গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা ও সংঘর্ষের পর সেখানে জারি করা কারফিউর সময় বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান অভিযানে আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। এদিকে কারফিউ ও বুধবারের সহিংসতার ঘটনার পর গোপালগঞ্জে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা একেবারেই কম।
এক বছর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া মানুষের কথা শুনতে ১ জুলাই থেকে সারা দেশে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার গোপালগঞ্জে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ ঘোষণা করেছিল এনসিপি। এই কর্মসূচি ঘিরে বুধবার সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত চার দফায় হামলা চালান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। হামলা হয় সদর উপজেলার কংশুরে পুলিশ সদস্য ও তাঁদের গাড়ি, সদর উপজেলার ইউএনও, শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা কারাগার চত্বরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে। এ সময় বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার রাত ৮টা থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ দেওয়া হয় গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে। কারফিউ জারির আগে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। এরপর গতকাল সেই কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গতকাল ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন করে শুরু হওয়া কারফিউ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর মাঝে আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে কারফিউর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
থমথমে পরিস্থিতি গোপালগঞ্জে
এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার গোপালগঞ্জে দিনভর সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে কারফিউর কারণে শহরের রাস্তাঘাট প্রায় জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। গতকাল সকালে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় মানুষের চলাচলও ছিল কম।
গতকাল সকালে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, হামলার অন্যতম স্থান শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইট-পাটকেল, বাঁশসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধক সামগ্রী। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি সদস্য মোতায়েন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শহর ঘুরে দেখা যায়, গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে মোতায়েন আছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশের সঙ্গে র্যাব ও আনসার বাহিনী। খুলনা থেকে আসা নৌবাহিনীর একটি টিমও যুক্ত হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থায়। কারফিউর কারণে স্থানীয় বাস চলাচল বন্ধ ছিল গতকাল।
গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। ওই সাংবাদিক বুধবার রাতের শহরের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, শহরের সব দোকানপাট বন্ধ। দু-একটা রিকশা চলছে। রাস্তায় সেভাবে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কারফিউ জারির পর থেকেই এই অবস্থা।
গোপালগঞ্জ সদর সার্কেল পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও বিবিসি বাংলাকে বলেন, গোপালগঞ্জের ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তবে থমথমে। কারফিউ বলবৎ আছে।’ তিনি আরও বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকেই গোপালগঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এটি পরিচালনা করছে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৫
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষের পর যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। যারা দুষ্কৃতকারী রয়েছে, যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
হামলায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে ডিআইজি বলেন, হামলার ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪০-৪৫ জন। আহতদের মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
এদিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ আয়োজনে ‘যুব উদ্যোক্তা: বিনিয়োগ, নীতি ও ইকোসিস্টেম’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো আমার মতে আমি যতটুকু দেখেছি, তারা ভালো ভূমিকা পালন করেছে এবং তারা সফলভাবে সেখান থেকে প্রত্যেককে ইভাকুয়েট করতে পেরেছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা করেছে, তারা গ্রেপ্তার হবে।’

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা ও সংঘর্ষের পর সেখানে জারি করা কারফিউর সময় বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান অভিযানে আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। এদিকে কারফিউ ও বুধবারের সহিংসতার ঘটনার পর গোপালগঞ্জে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা একেবারেই কম।
এক বছর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া মানুষের কথা শুনতে ১ জুলাই থেকে সারা দেশে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার গোপালগঞ্জে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ ঘোষণা করেছিল এনসিপি। এই কর্মসূচি ঘিরে বুধবার সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত চার দফায় হামলা চালান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। হামলা হয় সদর উপজেলার কংশুরে পুলিশ সদস্য ও তাঁদের গাড়ি, সদর উপজেলার ইউএনও, শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা কারাগার চত্বরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে। এ সময় বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার রাত ৮টা থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ দেওয়া হয় গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে। কারফিউ জারির আগে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। এরপর গতকাল সেই কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গতকাল ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন করে শুরু হওয়া কারফিউ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর মাঝে আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে কারফিউর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
থমথমে পরিস্থিতি গোপালগঞ্জে
এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার গোপালগঞ্জে দিনভর সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে কারফিউর কারণে শহরের রাস্তাঘাট প্রায় জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। গতকাল সকালে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় মানুষের চলাচলও ছিল কম।
গতকাল সকালে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, হামলার অন্যতম স্থান শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইট-পাটকেল, বাঁশসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধক সামগ্রী। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি সদস্য মোতায়েন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শহর ঘুরে দেখা যায়, গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে মোতায়েন আছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশের সঙ্গে র্যাব ও আনসার বাহিনী। খুলনা থেকে আসা নৌবাহিনীর একটি টিমও যুক্ত হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থায়। কারফিউর কারণে স্থানীয় বাস চলাচল বন্ধ ছিল গতকাল।
গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। ওই সাংবাদিক বুধবার রাতের শহরের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, শহরের সব দোকানপাট বন্ধ। দু-একটা রিকশা চলছে। রাস্তায় সেভাবে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কারফিউ জারির পর থেকেই এই অবস্থা।
গোপালগঞ্জ সদর সার্কেল পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও বিবিসি বাংলাকে বলেন, গোপালগঞ্জের ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তবে থমথমে। কারফিউ বলবৎ আছে।’ তিনি আরও বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকেই গোপালগঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এটি পরিচালনা করছে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৫
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষের পর যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। যারা দুষ্কৃতকারী রয়েছে, যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
হামলায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে ডিআইজি বলেন, হামলার ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪০-৪৫ জন। আহতদের মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
এদিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ আয়োজনে ‘যুব উদ্যোক্তা: বিনিয়োগ, নীতি ও ইকোসিস্টেম’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো আমার মতে আমি যতটুকু দেখেছি, তারা ভালো ভূমিকা পালন করেছে এবং তারা সফলভাবে সেখান থেকে প্রত্যেককে ইভাকুয়েট করতে পেরেছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা করেছে, তারা গ্রেপ্তার হবে।’
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা ও সংঘর্ষের পর সেখানে জারি করা কারফিউর সময় বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান অভিযানে আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। এদিকে কারফিউ ও বুধবারের সহিংসতার ঘটনার পর গোপালগঞ্জে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা একেবারেই কম।
এক বছর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া মানুষের কথা শুনতে ১ জুলাই থেকে সারা দেশে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার গোপালগঞ্জে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ ঘোষণা করেছিল এনসিপি। এই কর্মসূচি ঘিরে বুধবার সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত চার দফায় হামলা চালান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। হামলা হয় সদর উপজেলার কংশুরে পুলিশ সদস্য ও তাঁদের গাড়ি, সদর উপজেলার ইউএনও, শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা কারাগার চত্বরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে। এ সময় বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার রাত ৮টা থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ দেওয়া হয় গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে। কারফিউ জারির আগে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। এরপর গতকাল সেই কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গতকাল ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন করে শুরু হওয়া কারফিউ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর মাঝে আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে কারফিউর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
থমথমে পরিস্থিতি গোপালগঞ্জে
এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার গোপালগঞ্জে দিনভর সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে কারফিউর কারণে শহরের রাস্তাঘাট প্রায় জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। গতকাল সকালে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় মানুষের চলাচলও ছিল কম।
গতকাল সকালে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, হামলার অন্যতম স্থান শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইট-পাটকেল, বাঁশসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধক সামগ্রী। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি সদস্য মোতায়েন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শহর ঘুরে দেখা যায়, গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে মোতায়েন আছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশের সঙ্গে র্যাব ও আনসার বাহিনী। খুলনা থেকে আসা নৌবাহিনীর একটি টিমও যুক্ত হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থায়। কারফিউর কারণে স্থানীয় বাস চলাচল বন্ধ ছিল গতকাল।
গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। ওই সাংবাদিক বুধবার রাতের শহরের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, শহরের সব দোকানপাট বন্ধ। দু-একটা রিকশা চলছে। রাস্তায় সেভাবে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কারফিউ জারির পর থেকেই এই অবস্থা।
গোপালগঞ্জ সদর সার্কেল পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও বিবিসি বাংলাকে বলেন, গোপালগঞ্জের ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তবে থমথমে। কারফিউ বলবৎ আছে।’ তিনি আরও বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকেই গোপালগঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এটি পরিচালনা করছে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৫
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষের পর যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। যারা দুষ্কৃতকারী রয়েছে, যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
হামলায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে ডিআইজি বলেন, হামলার ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪০-৪৫ জন। আহতদের মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
এদিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ আয়োজনে ‘যুব উদ্যোক্তা: বিনিয়োগ, নীতি ও ইকোসিস্টেম’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো আমার মতে আমি যতটুকু দেখেছি, তারা ভালো ভূমিকা পালন করেছে এবং তারা সফলভাবে সেখান থেকে প্রত্যেককে ইভাকুয়েট করতে পেরেছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা করেছে, তারা গ্রেপ্তার হবে।’

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা ও সংঘর্ষের পর সেখানে জারি করা কারফিউর সময় বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান অভিযানে আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। এদিকে কারফিউ ও বুধবারের সহিংসতার ঘটনার পর গোপালগঞ্জে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা একেবারেই কম।
এক বছর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া মানুষের কথা শুনতে ১ জুলাই থেকে সারা দেশে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার গোপালগঞ্জে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ ঘোষণা করেছিল এনসিপি। এই কর্মসূচি ঘিরে বুধবার সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত চার দফায় হামলা চালান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। হামলা হয় সদর উপজেলার কংশুরে পুলিশ সদস্য ও তাঁদের গাড়ি, সদর উপজেলার ইউএনও, শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা কারাগার চত্বরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে। এ সময় বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার রাত ৮টা থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ দেওয়া হয় গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে। কারফিউ জারির আগে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। এরপর গতকাল সেই কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গতকাল ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন করে শুরু হওয়া কারফিউ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর মাঝে আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে কারফিউর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
থমথমে পরিস্থিতি গোপালগঞ্জে
এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার গোপালগঞ্জে দিনভর সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে কারফিউর কারণে শহরের রাস্তাঘাট প্রায় জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। গতকাল সকালে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় মানুষের চলাচলও ছিল কম।
গতকাল সকালে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, হামলার অন্যতম স্থান শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইট-পাটকেল, বাঁশসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধক সামগ্রী। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি সদস্য মোতায়েন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শহর ঘুরে দেখা যায়, গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে মোতায়েন আছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশের সঙ্গে র্যাব ও আনসার বাহিনী। খুলনা থেকে আসা নৌবাহিনীর একটি টিমও যুক্ত হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থায়। কারফিউর কারণে স্থানীয় বাস চলাচল বন্ধ ছিল গতকাল।
গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। ওই সাংবাদিক বুধবার রাতের শহরের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, শহরের সব দোকানপাট বন্ধ। দু-একটা রিকশা চলছে। রাস্তায় সেভাবে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কারফিউ জারির পর থেকেই এই অবস্থা।
গোপালগঞ্জ সদর সার্কেল পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও বিবিসি বাংলাকে বলেন, গোপালগঞ্জের ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তবে থমথমে। কারফিউ বলবৎ আছে।’ তিনি আরও বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকেই গোপালগঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এটি পরিচালনা করছে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৫
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষের পর যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। যারা দুষ্কৃতকারী রয়েছে, যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
হামলায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে ডিআইজি বলেন, হামলার ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪০-৪৫ জন। আহতদের মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
এদিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ আয়োজনে ‘যুব উদ্যোক্তা: বিনিয়োগ, নীতি ও ইকোসিস্টেম’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো আমার মতে আমি যতটুকু দেখেছি, তারা ভালো ভূমিকা পালন করেছে এবং তারা সফলভাবে সেখান থেকে প্রত্যেককে ইভাকুয়েট করতে পেরেছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা করেছে, তারা গ্রেপ্তার হবে।’

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা ও সংঘর্ষের পর সেখানে জারি করা কারফিউর সময় বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান অভিযানে আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। এদিকে কারফিউ ও বুধবারের সহিংসতার ঘটনার পর গোপালগঞ্জে...
১৮ জুলাই ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা ও সংঘর্ষের পর সেখানে জারি করা কারফিউর সময় বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান অভিযানে আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। এদিকে কারফিউ ও বুধবারের সহিংসতার ঘটনার পর গোপালগঞ্জে...
১৮ জুলাই ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা ও সংঘর্ষের পর সেখানে জারি করা কারফিউর সময় বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান অভিযানে আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। এদিকে কারফিউ ও বুধবারের সহিংসতার ঘটনার পর গোপালগঞ্জে...
১৮ জুলাই ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা ও সংঘর্ষের পর সেখানে জারি করা কারফিউর সময় বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান অভিযানে আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। এদিকে কারফিউ ও বুধবারের সহিংসতার ঘটনার পর গোপালগঞ্জে...
১৮ জুলাই ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে