গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে কারখানা কর্মকর্তাকে হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে তাঁরা হত্যার কারণ সম্পর্কেও জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা জানান, নিহত ব্যক্তি ফাঁকা বাসায় ঘটনার রাতে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে আসামিদের বাসায় ডেকে আনেন। কিন্তু পরে টাকা না দিয়ে মোবাইলে শারীরিক সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে ওই ব্যক্তির গলা ও ঊরুতে আঘাত করে হত্যা করেন।
আজ বুধবার পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত কারখানা কর্মকর্তার নাম রফিকুল ইসলাম (৪৮)। তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর আমবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ৬-৭ বছর সপরিবারে বসবাস করেন এবং গাজীপুর ফিড মিল লিমিটেড কারখানায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে চাকরি করতেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, বগুড়া জেলা সদর থানার মৃত খলিল শেখের ছেলে নয়ন (২১) এবং একই জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার মানিকদারচর (টেংরাকুরা) গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে আল আমিন (১৯)। আসামিরা গাছা থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ সুপার জানান, ১৯ জুলাই রফিকুল ইসলামের ছেলে রাতুল আহামেদ এবং তাঁর স্ত্রী গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে যায়। সেই দিন রাতে তিনি ফাঁকা বাসায় গ্রেপ্তার আসামিদের ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজের জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু পরে তিনি আসামিদের টাকা না দিয়ে অনৈতিক কাজের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এতে আসামিরা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কর্মকর্তাকে চাকু দিয়ে গলা ও ঊরুতে আঘাত করলে তিনি মারা যান।
এসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার (২০ জুলাই) সকালে ওই কর্মকর্তার ছেলে রাতুল আহামেদ তাঁর বাবার মোবাইলে ফোন করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে তিনি বাসায় খোঁজ নেওয়ার জন্য তাঁর দুই বন্ধুকে পাঠান। তাঁরা দুপুরের দিকে বাসায় গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে তালা দেওয়া। পরে বাড়ির মালিককে ডেকে দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রফিকুলকে মৃত অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে রাতুল আহামেদ বাদী হয়ে জিএমপির কোনাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এসপি বলেন, এ ঘটনায় পিবিআই স্বপ্রণোদিত হয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পিবিআই গাজীপুর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে। গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) রাত দেড়টায় নগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া মোতালেব মার্কেট এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরের দিন ২২ জুলাই বিকেলে আসামিদের গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে ৫ হাজার টাকায় ভাড়া করে বাসায় ডেকে নিয়ে আসার পর টাকা না দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও গোপনে ধারণ করে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে রফিকুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গাজীপুরে কারখানা কর্মকর্তাকে হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে তাঁরা হত্যার কারণ সম্পর্কেও জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা জানান, নিহত ব্যক্তি ফাঁকা বাসায় ঘটনার রাতে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে আসামিদের বাসায় ডেকে আনেন। কিন্তু পরে টাকা না দিয়ে মোবাইলে শারীরিক সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে ওই ব্যক্তির গলা ও ঊরুতে আঘাত করে হত্যা করেন।
আজ বুধবার পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত কারখানা কর্মকর্তার নাম রফিকুল ইসলাম (৪৮)। তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর আমবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ৬-৭ বছর সপরিবারে বসবাস করেন এবং গাজীপুর ফিড মিল লিমিটেড কারখানায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে চাকরি করতেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, বগুড়া জেলা সদর থানার মৃত খলিল শেখের ছেলে নয়ন (২১) এবং একই জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার মানিকদারচর (টেংরাকুরা) গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে আল আমিন (১৯)। আসামিরা গাছা থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ সুপার জানান, ১৯ জুলাই রফিকুল ইসলামের ছেলে রাতুল আহামেদ এবং তাঁর স্ত্রী গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে যায়। সেই দিন রাতে তিনি ফাঁকা বাসায় গ্রেপ্তার আসামিদের ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজের জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু পরে তিনি আসামিদের টাকা না দিয়ে অনৈতিক কাজের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এতে আসামিরা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কর্মকর্তাকে চাকু দিয়ে গলা ও ঊরুতে আঘাত করলে তিনি মারা যান।
এসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার (২০ জুলাই) সকালে ওই কর্মকর্তার ছেলে রাতুল আহামেদ তাঁর বাবার মোবাইলে ফোন করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে তিনি বাসায় খোঁজ নেওয়ার জন্য তাঁর দুই বন্ধুকে পাঠান। তাঁরা দুপুরের দিকে বাসায় গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে তালা দেওয়া। পরে বাড়ির মালিককে ডেকে দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রফিকুলকে মৃত অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে রাতুল আহামেদ বাদী হয়ে জিএমপির কোনাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এসপি বলেন, এ ঘটনায় পিবিআই স্বপ্রণোদিত হয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পিবিআই গাজীপুর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে। গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) রাত দেড়টায় নগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া মোতালেব মার্কেট এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরের দিন ২২ জুলাই বিকেলে আসামিদের গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে ৫ হাজার টাকায় ভাড়া করে বাসায় ডেকে নিয়ে আসার পর টাকা না দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও গোপনে ধারণ করে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে রফিকুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে কারখানা কর্মকর্তাকে হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে তাঁরা হত্যার কারণ সম্পর্কেও জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা জানান, নিহত ব্যক্তি ফাঁকা বাসায় ঘটনার রাতে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে আসামিদের বাসায় ডেকে আনেন। কিন্তু পরে টাকা না দিয়ে মোবাইলে শারীরিক সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে ওই ব্যক্তির গলা ও ঊরুতে আঘাত করে হত্যা করেন।
আজ বুধবার পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত কারখানা কর্মকর্তার নাম রফিকুল ইসলাম (৪৮)। তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর আমবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ৬-৭ বছর সপরিবারে বসবাস করেন এবং গাজীপুর ফিড মিল লিমিটেড কারখানায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে চাকরি করতেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, বগুড়া জেলা সদর থানার মৃত খলিল শেখের ছেলে নয়ন (২১) এবং একই জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার মানিকদারচর (টেংরাকুরা) গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে আল আমিন (১৯)। আসামিরা গাছা থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ সুপার জানান, ১৯ জুলাই রফিকুল ইসলামের ছেলে রাতুল আহামেদ এবং তাঁর স্ত্রী গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে যায়। সেই দিন রাতে তিনি ফাঁকা বাসায় গ্রেপ্তার আসামিদের ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজের জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু পরে তিনি আসামিদের টাকা না দিয়ে অনৈতিক কাজের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এতে আসামিরা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কর্মকর্তাকে চাকু দিয়ে গলা ও ঊরুতে আঘাত করলে তিনি মারা যান।
এসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার (২০ জুলাই) সকালে ওই কর্মকর্তার ছেলে রাতুল আহামেদ তাঁর বাবার মোবাইলে ফোন করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে তিনি বাসায় খোঁজ নেওয়ার জন্য তাঁর দুই বন্ধুকে পাঠান। তাঁরা দুপুরের দিকে বাসায় গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে তালা দেওয়া। পরে বাড়ির মালিককে ডেকে দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রফিকুলকে মৃত অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে রাতুল আহামেদ বাদী হয়ে জিএমপির কোনাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এসপি বলেন, এ ঘটনায় পিবিআই স্বপ্রণোদিত হয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পিবিআই গাজীপুর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে। গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) রাত দেড়টায় নগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া মোতালেব মার্কেট এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরের দিন ২২ জুলাই বিকেলে আসামিদের গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে ৫ হাজার টাকায় ভাড়া করে বাসায় ডেকে নিয়ে আসার পর টাকা না দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও গোপনে ধারণ করে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে রফিকুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গাজীপুরে কারখানা কর্মকর্তাকে হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে তাঁরা হত্যার কারণ সম্পর্কেও জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা জানান, নিহত ব্যক্তি ফাঁকা বাসায় ঘটনার রাতে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে আসামিদের বাসায় ডেকে আনেন। কিন্তু পরে টাকা না দিয়ে মোবাইলে শারীরিক সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে ওই ব্যক্তির গলা ও ঊরুতে আঘাত করে হত্যা করেন।
আজ বুধবার পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত কারখানা কর্মকর্তার নাম রফিকুল ইসলাম (৪৮)। তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর আমবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ৬-৭ বছর সপরিবারে বসবাস করেন এবং গাজীপুর ফিড মিল লিমিটেড কারখানায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে চাকরি করতেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, বগুড়া জেলা সদর থানার মৃত খলিল শেখের ছেলে নয়ন (২১) এবং একই জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার মানিকদারচর (টেংরাকুরা) গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে আল আমিন (১৯)। আসামিরা গাছা থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ সুপার জানান, ১৯ জুলাই রফিকুল ইসলামের ছেলে রাতুল আহামেদ এবং তাঁর স্ত্রী গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে যায়। সেই দিন রাতে তিনি ফাঁকা বাসায় গ্রেপ্তার আসামিদের ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজের জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু পরে তিনি আসামিদের টাকা না দিয়ে অনৈতিক কাজের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এতে আসামিরা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কর্মকর্তাকে চাকু দিয়ে গলা ও ঊরুতে আঘাত করলে তিনি মারা যান।
এসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার (২০ জুলাই) সকালে ওই কর্মকর্তার ছেলে রাতুল আহামেদ তাঁর বাবার মোবাইলে ফোন করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে তিনি বাসায় খোঁজ নেওয়ার জন্য তাঁর দুই বন্ধুকে পাঠান। তাঁরা দুপুরের দিকে বাসায় গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে তালা দেওয়া। পরে বাড়ির মালিককে ডেকে দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রফিকুলকে মৃত অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে রাতুল আহামেদ বাদী হয়ে জিএমপির কোনাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এসপি বলেন, এ ঘটনায় পিবিআই স্বপ্রণোদিত হয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পিবিআই গাজীপুর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে। গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) রাত দেড়টায় নগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া মোতালেব মার্কেট এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরের দিন ২২ জুলাই বিকেলে আসামিদের গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে ৫ হাজার টাকায় ভাড়া করে বাসায় ডেকে নিয়ে আসার পর টাকা না দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও গোপনে ধারণ করে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে রফিকুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গাইবান্ধায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম নামের এক বক্তা। জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামে মাহফিল চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে।
১ ঘণ্টা আগে
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৭ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৭ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম নামের এক বক্তা। জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামে মাহফিল চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। উপস্থিত হাজারো মানুষের সামনে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করে স্টেজেই লুটিয়ে পড়েন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম (৩৫)। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তিনি মারা যান।
স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার চরবালুয়া গ্রামের একটি জামে মসজিদের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসির মাহফিলের তৃতীয় বক্তা হিসেবে বয়ান শুরু করেন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম। বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি স্টেজে ঢলে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাঁকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মাওলানা ফরিদুল ইসলাম গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খামার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মহিমাগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমিক স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক এবং স্থানীয় ঘোষপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি আড়াই বছর বয়সী এক সন্তানের জনক ছিলেন।

গাইবান্ধায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম নামের এক বক্তা। জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামে মাহফিল চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। উপস্থিত হাজারো মানুষের সামনে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করে স্টেজেই লুটিয়ে পড়েন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম (৩৫)। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তিনি মারা যান।
স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার চরবালুয়া গ্রামের একটি জামে মসজিদের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসির মাহফিলের তৃতীয় বক্তা হিসেবে বয়ান শুরু করেন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম। বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি স্টেজে ঢলে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাঁকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মাওলানা ফরিদুল ইসলাম গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খামার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মহিমাগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমিক স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক এবং স্থানীয় ঘোষপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি আড়াই বছর বয়সী এক সন্তানের জনক ছিলেন।

নিহত ব্যক্তি ফাঁকা বাসায় ঘটনার রাতে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে আসামিদের বাসায় ডেকে আনে। কিন্তু পরে টাকা না দিয়ে মোবাইলে শারীরিক সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গলা ও ঊরুতে আঘাত করে হত্যা করেন।
২৩ জুলাই ২০২৫
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে।
১ ঘণ্টা আগে
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৭ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৭ ঘণ্টা আগেশাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার বেজোড়া দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ‘বেজোড়া যুবসংঘ’ শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল।
আয়োজক কমিটির সদস্য রুবেল হোসেন বলেন, ‘দাওয়াত না পাওয়ায় রাত ১১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা সনি এসে মোটরসাইকেল আমাদের সাউন্ড বক্সের ওপরে তুলে দেন। তখন উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে সনি পাশেই নিজের বাড়িতে গিয়ে পিস্তল হাতে ফিরে এসে আমাকে গুলি করার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় শত শত জনতা সনিকে পিস্তলসহ আটক করে পিটুনি দেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার কৈগাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
ঘটনাস্থলে থাকা কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। পিস্তলটি সম্ভবত আসল না। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার বেজোড়া দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ‘বেজোড়া যুবসংঘ’ শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল।
আয়োজক কমিটির সদস্য রুবেল হোসেন বলেন, ‘দাওয়াত না পাওয়ায় রাত ১১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা সনি এসে মোটরসাইকেল আমাদের সাউন্ড বক্সের ওপরে তুলে দেন। তখন উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে সনি পাশেই নিজের বাড়িতে গিয়ে পিস্তল হাতে ফিরে এসে আমাকে গুলি করার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় শত শত জনতা সনিকে পিস্তলসহ আটক করে পিটুনি দেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার কৈগাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
ঘটনাস্থলে থাকা কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। পিস্তলটি সম্ভবত আসল না। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিহত ব্যক্তি ফাঁকা বাসায় ঘটনার রাতে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে আসামিদের বাসায় ডেকে আনে। কিন্তু পরে টাকা না দিয়ে মোবাইলে শারীরিক সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গলা ও ঊরুতে আঘাত করে হত্যা করেন।
২৩ জুলাই ২০২৫
গাইবান্ধায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম নামের এক বক্তা। জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামে মাহফিল চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৭ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৭ ঘণ্টা আগেগুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা চাঁচকৈড় রসুনহাট, গরুর হাট ও গুরুদাসপুর বাজারঘাট এলাকার আবর্জনা গাড়িতে তুলে এনে নদীর তীরে বা সরাসরি পানিতে ফেলে দিচ্ছে। শুধু ঘরবাড়ির বর্জ্য নয়, বিভিন্ন কারখানা ও ক্লিনিক থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের নালা-পাইপের বর্জ্যও নন্দকুঁজা নদীতে পড়ছে। এতে নদীর পানি যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। তবু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।
রসুনহাটসংলগ্ন নদীপাড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরজুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ফেলা নানান আবর্জনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেসব বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার গাড়িতে করে এনে নদীর ধারে ফেলে রাখেন। এতে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নদীপারের বাসিন্দা জানান, একসময় এই নদীতে দল বেঁধে গোসল করতেন তাঁরা, মাছ ধরতেন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা ছিল এটি। এখন নদীতে নামাই যায় না। দূষিত পানিতে শরীর চুলকায়, আগের মতো মাছও আর মেলে না। নদীর প্রতি মানুষের নির্ভরতা কমে যাচ্ছে, তারা চান, আগের সেই স্বাভাবিক নদী ফিরে আসুক।
জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় বহুবার আন্দোলন করেছি, পৌর মেয়রকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম; তবু নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখন তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দেবেন, যেন নদীতে আর আবর্জনা ফেলা না হয়।

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা চাঁচকৈড় রসুনহাট, গরুর হাট ও গুরুদাসপুর বাজারঘাট এলাকার আবর্জনা গাড়িতে তুলে এনে নদীর তীরে বা সরাসরি পানিতে ফেলে দিচ্ছে। শুধু ঘরবাড়ির বর্জ্য নয়, বিভিন্ন কারখানা ও ক্লিনিক থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের নালা-পাইপের বর্জ্যও নন্দকুঁজা নদীতে পড়ছে। এতে নদীর পানি যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। তবু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।
রসুনহাটসংলগ্ন নদীপাড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরজুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ফেলা নানান আবর্জনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেসব বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার গাড়িতে করে এনে নদীর ধারে ফেলে রাখেন। এতে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নদীপারের বাসিন্দা জানান, একসময় এই নদীতে দল বেঁধে গোসল করতেন তাঁরা, মাছ ধরতেন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা ছিল এটি। এখন নদীতে নামাই যায় না। দূষিত পানিতে শরীর চুলকায়, আগের মতো মাছও আর মেলে না। নদীর প্রতি মানুষের নির্ভরতা কমে যাচ্ছে, তারা চান, আগের সেই স্বাভাবিক নদী ফিরে আসুক।
জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় বহুবার আন্দোলন করেছি, পৌর মেয়রকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম; তবু নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখন তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দেবেন, যেন নদীতে আর আবর্জনা ফেলা না হয়।

নিহত ব্যক্তি ফাঁকা বাসায় ঘটনার রাতে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে আসামিদের বাসায় ডেকে আনে। কিন্তু পরে টাকা না দিয়ে মোবাইলে শারীরিক সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গলা ও ঊরুতে আঘাত করে হত্যা করেন।
২৩ জুলাই ২০২৫
গাইবান্ধায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম নামের এক বক্তা। জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামে মাহফিল চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৭ ঘণ্টা আগেমুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সুবর্ণচর (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ শিশু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের প্রথম আট দিনে (১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত) মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮৪ জনের মধ্যে শিশু ৬৭২ জন। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই আট দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬১৯টি শিশু। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সরা ব্যস্ত রোগীর চাপ সামলাতে। শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের সঙ্গে। চার দিন ধরে তাঁর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে মুনতাহা জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে বাড়িতে রেখে পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা দিলেও জ্বর কমেনি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে আসেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
আসমা বলেন, ‘বাচ্চাটা চার দিনের জ্বরে কাহিল হয়ে গেছে। ঘাড় তুলতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঠান্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়া) প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে। এখন ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। শয্যা পাচ্ছি না। বলতে পারছি না কবে সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরতে পারব।’
চর আলাউদ্দিনের বাসিন্দা শেফালী আক্তারের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সৈকত ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে জোসনার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি জানান, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে, আগে বুঝতে পারেননি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ জ্বর। কিন্তু হাসপাতালে দুই দফায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. সোহেল সারওয়ার জানান, সুবর্ণচরের চরাঞ্চল থেকে শিশুরা বেশি আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছর তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যে শিশুগুলো মারা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নবজাতক ও পাঁচ বছরের মধ্যে। পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়, তখন হাসপাতালে আসেন এতে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। আমরা সাধ্য অনুযায়ী এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি।’
এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) জানাতে পারব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নিয়ে আসে। আমরা সেসব শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। অনেক রোগীর অভিভাবক আছেন, জেলা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তখন সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে মারা যায়।’

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ শিশু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের প্রথম আট দিনে (১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত) মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮৪ জনের মধ্যে শিশু ৬৭২ জন। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই আট দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬১৯টি শিশু। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সরা ব্যস্ত রোগীর চাপ সামলাতে। শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের সঙ্গে। চার দিন ধরে তাঁর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে মুনতাহা জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে বাড়িতে রেখে পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা দিলেও জ্বর কমেনি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে আসেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
আসমা বলেন, ‘বাচ্চাটা চার দিনের জ্বরে কাহিল হয়ে গেছে। ঘাড় তুলতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঠান্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়া) প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে। এখন ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। শয্যা পাচ্ছি না। বলতে পারছি না কবে সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরতে পারব।’
চর আলাউদ্দিনের বাসিন্দা শেফালী আক্তারের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সৈকত ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে জোসনার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি জানান, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে, আগে বুঝতে পারেননি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ জ্বর। কিন্তু হাসপাতালে দুই দফায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. সোহেল সারওয়ার জানান, সুবর্ণচরের চরাঞ্চল থেকে শিশুরা বেশি আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছর তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যে শিশুগুলো মারা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নবজাতক ও পাঁচ বছরের মধ্যে। পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়, তখন হাসপাতালে আসেন এতে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। আমরা সাধ্য অনুযায়ী এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি।’
এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) জানাতে পারব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নিয়ে আসে। আমরা সেসব শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। অনেক রোগীর অভিভাবক আছেন, জেলা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তখন সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে মারা যায়।’

নিহত ব্যক্তি ফাঁকা বাসায় ঘটনার রাতে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে আসামিদের বাসায় ডেকে আনে। কিন্তু পরে টাকা না দিয়ে মোবাইলে শারীরিক সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গলা ও ঊরুতে আঘাত করে হত্যা করেন।
২৩ জুলাই ২০২৫
গাইবান্ধায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম নামের এক বক্তা। জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামে মাহফিল চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে।
১ ঘণ্টা আগে
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৭ ঘণ্টা আগে