গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে খাওয়ার অযোগ্য ভিজিডির চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের পুরোনো ফুলছড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন সুবিধাভোগীরা।
জানা গেছে, এ দিন দুপুরে ফুলছড়ি বাজারে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের ৩৬০ জন দুঃস্থ ও অসহায় ভিজিডির কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ সময় দেখা যায়, অযোগ্য দুর্গন্ধযুক্ত ও পচা চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সুবিধাভোগীরা। পরে তাঁরা বিতরণ বন্ধ করে চাল রাখার গোডাউনে তালা দেন।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফজলুপুর ইউনিয়নে ৩৬০ জন দুঃস্থ ও অসহায় প্রত্যেকের মাঝে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ঈদের আগে ওই ইউনিয়ন পরিষদ গোডাউন থেকে চাল উত্তোলন না করায় চলতি মাসে দুই কোটার চাল একসঙ্গে উত্তোলন করে পরিষদ কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের ভিজিডির কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। তিন-চারজন সুবিধাভোগীর পাওয়া চাল খাওয়ার অযোগ্য দেখে উপকারভোগীরা প্রতিবাদ করেন। পরে তাঁরা ট্যাগ অফিসার সোহেল রানার উপস্থিতিতে চাল বিতরণের গোডাউনে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে উপজেলা গুদাম কর্মকর্তা ও খাদ্যনিয়ন্ত্রক ঘটনাস্থলে যান। চালগুলো পরিবর্তন করে ভালো চাল বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিলে সুবিধাভোগীরা চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী আয়নাল হোসেন বলেন, ‘লালচে, দুর্গন্ধযুক্ত, অনেকটাই পচা—এই চাল মানুষ কেন, পশুরও খাওয়ার অযোগ্য। খাওয়ার অযোগ্য চাল সরবরাহের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে যাঁরা খেলছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
সুবিধাভোগী দুদু মিয়া বলেন, ‘যে চাউল গরুও খাবে না, সেইগুলো হামারে কাছে দিচ্ছে। এগুলো খালে অসুখ হবে। পচা চাল হামরা নিব না।’ সখিনা বেগম বলেন, ‘কেমন করি এগ্যা চাউল খামো, ভাত পাক করলে ট্যাঙ্গা লাগবে।’ হান্নান প্রামাণিক বলেন, ‘হামাক পচা চাল দিতে ধরছিল। আমি নেই নাই। গ্যাদা-গ্যাদিক (ছেলেমেয়েদের) খিলানো (খাওয়ানো) দূরের কথা, ভেড়াক (ভেড়া) খিলালোও অসুখে ধরবে।’
ফজলুপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান (দায়িত্বে) মো. মুক্তার প্রামাণিক বলেন, ‘খাদ্যগুদাম থেকে চালের বস্তা সরবরাহ করা হয়। সব বস্তা দেখে নেওয়া সম্ভব হয় না। খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা মোরশেদ খুবই টাইট। কয়েক বস্তা চাল ভালো দেখিয়ে সব চাল পচা দিছে। আমি বুঝতে পারি নাই। পরে শুনলাম জিআর আর কাবিটার পুরোনো চাল কিনে নেয়। এগুলো এক চালকলের নামে সেগুলো সরকারের কাছে বিক্রি করে। চার-পাঁচ বছর ধরে তিনি এসব করছেন। যে চাউল পাঁচ-ছয় বেচা দেওয়ার পর আর গুদামে রাখা সম্ভব হয় না, সেগুলো এভাবে তিনি চালিয়ে দিয়ে আসছেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ট্যাগ অফিসার সোহেল রানাকে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
ফুলছড়ি উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি-এলএসডি) সঙ্গে কথা বলেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’
খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) মো. মোরশেদ বলেন, ‘আরে আপনারা তো বুঝেন না। চরের মানুষ লাল চালের ভাত খেতে পছন্দ করেন। তাই ওমাহরকের জন্য এগুলো বরাদ্দ রাখছম। অপনারা যেল্লা মনে করেন, ওল্লা নয়। চাল ভালো।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে খাওয়ার অযোগ্য ভিজিডির চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের পুরোনো ফুলছড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন সুবিধাভোগীরা।
জানা গেছে, এ দিন দুপুরে ফুলছড়ি বাজারে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের ৩৬০ জন দুঃস্থ ও অসহায় ভিজিডির কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ সময় দেখা যায়, অযোগ্য দুর্গন্ধযুক্ত ও পচা চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সুবিধাভোগীরা। পরে তাঁরা বিতরণ বন্ধ করে চাল রাখার গোডাউনে তালা দেন।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফজলুপুর ইউনিয়নে ৩৬০ জন দুঃস্থ ও অসহায় প্রত্যেকের মাঝে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ঈদের আগে ওই ইউনিয়ন পরিষদ গোডাউন থেকে চাল উত্তোলন না করায় চলতি মাসে দুই কোটার চাল একসঙ্গে উত্তোলন করে পরিষদ কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের ভিজিডির কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। তিন-চারজন সুবিধাভোগীর পাওয়া চাল খাওয়ার অযোগ্য দেখে উপকারভোগীরা প্রতিবাদ করেন। পরে তাঁরা ট্যাগ অফিসার সোহেল রানার উপস্থিতিতে চাল বিতরণের গোডাউনে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে উপজেলা গুদাম কর্মকর্তা ও খাদ্যনিয়ন্ত্রক ঘটনাস্থলে যান। চালগুলো পরিবর্তন করে ভালো চাল বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিলে সুবিধাভোগীরা চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী আয়নাল হোসেন বলেন, ‘লালচে, দুর্গন্ধযুক্ত, অনেকটাই পচা—এই চাল মানুষ কেন, পশুরও খাওয়ার অযোগ্য। খাওয়ার অযোগ্য চাল সরবরাহের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে যাঁরা খেলছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
সুবিধাভোগী দুদু মিয়া বলেন, ‘যে চাউল গরুও খাবে না, সেইগুলো হামারে কাছে দিচ্ছে। এগুলো খালে অসুখ হবে। পচা চাল হামরা নিব না।’ সখিনা বেগম বলেন, ‘কেমন করি এগ্যা চাউল খামো, ভাত পাক করলে ট্যাঙ্গা লাগবে।’ হান্নান প্রামাণিক বলেন, ‘হামাক পচা চাল দিতে ধরছিল। আমি নেই নাই। গ্যাদা-গ্যাদিক (ছেলেমেয়েদের) খিলানো (খাওয়ানো) দূরের কথা, ভেড়াক (ভেড়া) খিলালোও অসুখে ধরবে।’
ফজলুপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান (দায়িত্বে) মো. মুক্তার প্রামাণিক বলেন, ‘খাদ্যগুদাম থেকে চালের বস্তা সরবরাহ করা হয়। সব বস্তা দেখে নেওয়া সম্ভব হয় না। খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা মোরশেদ খুবই টাইট। কয়েক বস্তা চাল ভালো দেখিয়ে সব চাল পচা দিছে। আমি বুঝতে পারি নাই। পরে শুনলাম জিআর আর কাবিটার পুরোনো চাল কিনে নেয়। এগুলো এক চালকলের নামে সেগুলো সরকারের কাছে বিক্রি করে। চার-পাঁচ বছর ধরে তিনি এসব করছেন। যে চাউল পাঁচ-ছয় বেচা দেওয়ার পর আর গুদামে রাখা সম্ভব হয় না, সেগুলো এভাবে তিনি চালিয়ে দিয়ে আসছেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ট্যাগ অফিসার সোহেল রানাকে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
ফুলছড়ি উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি-এলএসডি) সঙ্গে কথা বলেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’
খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) মো. মোরশেদ বলেন, ‘আরে আপনারা তো বুঝেন না। চরের মানুষ লাল চালের ভাত খেতে পছন্দ করেন। তাই ওমাহরকের জন্য এগুলো বরাদ্দ রাখছম। অপনারা যেল্লা মনে করেন, ওল্লা নয়। চাল ভালো।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
৩ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
৪ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৫ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৫ ঘণ্টা আগে