ছেলেকে নাতি পিটিয়ে হত্যা করেছেন, এ জন্য মো. তমিজ উদ্দিনের মনে কোনো ক্ষোভ বা দুঃখ নেই। তাঁর একটাই কষ্ট—ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলার জন্য নাতিকে কারাগারে যেতে হচ্ছে। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ তমিজ উদ্দিনের চাওয়া, আল্লাহ যেন এমন সন্তানের বাবা কোনো মানুষকে না করেন।
ছেলের মৃত্যুর পর আজ শুক্রবার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমন অনুভূতি প্রকাশ করেন এই বৃদ্ধ। জানা গেছে, নেশার টাকার জন্য তমিজকে তাঁর ছেলে চাপ দিয়েছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তমিজের এক নাতি পিটিয়ে হত্যা করেন।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত যুবকের নাম সজীব আহমেদ (৩২)। তিনি মো. তমিজ উদ্দিনের ছেলে। পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক যুবকের নাম মো. সৈকত আহমেদ (১৮)। সজীব অভিযুক্ত সৈকতের চাচা। পুলিশ সৈকতকে আটক করেছে। তিনি একটি কলেজের শিক্ষার্থী।
নিহত ব্যক্তির বাবা তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে একটি অচেনা মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে আমার ছেলে সজীব। এ সময় সে মন্দ ভাষায় উচ্চ স্বরে বলে, এক ঘণ্টার মধ্যে ২০ হাজার টাকা লাগবে। না দিলে বাড়িঘর ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেবে। এক ঘণ্টা পর টাকা না পেলে সে বাড়িতে আসবে। এর কিছুক্ষণ পর সে আবার কল করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে; যা বাবা হিসেবে মুখে বলতে পারছি না। ভয় পেয়ে বিষয়টি আমি নাতি সৈকতকে জানাই। বিষয়টি শুনে সৈকত গিয়ে পাশের বাড়ি থেকে সজীবকে ধরে এনে মারধর করে। একপর্যায়ে সজীব মারা যায়।’
তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘ছেলে যখন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে, তখন তাঁকে ফেরাতে অনেক চেষ্টা করেছি। তাঁকে ফেরাতে না পেরে পাশের সাটিয়াবাড়ী গ্রামে নতুন বসতবাড়ি করে দিই। সে বসতবাড়ি বিক্রি করে নেশা করে শেষ করছে। তার মাদকাসক্তের মাত্রা চরম পর্যায়ে চলে যায়। সজীবের অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে তাঁর স্ত্রী একমাত্র সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়।’
ছেলেকে হত্যার ঘটনায় নাতি সৈকতকে পুলিশ আটক করেছে জানিয়ে তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমার একটাই কষ্ট, একজন মাদকাসক্ত ছেলের জন্য আমার নিরপরাধ নাতি কারাগারে যাচ্ছে। সে ছেলেকে পিটিয়ে মেরেছে, এ জন্য কোনো আফসোস নেই। এমন সন্তানের বাবা কোনো মানুষকে আল্লাহ যেন না করেন।’
রাজাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী শেখ বলেন, ‘সজীবকে নিয়ে তাঁর পরিবার খুবই সমস্যায় ছিল। নেশার টাকার জন্য বাবা, ভাইকেও মারধর করতেন তিনি। তাঁর জন্য সব সময় পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। মাদকাসক্ত হয়ে বাবার অনেক জমি ও অর্থ নষ্ট করে পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছেন সজীব। নেশার টাকার জন্য বাবাকে হুমকি দিলে ভাতিজা ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করলে রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।’
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে আজ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে সজীবের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৈকতকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও খবর পড়ুন:
ছেলেকে নাতি পিটিয়ে হত্যা করেছেন, এ জন্য মো. তমিজ উদ্দিনের মনে কোনো ক্ষোভ বা দুঃখ নেই। তাঁর একটাই কষ্ট—ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলার জন্য নাতিকে কারাগারে যেতে হচ্ছে। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ তমিজ উদ্দিনের চাওয়া, আল্লাহ যেন এমন সন্তানের বাবা কোনো মানুষকে না করেন।
ছেলের মৃত্যুর পর আজ শুক্রবার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমন অনুভূতি প্রকাশ করেন এই বৃদ্ধ। জানা গেছে, নেশার টাকার জন্য তমিজকে তাঁর ছেলে চাপ দিয়েছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তমিজের এক নাতি পিটিয়ে হত্যা করেন।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত যুবকের নাম সজীব আহমেদ (৩২)। তিনি মো. তমিজ উদ্দিনের ছেলে। পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক যুবকের নাম মো. সৈকত আহমেদ (১৮)। সজীব অভিযুক্ত সৈকতের চাচা। পুলিশ সৈকতকে আটক করেছে। তিনি একটি কলেজের শিক্ষার্থী।
নিহত ব্যক্তির বাবা তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে একটি অচেনা মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে আমার ছেলে সজীব। এ সময় সে মন্দ ভাষায় উচ্চ স্বরে বলে, এক ঘণ্টার মধ্যে ২০ হাজার টাকা লাগবে। না দিলে বাড়িঘর ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেবে। এক ঘণ্টা পর টাকা না পেলে সে বাড়িতে আসবে। এর কিছুক্ষণ পর সে আবার কল করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে; যা বাবা হিসেবে মুখে বলতে পারছি না। ভয় পেয়ে বিষয়টি আমি নাতি সৈকতকে জানাই। বিষয়টি শুনে সৈকত গিয়ে পাশের বাড়ি থেকে সজীবকে ধরে এনে মারধর করে। একপর্যায়ে সজীব মারা যায়।’
তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘ছেলে যখন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে, তখন তাঁকে ফেরাতে অনেক চেষ্টা করেছি। তাঁকে ফেরাতে না পেরে পাশের সাটিয়াবাড়ী গ্রামে নতুন বসতবাড়ি করে দিই। সে বসতবাড়ি বিক্রি করে নেশা করে শেষ করছে। তার মাদকাসক্তের মাত্রা চরম পর্যায়ে চলে যায়। সজীবের অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে তাঁর স্ত্রী একমাত্র সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়।’
ছেলেকে হত্যার ঘটনায় নাতি সৈকতকে পুলিশ আটক করেছে জানিয়ে তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমার একটাই কষ্ট, একজন মাদকাসক্ত ছেলের জন্য আমার নিরপরাধ নাতি কারাগারে যাচ্ছে। সে ছেলেকে পিটিয়ে মেরেছে, এ জন্য কোনো আফসোস নেই। এমন সন্তানের বাবা কোনো মানুষকে আল্লাহ যেন না করেন।’
রাজাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী শেখ বলেন, ‘সজীবকে নিয়ে তাঁর পরিবার খুবই সমস্যায় ছিল। নেশার টাকার জন্য বাবা, ভাইকেও মারধর করতেন তিনি। তাঁর জন্য সব সময় পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। মাদকাসক্ত হয়ে বাবার অনেক জমি ও অর্থ নষ্ট করে পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছেন সজীব। নেশার টাকার জন্য বাবাকে হুমকি দিলে ভাতিজা ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করলে রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।’
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে আজ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে সজীবের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৈকতকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও খবর পড়ুন:
নেত্রকোনার মদনে নিজাম উদ্দিন নামের এক সাংবাদিককে হাত-পা কেটে এলাকাছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন সেলিম মিয়া নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা। সংবাদ প্রকাশের জেরে গত সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মিয়া মোবাইল ফোনে ওই সাংবাদিককে এমন হুমকি দেন। হুমকির কলরেকর্ডটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কলরেক
১ মিনিট আগেচট্টগ্রামে কর্মচারীকে কুপিয়ে এক ব্যবসায়ীর ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার জানালী রেলস্টেশনসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. সুমন (৩০), মো. আলী (৪৫), রাকিব (৩২), ফয়সাল (১৯) ও মোছা
১০ মিনিট আগেসিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে পানিতে ডুবে আবু সুফিয়ান নামের এক পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় পানিতে পড়ে স্রোতের টানে তলিয়ে গেলে তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজ আবু সুফিয়ান (২৬) গোলাপগঞ্জ উপজেলার শিংপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। সুফিয়ান
১৩ মিনিট আগেসিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুতের চাহিদা বেশি ও জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ সংকটের কারণে সিলেটে এই লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। সিলেট বিভাগে ২৪০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যার কারণে সিলেট বিভাগের ৩৬ শতাংশের মতো লোড
২৪ মিনিট আগে