ফরিদপুর প্রতিনিধি
‘যদি টাহা দিত তাইলে আমার বাবারে গুলি কইর্যা মারত না। আমার ছাওয়ালরে আইন্না দে রে... আমি টাহা চাই না রে...।’ এসব বলতে বলতে বিলাপ করছেন লিবিয়ায় নিহত আকাশ হাওলাদার ওরফে রাসেলের মা লিপিয়া বেগম।
আকাশ হাওলাদার ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মজিবুর হাওলাদারের ছেলে। ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ২৩ জানুয়ারি বাড়ি ছাড়েন তিনি। পরে লিবিয়ায় থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার মৃত্যুর সংবাদ পায় পরিবার। একই সঙ্গে ওই গ্রামের মিজানুর রহমান মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদারও মারা যান। তাঁদের পরিবারের দাবি, দালাল চক্র মাফিয়াদের টাকা না দেওয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আকাশ হাওলাদারের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, মা লিপিয়া বেগমের আহাজারি। শোকে পাগলপ্রায় তিনি। ছেলের সঙ্গে গত ২৪ জানুয়ারি শেষ কথা হয় তাঁর। তিনি বলেন, ‘রাসেল আমারে বলছে, মা আমার জন্য দোয়া করো। আমি চার-পাঁচ দিনের মধ্যে কথা বলতে পারব না। মৌলভির (দালাল আনোয়ার মাতুব্বর) কাছে আমার খবর শুনবা। আমার ফোন নিয়ে গ্যাছে। ইয়্যা কইয়্যা আমার বাজান আটকে গেছেরে। ওই মৌলভি ব্যাটা যদি টাহা দিত, তাইলে আমার ছাওয়ালরে জীবনে গুলি করে মারত না।’
একমাত্র বসবাসের ভিটেমাটি, মাঠের জমিসহ গয়না বিক্রি করে এবং ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ১৬ লাখ টাকায় ছেলেকে ইতালি পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন আকাশের বাবা মজিবুর হাওলাদার। মজিবুর হাওলাদার বলেন, ‘আমরা কী বিচার পাব?’ তিনি বলেন, ‘এলাকার অনেকেই লিবিয়ায় গেছে। এসব দেখে আমার ছেলে বায়না ধরে, সে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাবে। পরে স্থানীয় পরিচিত আনোয়ার মাতুব্বরের মাধ্যমে সহায়-সম্বল বিক্রি করে ১৬ লাখ দিয়ে পাঠিয়ে দেই। পরে গত ২৪ জানুয়ারি দালালেরা ফোন করে বলে, ওদের বোট ছাড়া হয়েছে, ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ইতালি পৌঁছাবে। কিন্তু দুদিন পার হয়ে গেলেও ছেলের কোনো খোঁজ পাইনি। পরে দালাল বলে, ২-৩ ঘণ্টা নৌকা চলার পর বিস্ফোরণ হয়ে গেছে। তাদের কোস্ট গার্ড উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছে, অনেকে আবার সাঁতরে পাড়ে এসেছে। তখন আমি বলি, হাসপাতালে গিয়ে আমার ছেলেকে দেখান। কিন্তু ৫ দিন পার হয়ে গেলেও খোঁজ দিতে পারেনি। এরপর মারা গেছে বলে জানতে পারছি।’
নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনটি দালাল চক্রের মাধ্যমে লিবিয়ায় পৌঁছান আকাশ ও হৃদয়। প্রথমে একই এলাকার আনোয়ার মাতুব্বরের মাধ্যমে পাঠানো হয় তাঁদের। পরে আনোয়ার মাতুব্বর তাঁর শ্বশুর মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মোল্লাদি গ্রামের শহিদ শেখের হাতে তাঁদের তুলে দেন। সেখান থেকে লিবিয়ার বাসিন্দা হামেদ আল গাম্বী নামের এক দালালের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এভাবে তারা লিবিয়ায় পৌঁছান।
‘যদি টাহা দিত তাইলে আমার বাবারে গুলি কইর্যা মারত না। আমার ছাওয়ালরে আইন্না দে রে... আমি টাহা চাই না রে...।’ এসব বলতে বলতে বিলাপ করছেন লিবিয়ায় নিহত আকাশ হাওলাদার ওরফে রাসেলের মা লিপিয়া বেগম।
আকাশ হাওলাদার ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মজিবুর হাওলাদারের ছেলে। ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ২৩ জানুয়ারি বাড়ি ছাড়েন তিনি। পরে লিবিয়ায় থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার মৃত্যুর সংবাদ পায় পরিবার। একই সঙ্গে ওই গ্রামের মিজানুর রহমান মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদারও মারা যান। তাঁদের পরিবারের দাবি, দালাল চক্র মাফিয়াদের টাকা না দেওয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আকাশ হাওলাদারের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, মা লিপিয়া বেগমের আহাজারি। শোকে পাগলপ্রায় তিনি। ছেলের সঙ্গে গত ২৪ জানুয়ারি শেষ কথা হয় তাঁর। তিনি বলেন, ‘রাসেল আমারে বলছে, মা আমার জন্য দোয়া করো। আমি চার-পাঁচ দিনের মধ্যে কথা বলতে পারব না। মৌলভির (দালাল আনোয়ার মাতুব্বর) কাছে আমার খবর শুনবা। আমার ফোন নিয়ে গ্যাছে। ইয়্যা কইয়্যা আমার বাজান আটকে গেছেরে। ওই মৌলভি ব্যাটা যদি টাহা দিত, তাইলে আমার ছাওয়ালরে জীবনে গুলি করে মারত না।’
একমাত্র বসবাসের ভিটেমাটি, মাঠের জমিসহ গয়না বিক্রি করে এবং ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ১৬ লাখ টাকায় ছেলেকে ইতালি পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন আকাশের বাবা মজিবুর হাওলাদার। মজিবুর হাওলাদার বলেন, ‘আমরা কী বিচার পাব?’ তিনি বলেন, ‘এলাকার অনেকেই লিবিয়ায় গেছে। এসব দেখে আমার ছেলে বায়না ধরে, সে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাবে। পরে স্থানীয় পরিচিত আনোয়ার মাতুব্বরের মাধ্যমে সহায়-সম্বল বিক্রি করে ১৬ লাখ দিয়ে পাঠিয়ে দেই। পরে গত ২৪ জানুয়ারি দালালেরা ফোন করে বলে, ওদের বোট ছাড়া হয়েছে, ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ইতালি পৌঁছাবে। কিন্তু দুদিন পার হয়ে গেলেও ছেলের কোনো খোঁজ পাইনি। পরে দালাল বলে, ২-৩ ঘণ্টা নৌকা চলার পর বিস্ফোরণ হয়ে গেছে। তাদের কোস্ট গার্ড উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছে, অনেকে আবার সাঁতরে পাড়ে এসেছে। তখন আমি বলি, হাসপাতালে গিয়ে আমার ছেলেকে দেখান। কিন্তু ৫ দিন পার হয়ে গেলেও খোঁজ দিতে পারেনি। এরপর মারা গেছে বলে জানতে পারছি।’
নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনটি দালাল চক্রের মাধ্যমে লিবিয়ায় পৌঁছান আকাশ ও হৃদয়। প্রথমে একই এলাকার আনোয়ার মাতুব্বরের মাধ্যমে পাঠানো হয় তাঁদের। পরে আনোয়ার মাতুব্বর তাঁর শ্বশুর মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মোল্লাদি গ্রামের শহিদ শেখের হাতে তাঁদের তুলে দেন। সেখান থেকে লিবিয়ার বাসিন্দা হামেদ আল গাম্বী নামের এক দালালের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এভাবে তারা লিবিয়ায় পৌঁছান।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার একদিনেই পাঁচজন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর উপজেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। আজ বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর
৩৩ মিনিট আগেসংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসে দুই ইউনিয়ন বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আজ বুধবার তৃতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছে। আজকের কর্মসূচিকে ঘিরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর বাউফলে এখন মাঠজুড়ে কৃষকের আমন ধান রোপণের ব্যস্ততা চলছে। বর্ষার পানি নেমে আসায় উপজেলার কৃষকরা জমিতে আমন রোপণের কাজে লেগে পড়েছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষক-শ্রমিকেরা হাটু পানিতে দাঁড়িয়ে চারা রোপণ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেকর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে নদীর দুই পাশে যাত্রী সাধারণ দুর্ভোগে পড়েছেন। গতকাল দিবাগত রাত ৩ টা থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই লেক থেকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট দিয়ে নদীতে পানি ছাড়া হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে