কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে নানান রকম কৌশল অবলম্বন করছে। এবার ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসলে মিথ্যে কথা বলে অন্য লোকের সহায়তায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পিটিয়েছে। আমি এখন বাড়ি ছাড়া। আমার নিজের থাকার কোনো জায়গা নেই।’
কান্না জড়িত কণ্ঠে এভাবেই সৎ মায়ের নির্যাতনে পরিবার ও ঘর হারানোর অভিযোগের গল্প বলছিল সালমান। পুরো নাম সালমান ইবনে মোজাম্মেল (১৭)। সে গাজীপুর কালীগঞ্জে পৌরসভার বাঙ্গাল হাওলা এলাকার মোজাম্মেল হোসেন আঞ্জুর (৬৫) ছেলে।
সালমান নরসিংদীর আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। স্বপ্ন দেখেন বড় হয়ে সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার হওয়ার। সে লক্ষ্যেই করে যাচ্ছেন পড়াশোনা। সৎ মায়ের শত নির্যাতনের পরেও গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় অল্পের জন্য ফসকে গেছে জিপিএ-৫। এ নিয়ে আক্ষেপের যেন শেষ নেই মোজাম্মেলের।
সালমান জানায়, তার মা সৌদিপ্রবাসী ছিলেন। তিনি প্রবাসে মারা গেলে তাঁকে সেখানেই দাফন করা হয়। এরপর সালমান এবং তার বোন প্রায় আট বছর তার চাচার কাছে বড় হতে থাকেন। এর আগে তাদের বাবা আবার বিয়ে করেন। কিন্তু খুব বেশি দিন টেকেনি সেই সংসার। সেই ঘরে এক ছেলে রয়েছে বলেও জানা যায়। এদিকে সালমানের একমাত্র বোনেরও বিয়ে হয়ে গেলে একা হয়ে যায় সে। পরে তার বাবা একই পৌরসভার উত্তর ভাদার্ত্তী গ্রামে মর্জিনা নামে এক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করেন। সৎ মায়ের সঙ্গে তাদের সংসার ভালোই চলছিল। বিপত্তি বাঁধে কিছুদিন পর। সালমান পড়ার টেবিলে বসলে তার সামনে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিতেন। ফলে বিঘ্ন ঘটত পড়ালেখায়। কিছুদিন পরে তার বিরুদ্ধে ডিম চুরির অভিযোগ তোলেন সৎ মা। এ নিয়ে তাকে পৃথক করে দেওয়া হয়। নিজের বাবার পাকা ঘর থাকলেও তাকে থাকতে দেওয়া হয় ভাঙা এক ঘরে। কেড়ে নেওয়া হয় বাবার সঙ্গে কথা বলার অধিকার। রান্না করে খেতে হয় সালমানকে। যে জন্য প্রায়ই খেতে হতো তার বন্ধু সায়েম শেখের বাড়িতে। এরপর পড়াশোনার জন্য চলে যান কলেজ হোস্টেলে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটিতে সালমান বাড়িতে আসলে তার সৎ মা তাকে তার নানির বাড়ি (সৎ মায়ের বাপের বাড়ি) মিথ্যে বলে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্জন এক রুমে গিয়ে হাত পা বেঁধে বিদ্যুতের তার দিয়ে পেটায় এবং মেরে ফেলার জন্য গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। ওই সময় তার বাবা ও এক চাচাকে জানানো হয় সালমান রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। সেখানে গেলে বুঝতে পারেন তারা সালমান কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে সালমানকে বাসায় নিয়ে আসেন।
এলাকাবাসী এ খবর জানতে পারলে তারা সবাই আঞ্জুর বাড়িতে যান। তারা তাদের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে স্বামী স্ত্রী দুজনেই ঘর আটকে বসে থাকেন। পরে ওই সৎ মা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদের দুজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে সালমানের চাচা মো. বাকী বিল্লাহ (৬০) বলেন, ‘সালমানের মা মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন পরে আমার ভাই তাদের আমার হেফাজতে রেখে যান। আমি তাদের আমার নিজের সন্তানের মতোই মানুষ করার চেষ্টা করেছি। প্রায় আট বছর আমার সঙ্গেই ছিল। তারপর আমার ভাই যখন এই মহিলাকে বিয়ে করে আনল আমি তাদের কাছে তাদের সন্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছি। প্রায় প্রায়ই ছেলেটিকে মিথ্যে অজুহাতে মারধর করতে থাকে। আমি তার প্রতিবাদ করলে তারা উত্তর দেয় তাদের সন্তানকে তারা শাসন করছে এখানে যেন আমি বা আমার পরিবারের কেউ নাক না গলাই। এরপর থেকে আমি আর কিছু বলিনি। ঘটনা গতকাল জেনেছি। এখন তারা স্বামী স্ত্রী কেউ বাড়িতে নেই। শুনেছি সালমানের ব্যাপারে থানায় মিথ্যে অভিযোগ করেছে।’
একই গ্রামের আশরাফী মিনহাজ (৩৪) বলেন, ‘ওই নারী খুবই খারাপ প্রকৃতির মানুষ। সে প্রায়ই সালমানের গায়ে হাত তুলত। খাবার দিয়েও কষ্ট দিত তাকে। দিনদিন তার এই অত্যাচারের মাত্রা যেন বেড়েই চলছিল। এই অবস্থায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রমাণ করে সে যে কোনো সময় সালমানকে মেরেও ফেলতে পারে। তার জীবনের আশঙ্কা রয়েছে।’
মো. ফয়সাল হোসেন সুমন (৩৪) জানান, তারা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবাই মিলে আঞ্জুর বাড়িতে যান। কিন্তু তারা ঘরে কপাট লাগিয়ে বসে থাকেন। পরে এ ব্যাপারে থানায় গেলে ওসি তাদের কথাকে গুরুত্বই দেননি বলে অভিযোগ করেন।
সালমানের সহপাঠী মো. সায়েম শেখ (১৭) জানায়, সালমানের সঙ্গে তার অনেক দিনের বন্ধুত্ব। প্রায়ই সালমান মন খারাপ করে থাকত। জানতে চাইলে জানাতো সৎ মায়ের অত্যাচারের কথা। তার পুরো শরীর মারের দাগে ভর্তি। এ অবস্থায় তার পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত বলেও মনে করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না।
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে নানান রকম কৌশল অবলম্বন করছে। এবার ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসলে মিথ্যে কথা বলে অন্য লোকের সহায়তায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পিটিয়েছে। আমি এখন বাড়ি ছাড়া। আমার নিজের থাকার কোনো জায়গা নেই।’
কান্না জড়িত কণ্ঠে এভাবেই সৎ মায়ের নির্যাতনে পরিবার ও ঘর হারানোর অভিযোগের গল্প বলছিল সালমান। পুরো নাম সালমান ইবনে মোজাম্মেল (১৭)। সে গাজীপুর কালীগঞ্জে পৌরসভার বাঙ্গাল হাওলা এলাকার মোজাম্মেল হোসেন আঞ্জুর (৬৫) ছেলে।
সালমান নরসিংদীর আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। স্বপ্ন দেখেন বড় হয়ে সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার হওয়ার। সে লক্ষ্যেই করে যাচ্ছেন পড়াশোনা। সৎ মায়ের শত নির্যাতনের পরেও গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় অল্পের জন্য ফসকে গেছে জিপিএ-৫। এ নিয়ে আক্ষেপের যেন শেষ নেই মোজাম্মেলের।
সালমান জানায়, তার মা সৌদিপ্রবাসী ছিলেন। তিনি প্রবাসে মারা গেলে তাঁকে সেখানেই দাফন করা হয়। এরপর সালমান এবং তার বোন প্রায় আট বছর তার চাচার কাছে বড় হতে থাকেন। এর আগে তাদের বাবা আবার বিয়ে করেন। কিন্তু খুব বেশি দিন টেকেনি সেই সংসার। সেই ঘরে এক ছেলে রয়েছে বলেও জানা যায়। এদিকে সালমানের একমাত্র বোনেরও বিয়ে হয়ে গেলে একা হয়ে যায় সে। পরে তার বাবা একই পৌরসভার উত্তর ভাদার্ত্তী গ্রামে মর্জিনা নামে এক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করেন। সৎ মায়ের সঙ্গে তাদের সংসার ভালোই চলছিল। বিপত্তি বাঁধে কিছুদিন পর। সালমান পড়ার টেবিলে বসলে তার সামনে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিতেন। ফলে বিঘ্ন ঘটত পড়ালেখায়। কিছুদিন পরে তার বিরুদ্ধে ডিম চুরির অভিযোগ তোলেন সৎ মা। এ নিয়ে তাকে পৃথক করে দেওয়া হয়। নিজের বাবার পাকা ঘর থাকলেও তাকে থাকতে দেওয়া হয় ভাঙা এক ঘরে। কেড়ে নেওয়া হয় বাবার সঙ্গে কথা বলার অধিকার। রান্না করে খেতে হয় সালমানকে। যে জন্য প্রায়ই খেতে হতো তার বন্ধু সায়েম শেখের বাড়িতে। এরপর পড়াশোনার জন্য চলে যান কলেজ হোস্টেলে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটিতে সালমান বাড়িতে আসলে তার সৎ মা তাকে তার নানির বাড়ি (সৎ মায়ের বাপের বাড়ি) মিথ্যে বলে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্জন এক রুমে গিয়ে হাত পা বেঁধে বিদ্যুতের তার দিয়ে পেটায় এবং মেরে ফেলার জন্য গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। ওই সময় তার বাবা ও এক চাচাকে জানানো হয় সালমান রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। সেখানে গেলে বুঝতে পারেন তারা সালমান কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে সালমানকে বাসায় নিয়ে আসেন।
এলাকাবাসী এ খবর জানতে পারলে তারা সবাই আঞ্জুর বাড়িতে যান। তারা তাদের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে স্বামী স্ত্রী দুজনেই ঘর আটকে বসে থাকেন। পরে ওই সৎ মা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদের দুজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে সালমানের চাচা মো. বাকী বিল্লাহ (৬০) বলেন, ‘সালমানের মা মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন পরে আমার ভাই তাদের আমার হেফাজতে রেখে যান। আমি তাদের আমার নিজের সন্তানের মতোই মানুষ করার চেষ্টা করেছি। প্রায় আট বছর আমার সঙ্গেই ছিল। তারপর আমার ভাই যখন এই মহিলাকে বিয়ে করে আনল আমি তাদের কাছে তাদের সন্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছি। প্রায় প্রায়ই ছেলেটিকে মিথ্যে অজুহাতে মারধর করতে থাকে। আমি তার প্রতিবাদ করলে তারা উত্তর দেয় তাদের সন্তানকে তারা শাসন করছে এখানে যেন আমি বা আমার পরিবারের কেউ নাক না গলাই। এরপর থেকে আমি আর কিছু বলিনি। ঘটনা গতকাল জেনেছি। এখন তারা স্বামী স্ত্রী কেউ বাড়িতে নেই। শুনেছি সালমানের ব্যাপারে থানায় মিথ্যে অভিযোগ করেছে।’
একই গ্রামের আশরাফী মিনহাজ (৩৪) বলেন, ‘ওই নারী খুবই খারাপ প্রকৃতির মানুষ। সে প্রায়ই সালমানের গায়ে হাত তুলত। খাবার দিয়েও কষ্ট দিত তাকে। দিনদিন তার এই অত্যাচারের মাত্রা যেন বেড়েই চলছিল। এই অবস্থায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রমাণ করে সে যে কোনো সময় সালমানকে মেরেও ফেলতে পারে। তার জীবনের আশঙ্কা রয়েছে।’
মো. ফয়সাল হোসেন সুমন (৩৪) জানান, তারা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবাই মিলে আঞ্জুর বাড়িতে যান। কিন্তু তারা ঘরে কপাট লাগিয়ে বসে থাকেন। পরে এ ব্যাপারে থানায় গেলে ওসি তাদের কথাকে গুরুত্বই দেননি বলে অভিযোগ করেন।
সালমানের সহপাঠী মো. সায়েম শেখ (১৭) জানায়, সালমানের সঙ্গে তার অনেক দিনের বন্ধুত্ব। প্রায়ই সালমান মন খারাপ করে থাকত। জানতে চাইলে জানাতো সৎ মায়ের অত্যাচারের কথা। তার পুরো শরীর মারের দাগে ভর্তি। এ অবস্থায় তার পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত বলেও মনে করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না।
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে নানান রকম কৌশল অবলম্বন করছে। এবার ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসলে মিথ্যে কথা বলে অন্য লোকের সহায়তায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পিটিয়েছে। আমি এখন বাড়ি ছাড়া। আমার নিজের থাকার কোনো জায়গা নেই।’
কান্না জড়িত কণ্ঠে এভাবেই সৎ মায়ের নির্যাতনে পরিবার ও ঘর হারানোর অভিযোগের গল্প বলছিল সালমান। পুরো নাম সালমান ইবনে মোজাম্মেল (১৭)। সে গাজীপুর কালীগঞ্জে পৌরসভার বাঙ্গাল হাওলা এলাকার মোজাম্মেল হোসেন আঞ্জুর (৬৫) ছেলে।
সালমান নরসিংদীর আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। স্বপ্ন দেখেন বড় হয়ে সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার হওয়ার। সে লক্ষ্যেই করে যাচ্ছেন পড়াশোনা। সৎ মায়ের শত নির্যাতনের পরেও গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় অল্পের জন্য ফসকে গেছে জিপিএ-৫। এ নিয়ে আক্ষেপের যেন শেষ নেই মোজাম্মেলের।
সালমান জানায়, তার মা সৌদিপ্রবাসী ছিলেন। তিনি প্রবাসে মারা গেলে তাঁকে সেখানেই দাফন করা হয়। এরপর সালমান এবং তার বোন প্রায় আট বছর তার চাচার কাছে বড় হতে থাকেন। এর আগে তাদের বাবা আবার বিয়ে করেন। কিন্তু খুব বেশি দিন টেকেনি সেই সংসার। সেই ঘরে এক ছেলে রয়েছে বলেও জানা যায়। এদিকে সালমানের একমাত্র বোনেরও বিয়ে হয়ে গেলে একা হয়ে যায় সে। পরে তার বাবা একই পৌরসভার উত্তর ভাদার্ত্তী গ্রামে মর্জিনা নামে এক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করেন। সৎ মায়ের সঙ্গে তাদের সংসার ভালোই চলছিল। বিপত্তি বাঁধে কিছুদিন পর। সালমান পড়ার টেবিলে বসলে তার সামনে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিতেন। ফলে বিঘ্ন ঘটত পড়ালেখায়। কিছুদিন পরে তার বিরুদ্ধে ডিম চুরির অভিযোগ তোলেন সৎ মা। এ নিয়ে তাকে পৃথক করে দেওয়া হয়। নিজের বাবার পাকা ঘর থাকলেও তাকে থাকতে দেওয়া হয় ভাঙা এক ঘরে। কেড়ে নেওয়া হয় বাবার সঙ্গে কথা বলার অধিকার। রান্না করে খেতে হয় সালমানকে। যে জন্য প্রায়ই খেতে হতো তার বন্ধু সায়েম শেখের বাড়িতে। এরপর পড়াশোনার জন্য চলে যান কলেজ হোস্টেলে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটিতে সালমান বাড়িতে আসলে তার সৎ মা তাকে তার নানির বাড়ি (সৎ মায়ের বাপের বাড়ি) মিথ্যে বলে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্জন এক রুমে গিয়ে হাত পা বেঁধে বিদ্যুতের তার দিয়ে পেটায় এবং মেরে ফেলার জন্য গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। ওই সময় তার বাবা ও এক চাচাকে জানানো হয় সালমান রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। সেখানে গেলে বুঝতে পারেন তারা সালমান কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে সালমানকে বাসায় নিয়ে আসেন।
এলাকাবাসী এ খবর জানতে পারলে তারা সবাই আঞ্জুর বাড়িতে যান। তারা তাদের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে স্বামী স্ত্রী দুজনেই ঘর আটকে বসে থাকেন। পরে ওই সৎ মা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদের দুজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে সালমানের চাচা মো. বাকী বিল্লাহ (৬০) বলেন, ‘সালমানের মা মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন পরে আমার ভাই তাদের আমার হেফাজতে রেখে যান। আমি তাদের আমার নিজের সন্তানের মতোই মানুষ করার চেষ্টা করেছি। প্রায় আট বছর আমার সঙ্গেই ছিল। তারপর আমার ভাই যখন এই মহিলাকে বিয়ে করে আনল আমি তাদের কাছে তাদের সন্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছি। প্রায় প্রায়ই ছেলেটিকে মিথ্যে অজুহাতে মারধর করতে থাকে। আমি তার প্রতিবাদ করলে তারা উত্তর দেয় তাদের সন্তানকে তারা শাসন করছে এখানে যেন আমি বা আমার পরিবারের কেউ নাক না গলাই। এরপর থেকে আমি আর কিছু বলিনি। ঘটনা গতকাল জেনেছি। এখন তারা স্বামী স্ত্রী কেউ বাড়িতে নেই। শুনেছি সালমানের ব্যাপারে থানায় মিথ্যে অভিযোগ করেছে।’
একই গ্রামের আশরাফী মিনহাজ (৩৪) বলেন, ‘ওই নারী খুবই খারাপ প্রকৃতির মানুষ। সে প্রায়ই সালমানের গায়ে হাত তুলত। খাবার দিয়েও কষ্ট দিত তাকে। দিনদিন তার এই অত্যাচারের মাত্রা যেন বেড়েই চলছিল। এই অবস্থায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রমাণ করে সে যে কোনো সময় সালমানকে মেরেও ফেলতে পারে। তার জীবনের আশঙ্কা রয়েছে।’
মো. ফয়সাল হোসেন সুমন (৩৪) জানান, তারা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবাই মিলে আঞ্জুর বাড়িতে যান। কিন্তু তারা ঘরে কপাট লাগিয়ে বসে থাকেন। পরে এ ব্যাপারে থানায় গেলে ওসি তাদের কথাকে গুরুত্বই দেননি বলে অভিযোগ করেন।
সালমানের সহপাঠী মো. সায়েম শেখ (১৭) জানায়, সালমানের সঙ্গে তার অনেক দিনের বন্ধুত্ব। প্রায়ই সালমান মন খারাপ করে থাকত। জানতে চাইলে জানাতো সৎ মায়ের অত্যাচারের কথা। তার পুরো শরীর মারের দাগে ভর্তি। এ অবস্থায় তার পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত বলেও মনে করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না।
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে নানান রকম কৌশল অবলম্বন করছে। এবার ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসলে মিথ্যে কথা বলে অন্য লোকের সহায়তায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পিটিয়েছে। আমি এখন বাড়ি ছাড়া। আমার নিজের থাকার কোনো জায়গা নেই।’
কান্না জড়িত কণ্ঠে এভাবেই সৎ মায়ের নির্যাতনে পরিবার ও ঘর হারানোর অভিযোগের গল্প বলছিল সালমান। পুরো নাম সালমান ইবনে মোজাম্মেল (১৭)। সে গাজীপুর কালীগঞ্জে পৌরসভার বাঙ্গাল হাওলা এলাকার মোজাম্মেল হোসেন আঞ্জুর (৬৫) ছেলে।
সালমান নরসিংদীর আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। স্বপ্ন দেখেন বড় হয়ে সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার হওয়ার। সে লক্ষ্যেই করে যাচ্ছেন পড়াশোনা। সৎ মায়ের শত নির্যাতনের পরেও গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় অল্পের জন্য ফসকে গেছে জিপিএ-৫। এ নিয়ে আক্ষেপের যেন শেষ নেই মোজাম্মেলের।
সালমান জানায়, তার মা সৌদিপ্রবাসী ছিলেন। তিনি প্রবাসে মারা গেলে তাঁকে সেখানেই দাফন করা হয়। এরপর সালমান এবং তার বোন প্রায় আট বছর তার চাচার কাছে বড় হতে থাকেন। এর আগে তাদের বাবা আবার বিয়ে করেন। কিন্তু খুব বেশি দিন টেকেনি সেই সংসার। সেই ঘরে এক ছেলে রয়েছে বলেও জানা যায়। এদিকে সালমানের একমাত্র বোনেরও বিয়ে হয়ে গেলে একা হয়ে যায় সে। পরে তার বাবা একই পৌরসভার উত্তর ভাদার্ত্তী গ্রামে মর্জিনা নামে এক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করেন। সৎ মায়ের সঙ্গে তাদের সংসার ভালোই চলছিল। বিপত্তি বাঁধে কিছুদিন পর। সালমান পড়ার টেবিলে বসলে তার সামনে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিতেন। ফলে বিঘ্ন ঘটত পড়ালেখায়। কিছুদিন পরে তার বিরুদ্ধে ডিম চুরির অভিযোগ তোলেন সৎ মা। এ নিয়ে তাকে পৃথক করে দেওয়া হয়। নিজের বাবার পাকা ঘর থাকলেও তাকে থাকতে দেওয়া হয় ভাঙা এক ঘরে। কেড়ে নেওয়া হয় বাবার সঙ্গে কথা বলার অধিকার। রান্না করে খেতে হয় সালমানকে। যে জন্য প্রায়ই খেতে হতো তার বন্ধু সায়েম শেখের বাড়িতে। এরপর পড়াশোনার জন্য চলে যান কলেজ হোস্টেলে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটিতে সালমান বাড়িতে আসলে তার সৎ মা তাকে তার নানির বাড়ি (সৎ মায়ের বাপের বাড়ি) মিথ্যে বলে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্জন এক রুমে গিয়ে হাত পা বেঁধে বিদ্যুতের তার দিয়ে পেটায় এবং মেরে ফেলার জন্য গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। ওই সময় তার বাবা ও এক চাচাকে জানানো হয় সালমান রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। সেখানে গেলে বুঝতে পারেন তারা সালমান কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে সালমানকে বাসায় নিয়ে আসেন।
এলাকাবাসী এ খবর জানতে পারলে তারা সবাই আঞ্জুর বাড়িতে যান। তারা তাদের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে স্বামী স্ত্রী দুজনেই ঘর আটকে বসে থাকেন। পরে ওই সৎ মা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদের দুজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে সালমানের চাচা মো. বাকী বিল্লাহ (৬০) বলেন, ‘সালমানের মা মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন পরে আমার ভাই তাদের আমার হেফাজতে রেখে যান। আমি তাদের আমার নিজের সন্তানের মতোই মানুষ করার চেষ্টা করেছি। প্রায় আট বছর আমার সঙ্গেই ছিল। তারপর আমার ভাই যখন এই মহিলাকে বিয়ে করে আনল আমি তাদের কাছে তাদের সন্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছি। প্রায় প্রায়ই ছেলেটিকে মিথ্যে অজুহাতে মারধর করতে থাকে। আমি তার প্রতিবাদ করলে তারা উত্তর দেয় তাদের সন্তানকে তারা শাসন করছে এখানে যেন আমি বা আমার পরিবারের কেউ নাক না গলাই। এরপর থেকে আমি আর কিছু বলিনি। ঘটনা গতকাল জেনেছি। এখন তারা স্বামী স্ত্রী কেউ বাড়িতে নেই। শুনেছি সালমানের ব্যাপারে থানায় মিথ্যে অভিযোগ করেছে।’
একই গ্রামের আশরাফী মিনহাজ (৩৪) বলেন, ‘ওই নারী খুবই খারাপ প্রকৃতির মানুষ। সে প্রায়ই সালমানের গায়ে হাত তুলত। খাবার দিয়েও কষ্ট দিত তাকে। দিনদিন তার এই অত্যাচারের মাত্রা যেন বেড়েই চলছিল। এই অবস্থায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রমাণ করে সে যে কোনো সময় সালমানকে মেরেও ফেলতে পারে। তার জীবনের আশঙ্কা রয়েছে।’
মো. ফয়সাল হোসেন সুমন (৩৪) জানান, তারা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবাই মিলে আঞ্জুর বাড়িতে যান। কিন্তু তারা ঘরে কপাট লাগিয়ে বসে থাকেন। পরে এ ব্যাপারে থানায় গেলে ওসি তাদের কথাকে গুরুত্বই দেননি বলে অভিযোগ করেন।
সালমানের সহপাঠী মো. সায়েম শেখ (১৭) জানায়, সালমানের সঙ্গে তার অনেক দিনের বন্ধুত্ব। প্রায়ই সালমান মন খারাপ করে থাকত। জানতে চাইলে জানাতো সৎ মায়ের অত্যাচারের কথা। তার পুরো শরীর মারের দাগে ভর্তি। এ অবস্থায় তার পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত বলেও মনে করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না।
রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের বালাদিয়াড় মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তফা শেখ (৪৭)। তিনি ওই গ্রামের মৃত সমেতউল্লাহ শেখের ছেলে। অভিযুক্ত ভাতিজারা হলেন শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখ।
৪ মিনিট আগেবাড়ি ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় দুই বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার কুচিয়ামোড়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস সড়কের ধলেশ্বরী সেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার আজমপুরে মহাসড়ক পারাপার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় আমির হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজমপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গতকাল সোমবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৬ মিনিট আগেইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার দ্রুত বিচার না হলে ক্যাম্পাস শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
১০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের বালাদিয়াড় মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তফা শেখ (৪৭)। তিনি ওই গ্রামের মৃত সমেতউল্লাহ শেখের ছেলে।
অভিযুক্ত ভাতিজারা হলেন শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখ। তাঁদের বাবার নাম রহমতউল্লাহ শেখ। নিহতের আরেক ভাতিজা রমজান শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বজন ও পুলিশ জানায়, সমেতউল্লাহ শেখের দুই স্ত্রী ছিলেন। এক স্ত্রীর সন্তান রহমতউল্লাহ শেখ এবং অন্য স্ত্রীর সন্তান মোস্তফা শেখ, মুনজিল শেখ, ফজেল শেখ ও এন্দা শেখ। সমেতউল্লাহ শেখ মারা গেলেও তাঁর জমি এখনো সঠিকভাবে ভাগ-বণ্টন হয়নি। জমি নিয়ে বিরোধে উভয় পক্ষের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে দেড় বিঘা আয়তনের একটি পুকুরে মোস্তফারা চার ভাই মাছ চাষ করলেও রহমতউল্লাহ শেখকে ভাগ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রহমতউল্লাহর ছেলেরা পুকুরের ভাগ বুঝে নিতে মোস্তফার কাছে গেলে তিনি শুক্রবার বসার কথা বলেন। পরবর্তী সময়ে মোস্তফার ভাই মুনজিল বালাদিয়াড় বাজারের দিকে গেলে রহমতউল্লাহর ছেলেরা তাকে পিটিয়ে আহত করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে যান মোস্তফার স্বজনেরা। অভিযোগ দেওয়ার খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রহমতউল্লাহর ছেলেরা।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দাওয়াত খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন মোস্তফা শেখ। এ সময় তাঁর ভাতিজা শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখসহ কয়েকজন তাঁকে বাড়ির পাশের রাস্তায় ঘিরে ধরেন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে মোস্তফাকে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করেন। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসা অন্য ভাতিজারাও হামলার শিকার হন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত মোস্তফা শেখকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া লিটন শেখ, জাদু শেখ ও এনামুল শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর বালাদিয়াড় গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মোস্তফা শেখের বাড়ির সামনে ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় নারী বিনা বেগম বলেন, ‘জমি নিয়ে আগেও ঝামেলা হতো, পুলিশ আসত। কিন্তু আজ এভাবে কুপিয়ে মেরে ফেলবে, তা কেউ ভাবেনি।’
এ বিষয়ে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের বালাদিয়াড় মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তফা শেখ (৪৭)। তিনি ওই গ্রামের মৃত সমেতউল্লাহ শেখের ছেলে।
অভিযুক্ত ভাতিজারা হলেন শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখ। তাঁদের বাবার নাম রহমতউল্লাহ শেখ। নিহতের আরেক ভাতিজা রমজান শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বজন ও পুলিশ জানায়, সমেতউল্লাহ শেখের দুই স্ত্রী ছিলেন। এক স্ত্রীর সন্তান রহমতউল্লাহ শেখ এবং অন্য স্ত্রীর সন্তান মোস্তফা শেখ, মুনজিল শেখ, ফজেল শেখ ও এন্দা শেখ। সমেতউল্লাহ শেখ মারা গেলেও তাঁর জমি এখনো সঠিকভাবে ভাগ-বণ্টন হয়নি। জমি নিয়ে বিরোধে উভয় পক্ষের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে দেড় বিঘা আয়তনের একটি পুকুরে মোস্তফারা চার ভাই মাছ চাষ করলেও রহমতউল্লাহ শেখকে ভাগ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রহমতউল্লাহর ছেলেরা পুকুরের ভাগ বুঝে নিতে মোস্তফার কাছে গেলে তিনি শুক্রবার বসার কথা বলেন। পরবর্তী সময়ে মোস্তফার ভাই মুনজিল বালাদিয়াড় বাজারের দিকে গেলে রহমতউল্লাহর ছেলেরা তাকে পিটিয়ে আহত করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে যান মোস্তফার স্বজনেরা। অভিযোগ দেওয়ার খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রহমতউল্লাহর ছেলেরা।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দাওয়াত খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন মোস্তফা শেখ। এ সময় তাঁর ভাতিজা শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখসহ কয়েকজন তাঁকে বাড়ির পাশের রাস্তায় ঘিরে ধরেন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে মোস্তফাকে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করেন। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসা অন্য ভাতিজারাও হামলার শিকার হন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত মোস্তফা শেখকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া লিটন শেখ, জাদু শেখ ও এনামুল শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর বালাদিয়াড় গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মোস্তফা শেখের বাড়ির সামনে ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় নারী বিনা বেগম বলেন, ‘জমি নিয়ে আগেও ঝামেলা হতো, পুলিশ আসত। কিন্তু আজ এভাবে কুপিয়ে মেরে ফেলবে, তা কেউ ভাবেনি।’
এ বিষয়ে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে
০৭ মে ২০২২বাড়ি ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় দুই বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার কুচিয়ামোড়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস সড়কের ধলেশ্বরী সেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার আজমপুরে মহাসড়ক পারাপার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় আমির হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজমপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গতকাল সোমবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৬ মিনিট আগেইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার দ্রুত বিচার না হলে ক্যাম্পাস শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
১০ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
বাড়ি ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় দুই বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার কুচিয়ামোড়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস সড়কের ধলেশ্বরী সেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ইমন ভূঁইয়া (২৬) ও সামিউল ইসলাম (২৭)। ইমন ভূঁইয়া সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের সেন্টু মিয়ার ছেলে আর সামিউল ইসলাম ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা এলাকার লিয়াকত মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে প্রায় ৩০ জন তরুণের একটি দল ১৫ অক্টোবর কক্সবাজার ও বান্দরবানে ভ্রমণে যায়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ইমন ও সামিউল। ফেরার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধলেশ্বরী সেতুর ওপর পৌঁছালে তাঁদের মোটরসাইকেলটি অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধু নিহত হন।
খবর পেয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। দুই তরুণ বন্ধুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারে চলছে আহাজারি।শেখরনগর ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার টুটুল বলেন, ‘নবাবগঞ্জের সামিউল আর আমাদের এলাকার ইমন দুজন ভালো বন্ধু ছিল। তারা একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। ফেরার পথে দুর্ঘটনায় দুজনই মারা যায়। ইমন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিল।’
এ বিষয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম মাহমুদুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় দুই বন্ধু নিহত হয়। লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন, ঘাতক গাড়ি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
বাড়ি ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় দুই বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার কুচিয়ামোড়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস সড়কের ধলেশ্বরী সেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ইমন ভূঁইয়া (২৬) ও সামিউল ইসলাম (২৭)। ইমন ভূঁইয়া সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের সেন্টু মিয়ার ছেলে আর সামিউল ইসলাম ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা এলাকার লিয়াকত মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে প্রায় ৩০ জন তরুণের একটি দল ১৫ অক্টোবর কক্সবাজার ও বান্দরবানে ভ্রমণে যায়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ইমন ও সামিউল। ফেরার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধলেশ্বরী সেতুর ওপর পৌঁছালে তাঁদের মোটরসাইকেলটি অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধু নিহত হন।
খবর পেয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। দুই তরুণ বন্ধুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারে চলছে আহাজারি।শেখরনগর ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার টুটুল বলেন, ‘নবাবগঞ্জের সামিউল আর আমাদের এলাকার ইমন দুজন ভালো বন্ধু ছিল। তারা একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। ফেরার পথে দুর্ঘটনায় দুজনই মারা যায়। ইমন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিল।’
এ বিষয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম মাহমুদুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় দুই বন্ধু নিহত হয়। লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন, ঘাতক গাড়ি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে
০৭ মে ২০২২রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের বালাদিয়াড় মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তফা শেখ (৪৭)। তিনি ওই গ্রামের মৃত সমেতউল্লাহ শেখের ছেলে। অভিযুক্ত ভাতিজারা হলেন শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখ।
৪ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার আজমপুরে মহাসড়ক পারাপার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় আমির হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজমপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গতকাল সোমবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৬ মিনিট আগেইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার দ্রুত বিচার না হলে ক্যাম্পাস শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
১০ মিনিট আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে মহাসড়ক পারাপার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় আমির হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজমপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গতকাল সোমবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নিহত আমির হোসেনের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মহেশপুরে।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজমপুরে রাস্তা পারাপারের সময় অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে চাপা দেওয়া গাড়ি ও চালককে শনাক্ত করে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে মহাসড়ক পারাপার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় আমির হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজমপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গতকাল সোমবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নিহত আমির হোসেনের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মহেশপুরে।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজমপুরে রাস্তা পারাপারের সময় অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে চাপা দেওয়া গাড়ি ও চালককে শনাক্ত করে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে
০৭ মে ২০২২রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের বালাদিয়াড় মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তফা শেখ (৪৭)। তিনি ওই গ্রামের মৃত সমেতউল্লাহ শেখের ছেলে। অভিযুক্ত ভাতিজারা হলেন শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখ।
৪ মিনিট আগেবাড়ি ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় দুই বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার কুচিয়ামোড়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস সড়কের ধলেশ্বরী সেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগেইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার দ্রুত বিচার না হলে ক্যাম্পাস শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
১০ মিনিট আগেইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার দ্রুত বিচার না হলে ক্যাম্পাস শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুন বলেন, ‘সাজিদ হত্যার বিষয়ে আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। তাই প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা ক্যাম্পাস শাটডাউনের পথে যাব। সেটা আগামীকালও হতে পারে, পরশুও হতে পারে।’
মাসুদ রুমি মিথুন আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দাবিতে ছাত্রদল আগেও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে; কিন্তু সেসব দাবিও বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আমরা দাবি আদায়ের জন্য কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো।’
এ সময় শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবিসহ একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
দাবিগুলো হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম, ফি পরিশোধ, সনদ ও নম্বরপত্র উত্তোলনের পূর্ণাঙ্গ ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসাব্যবস্থায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ও মানসম্মত সেবা দিতে হবে। ক্যাম্পাস ও আশপাশে ফায়ার সার্ভিস সাবস্টেশন স্থাপন এবং ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ জিমনেসিয়াম গড়ে তুলতে হবে। নিয়োগ বোর্ডকে ফ্যাসিস্টমুক্ত রেখে দলীয় প্রভাবমুক্ত নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসিক হলের খাবারের মান উন্নত করতে হবে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার দ্রুত বিচার না হলে ক্যাম্পাস শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুন বলেন, ‘সাজিদ হত্যার বিষয়ে আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। তাই প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা ক্যাম্পাস শাটডাউনের পথে যাব। সেটা আগামীকালও হতে পারে, পরশুও হতে পারে।’
মাসুদ রুমি মিথুন আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দাবিতে ছাত্রদল আগেও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে; কিন্তু সেসব দাবিও বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আমরা দাবি আদায়ের জন্য কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো।’
এ সময় শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবিসহ একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
দাবিগুলো হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম, ফি পরিশোধ, সনদ ও নম্বরপত্র উত্তোলনের পূর্ণাঙ্গ ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসাব্যবস্থায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ও মানসম্মত সেবা দিতে হবে। ক্যাম্পাস ও আশপাশে ফায়ার সার্ভিস সাবস্টেশন স্থাপন এবং ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ জিমনেসিয়াম গড়ে তুলতে হবে। নিয়োগ বোর্ডকে ফ্যাসিস্টমুক্ত রেখে দলীয় প্রভাবমুক্ত নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসিক হলের খাবারের মান উন্নত করতে হবে।
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে
০৭ মে ২০২২রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের বালাদিয়াড় মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তফা শেখ (৪৭)। তিনি ওই গ্রামের মৃত সমেতউল্লাহ শেখের ছেলে। অভিযুক্ত ভাতিজারা হলেন শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখ।
৪ মিনিট আগেবাড়ি ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় দুই বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার কুচিয়ামোড়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস সড়কের ধলেশ্বরী সেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার আজমপুরে মহাসড়ক পারাপার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় আমির হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজমপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গতকাল সোমবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৬ মিনিট আগে