু উত্তোলনে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তাঁর সহকারী হিসেবে রয়েছেন উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বিএনপি নেতা জালাল মেম্বার। এই চক্র শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সুরমা চা-বাগান, তেলিয়াপাড়া চা-বাগান, বনগাঁও, ভাণ্ডুরা, ইটাখোলা ছড়া, চৌমুহনী ইউনিয়নের রসুলপুর এবং তুলসীপুর থেকে সিলিকা বালু উত্তোলন করা হয়।

ইউপি সদস্য জালাল মোবাইলে বলেন, তিনি ও পারভেজ চেয়ারম্যান উপজেলার মনতলা নামক স্থান থেকে বৈধভাবে বালুমহালের ইজারা নিয়েছেন। যদিও বিভিন্ন স্থান থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনে তাঁদের নাম আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এর সদুত্তর দেননি।

তবে মাধবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিলিকা বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে এই উপজেলায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বালু পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে।

সিলিকা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যখন অভিযানে যাই, তখন তাদের পাই না। যে কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন বড় বড় ট্রাকে বালু পরিবহন করা হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনেরও সখ্য রয়েছে। যে কারণে নীরবে এসব সহ্য করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

সাতছড়ি ত্রিপুরাপল্লির হেডম্যান চিত্ত রঞ্জন দেববর্মা বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর আগে আমাদের টিলার চারপাশ থেকে প্রচুর সিলিকা বালু উত্তোলন করা হয়েছিল; যার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। বৃষ্টি এলেই টিলায় ধস নামছে। এখন পর্যন্ত ১০টি পরিবার ত্রিপুরাপল্লি ছেড়েছে।’

চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে দেউন্দি চা-বাগান পর্যন্ত ৬ সদস্যের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের মাহফুজ মিয়া, রিংকু মিয়া, বাবলু মিয়া, মাসুক মিয়া, ইউপি সদস্য ফয়েজ মিয়া ও মহিমাউড়া গ্রামের কাউসার মিয়া। এ ছাড়া এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন আবদুল্লাহপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়া, কাঠালবাড়ি গ্রামের খয়ের মিয়া তালুকদার ও মিষ্টু মিয়া, হলহলিয়া গ্রামের জসিম মিয়া, পাইকপাড়া গ্রামের মো. রমজান আলী, সাঁটিয়াজুরী ইউনিয়নের দারাগাও দেওছড়া থেকে যুবলীগ সভাপতি কাউসার মিয়া ও স্থানীয় রুস্তম আলী।

প্রশাসন কী করে

বাপা হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, হবিগঞ্জের সব কটি চা-বাগান ও রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিন-রাতে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়। প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও তা বন্ধ হয় না। এখনো যদি সিলিকা বালু উত্তোলন বন্ধ না করা হয়, আর কয়েক বছর পর হবিগঞ্জের পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিপর্যয় নেমে আসবে।

এই বালু উত্তোলন নিয়ে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন চুনারুঘাটের সদ্য সাবেক ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন থেকে সিলিকা বালুর কোনো মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। তবে রাতের আঁধারে প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। আমরা খবর পেলে অভিযান চালাই। বালু উত্তোলনের মেশিন ধ্বংস করার পাশাপাশি জরিমানা ও মামলা দিচ্ছি। তবে লোকবলের অভাবে পুরোপুরি উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্পকারখানায় এসব সিলিকা বালু বিক্রি হচ্ছে। যদি পুলিশ বালু পরিবহনের রাস্তাগুলোতে চেকপোস্ট বসায়, তাহলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় পাঁচটি আসনে পাঁচজন প্রার্থী। ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁয় পাঁচটি আসনে পাঁচজন প্রার্থী। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ঘোষিত এই তলিকায় নওগাঁ-৫ (সদর) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

ঘোষণা অনুযায়ী নওগাঁ-১ (পোরশা, সাপাহার ও নিয়ামতপুর) আসনে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস, নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনে দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাহফুজার রহমান চৌধুরী, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও, নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে দলটির জেলা কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি নওগাঁর আহ্বায়ক মাহফুজার রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যুগে যুগে এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে গেছে। আমরা এর অবসান চাই। জনগণের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছি; তাঁরাও পরিবর্তন চান। আমরা ছয়টি আসনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নওগাঁয় ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিএডিসি ডিলার মেসার্স সরকার ট্রেডার্সের মালিক লিপি রানী সরকার নওগাঁ বিএডিসি গুদাম থেকে বিকেলে সারগুলো নিয়ে রাতে ধামইরহাট এলাকায় যান। এলাকাবাসী ট্রাকটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে সারগুলোর বৈধ গন্তব্য ও বিতরণপত্র দেখাতে না পারায় জনতার সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি তারা পুলিশ ও কৃষি বিভাগকে জানায়। ধামইরহাট থানা-পুলিশ ও উপজেলা কৃষি বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার, ট্রাক ও চালককে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, সারগুলো থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিলারের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সড়কের ওপর রাখা ধানে দুর্ঘটনা, কুলাউড়ায় দুই চাচাতো ভাই নিহত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে সংঘাত বন্ধে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নরসিংদী প্রতিনিধি
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।

পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।

পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত