গাজীপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা শুরু করেছিলাম, তা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বইঠার ঘটনা ম্লান করে দিয়েছিল। সেই ২৮ অক্টোবর থেকে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের এ দেশীয় সেবাদাস দেশের মসনদে বারবার বসার চেষ্টা করেছে। ২০০৬ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা একটি কালো অধ্যায় পার করেছি। এই সময়ে কারও গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, রাজনৈতিক অধিকার ছিল না, ভোটাধিকার ছিল না, ধর্মীয় মূল্যবোধ পায়ের নিচে পিষে ফেলা হয়েছিল।’
আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর সদরের ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা একটি কালো যুগ পার করেছি বিগত ১৮টি বছর। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে প্রকাশ্য দিবালোকে খুনি সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট সমস্ত গুম, হত্যাকাণ্ড, রিমান্ড, ক্রসফায়ারের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার নির্দেশে পল্টনে লগি-বইঠা দিয়ে আমাদের সাতজন তরুণ নেতাকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁদের মৃতদেহের ওপর উঠে ঘৃণ্য উল্লাস করেছিল তারা। আমরা সেই ইতিহাস ভুলে যাইনি।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে অর্থনীতিতে চলেছিল লুটপাট, জুডিশিয়ারি অঙ্গনে কোনো ন্যায়বিচার ছিল না, শাসনক্ষমতা এই শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট করে তছনছ করে দিয়েছিল। কত মানুষ শহীদ হয়েছে, কত মানুষ আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ কারা বরণ করেছে। কত শিশু, কত বৃদ্ধ, কত মা আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে কান্না করেছে। অত্যাচারী শাসকের হাত থেকে এ জনপদকে রক্ষা করার জন্য দোয়া করেছে। আমরা জানি না কোন শহীদ বা কার হাতকে আল্লাহ কবুল করেছেন। গত ৫ আগস্ট আসমান থেকে আল্লাহর রহমতের ধারা বর্ষিত হয়েছে।’
জামায়াত নেতা পরওয়ার বলেন, ‘এই স্বৈরাচার কত মানুষকে হত্যা করল, কত নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে দিল। বিগত ’১৪, ’১৮, ’২৪ সালে তিনটা ভোট আমরা দিতে পারিনি। রাজনৈতিক দলের আন্দোলনকে গুম করে, নিষিদ্ধ করে আর নির্যাতন করে বিরোধী আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে।’
শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টের বিদায় দেখেছি। কিন্তু এইভাবে জনতার রুদ্র রোষে কাউকে পালিয়ে যেতে দেখিনি। এত দাম্ভিক এত অহংকারী, এই ১৭, ১৮ বছরে ওনার মেজাজটা কী ছিল? ওকে মারো, ওকে ধরো, ওকে নিষিদ্ধ করো, ওকে গুলি করো, আয়নাঘরে নাও, রিমান্ডে নাও, রাজনৈতিক অধিকার নেই, ভোটাধিকার নেই। এত অহংকার, এত দাম্ভিকতা আল্লাহতায়ালা কখনো পছন্দ করেন না। আমরা মনে মনে এটা কামনা করতাম, নিশ্চয়ই আমাদের জন্য আল্লাহর রহমত অপেক্ষা করছে।’
সাবেক এই এমপি বলেন, ‘আমাদের বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বৃদ্ধ বয়সে কারাগারে নিষ্ঠুর নির্যাতন করেছে, তাঁদের ফাঁসি দিয়েছে। মিথ্যা মামলা, মিথ্যা সাক্ষ্য, মিথ্যা ট্রাইব্যুনাল, মিথ্যা বিচারক, সাজানো রায় দিয়ে ইতিহাসের বর্বরতম জুডিশিয়াল কিলিং করে আমাদের নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। বিদেশ থেকে রায় লিখে দেওয়া হয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে শেখ হাসিনা।’ তিনি বলেন, ‘যে ট্রাইব্যুনাল দিয়েছিল আলেমদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য, আল্লাহর কী বিচার, এখন সেই ট্রাইব্যুনালেই তার বিচারের আয়োজন চলছে। দুই শর ওপর মামলা হয়ে গেছে ট্রাইব্যুনালে। রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে, ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘তিনি এখন ভারতে পালিয়ে গিয়েছেন। সেখান থেকেও তিনি ষড়যন্ত্র করছেন। একজন আন্তর্জাতিক খুনি ও সব খুনের মাস্টারমাইন্ডকে ভারত আশ্রয় দিয়ে জেনেভা কনভেনশন এবং সকল আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। তাহলে আমরা এটা বলতে বাধ্য, এত বছরের জুলুম নির্যাতন, লুটপাট খুনের পেছনে তাদেরও হাত ছিল। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য। তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
জুলাই বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, ‘এ আন্দোলনে ২ হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে, ৪০ হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। এই যে ত্যাগ, এই যে আত্মদান, রক্তদান, যারা চলে গেল তারা তো বিজয় দেখে যেতে পারল না। তাদের স্ত্রী-সন্তান-শিশুরা কাঁদে, আহতরা হাসপাতালে, মুক্তির স্বাদ তারা দেখতে পারছে না। যারা আত্মত্যাগ করে গেল, তাদের রক্তের এই ঋণ, এই ত্যাগ আমাদের শোধ করতে হবে। আমরা সবাই তাদের রক্তের কাছে ঋণী আছি। তা শোধ করার একটাই উপায় তা হচ্ছে, তারা যে ইনসাফপূর্ণ একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য রক্ত দিয়েছিল, সেই স্বাধীন, সোনার, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, কল্যাণ রাষ্ট্রের বাংলাদেশ আমাদের গড়তে হবে। তাহলেই শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করা যাবে। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। কিন্তু সেখানেও অন্তরায়। জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ঐক্যের চেতনা ছিল, কোনো ষড়যন্ত্র কোনো লোভ নতুন করে এই অগ্রযাত্রাকে মাঝে মাঝে যেন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম, নেতৃত্ব দিয়েছি, রক্ত দিয়েছি, শহীদ হয়েছি; তাদের কাছে আমার মিনতি, জুলাই অভ্যুত্থানের যে চেতনা, এই ঐক্যের আলোকে আসুন এটাকে জাতীয় ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যাই।’
জেলা জামায়াতের আমির ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. মো. সামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মো. আবুল হাশেম খান, গাজীপুর মহানগর আমির অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দিন প্রমুখ। এ ছাড়া জুলাই আগস্ট আন্দোলনে আহত পোশাককর্মী মুকুল কুমার দত্ত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা শুরু করেছিলাম, তা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বইঠার ঘটনা ম্লান করে দিয়েছিল। সেই ২৮ অক্টোবর থেকে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের এ দেশীয় সেবাদাস দেশের মসনদে বারবার বসার চেষ্টা করেছে। ২০০৬ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা একটি কালো অধ্যায় পার করেছি। এই সময়ে কারও গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, রাজনৈতিক অধিকার ছিল না, ভোটাধিকার ছিল না, ধর্মীয় মূল্যবোধ পায়ের নিচে পিষে ফেলা হয়েছিল।’
আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর সদরের ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা একটি কালো যুগ পার করেছি বিগত ১৮টি বছর। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে প্রকাশ্য দিবালোকে খুনি সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট সমস্ত গুম, হত্যাকাণ্ড, রিমান্ড, ক্রসফায়ারের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার নির্দেশে পল্টনে লগি-বইঠা দিয়ে আমাদের সাতজন তরুণ নেতাকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁদের মৃতদেহের ওপর উঠে ঘৃণ্য উল্লাস করেছিল তারা। আমরা সেই ইতিহাস ভুলে যাইনি।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে অর্থনীতিতে চলেছিল লুটপাট, জুডিশিয়ারি অঙ্গনে কোনো ন্যায়বিচার ছিল না, শাসনক্ষমতা এই শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট করে তছনছ করে দিয়েছিল। কত মানুষ শহীদ হয়েছে, কত মানুষ আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ কারা বরণ করেছে। কত শিশু, কত বৃদ্ধ, কত মা আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে কান্না করেছে। অত্যাচারী শাসকের হাত থেকে এ জনপদকে রক্ষা করার জন্য দোয়া করেছে। আমরা জানি না কোন শহীদ বা কার হাতকে আল্লাহ কবুল করেছেন। গত ৫ আগস্ট আসমান থেকে আল্লাহর রহমতের ধারা বর্ষিত হয়েছে।’
জামায়াত নেতা পরওয়ার বলেন, ‘এই স্বৈরাচার কত মানুষকে হত্যা করল, কত নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে দিল। বিগত ’১৪, ’১৮, ’২৪ সালে তিনটা ভোট আমরা দিতে পারিনি। রাজনৈতিক দলের আন্দোলনকে গুম করে, নিষিদ্ধ করে আর নির্যাতন করে বিরোধী আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে।’
শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টের বিদায় দেখেছি। কিন্তু এইভাবে জনতার রুদ্র রোষে কাউকে পালিয়ে যেতে দেখিনি। এত দাম্ভিক এত অহংকারী, এই ১৭, ১৮ বছরে ওনার মেজাজটা কী ছিল? ওকে মারো, ওকে ধরো, ওকে নিষিদ্ধ করো, ওকে গুলি করো, আয়নাঘরে নাও, রিমান্ডে নাও, রাজনৈতিক অধিকার নেই, ভোটাধিকার নেই। এত অহংকার, এত দাম্ভিকতা আল্লাহতায়ালা কখনো পছন্দ করেন না। আমরা মনে মনে এটা কামনা করতাম, নিশ্চয়ই আমাদের জন্য আল্লাহর রহমত অপেক্ষা করছে।’
সাবেক এই এমপি বলেন, ‘আমাদের বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বৃদ্ধ বয়সে কারাগারে নিষ্ঠুর নির্যাতন করেছে, তাঁদের ফাঁসি দিয়েছে। মিথ্যা মামলা, মিথ্যা সাক্ষ্য, মিথ্যা ট্রাইব্যুনাল, মিথ্যা বিচারক, সাজানো রায় দিয়ে ইতিহাসের বর্বরতম জুডিশিয়াল কিলিং করে আমাদের নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। বিদেশ থেকে রায় লিখে দেওয়া হয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে শেখ হাসিনা।’ তিনি বলেন, ‘যে ট্রাইব্যুনাল দিয়েছিল আলেমদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য, আল্লাহর কী বিচার, এখন সেই ট্রাইব্যুনালেই তার বিচারের আয়োজন চলছে। দুই শর ওপর মামলা হয়ে গেছে ট্রাইব্যুনালে। রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে, ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘তিনি এখন ভারতে পালিয়ে গিয়েছেন। সেখান থেকেও তিনি ষড়যন্ত্র করছেন। একজন আন্তর্জাতিক খুনি ও সব খুনের মাস্টারমাইন্ডকে ভারত আশ্রয় দিয়ে জেনেভা কনভেনশন এবং সকল আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। তাহলে আমরা এটা বলতে বাধ্য, এত বছরের জুলুম নির্যাতন, লুটপাট খুনের পেছনে তাদেরও হাত ছিল। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য। তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
জুলাই বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, ‘এ আন্দোলনে ২ হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে, ৪০ হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। এই যে ত্যাগ, এই যে আত্মদান, রক্তদান, যারা চলে গেল তারা তো বিজয় দেখে যেতে পারল না। তাদের স্ত্রী-সন্তান-শিশুরা কাঁদে, আহতরা হাসপাতালে, মুক্তির স্বাদ তারা দেখতে পারছে না। যারা আত্মত্যাগ করে গেল, তাদের রক্তের এই ঋণ, এই ত্যাগ আমাদের শোধ করতে হবে। আমরা সবাই তাদের রক্তের কাছে ঋণী আছি। তা শোধ করার একটাই উপায় তা হচ্ছে, তারা যে ইনসাফপূর্ণ একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য রক্ত দিয়েছিল, সেই স্বাধীন, সোনার, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, কল্যাণ রাষ্ট্রের বাংলাদেশ আমাদের গড়তে হবে। তাহলেই শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করা যাবে। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। কিন্তু সেখানেও অন্তরায়। জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ঐক্যের চেতনা ছিল, কোনো ষড়যন্ত্র কোনো লোভ নতুন করে এই অগ্রযাত্রাকে মাঝে মাঝে যেন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম, নেতৃত্ব দিয়েছি, রক্ত দিয়েছি, শহীদ হয়েছি; তাদের কাছে আমার মিনতি, জুলাই অভ্যুত্থানের যে চেতনা, এই ঐক্যের আলোকে আসুন এটাকে জাতীয় ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যাই।’
জেলা জামায়াতের আমির ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. মো. সামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মো. আবুল হাশেম খান, গাজীপুর মহানগর আমির অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দিন প্রমুখ। এ ছাড়া জুলাই আগস্ট আন্দোলনে আহত পোশাককর্মী মুকুল কুমার দত্ত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
গাজীপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা শুরু করেছিলাম, তা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বইঠার ঘটনা ম্লান করে দিয়েছিল। সেই ২৮ অক্টোবর থেকে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের এ দেশীয় সেবাদাস দেশের মসনদে বারবার বসার চেষ্টা করেছে। ২০০৬ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা একটি কালো অধ্যায় পার করেছি। এই সময়ে কারও গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, রাজনৈতিক অধিকার ছিল না, ভোটাধিকার ছিল না, ধর্মীয় মূল্যবোধ পায়ের নিচে পিষে ফেলা হয়েছিল।’
আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর সদরের ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা একটি কালো যুগ পার করেছি বিগত ১৮টি বছর। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে প্রকাশ্য দিবালোকে খুনি সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট সমস্ত গুম, হত্যাকাণ্ড, রিমান্ড, ক্রসফায়ারের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার নির্দেশে পল্টনে লগি-বইঠা দিয়ে আমাদের সাতজন তরুণ নেতাকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁদের মৃতদেহের ওপর উঠে ঘৃণ্য উল্লাস করেছিল তারা। আমরা সেই ইতিহাস ভুলে যাইনি।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে অর্থনীতিতে চলেছিল লুটপাট, জুডিশিয়ারি অঙ্গনে কোনো ন্যায়বিচার ছিল না, শাসনক্ষমতা এই শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট করে তছনছ করে দিয়েছিল। কত মানুষ শহীদ হয়েছে, কত মানুষ আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ কারা বরণ করেছে। কত শিশু, কত বৃদ্ধ, কত মা আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে কান্না করেছে। অত্যাচারী শাসকের হাত থেকে এ জনপদকে রক্ষা করার জন্য দোয়া করেছে। আমরা জানি না কোন শহীদ বা কার হাতকে আল্লাহ কবুল করেছেন। গত ৫ আগস্ট আসমান থেকে আল্লাহর রহমতের ধারা বর্ষিত হয়েছে।’
জামায়াত নেতা পরওয়ার বলেন, ‘এই স্বৈরাচার কত মানুষকে হত্যা করল, কত নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে দিল। বিগত ’১৪, ’১৮, ’২৪ সালে তিনটা ভোট আমরা দিতে পারিনি। রাজনৈতিক দলের আন্দোলনকে গুম করে, নিষিদ্ধ করে আর নির্যাতন করে বিরোধী আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে।’
শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টের বিদায় দেখেছি। কিন্তু এইভাবে জনতার রুদ্র রোষে কাউকে পালিয়ে যেতে দেখিনি। এত দাম্ভিক এত অহংকারী, এই ১৭, ১৮ বছরে ওনার মেজাজটা কী ছিল? ওকে মারো, ওকে ধরো, ওকে নিষিদ্ধ করো, ওকে গুলি করো, আয়নাঘরে নাও, রিমান্ডে নাও, রাজনৈতিক অধিকার নেই, ভোটাধিকার নেই। এত অহংকার, এত দাম্ভিকতা আল্লাহতায়ালা কখনো পছন্দ করেন না। আমরা মনে মনে এটা কামনা করতাম, নিশ্চয়ই আমাদের জন্য আল্লাহর রহমত অপেক্ষা করছে।’
সাবেক এই এমপি বলেন, ‘আমাদের বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বৃদ্ধ বয়সে কারাগারে নিষ্ঠুর নির্যাতন করেছে, তাঁদের ফাঁসি দিয়েছে। মিথ্যা মামলা, মিথ্যা সাক্ষ্য, মিথ্যা ট্রাইব্যুনাল, মিথ্যা বিচারক, সাজানো রায় দিয়ে ইতিহাসের বর্বরতম জুডিশিয়াল কিলিং করে আমাদের নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। বিদেশ থেকে রায় লিখে দেওয়া হয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে শেখ হাসিনা।’ তিনি বলেন, ‘যে ট্রাইব্যুনাল দিয়েছিল আলেমদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য, আল্লাহর কী বিচার, এখন সেই ট্রাইব্যুনালেই তার বিচারের আয়োজন চলছে। দুই শর ওপর মামলা হয়ে গেছে ট্রাইব্যুনালে। রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে, ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘তিনি এখন ভারতে পালিয়ে গিয়েছেন। সেখান থেকেও তিনি ষড়যন্ত্র করছেন। একজন আন্তর্জাতিক খুনি ও সব খুনের মাস্টারমাইন্ডকে ভারত আশ্রয় দিয়ে জেনেভা কনভেনশন এবং সকল আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। তাহলে আমরা এটা বলতে বাধ্য, এত বছরের জুলুম নির্যাতন, লুটপাট খুনের পেছনে তাদেরও হাত ছিল। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য। তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
জুলাই বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, ‘এ আন্দোলনে ২ হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে, ৪০ হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। এই যে ত্যাগ, এই যে আত্মদান, রক্তদান, যারা চলে গেল তারা তো বিজয় দেখে যেতে পারল না। তাদের স্ত্রী-সন্তান-শিশুরা কাঁদে, আহতরা হাসপাতালে, মুক্তির স্বাদ তারা দেখতে পারছে না। যারা আত্মত্যাগ করে গেল, তাদের রক্তের এই ঋণ, এই ত্যাগ আমাদের শোধ করতে হবে। আমরা সবাই তাদের রক্তের কাছে ঋণী আছি। তা শোধ করার একটাই উপায় তা হচ্ছে, তারা যে ইনসাফপূর্ণ একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য রক্ত দিয়েছিল, সেই স্বাধীন, সোনার, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, কল্যাণ রাষ্ট্রের বাংলাদেশ আমাদের গড়তে হবে। তাহলেই শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করা যাবে। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। কিন্তু সেখানেও অন্তরায়। জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ঐক্যের চেতনা ছিল, কোনো ষড়যন্ত্র কোনো লোভ নতুন করে এই অগ্রযাত্রাকে মাঝে মাঝে যেন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম, নেতৃত্ব দিয়েছি, রক্ত দিয়েছি, শহীদ হয়েছি; তাদের কাছে আমার মিনতি, জুলাই অভ্যুত্থানের যে চেতনা, এই ঐক্যের আলোকে আসুন এটাকে জাতীয় ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যাই।’
জেলা জামায়াতের আমির ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. মো. সামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মো. আবুল হাশেম খান, গাজীপুর মহানগর আমির অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দিন প্রমুখ। এ ছাড়া জুলাই আগস্ট আন্দোলনে আহত পোশাককর্মী মুকুল কুমার দত্ত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা শুরু করেছিলাম, তা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বইঠার ঘটনা ম্লান করে দিয়েছিল। সেই ২৮ অক্টোবর থেকে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের এ দেশীয় সেবাদাস দেশের মসনদে বারবার বসার চেষ্টা করেছে। ২০০৬ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা একটি কালো অধ্যায় পার করেছি। এই সময়ে কারও গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, রাজনৈতিক অধিকার ছিল না, ভোটাধিকার ছিল না, ধর্মীয় মূল্যবোধ পায়ের নিচে পিষে ফেলা হয়েছিল।’
আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর সদরের ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা একটি কালো যুগ পার করেছি বিগত ১৮টি বছর। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে প্রকাশ্য দিবালোকে খুনি সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট সমস্ত গুম, হত্যাকাণ্ড, রিমান্ড, ক্রসফায়ারের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার নির্দেশে পল্টনে লগি-বইঠা দিয়ে আমাদের সাতজন তরুণ নেতাকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁদের মৃতদেহের ওপর উঠে ঘৃণ্য উল্লাস করেছিল তারা। আমরা সেই ইতিহাস ভুলে যাইনি।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে অর্থনীতিতে চলেছিল লুটপাট, জুডিশিয়ারি অঙ্গনে কোনো ন্যায়বিচার ছিল না, শাসনক্ষমতা এই শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট করে তছনছ করে দিয়েছিল। কত মানুষ শহীদ হয়েছে, কত মানুষ আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ কারা বরণ করেছে। কত শিশু, কত বৃদ্ধ, কত মা আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে কান্না করেছে। অত্যাচারী শাসকের হাত থেকে এ জনপদকে রক্ষা করার জন্য দোয়া করেছে। আমরা জানি না কোন শহীদ বা কার হাতকে আল্লাহ কবুল করেছেন। গত ৫ আগস্ট আসমান থেকে আল্লাহর রহমতের ধারা বর্ষিত হয়েছে।’
জামায়াত নেতা পরওয়ার বলেন, ‘এই স্বৈরাচার কত মানুষকে হত্যা করল, কত নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে দিল। বিগত ’১৪, ’১৮, ’২৪ সালে তিনটা ভোট আমরা দিতে পারিনি। রাজনৈতিক দলের আন্দোলনকে গুম করে, নিষিদ্ধ করে আর নির্যাতন করে বিরোধী আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে।’
শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টের বিদায় দেখেছি। কিন্তু এইভাবে জনতার রুদ্র রোষে কাউকে পালিয়ে যেতে দেখিনি। এত দাম্ভিক এত অহংকারী, এই ১৭, ১৮ বছরে ওনার মেজাজটা কী ছিল? ওকে মারো, ওকে ধরো, ওকে নিষিদ্ধ করো, ওকে গুলি করো, আয়নাঘরে নাও, রিমান্ডে নাও, রাজনৈতিক অধিকার নেই, ভোটাধিকার নেই। এত অহংকার, এত দাম্ভিকতা আল্লাহতায়ালা কখনো পছন্দ করেন না। আমরা মনে মনে এটা কামনা করতাম, নিশ্চয়ই আমাদের জন্য আল্লাহর রহমত অপেক্ষা করছে।’
সাবেক এই এমপি বলেন, ‘আমাদের বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বৃদ্ধ বয়সে কারাগারে নিষ্ঠুর নির্যাতন করেছে, তাঁদের ফাঁসি দিয়েছে। মিথ্যা মামলা, মিথ্যা সাক্ষ্য, মিথ্যা ট্রাইব্যুনাল, মিথ্যা বিচারক, সাজানো রায় দিয়ে ইতিহাসের বর্বরতম জুডিশিয়াল কিলিং করে আমাদের নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। বিদেশ থেকে রায় লিখে দেওয়া হয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে শেখ হাসিনা।’ তিনি বলেন, ‘যে ট্রাইব্যুনাল দিয়েছিল আলেমদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য, আল্লাহর কী বিচার, এখন সেই ট্রাইব্যুনালেই তার বিচারের আয়োজন চলছে। দুই শর ওপর মামলা হয়ে গেছে ট্রাইব্যুনালে। রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে, ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘তিনি এখন ভারতে পালিয়ে গিয়েছেন। সেখান থেকেও তিনি ষড়যন্ত্র করছেন। একজন আন্তর্জাতিক খুনি ও সব খুনের মাস্টারমাইন্ডকে ভারত আশ্রয় দিয়ে জেনেভা কনভেনশন এবং সকল আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। তাহলে আমরা এটা বলতে বাধ্য, এত বছরের জুলুম নির্যাতন, লুটপাট খুনের পেছনে তাদেরও হাত ছিল। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য। তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
জুলাই বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, ‘এ আন্দোলনে ২ হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে, ৪০ হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। এই যে ত্যাগ, এই যে আত্মদান, রক্তদান, যারা চলে গেল তারা তো বিজয় দেখে যেতে পারল না। তাদের স্ত্রী-সন্তান-শিশুরা কাঁদে, আহতরা হাসপাতালে, মুক্তির স্বাদ তারা দেখতে পারছে না। যারা আত্মত্যাগ করে গেল, তাদের রক্তের এই ঋণ, এই ত্যাগ আমাদের শোধ করতে হবে। আমরা সবাই তাদের রক্তের কাছে ঋণী আছি। তা শোধ করার একটাই উপায় তা হচ্ছে, তারা যে ইনসাফপূর্ণ একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য রক্ত দিয়েছিল, সেই স্বাধীন, সোনার, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, কল্যাণ রাষ্ট্রের বাংলাদেশ আমাদের গড়তে হবে। তাহলেই শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করা যাবে। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। কিন্তু সেখানেও অন্তরায়। জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ঐক্যের চেতনা ছিল, কোনো ষড়যন্ত্র কোনো লোভ নতুন করে এই অগ্রযাত্রাকে মাঝে মাঝে যেন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম, নেতৃত্ব দিয়েছি, রক্ত দিয়েছি, শহীদ হয়েছি; তাদের কাছে আমার মিনতি, জুলাই অভ্যুত্থানের যে চেতনা, এই ঐক্যের আলোকে আসুন এটাকে জাতীয় ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যাই।’
জেলা জামায়াতের আমির ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. মো. সামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মো. আবুল হাশেম খান, গাজীপুর মহানগর আমির অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দিন প্রমুখ। এ ছাড়া জুলাই আগস্ট আন্দোলনে আহত পোশাককর্মী মুকুল কুমার দত্ত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

শেরপুরের সদর উপজেলায় একাব্বর মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাই ফারুক মিয়া তাঁকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি কান্দাশেরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
রাজধানীর হাজারীবাগে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে অর্কিত রাজবংশী (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনের শিশুটির ফুফুর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। দেখতে পেয়ে স্বজনেরা ওই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা সারে ৩টার
১২ মিনিট আগে
রাজশাহীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে
নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেশেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের সদর উপজেলায় একাব্বর মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাই ফারুক মিয়া তাঁকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি কান্দাশেরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত একাব্বর মিয়া কুসুমহাটি কান্দাশেরী এলাকার মৃত হায়দার আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে। আর ছোট ভাই ফারুক মিয়া একই বাবার তৃতীয় স্ত্রীর ছেলে।
নিহত একাব্বরের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে ফারুক তাঁর বড় ভাই একাব্বরকে ধারালো রামদা দিয়ে কোপান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় একাব্বরকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
শেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার প্রমা বলেন, আজ সকালে একাব্বরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাঁর হাত, গাল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর কোপের ক্ষত ছিল এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে জরুরি চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে রেফার করা হয়।
একাব্বরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন আক্তার বলেন, এটি মূলত পারিবারিক দ্বন্দ্বে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তবে এখনো কেউ আটক হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেরপুরের সদর উপজেলায় একাব্বর মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাই ফারুক মিয়া তাঁকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি কান্দাশেরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত একাব্বর মিয়া কুসুমহাটি কান্দাশেরী এলাকার মৃত হায়দার আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে। আর ছোট ভাই ফারুক মিয়া একই বাবার তৃতীয় স্ত্রীর ছেলে।
নিহত একাব্বরের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে ফারুক তাঁর বড় ভাই একাব্বরকে ধারালো রামদা দিয়ে কোপান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় একাব্বরকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
শেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার প্রমা বলেন, আজ সকালে একাব্বরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাঁর হাত, গাল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর কোপের ক্ষত ছিল এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে জরুরি চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে রেফার করা হয়।
একাব্বরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন আক্তার বলেন, এটি মূলত পারিবারিক দ্বন্দ্বে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তবে এখনো কেউ আটক হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম, নেতৃত্ব দিয়েছি, রক্ত দিয়েছি, শহীদ হয়েছি; তাদের কাছে আমার মিনতি, জুলাই অভ্যুত্থানের যে চেতনা, এই ঐক্যের আলোকে আসুন এটাকে জাতীয় ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করে একটা গ্রহণযোগ্য...
১০ জানুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর হাজারীবাগে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে অর্কিত রাজবংশী (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনের শিশুটির ফুফুর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। দেখতে পেয়ে স্বজনেরা ওই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা সারে ৩টার
১২ মিনিট আগে
রাজশাহীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে
নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর হাজারীবাগে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে অর্কিত রাজবংশী (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনের শিশুটির ফুফুর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। দেখতে পেয়ে স্বজনেরা ওই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা সারে ৩টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটির ফুফু প্রিয়া রাজবংশী বলেন, ‘আমাদের বাসা হাজারীবাগ ভাগলপুর লেন জেলেপাড়া এলাকায়। আমাদের বাসা ও ভাই রানা রাজবংশীর বাসা পাশাপাশি। আমার ভাইয়ের একমাত্র ছেলে অর্কিত। দুপুরে অর্কিতের মা অন্তরা রাজবংশী অর্কিতকে দিয়ে কিছু মাছ আমার বাসায় পাঠায়। পরে মাছ দিয়ে চলে যায় অর্কিত।’
প্রিয়া রাজবংশী আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর খবর পাই, অর্কিত আমাদের ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেছে। দৌড়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অর্কিত কখন যে ছাদে গেছে, তা টের পাইনি।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

রাজধানীর হাজারীবাগে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে অর্কিত রাজবংশী (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনের শিশুটির ফুফুর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। দেখতে পেয়ে স্বজনেরা ওই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা সারে ৩টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটির ফুফু প্রিয়া রাজবংশী বলেন, ‘আমাদের বাসা হাজারীবাগ ভাগলপুর লেন জেলেপাড়া এলাকায়। আমাদের বাসা ও ভাই রানা রাজবংশীর বাসা পাশাপাশি। আমার ভাইয়ের একমাত্র ছেলে অর্কিত। দুপুরে অর্কিতের মা অন্তরা রাজবংশী অর্কিতকে দিয়ে কিছু মাছ আমার বাসায় পাঠায়। পরে মাছ দিয়ে চলে যায় অর্কিত।’
প্রিয়া রাজবংশী আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর খবর পাই, অর্কিত আমাদের ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেছে। দৌড়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অর্কিত কখন যে ছাদে গেছে, তা টের পাইনি।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম, নেতৃত্ব দিয়েছি, রক্ত দিয়েছি, শহীদ হয়েছি; তাদের কাছে আমার মিনতি, জুলাই অভ্যুত্থানের যে চেতনা, এই ঐক্যের আলোকে আসুন এটাকে জাতীয় ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করে একটা গ্রহণযোগ্য...
১০ জানুয়ারি ২০২৫
শেরপুরের সদর উপজেলায় একাব্বর মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাই ফারুক মিয়া তাঁকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি কান্দাশেরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
রাজশাহীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে
নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কাঁকনহাট পুলিশ ফাঁড়ির যৌথ দল এ অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার শেখ মিফতা ফাইজা (১৯) নাটোর সদর থানার দিঘাপাতিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম মোশারফ হোসেন চপল শেখ।
এর আগে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাইজার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিও দেখা যায়, রাজশাহী নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন। এরপর নিজের মোবাইল ফোন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেখিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, ফাইজা ওই ভিডিওটি ফেসবুকে রিল হিসেবে পোস্ট করেছিলেন। পরে তা দ্রুত ভাইরাল হয়। তানভির আহমেদ সুইট নামের এক ব্যক্তি ২৫ অক্টোবর বিষয়টি আরএমপির ডিবিকে অবহিত করেন।
ডিবি পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করলেও কৌশলে ফাইজা পালিয়ে যান। পরবর্তীকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাইজা স্বীকার করেছেন, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তাঁর ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফাইজা রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন।
এ ছাড়া তিনি ছাত্রলীগের পক্ষে বিভিন্ন পোস্ট, ছবি ও ভিডিও শেয়ার করাসহ টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিক অনলাইন গ্রুপ তৈরি করে সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।
এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে নগরীর রাজপাড়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

রাজশাহীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কাঁকনহাট পুলিশ ফাঁড়ির যৌথ দল এ অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার শেখ মিফতা ফাইজা (১৯) নাটোর সদর থানার দিঘাপাতিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম মোশারফ হোসেন চপল শেখ।
এর আগে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাইজার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিও দেখা যায়, রাজশাহী নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন। এরপর নিজের মোবাইল ফোন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেখিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, ফাইজা ওই ভিডিওটি ফেসবুকে রিল হিসেবে পোস্ট করেছিলেন। পরে তা দ্রুত ভাইরাল হয়। তানভির আহমেদ সুইট নামের এক ব্যক্তি ২৫ অক্টোবর বিষয়টি আরএমপির ডিবিকে অবহিত করেন।
ডিবি পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করলেও কৌশলে ফাইজা পালিয়ে যান। পরবর্তীকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাইজা স্বীকার করেছেন, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তাঁর ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফাইজা রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন।
এ ছাড়া তিনি ছাত্রলীগের পক্ষে বিভিন্ন পোস্ট, ছবি ও ভিডিও শেয়ার করাসহ টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিক অনলাইন গ্রুপ তৈরি করে সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।
এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে নগরীর রাজপাড়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম, নেতৃত্ব দিয়েছি, রক্ত দিয়েছি, শহীদ হয়েছি; তাদের কাছে আমার মিনতি, জুলাই অভ্যুত্থানের যে চেতনা, এই ঐক্যের আলোকে আসুন এটাকে জাতীয় ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করে একটা গ্রহণযোগ্য...
১০ জানুয়ারি ২০২৫
শেরপুরের সদর উপজেলায় একাব্বর মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাই ফারুক মিয়া তাঁকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি কান্দাশেরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
রাজধানীর হাজারীবাগে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে অর্কিত রাজবংশী (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনের শিশুটির ফুফুর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। দেখতে পেয়ে স্বজনেরা ওই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা সারে ৩টার
১২ মিনিট আগে
নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুদ শেখ কালিয়া উপজেলার শুক্তগ্রামের সবোর শেখের ছেলে। তিনি কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ছিলেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, গতকাল রাত ৮টার দিকে উপজেলার শুক্তগ্রামে মোবাইল ফোন বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সুজন খানের সঙ্গে মাসুদ রানার বিরোধ হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসাও হয়। ওই রাতে শুক্তগ্রাম দত্তের মোড় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুজন খান ও তাঁর লোকজন মাসুদ রানাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত মাসুদ রানার ছোট ভাই ওমর সানি শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘সুজন খান মাদক কারবারে জড়িত ছিলেন। আমার ভাই মাসুদ রানা তাঁকে মাদক কারবার থেকে বিরত থাকার জন্য বললে তিনি আমার ভাইয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটান।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুজন খান ও তাঁর পক্ষের লোকজন পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কালিয়া থানার ওসি বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদক বেচাকেনায় বাধা দেওয়ার বিষয় আছে কি না, সে বিষয়ে জানা নেই।

নড়াইলের কালিয়ায় মাসুদ রানা শেখ (৫০) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুদ শেখ কালিয়া উপজেলার শুক্তগ্রামের সবোর শেখের ছেলে। তিনি কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ছিলেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, গতকাল রাত ৮টার দিকে উপজেলার শুক্তগ্রামে মোবাইল ফোন বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সুজন খানের সঙ্গে মাসুদ রানার বিরোধ হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসাও হয়। ওই রাতে শুক্তগ্রাম দত্তের মোড় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুজন খান ও তাঁর লোকজন মাসুদ রানাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত মাসুদ রানার ছোট ভাই ওমর সানি শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘সুজন খান মাদক কারবারে জড়িত ছিলেন। আমার ভাই মাসুদ রানা তাঁকে মাদক কারবার থেকে বিরত থাকার জন্য বললে তিনি আমার ভাইয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটান।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুজন খান ও তাঁর পক্ষের লোকজন পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কালিয়া থানার ওসি বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদক বেচাকেনায় বাধা দেওয়ার বিষয় আছে কি না, সে বিষয়ে জানা নেই।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম, নেতৃত্ব দিয়েছি, রক্ত দিয়েছি, শহীদ হয়েছি; তাদের কাছে আমার মিনতি, জুলাই অভ্যুত্থানের যে চেতনা, এই ঐক্যের আলোকে আসুন এটাকে জাতীয় ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করে একটা গ্রহণযোগ্য...
১০ জানুয়ারি ২০২৫
শেরপুরের সদর উপজেলায় একাব্বর মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাই ফারুক মিয়া তাঁকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি কান্দাশেরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
রাজধানীর হাজারীবাগে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে অর্কিত রাজবংশী (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনের শিশুটির ফুফুর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। দেখতে পেয়ে স্বজনেরা ওই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা সারে ৩টার
১২ মিনিট আগে
রাজশাহীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে