সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
টাকা চেয়েছিলেন পাঁচ লাখ। পরে চুক্তি হয় চার লাখে। পরীক্ষার আগে দিয়েছিলাম সাড়ে তিন লাখ টাকা। বাকী ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল পরীক্ষার দিন, পরীক্ষা শেষে। ডিভাইস কাজ করেনি। সে কারণে পরীক্ষা ভালো হয়নি। আর এ কারণে বাকী ৫০ হাজার টাকা আর নেননি। বলেন বাসায় যান, টাকাটা পরে ডেকে দেব। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক লাখ টাকা পাইনি। খালি তারিখ দিয়ে ঘোরাচ্ছেন। কথাগুলো বলছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি প্রত্যাশিত নারী মোছা. মাহমুদা আক্তার (৩৪)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামের মো. মাসুদুর রহমানের স্ত্রী। আর অবৈধভাবে এই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেন মো. আবুল কালাম আজাদ। আবুল কালাম বর্তমানে জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
চাকরি না হওয়ায় ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এখন ঘুষের টাকা ফেরত পেতে ধরনা দিচ্ছেন মাহমুদা আক্তার।
চাকরিতে ঢোকার বয়স শেষের পথে থাকায় ঘুষ দিয়ে শিক্ষক হতে চাওয়া মাহমুদা আক্তার নিজের ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সুদে টাকা নিয়ে স্যারকে দিয়েছিলাম চাকরিটার আশায়। চাকরিটা তো হলোই না, সুদের ঘানি এখনো টানছি।’ এ সময় এটিইওর ব্যাংক হিসাবে ঘুষের টাকা দেওয়ার রসিদ দেখান তিনি।
মাহমুদার দুলাভাই, উপজেলার বাজারপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ফিরোজ মিয়া (৩৬) বলেন, এটা অনেক দীর্ঘ কাহিনি; ২০১৮-১৯ সালের কথা। তখন তিনি (এটিইও) সুন্দরগঞ্জে চাকরি করতেন। ডিভাইসের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার তথ্যটা প্রথমে আমাকে দেয় আমার স্কুলের দপ্তরি।
সে বেকাটারী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আমজাদ হোসেন কথা বলে। তখন তাঁর সঙ্গে কথা বললে তিনি এটিইও আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর মাঝেমধ্যে আমজাদ এবং এটিইও সাহেব আমাকে ফোন দেন। এদিকে আমার শ্যালিকার বয়সও শেষের দিকে। পরে বাধ্য হয়ে এটিইওর সঙ্গে মাহমুদার পরিচয় করিয়ে দেই। পরে ডিভাইস দিয়ে কীভাবে কী করতে হবে, সবকিছু শিখিয়ে দেন এটিইও সাহেব।
তবে পরীক্ষার সময় ডিভাইস কাজ না করার অভিযোগ তুলে উপজেলার পশ্চিম বাছহাটি গ্রামের ফিরোজ মিয়া বলেন, পরীক্ষার দিন, ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বরের আগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন এটিইও আজাদ। পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় বাকি ৫০ হাজার আর নেননি। তবে আগে নেওয়া সাড়ে তিন লাখের এখনো এক লাখ টাকা তিনি ফেরত দেননি।
এটিইও মো. আবুল কালাম আজাদের বন্ধু স্কুলশিক্ষক আমজাদ। তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ওরা-ওরাই টাকাপয়সা লেনদেন করেছে, আমি জানিনি। তবে ইদানীং এটিইও আমাকে বলেছে ফিরোজ নাকি টাকা পাবে। দিতে একটু দেরি হবে, এ বিষয়ে ফিরোজকে বলতে বলেছে।’
টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে এটিইও মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এখন আমার হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। তা ছাড়া টাকা তো প্রায় সবই দিয়েছি। সামান্য কিছু পাবে। আর টাকাটা তো ভালো জায়গায় আছে। সমস্যা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ ১০,২০, ৫০ লাখ টাকা দেয়। আর এটা তো সামান্য টাকা। এত ব্যস্ত হলে কী চলে? এখন আমাকে ফাঁসি দিলেও টাকা দিতে পারছি না। আরও একটু সময় দিতে হবে।’
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘মোছা. মাহমুদা আক্তারের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। এ ধরনের কাজ অনৈতিক। আমি আবুল কালাম আজাদ সাহেবের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার দুঃখ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের কাজ তাঁর করাটা ঠিক হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
আরও খবর পড়ুন:
টাকা চেয়েছিলেন পাঁচ লাখ। পরে চুক্তি হয় চার লাখে। পরীক্ষার আগে দিয়েছিলাম সাড়ে তিন লাখ টাকা। বাকী ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল পরীক্ষার দিন, পরীক্ষা শেষে। ডিভাইস কাজ করেনি। সে কারণে পরীক্ষা ভালো হয়নি। আর এ কারণে বাকী ৫০ হাজার টাকা আর নেননি। বলেন বাসায় যান, টাকাটা পরে ডেকে দেব। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক লাখ টাকা পাইনি। খালি তারিখ দিয়ে ঘোরাচ্ছেন। কথাগুলো বলছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি প্রত্যাশিত নারী মোছা. মাহমুদা আক্তার (৩৪)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামের মো. মাসুদুর রহমানের স্ত্রী। আর অবৈধভাবে এই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেন মো. আবুল কালাম আজাদ। আবুল কালাম বর্তমানে জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
চাকরি না হওয়ায় ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এখন ঘুষের টাকা ফেরত পেতে ধরনা দিচ্ছেন মাহমুদা আক্তার।
চাকরিতে ঢোকার বয়স শেষের পথে থাকায় ঘুষ দিয়ে শিক্ষক হতে চাওয়া মাহমুদা আক্তার নিজের ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সুদে টাকা নিয়ে স্যারকে দিয়েছিলাম চাকরিটার আশায়। চাকরিটা তো হলোই না, সুদের ঘানি এখনো টানছি।’ এ সময় এটিইওর ব্যাংক হিসাবে ঘুষের টাকা দেওয়ার রসিদ দেখান তিনি।
মাহমুদার দুলাভাই, উপজেলার বাজারপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ফিরোজ মিয়া (৩৬) বলেন, এটা অনেক দীর্ঘ কাহিনি; ২০১৮-১৯ সালের কথা। তখন তিনি (এটিইও) সুন্দরগঞ্জে চাকরি করতেন। ডিভাইসের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার তথ্যটা প্রথমে আমাকে দেয় আমার স্কুলের দপ্তরি।
সে বেকাটারী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আমজাদ হোসেন কথা বলে। তখন তাঁর সঙ্গে কথা বললে তিনি এটিইও আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর মাঝেমধ্যে আমজাদ এবং এটিইও সাহেব আমাকে ফোন দেন। এদিকে আমার শ্যালিকার বয়সও শেষের দিকে। পরে বাধ্য হয়ে এটিইওর সঙ্গে মাহমুদার পরিচয় করিয়ে দেই। পরে ডিভাইস দিয়ে কীভাবে কী করতে হবে, সবকিছু শিখিয়ে দেন এটিইও সাহেব।
তবে পরীক্ষার সময় ডিভাইস কাজ না করার অভিযোগ তুলে উপজেলার পশ্চিম বাছহাটি গ্রামের ফিরোজ মিয়া বলেন, পরীক্ষার দিন, ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বরের আগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন এটিইও আজাদ। পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় বাকি ৫০ হাজার আর নেননি। তবে আগে নেওয়া সাড়ে তিন লাখের এখনো এক লাখ টাকা তিনি ফেরত দেননি।
এটিইও মো. আবুল কালাম আজাদের বন্ধু স্কুলশিক্ষক আমজাদ। তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ওরা-ওরাই টাকাপয়সা লেনদেন করেছে, আমি জানিনি। তবে ইদানীং এটিইও আমাকে বলেছে ফিরোজ নাকি টাকা পাবে। দিতে একটু দেরি হবে, এ বিষয়ে ফিরোজকে বলতে বলেছে।’
টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে এটিইও মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এখন আমার হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। তা ছাড়া টাকা তো প্রায় সবই দিয়েছি। সামান্য কিছু পাবে। আর টাকাটা তো ভালো জায়গায় আছে। সমস্যা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ ১০,২০, ৫০ লাখ টাকা দেয়। আর এটা তো সামান্য টাকা। এত ব্যস্ত হলে কী চলে? এখন আমাকে ফাঁসি দিলেও টাকা দিতে পারছি না। আরও একটু সময় দিতে হবে।’
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘মোছা. মাহমুদা আক্তারের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। এ ধরনের কাজ অনৈতিক। আমি আবুল কালাম আজাদ সাহেবের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার দুঃখ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের কাজ তাঁর করাটা ঠিক হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
আরও খবর পড়ুন:
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ মো. এরশাদ হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর রহমান সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন তাঁর মা রেখা আক্তার। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি নিজে বংশাল থানায় গিয়ে ছেলেকে পুলিশের কাছে দিয়ে আসেন বলে জানান মাহির খালা
২৮ মিনিট আগেঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় প্রসিদ্ধ সততা অয়েল মিলের ১০ ড্রাম সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রিকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগেঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া ধলেশ্বরী সেতুর ওপর সার্ভিস সড়কের মাওয়ামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেশ্যামপুর-কদমতলী (প্রতিনিধি) ঢাকা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ মো. এরশাদ হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর রহমান সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, অভিযানে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এরশাদ হোসেন পেশাদার মাদক কারবারি বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার এরশাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে অবৈধভাবে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আগেও একটি মামলা রয়েছে।
উদ্ধার করা মাদকসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যাত্রাবাড়ী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ মো. এরশাদ হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর রহমান সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, অভিযানে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এরশাদ হোসেন পেশাদার মাদক কারবারি বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার এরশাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে অবৈধভাবে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আগেও একটি মামলা রয়েছে।
উদ্ধার করা মাদকসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যাত্রাবাড়ী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এটিইও মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এখন আমার হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। তা ছাড়া টাকা তো প্রায় সবই দিয়েছি। সামান্য কিছু পাবে। আর টাকাটা তো ভালো জায়গায় আছে। সমস্যা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ ১০,২০, ৫০ লাখ টাকা দেয়। আর এটা তো সামান্য টাকা। এত ব্যস্ত হলে কী চলে? এখন আমাকে ফাঁসি দিলেও টাকা দিতে পারছি না। আরও
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন তাঁর মা রেখা আক্তার। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি নিজে বংশাল থানায় গিয়ে ছেলেকে পুলিশের কাছে দিয়ে আসেন বলে জানান মাহির খালা
২৮ মিনিট আগেঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় প্রসিদ্ধ সততা অয়েল মিলের ১০ ড্রাম সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রিকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগেঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া ধলেশ্বরী সেতুর ওপর সার্ভিস সড়কের মাওয়ামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন তাঁর মা রেখা আক্তার। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি নিজে বংশাল থানায় গিয়ে ছেলেকে পুলিশের কাছে দিয়ে আসেন বলে জানান মাহির খালা আঁখি আক্তার।
সোমবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান তিনি।
মাহির খালা আঁখি আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা ভয় পাই। যেহেতু সারা দেশ উত্তাল ছিল, ছাত্ররা ক্ষুব্ধ ছিল। আমরা ভাবছিলাম, মাহিরকে যদি না পায়, তবে বিনা কারণে অন্য কাউকে ধরে নিতে পারে। ওর জন্য অন্যরা হয়রানি হতে পারে। ওর জন্য সারা দেশ উত্তাল। তাই এর চেয়ে ভালো ওকেই ধরাইয়া দেই। পরে আপা (মাহিরের মা) সিদ্ধান্ত নিল ওকেই ধরাইয়ে দেই।’
মাহির খালা আরও বলেন, ‘আমরা সবাই বসে আলাপ করি। আমি মাহিরের ফুফুর সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওর ফুফুই মাহিরের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করে। আমরা জানতাম না, ও তখন কোথায় ছিল। পরে ওর মা নিজেই মাহিরকে নিয়ে বংশাল থানায় যায়।’
মাহির ও বর্ষার বন্ধুত্বের বিষয়ে আঁখি বলেন, ‘মাহিরের সঙ্গে মেয়েটার সম্পর্ক ছিল। আমরা জানতাম। মেয়েটা মাঝখানে ওকে না করে দিয়েছিল, এটাও জানতাম। কিন্তু না করার পরও মেয়েটা মাহিরের সঙ্গে কথা বলত। এই জিনিসটা মাহির নিতে পারেনি, না করেও আবার কথা বলা, আবার স্যারকেও পছন্দ করা, এই কনফিউশনেই ছেলেটার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।’
খালা আঁখি আরও বলেন, ‘মাহির জানত, মেয়েটা স্যারকে পছন্দ করে। মেয়েটাও মাহির সামনে বলেছে, “আমি স্যারকে পছন্দ করি, তোমার সঙ্গে থাকব না।” এই কথা শোনার পর মাহি সরে এসেছিল। কিন্তু সপ্তাহখানেক পর আবার যোগাযোগ করে। মাহির কনফিউজড হয়ে গিয়েছিল। ১৯ বছরের একটা ছেলে, মাথাটা আওলাইয়া গেছে, তাই হয়তো এই ঘটনাটা ঘটাইয়া ফেলছে।’
মাহিরের বন্ধু প্রীতম ও এলান একই বয়সী এবং একই কলেজের ছাত্র বলে জানান আঁখি আক্তার।
এর আগে আঁখি আক্তারের স্বামী ও মাহিরের খালু মো. ইমরান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোববার রাতে অফিস থেকে এসে দেখি ফেসবুকে এসব খবর ছড়াইছে। আমি তখন আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। মাহিরের বাড়িতে ফোন দিয়েছি, তাদের নম্বর বন্ধ ছিল। আমার স্ত্রীর বড় বোনের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাঁর ফোনও বন্ধ। ভাবলাম তাঁরা ব্যস্ত আছে। পরে আমরা ঘুমিয়ে যাই।’
ইমরান শেখ আরও বলেন, ‘রাত সাড়ে তিনটা-চারটার দিকে আমাদের বাসায় ডিবির লোকজন আসে। দরজায় নক দেয়। আমরা খুলে দিলে তাঁরা বাসা তল্লাশি করে। কোথাও মাহিরকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না, তা দেখে। পরে আমাকে ডেকে নিচে নেয়। জিজ্ঞেস করে, “আপনার শালা কোথায়?” আমি বলি, আমার তো শালা নেই, দুইটা শালি আছে। কিন্তু তারা ধরে নেয়, আমার শালা আছে। আমি বললাম, আমার শালা নেই। মাহির আমার ভাগনে হয়। তখন তারা আমাকে মাহিরের বাড়ি নিয়ে যায়। গিয়ে দেখি বাড়িতে তালা মারা। কেউ নাই। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি বাড়ি ফিরে অফিসে চলে যাই।’
ইমরান শেখ আরও বলেন, ‘এই ঘটনা যখন মাহিরের মা জানতে পারেন, তখন তিনি কষ্ট পান। তাঁর ছেলের জন্য কেন আমাকে ধরে নিয়ে হেনস্তা করবে। মাহিরও আমাকে খুব ভালোবাসত। আমিও ছেলের মতো আদর করতাম। তাই সে-ও হয়তো ভেবেছে, আমার জন্য তিনি কেন হেনস্তার শিকার হবেন। তখন তাঁর মাকে বলে, তাঁর মা সাড়ে ৭টার দিকে বংশাল থানায় গিয়ে দিয়ে আসে। আমাকে ছেড়ে দিলেও মাহিরের বাড়ির লোকজন চিন্তা করেছে, তার জন্য আত্মীয়স্বজন হয়রানি শিকার হতে পারে। তাই তাকে দিয়ে আসে।’
তবে মাহিরকে থানায় দিয়ে আসার বিষয়টি পুলিশের কেউ স্বীকার করেনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন তাঁর মা রেখা আক্তার। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি নিজে বংশাল থানায় গিয়ে ছেলেকে পুলিশের কাছে দিয়ে আসেন বলে জানান মাহির খালা আঁখি আক্তার।
সোমবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান তিনি।
মাহির খালা আঁখি আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা ভয় পাই। যেহেতু সারা দেশ উত্তাল ছিল, ছাত্ররা ক্ষুব্ধ ছিল। আমরা ভাবছিলাম, মাহিরকে যদি না পায়, তবে বিনা কারণে অন্য কাউকে ধরে নিতে পারে। ওর জন্য অন্যরা হয়রানি হতে পারে। ওর জন্য সারা দেশ উত্তাল। তাই এর চেয়ে ভালো ওকেই ধরাইয়া দেই। পরে আপা (মাহিরের মা) সিদ্ধান্ত নিল ওকেই ধরাইয়ে দেই।’
মাহির খালা আরও বলেন, ‘আমরা সবাই বসে আলাপ করি। আমি মাহিরের ফুফুর সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওর ফুফুই মাহিরের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করে। আমরা জানতাম না, ও তখন কোথায় ছিল। পরে ওর মা নিজেই মাহিরকে নিয়ে বংশাল থানায় যায়।’
মাহির ও বর্ষার বন্ধুত্বের বিষয়ে আঁখি বলেন, ‘মাহিরের সঙ্গে মেয়েটার সম্পর্ক ছিল। আমরা জানতাম। মেয়েটা মাঝখানে ওকে না করে দিয়েছিল, এটাও জানতাম। কিন্তু না করার পরও মেয়েটা মাহিরের সঙ্গে কথা বলত। এই জিনিসটা মাহির নিতে পারেনি, না করেও আবার কথা বলা, আবার স্যারকেও পছন্দ করা, এই কনফিউশনেই ছেলেটার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।’
খালা আঁখি আরও বলেন, ‘মাহির জানত, মেয়েটা স্যারকে পছন্দ করে। মেয়েটাও মাহির সামনে বলেছে, “আমি স্যারকে পছন্দ করি, তোমার সঙ্গে থাকব না।” এই কথা শোনার পর মাহি সরে এসেছিল। কিন্তু সপ্তাহখানেক পর আবার যোগাযোগ করে। মাহির কনফিউজড হয়ে গিয়েছিল। ১৯ বছরের একটা ছেলে, মাথাটা আওলাইয়া গেছে, তাই হয়তো এই ঘটনাটা ঘটাইয়া ফেলছে।’
মাহিরের বন্ধু প্রীতম ও এলান একই বয়সী এবং একই কলেজের ছাত্র বলে জানান আঁখি আক্তার।
এর আগে আঁখি আক্তারের স্বামী ও মাহিরের খালু মো. ইমরান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোববার রাতে অফিস থেকে এসে দেখি ফেসবুকে এসব খবর ছড়াইছে। আমি তখন আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। মাহিরের বাড়িতে ফোন দিয়েছি, তাদের নম্বর বন্ধ ছিল। আমার স্ত্রীর বড় বোনের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাঁর ফোনও বন্ধ। ভাবলাম তাঁরা ব্যস্ত আছে। পরে আমরা ঘুমিয়ে যাই।’
ইমরান শেখ আরও বলেন, ‘রাত সাড়ে তিনটা-চারটার দিকে আমাদের বাসায় ডিবির লোকজন আসে। দরজায় নক দেয়। আমরা খুলে দিলে তাঁরা বাসা তল্লাশি করে। কোথাও মাহিরকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না, তা দেখে। পরে আমাকে ডেকে নিচে নেয়। জিজ্ঞেস করে, “আপনার শালা কোথায়?” আমি বলি, আমার তো শালা নেই, দুইটা শালি আছে। কিন্তু তারা ধরে নেয়, আমার শালা আছে। আমি বললাম, আমার শালা নেই। মাহির আমার ভাগনে হয়। তখন তারা আমাকে মাহিরের বাড়ি নিয়ে যায়। গিয়ে দেখি বাড়িতে তালা মারা। কেউ নাই। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি বাড়ি ফিরে অফিসে চলে যাই।’
ইমরান শেখ আরও বলেন, ‘এই ঘটনা যখন মাহিরের মা জানতে পারেন, তখন তিনি কষ্ট পান। তাঁর ছেলের জন্য কেন আমাকে ধরে নিয়ে হেনস্তা করবে। মাহিরও আমাকে খুব ভালোবাসত। আমিও ছেলের মতো আদর করতাম। তাই সে-ও হয়তো ভেবেছে, আমার জন্য তিনি কেন হেনস্তার শিকার হবেন। তখন তাঁর মাকে বলে, তাঁর মা সাড়ে ৭টার দিকে বংশাল থানায় গিয়ে দিয়ে আসে। আমাকে ছেড়ে দিলেও মাহিরের বাড়ির লোকজন চিন্তা করেছে, তার জন্য আত্মীয়স্বজন হয়রানি শিকার হতে পারে। তাই তাকে দিয়ে আসে।’
তবে মাহিরকে থানায় দিয়ে আসার বিষয়টি পুলিশের কেউ স্বীকার করেনি।
এটিইও মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এখন আমার হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। তা ছাড়া টাকা তো প্রায় সবই দিয়েছি। সামান্য কিছু পাবে। আর টাকাটা তো ভালো জায়গায় আছে। সমস্যা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ ১০,২০, ৫০ লাখ টাকা দেয়। আর এটা তো সামান্য টাকা। এত ব্যস্ত হলে কী চলে? এখন আমাকে ফাঁসি দিলেও টাকা দিতে পারছি না। আরও
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ মো. এরশাদ হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর রহমান সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগেঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় প্রসিদ্ধ সততা অয়েল মিলের ১০ ড্রাম সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রিকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগেঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া ধলেশ্বরী সেতুর ওপর সার্ভিস সড়কের মাওয়ামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় সততা অয়েল মিলের ১০ ড্রাম সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রিকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মামলার রায় প্রদান করেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মো. মাহবুব আলম। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. শামীম হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঝিনাইদহের হামদহ এলাকার শেরেবাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আ. মালেক ও কালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে সততা অয়েল মিলসের ১০ ড্রাম সরিষার তেলের মধ্যে পোড়া মবিল মিশিয়ে দেন আসামি আশরাফসহ আরও পাঁচজন।
ওই ঘটনায় সততা অয়েল মিলের মালিক নওশের আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন; যা পরে এজাহার হিসেবে (মামলা নম্বর এসটিসি-৮৩/১১) রেকর্ড হয়। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান আদালতে ৭ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। মামলা চলাকালীন ২০২১ সালে মামলার অপর আসামি হাফিজ চেয়ারম্যান মারা যান।
ওই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার (২০ অক্টোবর) রায় প্রদান করেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মো. মাহবুব আলম। রায়ে আসামি আশরাফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দবির উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে আমরা সমর্থ হয়েছি। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’
মামলার বাদী মরহুম নওশের আলীর পুত্র সততা অয়েল মিলসের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মিরাজ জামান রাজ জানান, রায়ে তিনি আংশিক সন্তুষ্ট। তবে মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা শেরেবাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আব্দুল মালেকসহ সহযোগী আসামিরা খালাস পেয়েছেন। এতে কিছুটা হতাশ।
তিনি আরও জানিয়েছেন, অন্য আসামিদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। তাঁদেরও শাস্তি নিশ্চিতের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় সততা অয়েল মিলের ১০ ড্রাম সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রিকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মামলার রায় প্রদান করেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মো. মাহবুব আলম। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. শামীম হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঝিনাইদহের হামদহ এলাকার শেরেবাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আ. মালেক ও কালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে সততা অয়েল মিলসের ১০ ড্রাম সরিষার তেলের মধ্যে পোড়া মবিল মিশিয়ে দেন আসামি আশরাফসহ আরও পাঁচজন।
ওই ঘটনায় সততা অয়েল মিলের মালিক নওশের আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন; যা পরে এজাহার হিসেবে (মামলা নম্বর এসটিসি-৮৩/১১) রেকর্ড হয়। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান আদালতে ৭ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। মামলা চলাকালীন ২০২১ সালে মামলার অপর আসামি হাফিজ চেয়ারম্যান মারা যান।
ওই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার (২০ অক্টোবর) রায় প্রদান করেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মো. মাহবুব আলম। রায়ে আসামি আশরাফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দবির উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে আমরা সমর্থ হয়েছি। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’
মামলার বাদী মরহুম নওশের আলীর পুত্র সততা অয়েল মিলসের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মিরাজ জামান রাজ জানান, রায়ে তিনি আংশিক সন্তুষ্ট। তবে মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা শেরেবাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আব্দুল মালেকসহ সহযোগী আসামিরা খালাস পেয়েছেন। এতে কিছুটা হতাশ।
তিনি আরও জানিয়েছেন, অন্য আসামিদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। তাঁদেরও শাস্তি নিশ্চিতের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
এটিইও মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এখন আমার হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। তা ছাড়া টাকা তো প্রায় সবই দিয়েছি। সামান্য কিছু পাবে। আর টাকাটা তো ভালো জায়গায় আছে। সমস্যা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ ১০,২০, ৫০ লাখ টাকা দেয়। আর এটা তো সামান্য টাকা। এত ব্যস্ত হলে কী চলে? এখন আমাকে ফাঁসি দিলেও টাকা দিতে পারছি না। আরও
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ মো. এরশাদ হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর রহমান সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন তাঁর মা রেখা আক্তার। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি নিজে বংশাল থানায় গিয়ে ছেলেকে পুলিশের কাছে দিয়ে আসেন বলে জানান মাহির খালা
২৮ মিনিট আগেঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া ধলেশ্বরী সেতুর ওপর সার্ভিস সড়কের মাওয়ামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া ধলেশ্বরী সেতুর ওপর সার্ভিস সড়কের মাওয়ামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ।
তিনি জানান, মোটরসাইকেলে তাঁরা মাওয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় পেছন দিক থেকে আসা অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাঁদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁরা মারা যান। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে হাসাড়া হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া ধলেশ্বরী সেতুর ওপর সার্ভিস সড়কের মাওয়ামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ।
তিনি জানান, মোটরসাইকেলে তাঁরা মাওয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় পেছন দিক থেকে আসা অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাঁদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁরা মারা যান। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে হাসাড়া হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
এটিইও মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এখন আমার হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। তা ছাড়া টাকা তো প্রায় সবই দিয়েছি। সামান্য কিছু পাবে। আর টাকাটা তো ভালো জায়গায় আছে। সমস্যা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ ১০,২০, ৫০ লাখ টাকা দেয়। আর এটা তো সামান্য টাকা। এত ব্যস্ত হলে কী চলে? এখন আমাকে ফাঁসি দিলেও টাকা দিতে পারছি না। আরও
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ মো. এরশাদ হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর রহমান সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন তাঁর মা রেখা আক্তার। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি নিজে বংশাল থানায় গিয়ে ছেলেকে পুলিশের কাছে দিয়ে আসেন বলে জানান মাহির খালা
২৮ মিনিট আগেঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় প্রসিদ্ধ সততা অয়েল মিলের ১০ ড্রাম সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোর ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রিকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগে