দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
বৈদ্যুতিক পাখার যুগে অনেকটা হারিয়েই যেতে বসেছে হাতপাখা। তবে দেশে বর্তমানে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে হাতপাখার কদর বেড়েছে। লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা ও তীব্র গরমে মানুষের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শোভা পাচ্ছে হাতপাখা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর হাতপাখা নাড়িয়ে কিছুটা প্রশান্তি খুঁজছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ। গত পাঁচ দিনে হাত পাখা বিক্রির হিড়িক পড়েছে ফেনীর দাগনভূঞায়।
দাগনভূঞা কামার গলির হাজী রাজ্জাক কুটির শিল্পের মালিক মির হোসেন মিরাজ জানান, তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে গত কয়েক দিনে হাতপাখা বিক্রি বেড়েছে। তিনি দৈনিক পাইকারি ১০০ ও খুচরা ৫০ পিছ হাতপাখা বিক্রি করেছেন। তাঁর দোকানে সুতার, বেতের, কাপড়ের, বাঁশের, তাল পাতার ও প্লাস্টিকের হাতপাখা রয়েছে। প্রতিটি হাতপাখা খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি করছেন তিনি।
পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের নিবারণ ডাক্তার বাড়ির জোসনা রানী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে হাতপাখা বিক্রি করে আসছেন। গত কয়েক দিনের গরমে হাতপাখা বিক্রি বেড়েছে। আজ দাগনভূঞা কামার গলি থেকে তিনি পাইকারি ২০টি হাতপাখা কিনেছেন। এগুলো বাড়িতে নিয়ে বিক্রি করবেন। তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
অটোরিকশা চালক জাকির হোসেন বলেন, ‘একদিকে দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না অন্যদিকে তীব্র গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তাই একটি হাতপাখা কিনেছি। অন্তত সাময়িক সময় কিছুটা গরম থেকে স্বস্তি পাব।’
ফেনী রোডের গৃহিণী ফাতেমা বেগম বলেন, ‘দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে শিশুদের নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখন বৈদ্যুতিক পাখার পরিবর্তে হাতপাখা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি। হাতপাখা নাড়াতে নাড়াতে একপর্যায়ে হাত ব্যথা হয়ে ওঠে। অপেক্ষায় থাকি কখন বিদ্যুৎ আসবে।’
চৌমুহনী রোডের নিপু কুটির শিল্পের মালিক মো. ইয়াছিন জানান, শনিবার খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্যে ১২০ পিছ হাত পাখা দোকানে এনেছেন। এর মধ্যে ১১০ পিছ বিক্রি হয়েছে। এখন আর ১০ পিছ বাকি আছে। আজ তিনি ফেনীর পাইকারি বাজার থেকে আরও ১০০ পিছ হাতপাখার অর্ডার করেছেন। তিনি বলছেন, চাহিদার কারণে বাজারে হাতপাখার সংকট রয়েছে।
দাগনভূঞা পল্লি বিদ্যুতের ডিজিএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চাহিদা ৩০ মেগাওয়াট বিপরীতে উপজেলায় আমরা ৮ থেকে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এ জন্য আমরা গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করছি কোরবানির ঈদের আগে এ সমস্যার সমাধান হবে।’
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার তৌহিদুল ইসলাম জানান, তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। তাই শ্রমজীবী মানুষদের প্রতিদিন দৈনিক দুইবার গোসল করা উচিত। সে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বৈদ্যুতিক পাখার যুগে অনেকটা হারিয়েই যেতে বসেছে হাতপাখা। তবে দেশে বর্তমানে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে হাতপাখার কদর বেড়েছে। লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা ও তীব্র গরমে মানুষের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শোভা পাচ্ছে হাতপাখা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর হাতপাখা নাড়িয়ে কিছুটা প্রশান্তি খুঁজছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ। গত পাঁচ দিনে হাত পাখা বিক্রির হিড়িক পড়েছে ফেনীর দাগনভূঞায়।
দাগনভূঞা কামার গলির হাজী রাজ্জাক কুটির শিল্পের মালিক মির হোসেন মিরাজ জানান, তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে গত কয়েক দিনে হাতপাখা বিক্রি বেড়েছে। তিনি দৈনিক পাইকারি ১০০ ও খুচরা ৫০ পিছ হাতপাখা বিক্রি করেছেন। তাঁর দোকানে সুতার, বেতের, কাপড়ের, বাঁশের, তাল পাতার ও প্লাস্টিকের হাতপাখা রয়েছে। প্রতিটি হাতপাখা খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি করছেন তিনি।
পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের নিবারণ ডাক্তার বাড়ির জোসনা রানী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে হাতপাখা বিক্রি করে আসছেন। গত কয়েক দিনের গরমে হাতপাখা বিক্রি বেড়েছে। আজ দাগনভূঞা কামার গলি থেকে তিনি পাইকারি ২০টি হাতপাখা কিনেছেন। এগুলো বাড়িতে নিয়ে বিক্রি করবেন। তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
অটোরিকশা চালক জাকির হোসেন বলেন, ‘একদিকে দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না অন্যদিকে তীব্র গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তাই একটি হাতপাখা কিনেছি। অন্তত সাময়িক সময় কিছুটা গরম থেকে স্বস্তি পাব।’
ফেনী রোডের গৃহিণী ফাতেমা বেগম বলেন, ‘দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে শিশুদের নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখন বৈদ্যুতিক পাখার পরিবর্তে হাতপাখা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি। হাতপাখা নাড়াতে নাড়াতে একপর্যায়ে হাত ব্যথা হয়ে ওঠে। অপেক্ষায় থাকি কখন বিদ্যুৎ আসবে।’
চৌমুহনী রোডের নিপু কুটির শিল্পের মালিক মো. ইয়াছিন জানান, শনিবার খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্যে ১২০ পিছ হাত পাখা দোকানে এনেছেন। এর মধ্যে ১১০ পিছ বিক্রি হয়েছে। এখন আর ১০ পিছ বাকি আছে। আজ তিনি ফেনীর পাইকারি বাজার থেকে আরও ১০০ পিছ হাতপাখার অর্ডার করেছেন। তিনি বলছেন, চাহিদার কারণে বাজারে হাতপাখার সংকট রয়েছে।
দাগনভূঞা পল্লি বিদ্যুতের ডিজিএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চাহিদা ৩০ মেগাওয়াট বিপরীতে উপজেলায় আমরা ৮ থেকে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এ জন্য আমরা গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করছি কোরবানির ঈদের আগে এ সমস্যার সমাধান হবে।’
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার তৌহিদুল ইসলাম জানান, তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। তাই শ্রমজীবী মানুষদের প্রতিদিন দৈনিক দুইবার গোসল করা উচিত। সে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বরেন্দ্র অঞ্চলে দিন দিন পানিসংকট বাড়ছেই। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ২৭টি ইউনিয়ন অতি সংকটাপন্ন এলাকা হয়ে পড়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনার পাশাপাশি জনসচেতনতার বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ দরকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের।
২ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিলিং ও সার্ভার শাখায় তালা ঝুলিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) খন্দকার মাহমুদুল হাসানকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। আজ বুধবার সকালে জেলার শ্রীনগর উপজেলার বেজগাঁও এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে
১৬ মিনিট আগেকোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাছুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন।
২৫ মিনিট আগেবছর তিনেক আগে মাছ ধরার সময় প্রায় ১২ থেকে ১৪ কেজির ওজনের একটি রুই মাছ তাঁর কান বরাবর আঘাত করে। এরপর পুকুরে পানিতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে অন্য জেলেরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। প্রচণ্ড আঘাতে কবিরুল এখন কানে কম শোনেন। এর পর থেকে কবিরুল ক্রিকেট হেলমেট ছাড়া পুকুরে নামেন না।
৩২ মিনিট আগে