ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অন্য সবাইকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করে প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং দেশের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ফরিদপুর শহরের ইমামউদ্দিন স্কয়ারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতারা। দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার বিচার চেয়ে ও বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি বর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে এ সমাবেশের আয়োজন করেন দলটির জেলা শাখা।
এতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলার নেতৃবৃন্দসহ কয়েক শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায় এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী।
বক্তব্যকালে জাফরী বলেন, ‘এ দেশে আমরা হিন্দুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। এখন যদি তারা আমাদের ঘাড়ের ওপর উঠে বসে, তাহলে আমরা বসে থাকব না।’
জাফরী আরও বলেন, ‘মধুখালীতে পঞ্চপল্লীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজে চাঁদা চেয়েছিল এক ইউপি সদস্য, আর পেছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন ওই ইউপির চেয়ারম্যান। সেখানে নিহত আশরাফুল বাধা দিয়েছিল। যার কারণে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় দুই ভাইকে।’
চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সবাইকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করে প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়ে জাফরী বলেন, ‘ওই চেয়ারম্যানকে আপনারা কেন খুঁজে পাচ্ছেন না? এটা আমাদের কাছে আইওয়াশ মনে হচ্ছে। আমরা জেনেছি, ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা যেন আইওয়াশ না হয়। ১৫ দিনের মধ্যে সকলকে গ্রেপ্তার না করলে আমরা মাঠে নামতে বাধ্য হবে।’
এ সময় ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও দৃষ্টান্তমূলক কিছু করা হয়নি। প্রশাসন কাদের পক্ষ নিয়েছে, কাদের খুশি করতেছে—আপনারা তা বুঝতে পেরেছেন। আমাদের আইওয়াশ করা হচ্ছে, দুদিন পর এটি লাপাত্তা হয়ে যাবে। এখনো চেয়ারম্যান এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল, সহসভাপতি মাওলানা শামসুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আমজাদ হুসাইনসহ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা দেশের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ দরজার ব্যবস্থা করার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, কোনো মুসলিম মন্দিরে আগুন দেন না, হামলাও করেন না। প্রতিটি মন্দিরে হিন্দুদেরই নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে মন্দিরে মন্দিরে আগুন কারা দিচ্ছে জানা যাবে। এ ছাড়া তারা সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সমাবেশে আগতদের ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করেন দেন।
ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অন্য সবাইকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করে প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং দেশের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ফরিদপুর শহরের ইমামউদ্দিন স্কয়ারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতারা। দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার বিচার চেয়ে ও বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি বর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে এ সমাবেশের আয়োজন করেন দলটির জেলা শাখা।
এতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলার নেতৃবৃন্দসহ কয়েক শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায় এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী।
বক্তব্যকালে জাফরী বলেন, ‘এ দেশে আমরা হিন্দুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। এখন যদি তারা আমাদের ঘাড়ের ওপর উঠে বসে, তাহলে আমরা বসে থাকব না।’
জাফরী আরও বলেন, ‘মধুখালীতে পঞ্চপল্লীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজে চাঁদা চেয়েছিল এক ইউপি সদস্য, আর পেছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন ওই ইউপির চেয়ারম্যান। সেখানে নিহত আশরাফুল বাধা দিয়েছিল। যার কারণে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় দুই ভাইকে।’
চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সবাইকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করে প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়ে জাফরী বলেন, ‘ওই চেয়ারম্যানকে আপনারা কেন খুঁজে পাচ্ছেন না? এটা আমাদের কাছে আইওয়াশ মনে হচ্ছে। আমরা জেনেছি, ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা যেন আইওয়াশ না হয়। ১৫ দিনের মধ্যে সকলকে গ্রেপ্তার না করলে আমরা মাঠে নামতে বাধ্য হবে।’
এ সময় ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও দৃষ্টান্তমূলক কিছু করা হয়নি। প্রশাসন কাদের পক্ষ নিয়েছে, কাদের খুশি করতেছে—আপনারা তা বুঝতে পেরেছেন। আমাদের আইওয়াশ করা হচ্ছে, দুদিন পর এটি লাপাত্তা হয়ে যাবে। এখনো চেয়ারম্যান এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল, সহসভাপতি মাওলানা শামসুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আমজাদ হুসাইনসহ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা দেশের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ দরজার ব্যবস্থা করার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, কোনো মুসলিম মন্দিরে আগুন দেন না, হামলাও করেন না। প্রতিটি মন্দিরে হিন্দুদেরই নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে মন্দিরে মন্দিরে আগুন কারা দিচ্ছে জানা যাবে। এ ছাড়া তারা সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সমাবেশে আগতদের ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করেন দেন।
পুরান ঢাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ওই বাসার সিঁড়িতে লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।
১২ মিনিট আগেশেরেবাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক বলেন, ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
১৬ মিনিট আগেগাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ‘ভুল’ চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ‘মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম’ সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান। এর আগে গত
২৫ মিনিট আগেআজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের মালিকেরা তাঁদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেও এখনো সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন প্রাইম মুভার ও ট্রেইলারচালক-মালিকেরা।
৩৪ মিনিট আগে