Ajker Patrika

বাহুবলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: দিশেহারা বানভাসি মানুষ

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ জুন ২০২২, ১২: ২০
বাহুবলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: দিশেহারা বানভাসি মানুষ

বাহুবলে বন্যা পরিস্থিতি দিনে দিনে অবনতি হওয়ায় দিশেহারা বানভাসি মানুষ। উপজেলার স্নানঘাট, সাতকাপন ও লামাতাশি ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামই এখন বন্যার পানিতে ভাসছে। এসব ইউনিয়নের অমৃতা, খাগাউড়া, কালাপুর, মুদাহরপুর, বাগদাইর, নিধনপুর, লালপুর, হোসেনপুর, শ্যামপুর, গোয়ালবাধা, ফতেহপুর, চকহায়দর, স্নানঘাট, স্বস্তিপুর, বক্তারপুর, সারংপুর, সোয়াইয়া, তারাপাশা, হাজীপুর, চানপুর, ধনিয়াখালী, লামা নোয়াগাঁও, কাজীহাটা গ্রামগুলো বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহুবল সদর ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে করাঙ্গী নদীর পানি প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে উপজেলার শতাধিক গ্রামই এখন কমবেশি বন্যার পানিতে ভাসছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি স্নানঘাট ইউনিয়নে। সেখানে কয়েক শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে কয়েক শ পুকুর ও মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে কয়েক শ হেক্টর ফসলি জমি ও বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। এতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। এই ইউনিয়নের সিংহভাগ গ্রামের ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় গবাদিপশু, ধানচাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক পরিবার স্নানঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা চালানো হলেও সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

এ ছাড়া বন্যায় উপজেলার ভাটি অঞ্চলের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পানি ঢুকে পড়েছে। স্নানঘাট ইউনিয়নের ফতেহপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, সাতকাপন ইউনিয়নের রাসুলপুর সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও সদর ইউনিয়নের দীননাথ ইনস্টিটিউশন সাতকাপন সরকারি হাইস্কুলে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তা ছাড়া খাড়াউড়া, অমৃতা, মুদাহরপুর, স্নানঘাট, স্বস্তিপুর, হোসেনপুর, চকহায়দর, বক্তারপুর, মানিকপুর, জগৎপুর, অলুয়া, পনারব্দা, হাবিজপুর, হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। 

হাবিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা নূরুল আমীন বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয় তথা নিম্নাঞ্চলের সব কয়টি বিদ্যালয়ে হাঁটু পানি প্রবেশ করেছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে কোমরপানি। স্কুল বন্ধের সরকারি কোনো নির্দেশনা না থাকায় এখনো পানিতে ভিজেই বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে।’ 

স্বস্তিপুর গ্রামের নূর উদ্দিন বলেন, ‘বন্যার পানি ঘরে প্রবেশ করায় জরুরি মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু কতটা পারব সেটা জানি না। হাওরে গত কয়েক দিনে পানি বৃদ্ধির ফলে সব ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় যতটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম, এখন ঘরে পানি প্রবেশ করায় পুরোপুরি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সবচেয়ে বেশি বিপদে আছি গবাদিপশু নিয়ে। গবাদিপশু রাখা ও তাদের খাবারের জোগান দেওয়া মারাত্মক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’ 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানান, উপজেলার নিম্নাঞ্চলে হঠাৎ করে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ৮৫০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এ পানি আগামী তিন-চার দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকলে ফসলি জমিগুলো শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আফজল জানান, উপজেলার দুই শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহুয়া শারমিন ফাতেমা বলেন, ‘উপজেলার হাওরাঞ্চলের বেশির ভাগ গ্রাম বন্যায় কবলিত। গত কয়েক দিন ধরে স্নানঘাট ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে বন্যার্তদের মাঝে দুই শতাধিক প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছি। এ ছাড়া স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদে দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ সমাবর্তন ১৭ ডিসেম্বর

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, সমাবর্তন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যাবলি পরে জানানো হবে।

এর আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে এই সমাবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনসহ নানা কারণে সেটা স্থগিত হয়। ২০২৪ সালের জুনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং ২৮ নভেম্বর সমাবর্তনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জুলাই বিপ্লবে দেশের পটপরিবর্তন হলে ফের স্থগিত হয় এই সমাবর্তন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার ৭ বছরের কারাদণ্ড

ভোলা প্রতিনিধিচরফ্যাশন সংবাদদাতা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

‎ভোলার চরফ্যাশনে মেয়েকে গলা টিপে হত্যার দায়ে বাবাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

‎আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চরফ্যাশন চৌকি আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি হযরত আলী হিরন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো. ফারুক উপজেলার শশীভূষণ থানার জাহানপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

‎মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাবা ফারুক মেয়ে খাদিজা আক্তার খুকিকে (২০) নিয়ে বরিশাল ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যেতে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় মেয়ের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে মেয়ের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মেয়েকে চরফ্যাশন পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড ফজলুর রহমান সড়কের অধ্যক্ষ দুলাল মিয়ার বাড়ির পেছনের বিলের মধ্যে ফেলে দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ওই দিন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করে।

মামলার তদন্ত চলাকালে বাবা ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে নিজেই মেয়েকে হত্যা করেছেন বলে বাবা জবানবন্দি দেন।

রায় ঘোষণার পর স্থানীয় আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ রায়কে ন্যায়সংগত বলে অভিহিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বন্দরে ৬০ হাজার কেজি নিষিদ্ধ ঘনচিনি জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরে তিন কনটেইনারে আসা ৬০ হাজার ৪৮০ কেজি আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি জব্দ করা হয়েছে। এসব পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য দাম ২ কোটি টাকা। এ পণ্যের শুল্কহার ৬১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

মিষ্টান্ন, বেকারি পণ্য, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকলেট, কনডেন্সড মিল্ক ও শিশুখাদ্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা ঘনচিনি ব্যবহার করছেন। জনস্বাস্থ্যের জন্য এটি মারাত্মক ক্ষতিকর, ক্যানসারসহ কিডনি ও জটিল রোগের কারণ। ঘনচিনি সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০-৫০ গুণ বেশি মিষ্টি, যা কৃত্রিমভাবে তৈরি।

ঢাকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ চালান আটক করা হয়েছে বলে বন্দর সূত্র জানিয়েছে।

বন্দর সূত্র জানায়, ঢাকার মতিঝিলে জীবন বীমা ভবনের এইচপি ইন্টারন্যাশনাল সোডা অ্যাশ লাইট ঘোষণায় চীন থেকে গত ১৬ আগস্ট চালানটি আমদানি করে। চালানটি খালাসের জন্য চট্টগ্রামের সিটি গেটের গোল্ডেন কনটেইনার ডিপোতে আনা হয়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম কনটেইনারগুলোর খালাস কার্যক্রম স্থগিত করে। ১৬ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানো প্রযুক্তি সেন্টার, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব এবং কাস্টম হাউসের ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তিনটি ল্যাবের পরীক্ষাতেই ওই পণ্য ঘনচিনি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

ঘনচিনির অপব্যবহার রোধে সরকার পণ্যটি আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪-এর আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় রাখা হয়েছে ঘনচিনি।

কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির জানিয়েছেন, কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর বিধান অনুযায়ী ঘনচিনির চালানটি আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সহপাঠীর পিটুনিতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
নিহত স্কুলছাত্র মো. তানভীর। ছবি: সংগৃহীত
নিহত স্কুলছাত্র মো. তানভীর। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে উচ্ছৃঙ্খল সহপাঠীদের পিটুনিতে মো. তানভীর (১৬) নামের এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার পুরোনো অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তানভীর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড মুন্সিপাড়া সুলতান আহম্মদ বাড়ির প্রবাসী আব্দুল বারেকের ছেলে। সে ওই এলাকার আলীপুর রহমানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

তানভীরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান। তিনি জানান, মঙ্গলবার স্কুলে কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে সৃষ্ট বিবাদ মেটানোর কারণে একপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে দুপুরে তানভীরের ওপর হামলা করে।

সন্ধ্যায় হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। হত্যাকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত