রাতুল মণ্ডল, (শ্রীপুর) গাজীপুর

‘আমরা গরিব-অসহায় মানুষ! সামান্য জমিতে চাষবাস করে জীবন চালাই। আমাদের তো শক্তি-সাহস কোনোটাই নাই। এই অল্প জমির ওপর পরিবারের মুখে ভাত ওঠে। আমাদের মতো গরিবের ওপর এমন জুলুম ক্যান? আর কত দিন নেতারা গরিবের পেটে লাথি মারবে?’
নিজের নিজের ১৫ গন্ডা জমিতে (প্রায় ৩০ শতাংশ) চাষ করতে না পেরে অসহায় হয়ে এ কথাগুলো বলছিলেন বিধবা হাজেরা খাতুন। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামের মৃত আব্দুল হাতেম আলীর স্ত্রী তিনি। শুধু হাজেরা খাতুন নয়, একই গ্রামের ১৫ থেকে ২০ জন কৃষক তাদের নিজের জমিতে হালচাষ করতে পারছেন না।
তাঁদের বাধা দিচ্ছেন গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিন মোড়লের ছেলে ও ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন মোড়ল। তিনি কৃষকদের জমি লিজ নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশে বালু রাখতে চান। কিন্তু তিন ফসলি আবাদি জমি দীর্ঘদিন বালু রেখে নষ্ট করার পক্ষপাতি নন কোনো কৃষকই।

ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, মামলার ভয় দেখিয়ে, স্থানীয় সন্ত্রাসীর মাধ্যমে দিয়ে হুমকি দিয়ে জমিতে চাষ, সেচ সব বন্ধ রাখতে বাধ্য করছেন ওই নেতা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকেরা।
ষাটোর্ধ্ব বয়সের বিধবা নারী হাজেরা খাতুন বলেন, ‘স্বামীর রেখে যাওয়া ১৫ গন্ডা জমিতে চাষবাস করেই আমার সংসার। হঠাৎ করে আমাদের ওপর খুবই জুলুম শুরু করছে জাকির মোড়ল। উনি আমার জমিতে হালচাষ করতে দিচ্ছে না। আমাদের জমি জবর-দখল করে এখানে নাকি বালু মজুত করবে। বালু মজুত করলে তো আমাদের জমিতে আর ফসল হবে না। আমরা অসহায় হতদরিদ্র মানুষ, কান্না ছাড়া কিছুই করার নেই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামে কয়েক বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। কয়েকজন কৃষক তাদের খেতে পানি সেচ দিতে পারলেও, হালচাষ না করতে পারায় আবার খেত শুকিয়ে গেছে। একটি খেতে পানি থাকলেও হালচাষে বাধা দেওয়ার কারণে জমি তৈরি বন্ধ রাখা হয়েছে। কয়েকটি খেতের চারপাশ পরিষ্কার করা হয়েছে। পানি সেচের জন্য পাইপ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে রাখা হয়েছে।

একই গ্রামের কৃষক সোলাইমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশপাশের সবাই জমিতে ধান লাগানো কাজ শেষ করছে। আমরা জমিই তৈরি করতে পারছি না, সেচ দিতে পারছি না। বালুগদি করার জন্য জমি না দিলে হত্যা মামলা ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে জাকির মোড়ল। আমরা খুবই ভয়ে আছি।’
আবুল কালাম নামের এক কৃষক বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করি। সেই ধান দিয়ে সারা বছর স্ত্রী-সন্তানের খাবার এবং পড়াশোনা খরচ জোগাই। আমরা কৃষক মানুষ বোরো ফসল আমাদের বড় সম্বল। ধান রোপণের সময় চলে যাচ্ছে। আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আশপাশের ট্রাক্টর মালিকদের নিষেধ করছে জাকির হোসেন। আমরা ধানখেতে সেচ দেওয়ার জন্য নদী থেকে যে পাইপ লাগাইছিলাম, সেটা কেটে ফেলছে।’
বৃদ্ধ কৃষক দৌলত মোড়ল বলেন, ‘আমাদের ওপর এমন জুলুম কেন। আমাদের জমিতে আমরা চাষবাস করতে পারছি না। নেতারা লোক ভাড়া করে এনে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আশপাশের ১০০ বিঘা জমি নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে ওঁরা। এই চক্র থেকে বাঁচতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবুও ভরসা পাচ্ছি না। নেতাদের সঙ্গে কীভাবে পারব?’
অভিযোগের বিষয়ে ওলামা দলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বালু গদি করার জন্য জমি লিজ নিতে চাচ্ছি। জমির মালিকদেরকে ধানের দাম দেবো, তবুও তাঁরা রাজি হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জমিতে হালচাষে বাধা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কাউকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি ধামকি দেওয়া হয়নি। বলে বুঝিয়ে জমি লিজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সজীব আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০ জন কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকেরা না চাইলে কোনোমতেই কেউ জোরপূর্বক বালু গতি করতে পারবে না। প্রশাসনের পক্ষে কৃষকদের সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’

‘আমরা গরিব-অসহায় মানুষ! সামান্য জমিতে চাষবাস করে জীবন চালাই। আমাদের তো শক্তি-সাহস কোনোটাই নাই। এই অল্প জমির ওপর পরিবারের মুখে ভাত ওঠে। আমাদের মতো গরিবের ওপর এমন জুলুম ক্যান? আর কত দিন নেতারা গরিবের পেটে লাথি মারবে?’
নিজের নিজের ১৫ গন্ডা জমিতে (প্রায় ৩০ শতাংশ) চাষ করতে না পেরে অসহায় হয়ে এ কথাগুলো বলছিলেন বিধবা হাজেরা খাতুন। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামের মৃত আব্দুল হাতেম আলীর স্ত্রী তিনি। শুধু হাজেরা খাতুন নয়, একই গ্রামের ১৫ থেকে ২০ জন কৃষক তাদের নিজের জমিতে হালচাষ করতে পারছেন না।
তাঁদের বাধা দিচ্ছেন গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিন মোড়লের ছেলে ও ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন মোড়ল। তিনি কৃষকদের জমি লিজ নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশে বালু রাখতে চান। কিন্তু তিন ফসলি আবাদি জমি দীর্ঘদিন বালু রেখে নষ্ট করার পক্ষপাতি নন কোনো কৃষকই।

ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, মামলার ভয় দেখিয়ে, স্থানীয় সন্ত্রাসীর মাধ্যমে দিয়ে হুমকি দিয়ে জমিতে চাষ, সেচ সব বন্ধ রাখতে বাধ্য করছেন ওই নেতা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকেরা।
ষাটোর্ধ্ব বয়সের বিধবা নারী হাজেরা খাতুন বলেন, ‘স্বামীর রেখে যাওয়া ১৫ গন্ডা জমিতে চাষবাস করেই আমার সংসার। হঠাৎ করে আমাদের ওপর খুবই জুলুম শুরু করছে জাকির মোড়ল। উনি আমার জমিতে হালচাষ করতে দিচ্ছে না। আমাদের জমি জবর-দখল করে এখানে নাকি বালু মজুত করবে। বালু মজুত করলে তো আমাদের জমিতে আর ফসল হবে না। আমরা অসহায় হতদরিদ্র মানুষ, কান্না ছাড়া কিছুই করার নেই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামে কয়েক বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। কয়েকজন কৃষক তাদের খেতে পানি সেচ দিতে পারলেও, হালচাষ না করতে পারায় আবার খেত শুকিয়ে গেছে। একটি খেতে পানি থাকলেও হালচাষে বাধা দেওয়ার কারণে জমি তৈরি বন্ধ রাখা হয়েছে। কয়েকটি খেতের চারপাশ পরিষ্কার করা হয়েছে। পানি সেচের জন্য পাইপ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে রাখা হয়েছে।

একই গ্রামের কৃষক সোলাইমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশপাশের সবাই জমিতে ধান লাগানো কাজ শেষ করছে। আমরা জমিই তৈরি করতে পারছি না, সেচ দিতে পারছি না। বালুগদি করার জন্য জমি না দিলে হত্যা মামলা ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে জাকির মোড়ল। আমরা খুবই ভয়ে আছি।’
আবুল কালাম নামের এক কৃষক বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করি। সেই ধান দিয়ে সারা বছর স্ত্রী-সন্তানের খাবার এবং পড়াশোনা খরচ জোগাই। আমরা কৃষক মানুষ বোরো ফসল আমাদের বড় সম্বল। ধান রোপণের সময় চলে যাচ্ছে। আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আশপাশের ট্রাক্টর মালিকদের নিষেধ করছে জাকির হোসেন। আমরা ধানখেতে সেচ দেওয়ার জন্য নদী থেকে যে পাইপ লাগাইছিলাম, সেটা কেটে ফেলছে।’
বৃদ্ধ কৃষক দৌলত মোড়ল বলেন, ‘আমাদের ওপর এমন জুলুম কেন। আমাদের জমিতে আমরা চাষবাস করতে পারছি না। নেতারা লোক ভাড়া করে এনে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আশপাশের ১০০ বিঘা জমি নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে ওঁরা। এই চক্র থেকে বাঁচতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবুও ভরসা পাচ্ছি না। নেতাদের সঙ্গে কীভাবে পারব?’
অভিযোগের বিষয়ে ওলামা দলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বালু গদি করার জন্য জমি লিজ নিতে চাচ্ছি। জমির মালিকদেরকে ধানের দাম দেবো, তবুও তাঁরা রাজি হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জমিতে হালচাষে বাধা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কাউকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি ধামকি দেওয়া হয়নি। বলে বুঝিয়ে জমি লিজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সজীব আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০ জন কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকেরা না চাইলে কোনোমতেই কেউ জোরপূর্বক বালু গতি করতে পারবে না। প্রশাসনের পক্ষে কৃষকদের সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’
রাতুল মণ্ডল, (শ্রীপুর) গাজীপুর

‘আমরা গরিব-অসহায় মানুষ! সামান্য জমিতে চাষবাস করে জীবন চালাই। আমাদের তো শক্তি-সাহস কোনোটাই নাই। এই অল্প জমির ওপর পরিবারের মুখে ভাত ওঠে। আমাদের মতো গরিবের ওপর এমন জুলুম ক্যান? আর কত দিন নেতারা গরিবের পেটে লাথি মারবে?’
নিজের নিজের ১৫ গন্ডা জমিতে (প্রায় ৩০ শতাংশ) চাষ করতে না পেরে অসহায় হয়ে এ কথাগুলো বলছিলেন বিধবা হাজেরা খাতুন। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামের মৃত আব্দুল হাতেম আলীর স্ত্রী তিনি। শুধু হাজেরা খাতুন নয়, একই গ্রামের ১৫ থেকে ২০ জন কৃষক তাদের নিজের জমিতে হালচাষ করতে পারছেন না।
তাঁদের বাধা দিচ্ছেন গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিন মোড়লের ছেলে ও ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন মোড়ল। তিনি কৃষকদের জমি লিজ নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশে বালু রাখতে চান। কিন্তু তিন ফসলি আবাদি জমি দীর্ঘদিন বালু রেখে নষ্ট করার পক্ষপাতি নন কোনো কৃষকই।

ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, মামলার ভয় দেখিয়ে, স্থানীয় সন্ত্রাসীর মাধ্যমে দিয়ে হুমকি দিয়ে জমিতে চাষ, সেচ সব বন্ধ রাখতে বাধ্য করছেন ওই নেতা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকেরা।
ষাটোর্ধ্ব বয়সের বিধবা নারী হাজেরা খাতুন বলেন, ‘স্বামীর রেখে যাওয়া ১৫ গন্ডা জমিতে চাষবাস করেই আমার সংসার। হঠাৎ করে আমাদের ওপর খুবই জুলুম শুরু করছে জাকির মোড়ল। উনি আমার জমিতে হালচাষ করতে দিচ্ছে না। আমাদের জমি জবর-দখল করে এখানে নাকি বালু মজুত করবে। বালু মজুত করলে তো আমাদের জমিতে আর ফসল হবে না। আমরা অসহায় হতদরিদ্র মানুষ, কান্না ছাড়া কিছুই করার নেই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামে কয়েক বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। কয়েকজন কৃষক তাদের খেতে পানি সেচ দিতে পারলেও, হালচাষ না করতে পারায় আবার খেত শুকিয়ে গেছে। একটি খেতে পানি থাকলেও হালচাষে বাধা দেওয়ার কারণে জমি তৈরি বন্ধ রাখা হয়েছে। কয়েকটি খেতের চারপাশ পরিষ্কার করা হয়েছে। পানি সেচের জন্য পাইপ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে রাখা হয়েছে।

একই গ্রামের কৃষক সোলাইমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশপাশের সবাই জমিতে ধান লাগানো কাজ শেষ করছে। আমরা জমিই তৈরি করতে পারছি না, সেচ দিতে পারছি না। বালুগদি করার জন্য জমি না দিলে হত্যা মামলা ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে জাকির মোড়ল। আমরা খুবই ভয়ে আছি।’
আবুল কালাম নামের এক কৃষক বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করি। সেই ধান দিয়ে সারা বছর স্ত্রী-সন্তানের খাবার এবং পড়াশোনা খরচ জোগাই। আমরা কৃষক মানুষ বোরো ফসল আমাদের বড় সম্বল। ধান রোপণের সময় চলে যাচ্ছে। আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আশপাশের ট্রাক্টর মালিকদের নিষেধ করছে জাকির হোসেন। আমরা ধানখেতে সেচ দেওয়ার জন্য নদী থেকে যে পাইপ লাগাইছিলাম, সেটা কেটে ফেলছে।’
বৃদ্ধ কৃষক দৌলত মোড়ল বলেন, ‘আমাদের ওপর এমন জুলুম কেন। আমাদের জমিতে আমরা চাষবাস করতে পারছি না। নেতারা লোক ভাড়া করে এনে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আশপাশের ১০০ বিঘা জমি নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে ওঁরা। এই চক্র থেকে বাঁচতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবুও ভরসা পাচ্ছি না। নেতাদের সঙ্গে কীভাবে পারব?’
অভিযোগের বিষয়ে ওলামা দলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বালু গদি করার জন্য জমি লিজ নিতে চাচ্ছি। জমির মালিকদেরকে ধানের দাম দেবো, তবুও তাঁরা রাজি হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জমিতে হালচাষে বাধা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কাউকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি ধামকি দেওয়া হয়নি। বলে বুঝিয়ে জমি লিজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সজীব আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০ জন কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকেরা না চাইলে কোনোমতেই কেউ জোরপূর্বক বালু গতি করতে পারবে না। প্রশাসনের পক্ষে কৃষকদের সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’

‘আমরা গরিব-অসহায় মানুষ! সামান্য জমিতে চাষবাস করে জীবন চালাই। আমাদের তো শক্তি-সাহস কোনোটাই নাই। এই অল্প জমির ওপর পরিবারের মুখে ভাত ওঠে। আমাদের মতো গরিবের ওপর এমন জুলুম ক্যান? আর কত দিন নেতারা গরিবের পেটে লাথি মারবে?’
নিজের নিজের ১৫ গন্ডা জমিতে (প্রায় ৩০ শতাংশ) চাষ করতে না পেরে অসহায় হয়ে এ কথাগুলো বলছিলেন বিধবা হাজেরা খাতুন। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামের মৃত আব্দুল হাতেম আলীর স্ত্রী তিনি। শুধু হাজেরা খাতুন নয়, একই গ্রামের ১৫ থেকে ২০ জন কৃষক তাদের নিজের জমিতে হালচাষ করতে পারছেন না।
তাঁদের বাধা দিচ্ছেন গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিন মোড়লের ছেলে ও ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন মোড়ল। তিনি কৃষকদের জমি লিজ নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশে বালু রাখতে চান। কিন্তু তিন ফসলি আবাদি জমি দীর্ঘদিন বালু রেখে নষ্ট করার পক্ষপাতি নন কোনো কৃষকই।

ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, মামলার ভয় দেখিয়ে, স্থানীয় সন্ত্রাসীর মাধ্যমে দিয়ে হুমকি দিয়ে জমিতে চাষ, সেচ সব বন্ধ রাখতে বাধ্য করছেন ওই নেতা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকেরা।
ষাটোর্ধ্ব বয়সের বিধবা নারী হাজেরা খাতুন বলেন, ‘স্বামীর রেখে যাওয়া ১৫ গন্ডা জমিতে চাষবাস করেই আমার সংসার। হঠাৎ করে আমাদের ওপর খুবই জুলুম শুরু করছে জাকির মোড়ল। উনি আমার জমিতে হালচাষ করতে দিচ্ছে না। আমাদের জমি জবর-দখল করে এখানে নাকি বালু মজুত করবে। বালু মজুত করলে তো আমাদের জমিতে আর ফসল হবে না। আমরা অসহায় হতদরিদ্র মানুষ, কান্না ছাড়া কিছুই করার নেই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামে কয়েক বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। কয়েকজন কৃষক তাদের খেতে পানি সেচ দিতে পারলেও, হালচাষ না করতে পারায় আবার খেত শুকিয়ে গেছে। একটি খেতে পানি থাকলেও হালচাষে বাধা দেওয়ার কারণে জমি তৈরি বন্ধ রাখা হয়েছে। কয়েকটি খেতের চারপাশ পরিষ্কার করা হয়েছে। পানি সেচের জন্য পাইপ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে রাখা হয়েছে।

একই গ্রামের কৃষক সোলাইমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশপাশের সবাই জমিতে ধান লাগানো কাজ শেষ করছে। আমরা জমিই তৈরি করতে পারছি না, সেচ দিতে পারছি না। বালুগদি করার জন্য জমি না দিলে হত্যা মামলা ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে জাকির মোড়ল। আমরা খুবই ভয়ে আছি।’
আবুল কালাম নামের এক কৃষক বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করি। সেই ধান দিয়ে সারা বছর স্ত্রী-সন্তানের খাবার এবং পড়াশোনা খরচ জোগাই। আমরা কৃষক মানুষ বোরো ফসল আমাদের বড় সম্বল। ধান রোপণের সময় চলে যাচ্ছে। আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আশপাশের ট্রাক্টর মালিকদের নিষেধ করছে জাকির হোসেন। আমরা ধানখেতে সেচ দেওয়ার জন্য নদী থেকে যে পাইপ লাগাইছিলাম, সেটা কেটে ফেলছে।’
বৃদ্ধ কৃষক দৌলত মোড়ল বলেন, ‘আমাদের ওপর এমন জুলুম কেন। আমাদের জমিতে আমরা চাষবাস করতে পারছি না। নেতারা লোক ভাড়া করে এনে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আশপাশের ১০০ বিঘা জমি নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে ওঁরা। এই চক্র থেকে বাঁচতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবুও ভরসা পাচ্ছি না। নেতাদের সঙ্গে কীভাবে পারব?’
অভিযোগের বিষয়ে ওলামা দলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বালু গদি করার জন্য জমি লিজ নিতে চাচ্ছি। জমির মালিকদেরকে ধানের দাম দেবো, তবুও তাঁরা রাজি হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জমিতে হালচাষে বাধা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কাউকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি ধামকি দেওয়া হয়নি। বলে বুঝিয়ে জমি লিজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সজীব আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০ জন কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকেরা না চাইলে কোনোমতেই কেউ জোরপূর্বক বালু গতি করতে পারবে না। প্রশাসনের পক্ষে কৃষকদের সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ড. মোছা. সানজিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ মিনিট আগে
‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়। তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
১৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ড. মোছা. সানজিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। বিধি অনুযায়ী তিনি সব সুবিধা পাবেন।
নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি চিঠি পেয়েছেন এবং এর পর থেকে দায়িত্ব নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মুসিন উদ্দিন ইউজিসির চারটি অবজারভেশনসহ নানা কারণে পদত্যাগ করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ড. মোছা. সানজিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। বিধি অনুযায়ী তিনি সব সুবিধা পাবেন।
নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি চিঠি পেয়েছেন এবং এর পর থেকে দায়িত্ব নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মুসিন উদ্দিন ইউজিসির চারটি অবজারভেশনসহ নানা কারণে পদত্যাগ করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

‘আমরা গরিব-অসহায় মানুষ! সামান্য জমিতে চাষবাস করে জীবন চালাই। আমাদের তো শক্তি-সাহস কোনোটাই নাই। এই অল্প জমির ওপর পরিবারের মুখে ভাত ওঠে। আমাদের মতো গরিবের ওপর এমন জুলুম ক্যান? আর কত দিন নেতারা গরিবের পেটে লাথি মারবে...
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়। তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
১৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়।

তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জনগণের জানমাল রক্ষায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ মহড়া দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী আলফাডাঙ্গা বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়, জনবহুল স্থান ও গ্রামীণ এলাকায় টহল দেওয়া হয়। এতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলযোগে উপজেলাজুড়ে টহল ও মহড়ায় অংশ নেন। এ সময় তাঁরা জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে ওই মহড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন এসআই লিয়াকত হোসেন, যা ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ছয়টি মোটরসাইকেলে পুলিশের দুজন সদস্য করে ১২ জন রয়েছেন এবং ছয়জন চালকসহ কারও মাথায় হেলমেট নেই। তাঁদের পেছনে ছিল টহলরত আরও একটি জিপগাড়ি।
ফরিদপুর নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কান্তি বালা পান্না বলেন, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট না পরা, এটা একটা অপরাধ। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালালে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। অবশ্যই তাঁদের হেলমেট পরা উচিত ছিল।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আসলে হেলমেট পরা উচিত ছিল। কিন্তু হেলমেটটা পরলে ওইভাবে আমরা যে মুভ করতেছি, বোঝা যেত না। পরলে ভালো হতো। আসলে সব ভুল ধরলে তো আর কাজ করা যাবে না। পরে আমরা হেলমেট পরে নেব।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ‘টহলের সময় আমি ছিলাম না। বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি দেখছি। যদি এমন হয়, তাহলে পরবর্তীতে যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়।

তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জনগণের জানমাল রক্ষায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ মহড়া দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী আলফাডাঙ্গা বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়, জনবহুল স্থান ও গ্রামীণ এলাকায় টহল দেওয়া হয়। এতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলযোগে উপজেলাজুড়ে টহল ও মহড়ায় অংশ নেন। এ সময় তাঁরা জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে ওই মহড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন এসআই লিয়াকত হোসেন, যা ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ছয়টি মোটরসাইকেলে পুলিশের দুজন সদস্য করে ১২ জন রয়েছেন এবং ছয়জন চালকসহ কারও মাথায় হেলমেট নেই। তাঁদের পেছনে ছিল টহলরত আরও একটি জিপগাড়ি।
ফরিদপুর নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কান্তি বালা পান্না বলেন, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট না পরা, এটা একটা অপরাধ। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালালে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। অবশ্যই তাঁদের হেলমেট পরা উচিত ছিল।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আসলে হেলমেট পরা উচিত ছিল। কিন্তু হেলমেটটা পরলে ওইভাবে আমরা যে মুভ করতেছি, বোঝা যেত না। পরলে ভালো হতো। আসলে সব ভুল ধরলে তো আর কাজ করা যাবে না। পরে আমরা হেলমেট পরে নেব।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ‘টহলের সময় আমি ছিলাম না। বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি দেখছি। যদি এমন হয়, তাহলে পরবর্তীতে যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘আমরা গরিব-অসহায় মানুষ! সামান্য জমিতে চাষবাস করে জীবন চালাই। আমাদের তো শক্তি-সাহস কোনোটাই নাই। এই অল্প জমির ওপর পরিবারের মুখে ভাত ওঠে। আমাদের মতো গরিবের ওপর এমন জুলুম ক্যান? আর কত দিন নেতারা গরিবের পেটে লাথি মারবে...
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ড. মোছা. সানজিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেনসাগর (৩০), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম ওরফে সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), ওসমান (২৮) ও দিদারুল আলম রাসেল (২৪)।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় নগরের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোডের সৈয়দ শাহ রোড এলাকায় ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি হয়। যুবদল নেতা পরিচয় দেওয়া সোহেল ও বোরহান উদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার অনুসারীদের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বাকলিয়া থানা-পুলিশ জানায়, গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় যুবদল কর্মী সাজ্জাদ হোসেন মারা যান। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও ১৩ জন। তাঁরা হলেন মো. পারভেজ (২০), শরীফ (২৯), রিফাত (২৫), ইউসুফ (৩০), জিসান (২২), জুয়েল (২৫), একরাম (২৩), ইব্রাহিম (২৩), শুক্কুর (২৫), ওবাইদুল (৩০), সাব্বির (২২), ফারুক (২৮) ও ফয়সাল (২০)।
তবে ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় ব্যানার টানানোসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর গুলিবর্ষণ করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের তথ্যে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (২৯), নজরুল ইসলাম সোহেল (৪২), মিল্টন (৪৪), বাদশা ওরফে ছোট বাদশা (৩০), ইউসুফ ওরফে হিরন (২৫), সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেন সাগর (৩০), মোহাম্মদ দিদার (৪৫), রিয়াজ করিম (৩৩), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), বোরহান (২৫), মোজাহের মেম্বার (৫০), এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) ও নাঈম উদ্দিন (২৪)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, মামলার আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম সোহেল যুবদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকলেও তাঁরা গত বছর অভ্যুত্থানের আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত সোমবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাটির সূত্রপাত বোরহান উদ্দিনের একটি ব্যানার টানানো নিয়ে। ওই ব্যানারে বোরহান নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে চসিক মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেনের ছবি যুক্ত করেছিলেন।
একই মামলায় এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যিনি সারা দেশে আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
ভোলার বিরুদ্ধে মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলে পুলিশ। তবে ভোলা এসব অস্বীকার করেছেন।

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেনসাগর (৩০), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম ওরফে সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), ওসমান (২৮) ও দিদারুল আলম রাসেল (২৪)।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় নগরের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোডের সৈয়দ শাহ রোড এলাকায় ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি হয়। যুবদল নেতা পরিচয় দেওয়া সোহেল ও বোরহান উদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার অনুসারীদের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বাকলিয়া থানা-পুলিশ জানায়, গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় যুবদল কর্মী সাজ্জাদ হোসেন মারা যান। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও ১৩ জন। তাঁরা হলেন মো. পারভেজ (২০), শরীফ (২৯), রিফাত (২৫), ইউসুফ (৩০), জিসান (২২), জুয়েল (২৫), একরাম (২৩), ইব্রাহিম (২৩), শুক্কুর (২৫), ওবাইদুল (৩০), সাব্বির (২২), ফারুক (২৮) ও ফয়সাল (২০)।
তবে ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় ব্যানার টানানোসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর গুলিবর্ষণ করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের তথ্যে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (২৯), নজরুল ইসলাম সোহেল (৪২), মিল্টন (৪৪), বাদশা ওরফে ছোট বাদশা (৩০), ইউসুফ ওরফে হিরন (২৫), সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেন সাগর (৩০), মোহাম্মদ দিদার (৪৫), রিয়াজ করিম (৩৩), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), বোরহান (২৫), মোজাহের মেম্বার (৫০), এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) ও নাঈম উদ্দিন (২৪)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, মামলার আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম সোহেল যুবদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকলেও তাঁরা গত বছর অভ্যুত্থানের আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত সোমবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাটির সূত্রপাত বোরহান উদ্দিনের একটি ব্যানার টানানো নিয়ে। ওই ব্যানারে বোরহান নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে চসিক মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেনের ছবি যুক্ত করেছিলেন।
একই মামলায় এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যিনি সারা দেশে আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
ভোলার বিরুদ্ধে মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলে পুলিশ। তবে ভোলা এসব অস্বীকার করেছেন।

‘আমরা গরিব-অসহায় মানুষ! সামান্য জমিতে চাষবাস করে জীবন চালাই। আমাদের তো শক্তি-সাহস কোনোটাই নাই। এই অল্প জমির ওপর পরিবারের মুখে ভাত ওঠে। আমাদের মতো গরিবের ওপর এমন জুলুম ক্যান? আর কত দিন নেতারা গরিবের পেটে লাথি মারবে...
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ড. মোছা. সানজিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ মিনিট আগে
‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়। তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
১৬ মিনিট আগে
রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাউজান প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন ফাহিম জানান, প্রায় ২৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের কাতলা মাছটির বয়স ছিল ১১-১২ বছর। মাছটির দেহে গুরুতর কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং অর্ধেকের বেশি পচে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
প্রাথমিকভাবে এটি একটি পুরুষ মাছ বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং বার্ধক্যজনিত কারণে এটির মৃত্যু হতে পারে। সুরতহাল শেষে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মৃত মাছটি মাটিচাপা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে হালদা নদী অরক্ষিত। এ সুযোগে হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে জাল ও বড়শি দিয়ে প্রতিনিয়ত মাছ ধরা হচ্ছে। তাই এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে নিয়মিত প্রশাসনিকভাবে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

চট্টগ্রামের রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন ফাহিম জানান, প্রায় ২৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের কাতলা মাছটির বয়স ছিল ১১-১২ বছর। মাছটির দেহে গুরুতর কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং অর্ধেকের বেশি পচে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
প্রাথমিকভাবে এটি একটি পুরুষ মাছ বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং বার্ধক্যজনিত কারণে এটির মৃত্যু হতে পারে। সুরতহাল শেষে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মৃত মাছটি মাটিচাপা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে হালদা নদী অরক্ষিত। এ সুযোগে হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে জাল ও বড়শি দিয়ে প্রতিনিয়ত মাছ ধরা হচ্ছে। তাই এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে নিয়মিত প্রশাসনিকভাবে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

‘আমরা গরিব-অসহায় মানুষ! সামান্য জমিতে চাষবাস করে জীবন চালাই। আমাদের তো শক্তি-সাহস কোনোটাই নাই। এই অল্প জমির ওপর পরিবারের মুখে ভাত ওঠে। আমাদের মতো গরিবের ওপর এমন জুলুম ক্যান? আর কত দিন নেতারা গরিবের পেটে লাথি মারবে...
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ড. মোছা. সানজিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ মিনিট আগে
‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়। তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
১৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে