নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা(ঢাকা)
গাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে তিনি জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরায় গুলিতে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন।
অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশের তদন্তেও মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ বলেছে, মানুষকে আসামি করে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহল মামলাটি করেছে।
টাকা পাওয়ার আশা দিয়ে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে মামলা করানোর কথা জানিয়ে জয়নাল আবেদিন বলেছেন, অন্যরা মামলা লিখেছে, তিনি শুধু স্বাক্ষর করেছেন। মামলার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
জয়নাল আবেদিনের গ্রামের বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুরে। তাঁর ছেলে শরীফ হোসেন ছিলেন রাজমিস্ত্রি, স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীতে থাকতেন। তিনি মারা যান গত বছরের ২৪ জুলাই।
শরীফের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ১০ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা (নং-সিআর-৩৬/২০২৪) করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ ২৫৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়, ২৪ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার আবদুল্লাহপুর পুলিশ বক্সের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ছোড়া গুলি শরীফের বুকে বিদ্ধ হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়া শরীফকে কয়েকজন ছাত্র উদ্ধার করে টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ওই মামলার সূত্র ধরে টঙ্গীর সাতাশ এলাকার ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ২৪ জুলাই শরীফকে ওই হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টঙ্গীর খাঁপাড়ার ইমাম আবু হানিফা (রহ.) মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলায় নির্মাণকাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হন দুই শ্রমিক শরীফ হোসেন ও আব্দুস সালাম সীমান্ত। পরে তাঁদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে ইমাম আবু হানিফা (রহ.) মসজিদের ইমাম ইকবাল হোসেন মাসুদও বিদ্যুতায়িত হয়ে শরীফের মৃত্যুর কথা জানান। জানা যায়, দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ওই মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্স কমিটির সঙ্গে শরীফের বাবা জয়নাল আবেদিন ও সীমান্তের বাবা আবু তালেব আপস-মীমাংসা করেন। কমিটির লোকজন তাঁদের দাফন ও দোয়া অনুষ্ঠানের জন্য টাকা দেন। মৃত দুজনের বাবা তাঁদের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত দেন। ওই মুচলেকার কপি আজকের পত্রিকার কাছে আছে।
শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক ফরিদুজ্জামান বলেন, মেডিকেল প্রতিবেদনসহ বাদীকে ডাকা হলে তাঁর মুখের বর্ণনার সঙ্গে এজাহারের বর্ণনার মিল পাওয়া যায়নি। এজাহারে উল্লেখিত ঘটনাস্থলে গিয়েও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদেও অমিল পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘কাকতালীয়ভাবে জানতে পারি, উল্লেখিত সময়ে (২৪ জুলাই সকাল) টঙ্গীতে একটি মসজিদ মাদ্রাসায় কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে একসঙ্গে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারপর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই দুজনের একজন হলেন এই মামলার ভিকটিম শরীফ।’
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, একটি কুচক্রী মহল মানুষকে হয়রানি এবং আসামি করে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে মামলাটি করেছিল। তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
বিদ্যুতায়িত হলেও আন্দোলনে নিহত দাবি করে মামলার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় শরীফের বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চির সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ঢাকা গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ গ্রামে এনে দাফন করেন। ৫ আগস্টের পর উত্তরার আবদুল্লাহপুরের শামীম নামের এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার মামলা করলে সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। তাঁদের কথায় লোভে পড়ে মামলা করেন। তাঁরা বিনা টাকায় মামলা করার সব ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে ঢাকায় গিয়ে আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন। ওই ব্যক্তিরাই মাইক্রোবাসে করে তাঁকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা কোনো টাকা দেননি। উল্টো ঢাকায় গিয়ে থাকা-খাওয়া ও মামলা করতে তাঁর ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘মামলা করে গ্রামে এসে শুনি ফেনীর অনেককে ওই মামলায় আসামি করেছি। মামলাটি শামীম ও তাঁর লোকজন করিয়েছেন। তাঁরাই মামলা লিখে দিয়েছেন। আমি শুধু সই করেছি। এ ছাড়া মামলার কিছু জানি না। মামলা করার কারণে আমি অনুতপ্ত।’
গাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে তিনি জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরায় গুলিতে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন।
অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশের তদন্তেও মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ বলেছে, মানুষকে আসামি করে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহল মামলাটি করেছে।
টাকা পাওয়ার আশা দিয়ে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে মামলা করানোর কথা জানিয়ে জয়নাল আবেদিন বলেছেন, অন্যরা মামলা লিখেছে, তিনি শুধু স্বাক্ষর করেছেন। মামলার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
জয়নাল আবেদিনের গ্রামের বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুরে। তাঁর ছেলে শরীফ হোসেন ছিলেন রাজমিস্ত্রি, স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীতে থাকতেন। তিনি মারা যান গত বছরের ২৪ জুলাই।
শরীফের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ১০ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা (নং-সিআর-৩৬/২০২৪) করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ ২৫৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়, ২৪ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার আবদুল্লাহপুর পুলিশ বক্সের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ছোড়া গুলি শরীফের বুকে বিদ্ধ হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়া শরীফকে কয়েকজন ছাত্র উদ্ধার করে টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ওই মামলার সূত্র ধরে টঙ্গীর সাতাশ এলাকার ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ২৪ জুলাই শরীফকে ওই হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টঙ্গীর খাঁপাড়ার ইমাম আবু হানিফা (রহ.) মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলায় নির্মাণকাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হন দুই শ্রমিক শরীফ হোসেন ও আব্দুস সালাম সীমান্ত। পরে তাঁদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে ইমাম আবু হানিফা (রহ.) মসজিদের ইমাম ইকবাল হোসেন মাসুদও বিদ্যুতায়িত হয়ে শরীফের মৃত্যুর কথা জানান। জানা যায়, দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ওই মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্স কমিটির সঙ্গে শরীফের বাবা জয়নাল আবেদিন ও সীমান্তের বাবা আবু তালেব আপস-মীমাংসা করেন। কমিটির লোকজন তাঁদের দাফন ও দোয়া অনুষ্ঠানের জন্য টাকা দেন। মৃত দুজনের বাবা তাঁদের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত দেন। ওই মুচলেকার কপি আজকের পত্রিকার কাছে আছে।
শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক ফরিদুজ্জামান বলেন, মেডিকেল প্রতিবেদনসহ বাদীকে ডাকা হলে তাঁর মুখের বর্ণনার সঙ্গে এজাহারের বর্ণনার মিল পাওয়া যায়নি। এজাহারে উল্লেখিত ঘটনাস্থলে গিয়েও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদেও অমিল পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘কাকতালীয়ভাবে জানতে পারি, উল্লেখিত সময়ে (২৪ জুলাই সকাল) টঙ্গীতে একটি মসজিদ মাদ্রাসায় কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে একসঙ্গে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারপর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই দুজনের একজন হলেন এই মামলার ভিকটিম শরীফ।’
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, একটি কুচক্রী মহল মানুষকে হয়রানি এবং আসামি করে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে মামলাটি করেছিল। তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
বিদ্যুতায়িত হলেও আন্দোলনে নিহত দাবি করে মামলার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় শরীফের বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চির সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ঢাকা গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ গ্রামে এনে দাফন করেন। ৫ আগস্টের পর উত্তরার আবদুল্লাহপুরের শামীম নামের এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার মামলা করলে সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। তাঁদের কথায় লোভে পড়ে মামলা করেন। তাঁরা বিনা টাকায় মামলা করার সব ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে ঢাকায় গিয়ে আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন। ওই ব্যক্তিরাই মাইক্রোবাসে করে তাঁকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা কোনো টাকা দেননি। উল্টো ঢাকায় গিয়ে থাকা-খাওয়া ও মামলা করতে তাঁর ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘মামলা করে গ্রামে এসে শুনি ফেনীর অনেককে ওই মামলায় আসামি করেছি। মামলাটি শামীম ও তাঁর লোকজন করিয়েছেন। তাঁরাই মামলা লিখে দিয়েছেন। আমি শুধু সই করেছি। এ ছাড়া মামলার কিছু জানি না। মামলা করার কারণে আমি অনুতপ্ত।’
নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা(ঢাকা)
গাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে তিনি জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরায় গুলিতে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন।
অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশের তদন্তেও মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ বলেছে, মানুষকে আসামি করে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহল মামলাটি করেছে।
টাকা পাওয়ার আশা দিয়ে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে মামলা করানোর কথা জানিয়ে জয়নাল আবেদিন বলেছেন, অন্যরা মামলা লিখেছে, তিনি শুধু স্বাক্ষর করেছেন। মামলার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
জয়নাল আবেদিনের গ্রামের বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুরে। তাঁর ছেলে শরীফ হোসেন ছিলেন রাজমিস্ত্রি, স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীতে থাকতেন। তিনি মারা যান গত বছরের ২৪ জুলাই।
শরীফের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ১০ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা (নং-সিআর-৩৬/২০২৪) করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ ২৫৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়, ২৪ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার আবদুল্লাহপুর পুলিশ বক্সের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ছোড়া গুলি শরীফের বুকে বিদ্ধ হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়া শরীফকে কয়েকজন ছাত্র উদ্ধার করে টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ওই মামলার সূত্র ধরে টঙ্গীর সাতাশ এলাকার ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ২৪ জুলাই শরীফকে ওই হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টঙ্গীর খাঁপাড়ার ইমাম আবু হানিফা (রহ.) মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলায় নির্মাণকাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হন দুই শ্রমিক শরীফ হোসেন ও আব্দুস সালাম সীমান্ত। পরে তাঁদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে ইমাম আবু হানিফা (রহ.) মসজিদের ইমাম ইকবাল হোসেন মাসুদও বিদ্যুতায়িত হয়ে শরীফের মৃত্যুর কথা জানান। জানা যায়, দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ওই মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্স কমিটির সঙ্গে শরীফের বাবা জয়নাল আবেদিন ও সীমান্তের বাবা আবু তালেব আপস-মীমাংসা করেন। কমিটির লোকজন তাঁদের দাফন ও দোয়া অনুষ্ঠানের জন্য টাকা দেন। মৃত দুজনের বাবা তাঁদের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত দেন। ওই মুচলেকার কপি আজকের পত্রিকার কাছে আছে।
শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক ফরিদুজ্জামান বলেন, মেডিকেল প্রতিবেদনসহ বাদীকে ডাকা হলে তাঁর মুখের বর্ণনার সঙ্গে এজাহারের বর্ণনার মিল পাওয়া যায়নি। এজাহারে উল্লেখিত ঘটনাস্থলে গিয়েও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদেও অমিল পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘কাকতালীয়ভাবে জানতে পারি, উল্লেখিত সময়ে (২৪ জুলাই সকাল) টঙ্গীতে একটি মসজিদ মাদ্রাসায় কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে একসঙ্গে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারপর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই দুজনের একজন হলেন এই মামলার ভিকটিম শরীফ।’
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, একটি কুচক্রী মহল মানুষকে হয়রানি এবং আসামি করে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে মামলাটি করেছিল। তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
বিদ্যুতায়িত হলেও আন্দোলনে নিহত দাবি করে মামলার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় শরীফের বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চির সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ঢাকা গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ গ্রামে এনে দাফন করেন। ৫ আগস্টের পর উত্তরার আবদুল্লাহপুরের শামীম নামের এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার মামলা করলে সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। তাঁদের কথায় লোভে পড়ে মামলা করেন। তাঁরা বিনা টাকায় মামলা করার সব ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে ঢাকায় গিয়ে আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন। ওই ব্যক্তিরাই মাইক্রোবাসে করে তাঁকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা কোনো টাকা দেননি। উল্টো ঢাকায় গিয়ে থাকা-খাওয়া ও মামলা করতে তাঁর ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘মামলা করে গ্রামে এসে শুনি ফেনীর অনেককে ওই মামলায় আসামি করেছি। মামলাটি শামীম ও তাঁর লোকজন করিয়েছেন। তাঁরাই মামলা লিখে দিয়েছেন। আমি শুধু সই করেছি। এ ছাড়া মামলার কিছু জানি না। মামলা করার কারণে আমি অনুতপ্ত।’
গাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে তিনি জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরায় গুলিতে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন।
অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশের তদন্তেও মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ বলেছে, মানুষকে আসামি করে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহল মামলাটি করেছে।
টাকা পাওয়ার আশা দিয়ে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে মামলা করানোর কথা জানিয়ে জয়নাল আবেদিন বলেছেন, অন্যরা মামলা লিখেছে, তিনি শুধু স্বাক্ষর করেছেন। মামলার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
জয়নাল আবেদিনের গ্রামের বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুরে। তাঁর ছেলে শরীফ হোসেন ছিলেন রাজমিস্ত্রি, স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীতে থাকতেন। তিনি মারা যান গত বছরের ২৪ জুলাই।
শরীফের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ১০ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা (নং-সিআর-৩৬/২০২৪) করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ ২৫৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়, ২৪ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার আবদুল্লাহপুর পুলিশ বক্সের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ছোড়া গুলি শরীফের বুকে বিদ্ধ হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়া শরীফকে কয়েকজন ছাত্র উদ্ধার করে টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ওই মামলার সূত্র ধরে টঙ্গীর সাতাশ এলাকার ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ২৪ জুলাই শরীফকে ওই হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টঙ্গীর খাঁপাড়ার ইমাম আবু হানিফা (রহ.) মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলায় নির্মাণকাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হন দুই শ্রমিক শরীফ হোসেন ও আব্দুস সালাম সীমান্ত। পরে তাঁদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে ইমাম আবু হানিফা (রহ.) মসজিদের ইমাম ইকবাল হোসেন মাসুদও বিদ্যুতায়িত হয়ে শরীফের মৃত্যুর কথা জানান। জানা যায়, দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ওই মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্স কমিটির সঙ্গে শরীফের বাবা জয়নাল আবেদিন ও সীমান্তের বাবা আবু তালেব আপস-মীমাংসা করেন। কমিটির লোকজন তাঁদের দাফন ও দোয়া অনুষ্ঠানের জন্য টাকা দেন। মৃত দুজনের বাবা তাঁদের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত দেন। ওই মুচলেকার কপি আজকের পত্রিকার কাছে আছে।
শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক ফরিদুজ্জামান বলেন, মেডিকেল প্রতিবেদনসহ বাদীকে ডাকা হলে তাঁর মুখের বর্ণনার সঙ্গে এজাহারের বর্ণনার মিল পাওয়া যায়নি। এজাহারে উল্লেখিত ঘটনাস্থলে গিয়েও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদেও অমিল পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘কাকতালীয়ভাবে জানতে পারি, উল্লেখিত সময়ে (২৪ জুলাই সকাল) টঙ্গীতে একটি মসজিদ মাদ্রাসায় কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে একসঙ্গে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারপর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই দুজনের একজন হলেন এই মামলার ভিকটিম শরীফ।’
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, একটি কুচক্রী মহল মানুষকে হয়রানি এবং আসামি করে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে মামলাটি করেছিল। তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
বিদ্যুতায়িত হলেও আন্দোলনে নিহত দাবি করে মামলার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় শরীফের বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চির সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ঢাকা গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ গ্রামে এনে দাফন করেন। ৫ আগস্টের পর উত্তরার আবদুল্লাহপুরের শামীম নামের এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার মামলা করলে সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। তাঁদের কথায় লোভে পড়ে মামলা করেন। তাঁরা বিনা টাকায় মামলা করার সব ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে ঢাকায় গিয়ে আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন। ওই ব্যক্তিরাই মাইক্রোবাসে করে তাঁকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা কোনো টাকা দেননি। উল্টো ঢাকায় গিয়ে থাকা-খাওয়া ও মামলা করতে তাঁর ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘মামলা করে গ্রামে এসে শুনি ফেনীর অনেককে ওই মামলায় আসামি করেছি। মামলাটি শামীম ও তাঁর লোকজন করিয়েছেন। তাঁরাই মামলা লিখে দিয়েছেন। আমি শুধু সই করেছি। এ ছাড়া মামলার কিছু জানি না। মামলা করার কারণে আমি অনুতপ্ত।’
খুলনা মহানগরীর লবণচরায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে লবণচরা থানাধীন সবুজ পল্লি এলাকার ৪ নম্বর কাশেম সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম ডলি বেগম (৪৫)।
২ মিনিট আগেপ্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় বিষয়টি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়ার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান।
৪২ মিনিট আগেজিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগেসালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি
খুলনা মহানগরীর লবণচরায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে লবণচরা থানাধীন সবুজ পল্লি এলাকার ৪ নম্বর কাশেম সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম ডলি বেগম (৪৫)। তিনি আটক মো. নাজমুল হাসান মোল্লার (৫৫) স্ত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী নাজমুল হাসান আজ সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রী ডলি বেগমকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। পরে নাজমুল হাসান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবেশী রিকশাচালক আরিফ নগরীর লায়ন্স স্কুলের সামনে থেকে ধরে এনে তাঁকে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে আটক করে। পেশায় রাজমিস্ত্রি নাজমুল হাসান খুলনার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। নিহত ডলি বেগম পাইকগাছা শান্তা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পাশের ঘরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তাঁরা এগিয়ে যান। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় ডলি বেগমকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। স্বামী নাজমুল হাসান এ সময় পেছনের বেড়া ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
অন্য ভাড়াটিয়ারা তাৎক্ষণিকভাবে ডলি বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাজমুলের মেয়ে সাদিয়া জানান, প্রায়ই তাঁর মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। ঝগড়ার জেরে তাঁর মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন তাঁর বাবা।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানওয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করি। যে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
খুলনা মহানগরীর লবণচরায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে লবণচরা থানাধীন সবুজ পল্লি এলাকার ৪ নম্বর কাশেম সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম ডলি বেগম (৪৫)। তিনি আটক মো. নাজমুল হাসান মোল্লার (৫৫) স্ত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী নাজমুল হাসান আজ সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রী ডলি বেগমকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। পরে নাজমুল হাসান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবেশী রিকশাচালক আরিফ নগরীর লায়ন্স স্কুলের সামনে থেকে ধরে এনে তাঁকে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে আটক করে। পেশায় রাজমিস্ত্রি নাজমুল হাসান খুলনার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। নিহত ডলি বেগম পাইকগাছা শান্তা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পাশের ঘরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তাঁরা এগিয়ে যান। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় ডলি বেগমকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। স্বামী নাজমুল হাসান এ সময় পেছনের বেড়া ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
অন্য ভাড়াটিয়ারা তাৎক্ষণিকভাবে ডলি বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাজমুলের মেয়ে সাদিয়া জানান, প্রায়ই তাঁর মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। ঝগড়ার জেরে তাঁর মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন তাঁর বাবা।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানওয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করি। যে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
গাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
০৭ মার্চ ২০২৫প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় বিষয়টি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়ার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান।
৪২ মিনিট আগেজিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগেসালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির (বাকসাস) সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাব্বির ছাত্রদলের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। বিষয়টি দেখে কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়া কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান। এতে সাংবাদিক সাব্বির আহত হন। সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উদ্ধার করে রাজধানীর ডেলটা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি। এক বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিহাব আল নাসিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। আমরা হামলাকারীদের অবিলম্বে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এদিকে ঘটনার বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমি খোঁজ দিচ্ছি। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এর কিছুক্ষণ পরই ছাত্রদলের অভিযুক্ত ওই নেতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
ছাত্রদলের সহসভাপতি পদমর্যাদার দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন।’
রাজধানীর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির (বাকসাস) সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাব্বির ছাত্রদলের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। বিষয়টি দেখে কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়া কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান। এতে সাংবাদিক সাব্বির আহত হন। সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উদ্ধার করে রাজধানীর ডেলটা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি। এক বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিহাব আল নাসিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। আমরা হামলাকারীদের অবিলম্বে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এদিকে ঘটনার বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমি খোঁজ দিচ্ছি। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এর কিছুক্ষণ পরই ছাত্রদলের অভিযুক্ত ওই নেতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
ছাত্রদলের সহসভাপতি পদমর্যাদার দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন।’
গাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
০৭ মার্চ ২০২৫খুলনা মহানগরীর লবণচরায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে লবণচরা থানাধীন সবুজ পল্লি এলাকার ৪ নম্বর কাশেম সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম ডলি বেগম (৪৫)।
২ মিনিট আগেজিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগেসালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
ঢাকার সাভারে প্রতিপক্ষের হামলায় আবু সাঈদ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্তত আটজন। গতকাল বুধবার রাতে বনগাঁও ইউনিয়নের বেরাইদ এলাকায় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন (৪৮) ছাড়াও একই এলাকার আরিফ হোসেন (৪০), সনি মোল্লা (৬০), মোস্তফা (৫০), জবেদ আলী (৩২), আনন্দ (১৮), আরাফাত (১৮) ও আবু বক্কর সিদ্দিক (৫০) রয়েছেন। তাঁদের সবাইকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আবু সাঈদ নামের একজন মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধ চরম আকার ধারণ করলে জাকির হোসেন ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে বাবুল হোসেন প্রায় চার মাস আগে এলাকা ছেড়ে চলে যান।
তাঁরা জানান, টানা চার মাস পর বাবুল হোসেন গতকাল এলাকায় ফেরেন। খবর পেয়ে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন বাবুল হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বাবুল হোসেন তখন বেরাইদ এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সজীব হোসেন বলেন, জাকির হোসেনের লোকজনের কাছে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ধারালো অস্ত্র ছিল। ওই সব অস্ত্র দিয়ে তারা বাবুল হোসেনের ওপর হামলা চালালে আবু সাঈদসহ স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। এ সময় জাকির হোসেনের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবুল হোসেন ও তাঁর চাচাতো ভাই আবু সাঈদসহ ৯ জন আহত হন।
সজীব হোসেন আরও বলেন, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবু সাঈদ মারা যান। তাঁর মাথায় অনেকগুলো কোপের আঘাত ছিল। অন্য ব্যক্তিদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় একজন নেতা ও একজন জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে জাকির হোসেন ও তাঁর লোকজন এলাকায় জমি দখলসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে এলাকায় আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। গত বছর ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর তিনি বিএনপির পরিচয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া নিশ্চিত করেছেন, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ব্যক্তির লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা ও হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকার সাভারে প্রতিপক্ষের হামলায় আবু সাঈদ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্তত আটজন। গতকাল বুধবার রাতে বনগাঁও ইউনিয়নের বেরাইদ এলাকায় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন (৪৮) ছাড়াও একই এলাকার আরিফ হোসেন (৪০), সনি মোল্লা (৬০), মোস্তফা (৫০), জবেদ আলী (৩২), আনন্দ (১৮), আরাফাত (১৮) ও আবু বক্কর সিদ্দিক (৫০) রয়েছেন। তাঁদের সবাইকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আবু সাঈদ নামের একজন মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধ চরম আকার ধারণ করলে জাকির হোসেন ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে বাবুল হোসেন প্রায় চার মাস আগে এলাকা ছেড়ে চলে যান।
তাঁরা জানান, টানা চার মাস পর বাবুল হোসেন গতকাল এলাকায় ফেরেন। খবর পেয়ে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন বাবুল হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বাবুল হোসেন তখন বেরাইদ এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সজীব হোসেন বলেন, জাকির হোসেনের লোকজনের কাছে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ধারালো অস্ত্র ছিল। ওই সব অস্ত্র দিয়ে তারা বাবুল হোসেনের ওপর হামলা চালালে আবু সাঈদসহ স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। এ সময় জাকির হোসেনের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবুল হোসেন ও তাঁর চাচাতো ভাই আবু সাঈদসহ ৯ জন আহত হন।
সজীব হোসেন আরও বলেন, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবু সাঈদ মারা যান। তাঁর মাথায় অনেকগুলো কোপের আঘাত ছিল। অন্য ব্যক্তিদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় একজন নেতা ও একজন জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে জাকির হোসেন ও তাঁর লোকজন এলাকায় জমি দখলসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে এলাকায় আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। গত বছর ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর তিনি বিএনপির পরিচয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া নিশ্চিত করেছেন, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ব্যক্তির লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা ও হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
০৭ মার্চ ২০২৫খুলনা মহানগরীর লবণচরায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে লবণচরা থানাধীন সবুজ পল্লি এলাকার ৪ নম্বর কাশেম সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম ডলি বেগম (৪৫)।
২ মিনিট আগেপ্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় বিষয়টি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়ার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান।
৪২ মিনিট আগেসালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেসাক্ষাৎকারে আবদুস সালাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
‘জামায়াত আমাদের (বিএনপির) কাঁধের ওপর ভর করেই এ পর্যন্ত এসেছে। আসলে সত্যি কথা যেটা, তাদের দুঃসময়ে আমরা কিন্তু তাদের ফেলে দিইনি। হঠাৎ করে এমন কী হয়ে গেল যে অভ্যুত্থানের পরে বিএনপির ক্ষতি করার জন্য যা যা করার দরকার, তারা তা-ই করছে।’ বুধবার সকালে আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তাঁর সঙ্গে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, জেলার সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন ও আড়ানী পৌর বিএনপির সভাপতি তোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
আবদুস সালাম বলেন, ‘জামায়াত বিএনপির ক্ষতি করার চেষ্টা করলেও তারা কোথা থেকে এটা করছে, সেটা দেশবাসী ইতিমধ্যে বুঝে গেছে। বিএনপি সকল ক্রাইসিস ফেস করেই এ পর্যন্ত এসেছে। আমরা কোনো ক্রাইসিসকে ভয় পাই না। সেগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াত মনে করছে, তারা বোধ হয় সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এটা তো নির্বাচনেই বোঝা যাবে, দেশের মানুষ কাদেরকে চায়। কারণ, আমরা যেটা জানি, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু, কিন্তু কট্টর না। পাকিস্তান আমলে আমরা যখন যুদ্ধ করি, এই দলটা সব সময় বলত—“ইসলাম গেল, ইসলাম গেল।” অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হয়ে গেলে তখন আর ইসলাম থাকবে না। কিন্তু কী প্রমাণিত হয়েছে? না, ইসলাম আমাদের এখানে শক্তিশালী হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগ বলত— “ইসলাম আইল, ইসলাম আইল।” এগুলো করে অনেকে অনেক রকম চেষ্টা করেছে। বিএনপি একটা মধ্যপন্থার দল। বামপন্থীও না, ডানপন্থীও না। এখানে সবার ভালোভাবে থাকার অধিকার আছে।’
সালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে ভয় দেখাতে পারেনি। গুম করে ফেলেছে, হত্যা করেছে। তা-ও পারেনি। কাজেই এখন আর কেউ ভয় পায় না। দীর্ঘ ১৭ বছর আগুনে পুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। কাজেই তাদের আর ভয়ভীতি দেখিয়ে কোনোরকম লাভ হবে না।’
নির্বাচন বিলম্বিত করতেই জামায়াত পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছে বলে মনে করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি একটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য। তখন কি এই জামায়াতসহ কেউ পিআরের কথা বলেছে? বলে নাই। অভ্যুত্থানের পর কি কেউ পিআরের কথা বলেছে? সংস্কার কমিশন গঠনের পর তাদের আলোচ্যসূচির মধ্যে কি এটা ছিল? কোনোকিছুই ছিল না। হঠাৎ করে নিয়ে আসল। যখন দেখল, বিএনপি নির্বাচন চাইছে, দেশের মানুষও সমর্থন দিচ্ছে। নির্বাচন দিলেই বিএনপি চলে আসবে। তারা বিএনপিকে কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছে না। তখন এটা নিয়ে আসল। তারা ভাবছে, নির্বাচন পেছালে বিএনপিকে ঠেকানো যাবে।’
আবদুস সালাম বলেন, ‘বাংলাদেশটা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না ঠিকমতো। সবকিছু চিন্তা করলে একটা শক্তিশালী সরকার দরকার। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একটা ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। যদি পিআর সিস্টেমে নির্বাচন হয়, জনগণ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার হারাবে। তখন শুধু দল দেখে ভোট দিতে হবে। এটা আসলে হয় না। জনগণকে প্রতিনিধি ঠিক করা থেকে বঞ্চিত করা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক উপায় হতে পারে না। সব তো জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।’
নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সময় পেয়েছে বলেও মনে করেন আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘আমরা যে আগে নির্বাচন চেয়েছিলাম, তার যৌক্তিকতা এখন সবাই বুঝতে পারছে। এখন যে সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে, তা হতো না যদি ৬ মাস বা ৯ মাসের মধ্যে একটা নির্বাচন হতো। পরাজিত ফ্যাসিবাদ আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পেয়ে গেছে। নির্বাচন হলে অন্তত তারা এই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে পারত না, সেই সময় তারা ভয়ে ছিল। এ সময়টা দেওয়ার কারণে তারা নিজেদের অনেকটা গুছিয়ে এনে এখন চেষ্টা করছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার। কথা নেই, বার্তা নেই বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। এগুলো কিসের আলামত?’
আবদুস সালাম প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে কয়টা জায়গা নিরাপদ থাকে, তার মধ্যে বিমানবন্দর একটি। সেখানেই যদি আগুন লাগে, তাহলে প্রশ্ন ওঠে—দেশটা কি অনিরাপদ হয়ে গেল?’
‘জামায়াত আমাদের (বিএনপির) কাঁধের ওপর ভর করেই এ পর্যন্ত এসেছে। আসলে সত্যি কথা যেটা, তাদের দুঃসময়ে আমরা কিন্তু তাদের ফেলে দিইনি। হঠাৎ করে এমন কী হয়ে গেল যে অভ্যুত্থানের পরে বিএনপির ক্ষতি করার জন্য যা যা করার দরকার, তারা তা-ই করছে।’ বুধবার সকালে আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তাঁর সঙ্গে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, জেলার সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন ও আড়ানী পৌর বিএনপির সভাপতি তোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
আবদুস সালাম বলেন, ‘জামায়াত বিএনপির ক্ষতি করার চেষ্টা করলেও তারা কোথা থেকে এটা করছে, সেটা দেশবাসী ইতিমধ্যে বুঝে গেছে। বিএনপি সকল ক্রাইসিস ফেস করেই এ পর্যন্ত এসেছে। আমরা কোনো ক্রাইসিসকে ভয় পাই না। সেগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াত মনে করছে, তারা বোধ হয় সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এটা তো নির্বাচনেই বোঝা যাবে, দেশের মানুষ কাদেরকে চায়। কারণ, আমরা যেটা জানি, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু, কিন্তু কট্টর না। পাকিস্তান আমলে আমরা যখন যুদ্ধ করি, এই দলটা সব সময় বলত—“ইসলাম গেল, ইসলাম গেল।” অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হয়ে গেলে তখন আর ইসলাম থাকবে না। কিন্তু কী প্রমাণিত হয়েছে? না, ইসলাম আমাদের এখানে শক্তিশালী হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগ বলত— “ইসলাম আইল, ইসলাম আইল।” এগুলো করে অনেকে অনেক রকম চেষ্টা করেছে। বিএনপি একটা মধ্যপন্থার দল। বামপন্থীও না, ডানপন্থীও না। এখানে সবার ভালোভাবে থাকার অধিকার আছে।’
সালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে ভয় দেখাতে পারেনি। গুম করে ফেলেছে, হত্যা করেছে। তা-ও পারেনি। কাজেই এখন আর কেউ ভয় পায় না। দীর্ঘ ১৭ বছর আগুনে পুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। কাজেই তাদের আর ভয়ভীতি দেখিয়ে কোনোরকম লাভ হবে না।’
নির্বাচন বিলম্বিত করতেই জামায়াত পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছে বলে মনে করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি একটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য। তখন কি এই জামায়াতসহ কেউ পিআরের কথা বলেছে? বলে নাই। অভ্যুত্থানের পর কি কেউ পিআরের কথা বলেছে? সংস্কার কমিশন গঠনের পর তাদের আলোচ্যসূচির মধ্যে কি এটা ছিল? কোনোকিছুই ছিল না। হঠাৎ করে নিয়ে আসল। যখন দেখল, বিএনপি নির্বাচন চাইছে, দেশের মানুষও সমর্থন দিচ্ছে। নির্বাচন দিলেই বিএনপি চলে আসবে। তারা বিএনপিকে কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছে না। তখন এটা নিয়ে আসল। তারা ভাবছে, নির্বাচন পেছালে বিএনপিকে ঠেকানো যাবে।’
আবদুস সালাম বলেন, ‘বাংলাদেশটা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না ঠিকমতো। সবকিছু চিন্তা করলে একটা শক্তিশালী সরকার দরকার। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একটা ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। যদি পিআর সিস্টেমে নির্বাচন হয়, জনগণ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার হারাবে। তখন শুধু দল দেখে ভোট দিতে হবে। এটা আসলে হয় না। জনগণকে প্রতিনিধি ঠিক করা থেকে বঞ্চিত করা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক উপায় হতে পারে না। সব তো জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।’
নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সময় পেয়েছে বলেও মনে করেন আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘আমরা যে আগে নির্বাচন চেয়েছিলাম, তার যৌক্তিকতা এখন সবাই বুঝতে পারছে। এখন যে সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে, তা হতো না যদি ৬ মাস বা ৯ মাসের মধ্যে একটা নির্বাচন হতো। পরাজিত ফ্যাসিবাদ আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পেয়ে গেছে। নির্বাচন হলে অন্তত তারা এই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে পারত না, সেই সময় তারা ভয়ে ছিল। এ সময়টা দেওয়ার কারণে তারা নিজেদের অনেকটা গুছিয়ে এনে এখন চেষ্টা করছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার। কথা নেই, বার্তা নেই বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। এগুলো কিসের আলামত?’
আবদুস সালাম প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে কয়টা জায়গা নিরাপদ থাকে, তার মধ্যে বিমানবন্দর একটি। সেখানেই যদি আগুন লাগে, তাহলে প্রশ্ন ওঠে—দেশটা কি অনিরাপদ হয়ে গেল?’
গাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
০৭ মার্চ ২০২৫খুলনা মহানগরীর লবণচরায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে লবণচরা থানাধীন সবুজ পল্লি এলাকার ৪ নম্বর কাশেম সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম ডলি বেগম (৪৫)।
২ মিনিট আগেপ্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় বিষয়টি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়ার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান।
৪২ মিনিট আগেজিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগে