আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা

কোমল পানীয়ের পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে দৃষ্টিনন্দন বাড়ি তৈরি করেছেন এক অটোচালক। গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার অদূরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ছাপড়হাটি গ্রামের এই অটোচালকের নাম মো. আব্দুল হাকিম খান (৩২)। তাঁর এই বাড়ি দেখতে প্রতিদিনই আসছেন অনেকে। আগ্রহ নিয়ে দেখছেন বৈচিত্র্যময় এই বাড়ি। এলাকায় বাড়িটি এখন ‘বোতলবাড়ি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিকের বোতলে বালুভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে পরিবেশবান্ধব এই বাড়ি তৈরি করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছেন আব্দুল হাকিম।
আব্দুল হাকিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তিনি অটোচালান। একদিন ইউটিউবে দেখতে পান ফেলে দেওয়া কোমল পানীয় বোতল দিয়ে বাড়ি বানানো। সেই থেকে তাঁর মনে বাসনা জাগে তিনিও বোতল দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করবেন। অটো চালানোর সুবাদে তিনি বিভিন্ন স্থান থেকে ফেলে দেওয়া বোতল সংগ্রহ করেন। পরবর্তীকালে রাজমিস্ত্রি ডেকে এনে বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরি করেন।
বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরির কাজ করছেন রংপুর জেলার হারাগাছা গ্রামের রাজমিস্ত্রি বাদশা মিয়া। রাজমিস্ত্রি পেশায় ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা তাঁর। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বোতল দিয়ে বাড়িটি নির্মাণকাজ করছেন।
মিস্ত্রি বাদশা মিয়া জানান, বাড়িটি তৈরির শুরুতে প্রাথমিকভাবে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করেন। এরপর প্লাস্টিকের বোতলগুলোতে বালু ও মাটিভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি করেন। গাঁথুনির ওপরে দেন টিনের চাল। এভাবেই তৈরি হয় প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি। ইটের তৈরি বাড়ির চেয়ে এই বাড়িতে গরম কম লাগবে।
বাড়ির মালিক আব্দুল হাকিম খান বলেন, ‘এই বাড়ির মিস্ত্রি হিসেবে যিনি কাজ করছেন, তিনি সম্পর্কে আমার মামাশ্বশুর হন। প্রথমে বোতলসহ খরচ বেশি পড়বে বলে মামাশ্বশুর সম্মতি দেন নাই। পরে আমি সবকিছু খরচ করতে কোনো সমস্যা হবে না জানালে, তিনি রাজি হন।’
তিনি আরও বলেন, বাড়িটি তৈরি করতে তিন রুমে ৩০ হাতে ১৭ হাজার ৮৬৫ বোতল লেগেছে। ছাদ ঢালাইয়ের কাজ এখনো বাকি আছে। এ পর্যন্ত চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে আড়াই মাস। আর সিমেন্ট, বালু, কাঠ, বোতল, রাজমিস্ত্রির বেতন মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, শুধু ইট-সিমেন্ট দিয়ে বাড়ি তৈরি করলে খরচ হতো প্রায় চার লাখ টাকা। কিন্তু পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে এই বাড়ি নির্মাণে খরচ হয়েছে অনেক কম। বাড়িটি তৈরির সময় এলাকার অনেকেই এসে নির্মাণকাজ দেখছেন। দেয়ালে ইটের পরিবর্তে বোতল দেওয়ায় কেউ কেউ নেতিবাচক বা তির্যক কথাও বলেছেন। এখন বাড়িটি পরিবেশবান্ধব হবে জেনে অনেকেই প্রশংসা করছেন।
গত শুক্রবার খানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল হাকিমের বোতলবাড়ির পাশে আম, কাঁঠাল, নারকেল, সুপারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অনেক গাছ রয়েছে। এসবের মধ্যেই তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি। বাড়ির দেয়ালে কোমল পানীয়ের বোতলের পেছনের অংশ আর ঘরের ভেতরের অংশে বোতলের মুখের অংশ রয়েছে। এখনো ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বাকি আছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থী জারিন তাজমিন বলেন, ‘প্লাস্টিকের বাড়ি শুধু ইউটিউবে দেখেছি। আজ সামনাসামনি দেখে খুব ভালো লাগছে। আমার কয়েকজন বান্ধবীসহ আমরা বাড়ি দেখতে আসছি।’
সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া থেকে বোতলবাড়ি দেখতে আসা মো. মোসলেম আলী বলেন, এই বাড়ির কথা তিনি আগেই শুনেছেন। তবে আজ দেখতে এসেছেন। প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরি বাড়িটি দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন। তিনিও এভাবে বাড়ি করার ইচ্ছা পোষণ করেন।

প্রকৌশলী শাহিদুল ইসলাম বলেন, প্লাস্টিকের তৈরি বাড়িগুলো সৌন্দর্য বর্ধন হিসেবে মানুষ করে থাকে। ঘরগুলো না দেখলে টেকসইয়ের বিষয়ে ভালোভাবে বলা যাবে না। যদি দেয়ালের গাঁথুনির আগে চারদিক দিয়ে পিলারগুলো পরিমাণ মতো রড, সিমেন্ট, বালু ব্যবহার করা হয় তখন ঝুঁকি কম থাকে।
পরিবেশ অধিদপ্তর, গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হেদায়তুল ইসলাম বলেন, ‘প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে। কিন্তু সেই প্লাস্টিককে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে যে বাড়ি তৈরি করেছেন, তা অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব। কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতল যত্রতত্র ফেলে না দিয়ে এসব বোতল সংরক্ষণ করে বাড়ি তৈরি বা অন্য কোনো ভালো কাজে ব্যবহার করলে আমরা পরিবেশদূষণের হাত থেকে রক্ষা পাব।’

কোমল পানীয়ের পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে দৃষ্টিনন্দন বাড়ি তৈরি করেছেন এক অটোচালক। গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার অদূরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ছাপড়হাটি গ্রামের এই অটোচালকের নাম মো. আব্দুল হাকিম খান (৩২)। তাঁর এই বাড়ি দেখতে প্রতিদিনই আসছেন অনেকে। আগ্রহ নিয়ে দেখছেন বৈচিত্র্যময় এই বাড়ি। এলাকায় বাড়িটি এখন ‘বোতলবাড়ি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিকের বোতলে বালুভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে পরিবেশবান্ধব এই বাড়ি তৈরি করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছেন আব্দুল হাকিম।
আব্দুল হাকিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তিনি অটোচালান। একদিন ইউটিউবে দেখতে পান ফেলে দেওয়া কোমল পানীয় বোতল দিয়ে বাড়ি বানানো। সেই থেকে তাঁর মনে বাসনা জাগে তিনিও বোতল দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করবেন। অটো চালানোর সুবাদে তিনি বিভিন্ন স্থান থেকে ফেলে দেওয়া বোতল সংগ্রহ করেন। পরবর্তীকালে রাজমিস্ত্রি ডেকে এনে বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরি করেন।
বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরির কাজ করছেন রংপুর জেলার হারাগাছা গ্রামের রাজমিস্ত্রি বাদশা মিয়া। রাজমিস্ত্রি পেশায় ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা তাঁর। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বোতল দিয়ে বাড়িটি নির্মাণকাজ করছেন।
মিস্ত্রি বাদশা মিয়া জানান, বাড়িটি তৈরির শুরুতে প্রাথমিকভাবে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করেন। এরপর প্লাস্টিকের বোতলগুলোতে বালু ও মাটিভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি করেন। গাঁথুনির ওপরে দেন টিনের চাল। এভাবেই তৈরি হয় প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি। ইটের তৈরি বাড়ির চেয়ে এই বাড়িতে গরম কম লাগবে।
বাড়ির মালিক আব্দুল হাকিম খান বলেন, ‘এই বাড়ির মিস্ত্রি হিসেবে যিনি কাজ করছেন, তিনি সম্পর্কে আমার মামাশ্বশুর হন। প্রথমে বোতলসহ খরচ বেশি পড়বে বলে মামাশ্বশুর সম্মতি দেন নাই। পরে আমি সবকিছু খরচ করতে কোনো সমস্যা হবে না জানালে, তিনি রাজি হন।’
তিনি আরও বলেন, বাড়িটি তৈরি করতে তিন রুমে ৩০ হাতে ১৭ হাজার ৮৬৫ বোতল লেগেছে। ছাদ ঢালাইয়ের কাজ এখনো বাকি আছে। এ পর্যন্ত চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে আড়াই মাস। আর সিমেন্ট, বালু, কাঠ, বোতল, রাজমিস্ত্রির বেতন মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, শুধু ইট-সিমেন্ট দিয়ে বাড়ি তৈরি করলে খরচ হতো প্রায় চার লাখ টাকা। কিন্তু পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে এই বাড়ি নির্মাণে খরচ হয়েছে অনেক কম। বাড়িটি তৈরির সময় এলাকার অনেকেই এসে নির্মাণকাজ দেখছেন। দেয়ালে ইটের পরিবর্তে বোতল দেওয়ায় কেউ কেউ নেতিবাচক বা তির্যক কথাও বলেছেন। এখন বাড়িটি পরিবেশবান্ধব হবে জেনে অনেকেই প্রশংসা করছেন।
গত শুক্রবার খানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল হাকিমের বোতলবাড়ির পাশে আম, কাঁঠাল, নারকেল, সুপারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অনেক গাছ রয়েছে। এসবের মধ্যেই তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি। বাড়ির দেয়ালে কোমল পানীয়ের বোতলের পেছনের অংশ আর ঘরের ভেতরের অংশে বোতলের মুখের অংশ রয়েছে। এখনো ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বাকি আছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থী জারিন তাজমিন বলেন, ‘প্লাস্টিকের বাড়ি শুধু ইউটিউবে দেখেছি। আজ সামনাসামনি দেখে খুব ভালো লাগছে। আমার কয়েকজন বান্ধবীসহ আমরা বাড়ি দেখতে আসছি।’
সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া থেকে বোতলবাড়ি দেখতে আসা মো. মোসলেম আলী বলেন, এই বাড়ির কথা তিনি আগেই শুনেছেন। তবে আজ দেখতে এসেছেন। প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরি বাড়িটি দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন। তিনিও এভাবে বাড়ি করার ইচ্ছা পোষণ করেন।

প্রকৌশলী শাহিদুল ইসলাম বলেন, প্লাস্টিকের তৈরি বাড়িগুলো সৌন্দর্য বর্ধন হিসেবে মানুষ করে থাকে। ঘরগুলো না দেখলে টেকসইয়ের বিষয়ে ভালোভাবে বলা যাবে না। যদি দেয়ালের গাঁথুনির আগে চারদিক দিয়ে পিলারগুলো পরিমাণ মতো রড, সিমেন্ট, বালু ব্যবহার করা হয় তখন ঝুঁকি কম থাকে।
পরিবেশ অধিদপ্তর, গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হেদায়তুল ইসলাম বলেন, ‘প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে। কিন্তু সেই প্লাস্টিককে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে যে বাড়ি তৈরি করেছেন, তা অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব। কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতল যত্রতত্র ফেলে না দিয়ে এসব বোতল সংরক্ষণ করে বাড়ি তৈরি বা অন্য কোনো ভালো কাজে ব্যবহার করলে আমরা পরিবেশদূষণের হাত থেকে রক্ষা পাব।’
আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা

কোমল পানীয়ের পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে দৃষ্টিনন্দন বাড়ি তৈরি করেছেন এক অটোচালক। গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার অদূরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ছাপড়হাটি গ্রামের এই অটোচালকের নাম মো. আব্দুল হাকিম খান (৩২)। তাঁর এই বাড়ি দেখতে প্রতিদিনই আসছেন অনেকে। আগ্রহ নিয়ে দেখছেন বৈচিত্র্যময় এই বাড়ি। এলাকায় বাড়িটি এখন ‘বোতলবাড়ি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিকের বোতলে বালুভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে পরিবেশবান্ধব এই বাড়ি তৈরি করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছেন আব্দুল হাকিম।
আব্দুল হাকিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তিনি অটোচালান। একদিন ইউটিউবে দেখতে পান ফেলে দেওয়া কোমল পানীয় বোতল দিয়ে বাড়ি বানানো। সেই থেকে তাঁর মনে বাসনা জাগে তিনিও বোতল দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করবেন। অটো চালানোর সুবাদে তিনি বিভিন্ন স্থান থেকে ফেলে দেওয়া বোতল সংগ্রহ করেন। পরবর্তীকালে রাজমিস্ত্রি ডেকে এনে বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরি করেন।
বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরির কাজ করছেন রংপুর জেলার হারাগাছা গ্রামের রাজমিস্ত্রি বাদশা মিয়া। রাজমিস্ত্রি পেশায় ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা তাঁর। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বোতল দিয়ে বাড়িটি নির্মাণকাজ করছেন।
মিস্ত্রি বাদশা মিয়া জানান, বাড়িটি তৈরির শুরুতে প্রাথমিকভাবে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করেন। এরপর প্লাস্টিকের বোতলগুলোতে বালু ও মাটিভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি করেন। গাঁথুনির ওপরে দেন টিনের চাল। এভাবেই তৈরি হয় প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি। ইটের তৈরি বাড়ির চেয়ে এই বাড়িতে গরম কম লাগবে।
বাড়ির মালিক আব্দুল হাকিম খান বলেন, ‘এই বাড়ির মিস্ত্রি হিসেবে যিনি কাজ করছেন, তিনি সম্পর্কে আমার মামাশ্বশুর হন। প্রথমে বোতলসহ খরচ বেশি পড়বে বলে মামাশ্বশুর সম্মতি দেন নাই। পরে আমি সবকিছু খরচ করতে কোনো সমস্যা হবে না জানালে, তিনি রাজি হন।’
তিনি আরও বলেন, বাড়িটি তৈরি করতে তিন রুমে ৩০ হাতে ১৭ হাজার ৮৬৫ বোতল লেগেছে। ছাদ ঢালাইয়ের কাজ এখনো বাকি আছে। এ পর্যন্ত চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে আড়াই মাস। আর সিমেন্ট, বালু, কাঠ, বোতল, রাজমিস্ত্রির বেতন মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, শুধু ইট-সিমেন্ট দিয়ে বাড়ি তৈরি করলে খরচ হতো প্রায় চার লাখ টাকা। কিন্তু পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে এই বাড়ি নির্মাণে খরচ হয়েছে অনেক কম। বাড়িটি তৈরির সময় এলাকার অনেকেই এসে নির্মাণকাজ দেখছেন। দেয়ালে ইটের পরিবর্তে বোতল দেওয়ায় কেউ কেউ নেতিবাচক বা তির্যক কথাও বলেছেন। এখন বাড়িটি পরিবেশবান্ধব হবে জেনে অনেকেই প্রশংসা করছেন।
গত শুক্রবার খানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল হাকিমের বোতলবাড়ির পাশে আম, কাঁঠাল, নারকেল, সুপারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অনেক গাছ রয়েছে। এসবের মধ্যেই তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি। বাড়ির দেয়ালে কোমল পানীয়ের বোতলের পেছনের অংশ আর ঘরের ভেতরের অংশে বোতলের মুখের অংশ রয়েছে। এখনো ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বাকি আছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থী জারিন তাজমিন বলেন, ‘প্লাস্টিকের বাড়ি শুধু ইউটিউবে দেখেছি। আজ সামনাসামনি দেখে খুব ভালো লাগছে। আমার কয়েকজন বান্ধবীসহ আমরা বাড়ি দেখতে আসছি।’
সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া থেকে বোতলবাড়ি দেখতে আসা মো. মোসলেম আলী বলেন, এই বাড়ির কথা তিনি আগেই শুনেছেন। তবে আজ দেখতে এসেছেন। প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরি বাড়িটি দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন। তিনিও এভাবে বাড়ি করার ইচ্ছা পোষণ করেন।

প্রকৌশলী শাহিদুল ইসলাম বলেন, প্লাস্টিকের তৈরি বাড়িগুলো সৌন্দর্য বর্ধন হিসেবে মানুষ করে থাকে। ঘরগুলো না দেখলে টেকসইয়ের বিষয়ে ভালোভাবে বলা যাবে না। যদি দেয়ালের গাঁথুনির আগে চারদিক দিয়ে পিলারগুলো পরিমাণ মতো রড, সিমেন্ট, বালু ব্যবহার করা হয় তখন ঝুঁকি কম থাকে।
পরিবেশ অধিদপ্তর, গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হেদায়তুল ইসলাম বলেন, ‘প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে। কিন্তু সেই প্লাস্টিককে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে যে বাড়ি তৈরি করেছেন, তা অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব। কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতল যত্রতত্র ফেলে না দিয়ে এসব বোতল সংরক্ষণ করে বাড়ি তৈরি বা অন্য কোনো ভালো কাজে ব্যবহার করলে আমরা পরিবেশদূষণের হাত থেকে রক্ষা পাব।’

কোমল পানীয়ের পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে দৃষ্টিনন্দন বাড়ি তৈরি করেছেন এক অটোচালক। গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার অদূরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ছাপড়হাটি গ্রামের এই অটোচালকের নাম মো. আব্দুল হাকিম খান (৩২)। তাঁর এই বাড়ি দেখতে প্রতিদিনই আসছেন অনেকে। আগ্রহ নিয়ে দেখছেন বৈচিত্র্যময় এই বাড়ি। এলাকায় বাড়িটি এখন ‘বোতলবাড়ি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিকের বোতলে বালুভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে পরিবেশবান্ধব এই বাড়ি তৈরি করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছেন আব্দুল হাকিম।
আব্দুল হাকিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তিনি অটোচালান। একদিন ইউটিউবে দেখতে পান ফেলে দেওয়া কোমল পানীয় বোতল দিয়ে বাড়ি বানানো। সেই থেকে তাঁর মনে বাসনা জাগে তিনিও বোতল দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করবেন। অটো চালানোর সুবাদে তিনি বিভিন্ন স্থান থেকে ফেলে দেওয়া বোতল সংগ্রহ করেন। পরবর্তীকালে রাজমিস্ত্রি ডেকে এনে বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরি করেন।
বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরির কাজ করছেন রংপুর জেলার হারাগাছা গ্রামের রাজমিস্ত্রি বাদশা মিয়া। রাজমিস্ত্রি পেশায় ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা তাঁর। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বোতল দিয়ে বাড়িটি নির্মাণকাজ করছেন।
মিস্ত্রি বাদশা মিয়া জানান, বাড়িটি তৈরির শুরুতে প্রাথমিকভাবে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করেন। এরপর প্লাস্টিকের বোতলগুলোতে বালু ও মাটিভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি করেন। গাঁথুনির ওপরে দেন টিনের চাল। এভাবেই তৈরি হয় প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি। ইটের তৈরি বাড়ির চেয়ে এই বাড়িতে গরম কম লাগবে।
বাড়ির মালিক আব্দুল হাকিম খান বলেন, ‘এই বাড়ির মিস্ত্রি হিসেবে যিনি কাজ করছেন, তিনি সম্পর্কে আমার মামাশ্বশুর হন। প্রথমে বোতলসহ খরচ বেশি পড়বে বলে মামাশ্বশুর সম্মতি দেন নাই। পরে আমি সবকিছু খরচ করতে কোনো সমস্যা হবে না জানালে, তিনি রাজি হন।’
তিনি আরও বলেন, বাড়িটি তৈরি করতে তিন রুমে ৩০ হাতে ১৭ হাজার ৮৬৫ বোতল লেগেছে। ছাদ ঢালাইয়ের কাজ এখনো বাকি আছে। এ পর্যন্ত চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে আড়াই মাস। আর সিমেন্ট, বালু, কাঠ, বোতল, রাজমিস্ত্রির বেতন মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, শুধু ইট-সিমেন্ট দিয়ে বাড়ি তৈরি করলে খরচ হতো প্রায় চার লাখ টাকা। কিন্তু পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে এই বাড়ি নির্মাণে খরচ হয়েছে অনেক কম। বাড়িটি তৈরির সময় এলাকার অনেকেই এসে নির্মাণকাজ দেখছেন। দেয়ালে ইটের পরিবর্তে বোতল দেওয়ায় কেউ কেউ নেতিবাচক বা তির্যক কথাও বলেছেন। এখন বাড়িটি পরিবেশবান্ধব হবে জেনে অনেকেই প্রশংসা করছেন।
গত শুক্রবার খানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল হাকিমের বোতলবাড়ির পাশে আম, কাঁঠাল, নারকেল, সুপারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অনেক গাছ রয়েছে। এসবের মধ্যেই তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি। বাড়ির দেয়ালে কোমল পানীয়ের বোতলের পেছনের অংশ আর ঘরের ভেতরের অংশে বোতলের মুখের অংশ রয়েছে। এখনো ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বাকি আছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থী জারিন তাজমিন বলেন, ‘প্লাস্টিকের বাড়ি শুধু ইউটিউবে দেখেছি। আজ সামনাসামনি দেখে খুব ভালো লাগছে। আমার কয়েকজন বান্ধবীসহ আমরা বাড়ি দেখতে আসছি।’
সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া থেকে বোতলবাড়ি দেখতে আসা মো. মোসলেম আলী বলেন, এই বাড়ির কথা তিনি আগেই শুনেছেন। তবে আজ দেখতে এসেছেন। প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরি বাড়িটি দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন। তিনিও এভাবে বাড়ি করার ইচ্ছা পোষণ করেন।

প্রকৌশলী শাহিদুল ইসলাম বলেন, প্লাস্টিকের তৈরি বাড়িগুলো সৌন্দর্য বর্ধন হিসেবে মানুষ করে থাকে। ঘরগুলো না দেখলে টেকসইয়ের বিষয়ে ভালোভাবে বলা যাবে না। যদি দেয়ালের গাঁথুনির আগে চারদিক দিয়ে পিলারগুলো পরিমাণ মতো রড, সিমেন্ট, বালু ব্যবহার করা হয় তখন ঝুঁকি কম থাকে।
পরিবেশ অধিদপ্তর, গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হেদায়তুল ইসলাম বলেন, ‘প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে। কিন্তু সেই প্লাস্টিককে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে যে বাড়ি তৈরি করেছেন, তা অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব। কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতল যত্রতত্র ফেলে না দিয়ে এসব বোতল সংরক্ষণ করে বাড়ি তৈরি বা অন্য কোনো ভালো কাজে ব্যবহার করলে আমরা পরিবেশদূষণের হাত থেকে রক্ষা পাব।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনে (কালিয়া ও নড়াইল সদর উপজেলার একাংশ) বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি ও জিয়া পরিষদের নেতা অধ্যাপক বি এম নাগিব হোসেন। তিনি বি এম বাকির হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি।
১১ মিনিট আগে
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
৩ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
৩ ঘণ্টা আগেনড়াইল প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনে (কালিয়া ও নড়াইল সদর উপজেলার একাংশ) বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি ও জিয়া পরিষদের নেতা অধ্যাপক বি এম নাগিব হোসেন। তিনি বি এম বাকির হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি।
মঙ্গলবার সকালে কালিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ছোটকালিয়া মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরদার আনোয়ার হোসেন, কালিয়া পৌর বিএনপির সহসভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, কালিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মিঠু, জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি এম রেজাউল করিম, বড়নাল-ইলিয়াছাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোল্যা খায়রুজ্জামান, নড়াইল পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মো. আজিজুর রহমান, কালিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহিনুর ইসলাম মাহি, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকরাম রেজাসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে অধ্যাপক নাগিব হোসেন বলেন, নড়াইল-১ আসনে বিএনপির যাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি জনবিচ্ছিন্ন একজন নেতা। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর তেমন কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ কারণেই তিনি আগেও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। বারবার পরাজয়ের ফলে কালিয়ায় বিএনপি অনেকটা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
নাগিব হোসেন আরও বলেন, ‘আমিসহ প্রকৃত ত্যাগী বিএনপি নেতারা দল কিংবা ধানের শীষের বিপক্ষে নই। আমরা দলকে তৃণমূলে সুসংগঠিত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।’
দলের সর্বস্তরের নেতাদের সমর্থন পাওয়ায় একটি পরিবারের বিরাগভাজন হয়েছেন দাবি করে অধ্যাপক নাগিব বলেন, ওই পরিবারের সদস্য ও তাঁদের কয়েকজন অনুসারী তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। বিষয়টি তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেছেন।
অধ্যাপক নাগিব আরও বলেন, নির্বাচিত হলে এলাকার সড়ক যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, দুর্নীতি নির্মূল, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বেকার সমস্যা সমাধান, স্বনির্ভরতা অর্জন এবং মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, নড়াইল-১ আসনে বিএনপির হাইকমান্ড ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আজিজ।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনে (কালিয়া ও নড়াইল সদর উপজেলার একাংশ) বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি ও জিয়া পরিষদের নেতা অধ্যাপক বি এম নাগিব হোসেন। তিনি বি এম বাকির হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি।
মঙ্গলবার সকালে কালিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ছোটকালিয়া মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরদার আনোয়ার হোসেন, কালিয়া পৌর বিএনপির সহসভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, কালিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মিঠু, জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি এম রেজাউল করিম, বড়নাল-ইলিয়াছাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোল্যা খায়রুজ্জামান, নড়াইল পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মো. আজিজুর রহমান, কালিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহিনুর ইসলাম মাহি, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকরাম রেজাসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে অধ্যাপক নাগিব হোসেন বলেন, নড়াইল-১ আসনে বিএনপির যাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি জনবিচ্ছিন্ন একজন নেতা। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর তেমন কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ কারণেই তিনি আগেও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। বারবার পরাজয়ের ফলে কালিয়ায় বিএনপি অনেকটা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
নাগিব হোসেন আরও বলেন, ‘আমিসহ প্রকৃত ত্যাগী বিএনপি নেতারা দল কিংবা ধানের শীষের বিপক্ষে নই। আমরা দলকে তৃণমূলে সুসংগঠিত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।’
দলের সর্বস্তরের নেতাদের সমর্থন পাওয়ায় একটি পরিবারের বিরাগভাজন হয়েছেন দাবি করে অধ্যাপক নাগিব বলেন, ওই পরিবারের সদস্য ও তাঁদের কয়েকজন অনুসারী তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। বিষয়টি তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেছেন।
অধ্যাপক নাগিব আরও বলেন, নির্বাচিত হলে এলাকার সড়ক যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, দুর্নীতি নির্মূল, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বেকার সমস্যা সমাধান, স্বনির্ভরতা অর্জন এবং মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, নড়াইল-১ আসনে বিএনপির হাইকমান্ড ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আজিজ।

বাড়িটি তৈরির শুরুতে প্রাথমিকভাবে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করেন। এরপর প্লাস্টিকের বোতলগুলোতে বালু ও মাটিভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি করেন। গাঁথুনির ওপরে দেন টিনের চাল। এভাবেই তৈরি হয় প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি। ইটের তৈরি বাড়ির চেয়ে এই বাড়িতে গরম কম লাগবে।
১৯ মে ২০২৫
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
৩ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
৩ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

কৃষকের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে ২১টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ি অঞ্চলে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার ‘বারি লাউ-৪’ জাতের প্রজনন বীজ উৎপাদন ও চাষে সফলতা পেয়েছেন কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গবেষণা কেন্দ্রের এক একর জমিতে এই জাতের লাউ চাষ করা হয়। বীজ বপনের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যেই প্রতিটি গাছে ফলন আসে। বর্তমানে গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউগাছে ঝুলছে লাউ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বারি লাউ-৪ একটি তাপ সহনশীল জাত, যা সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী। এই জাতের লাউ গাঢ় সবুজ রঙের এবং ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন প্রায় ২ দশমিক ৫ কেজি। ফলের দৈর্ঘ্য ৪২ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার।
তিনি আরও জানান, চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে লাউ সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের জীবনকাল ১৩০ থেকে ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৮০ থেকে ৮৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাপ সহনশীল হওয়ায় গ্রীষ্মকালেও চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
এদিকে রাইখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পাইদো অং মারমা বলেন, গত অক্টোবর মাসে তিনি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি লাউ-৪-এর বীজ ও সার সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এক বিঘা জমিতে তিনি লাউ চাষ করেছেন। বর্তমানে গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

কৃষকের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে ২১টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ি অঞ্চলে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার ‘বারি লাউ-৪’ জাতের প্রজনন বীজ উৎপাদন ও চাষে সফলতা পেয়েছেন কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গবেষণা কেন্দ্রের এক একর জমিতে এই জাতের লাউ চাষ করা হয়। বীজ বপনের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যেই প্রতিটি গাছে ফলন আসে। বর্তমানে গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউগাছে ঝুলছে লাউ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বারি লাউ-৪ একটি তাপ সহনশীল জাত, যা সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী। এই জাতের লাউ গাঢ় সবুজ রঙের এবং ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন প্রায় ২ দশমিক ৫ কেজি। ফলের দৈর্ঘ্য ৪২ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার।
তিনি আরও জানান, চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে লাউ সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের জীবনকাল ১৩০ থেকে ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৮০ থেকে ৮৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাপ সহনশীল হওয়ায় গ্রীষ্মকালেও চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
এদিকে রাইখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পাইদো অং মারমা বলেন, গত অক্টোবর মাসে তিনি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি লাউ-৪-এর বীজ ও সার সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এক বিঘা জমিতে তিনি লাউ চাষ করেছেন। বর্তমানে গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

বাড়িটি তৈরির শুরুতে প্রাথমিকভাবে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করেন। এরপর প্লাস্টিকের বোতলগুলোতে বালু ও মাটিভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি করেন। গাঁথুনির ওপরে দেন টিনের চাল। এভাবেই তৈরি হয় প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি। ইটের তৈরি বাড়ির চেয়ে এই বাড়িতে গরম কম লাগবে।
১৯ মে ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনে (কালিয়া ও নড়াইল সদর উপজেলার একাংশ) বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি ও জিয়া পরিষদের নেতা অধ্যাপক বি এম নাগিব হোসেন। তিনি বি এম বাকির হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি।
১১ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
৩ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের মা-বাবা তাঁদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১টি গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তাঁর এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ফয়সাল, তাঁর সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১টি গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবির এবং তাঁকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের মা-বাবা তাঁদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১টি গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তাঁর এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ফয়সাল, তাঁর সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১টি গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবির এবং তাঁকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

বাড়িটি তৈরির শুরুতে প্রাথমিকভাবে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করেন। এরপর প্লাস্টিকের বোতলগুলোতে বালু ও মাটিভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি করেন। গাঁথুনির ওপরে দেন টিনের চাল। এভাবেই তৈরি হয় প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি। ইটের তৈরি বাড়ির চেয়ে এই বাড়িতে গরম কম লাগবে।
১৯ মে ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনে (কালিয়া ও নড়াইল সদর উপজেলার একাংশ) বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি ও জিয়া পরিষদের নেতা অধ্যাপক বি এম নাগিব হোসেন। তিনি বি এম বাকির হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি।
১১ মিনিট আগে
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
৩ ঘণ্টা আগেনিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

বাড়িটি তৈরির শুরুতে প্রাথমিকভাবে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করেন। এরপর প্লাস্টিকের বোতলগুলোতে বালু ও মাটিভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি করেন। গাঁথুনির ওপরে দেন টিনের চাল। এভাবেই তৈরি হয় প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি। ইটের তৈরি বাড়ির চেয়ে এই বাড়িতে গরম কম লাগবে।
১৯ মে ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনে (কালিয়া ও নড়াইল সদর উপজেলার একাংশ) বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি ও জিয়া পরিষদের নেতা অধ্যাপক বি এম নাগিব হোসেন। তিনি বি এম বাকির হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি।
১১ মিনিট আগে
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
৩ ঘণ্টা আগে