Ajker Patrika

অব্যাহতির সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ বললেন এ কে আজাদ সমর্থক আ.লীগ নেতারা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯: ০৬
অব্যাহতির সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ বললেন এ কে আজাদ সমর্থক আ.লীগ নেতারা

নৌকার বিপক্ষে ভোট করায় ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ জনকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি ‘অবৈধ’ বলে দাবি করেছেন ওই নেতারা। একই সঙ্গে তাঁরা এই আদেশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান। 

আজ শুক্রবার শহরের ঝিলটুলিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান তাঁরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ জনকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শওকত আলী জাহিদ বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি অব্যাহতিপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও হাস্যকর। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগলের গণজোয়ার নস্যাৎ করার জন্য ত্যাগী নেতাদের নামে এ অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ 

অব্যাহতিপত্র অবৈধ দাবি করে তিনি বলেন, ‘জেলা কমিটির কোনো সদস্যকে সরাসরি অব্যাহতি দেওয়া যায় না। কোনো সদস্য অপরাধ করলে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয়। তারপর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভায় দুই-তৃতীয়াংশের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটিকে সুপারিশ করতে পারে। 

‘কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ এমন একটি অব্যাহতিপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে, যা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ। মূলত এ কে আজাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এই অব্যাহতিপত্র প্রদান করা হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবে। ফলে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, কোনো কোনো জায়গায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু অন্য কোথাও এমন অব্যাহতির ঘটনা ঘটেনি।’ 

লিখিত বক্তব্যে এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জামাল হোসেন মিয়া ও সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেনের নাম অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। এতে প্রমাণ হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবস্থান নিয়েছেন। সুতরাং, এই অব্যাহতিপত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের পরিপন্থী।’ 

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গঠনতন্ত্রের ৪৭ (৫) ধারায় উল্লেখ আছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে উল্লিখিত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর সুযোগদানের উদ্দেশ্যে যুক্তিসংগত সময় দিয়ে সাধারণ সম্পাদক পোস্টাল রেজিস্ট্রেশনপূর্বক নোটিশ ‍দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু তা করা হয়নি।’ এ ছাড়া অব্যাহতিপত্রে ৪৭ (১) এবং ৪৭ (১০) ধারা মানা হয়নি বলে দাবি করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত না হওয়া প্রসঙ্গে নেতৃবৃন্দ বলেন, তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর জনসভার বিষয়টি অবহিত করা হয়নি। সভায় যোগদানের জন্য কিছু প্রক্রিয়া আছে। করোনা টেস্ট, ছবি ও আইডি কার্ড দিয়ে অনুমতি নিতে হয়। ‘সে ক্ষেত্রে আমাদের আহ্বান করা হয়নি।’ 

অব্যাহতিপত্রের মাধ্যমে মানহানি করা হয়েছে উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এই মানহানি করার অধিকার কোনো ব্যক্তির নেই। আমরা পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব, এই অব্যাহতির বিরুদ্ধে লিগ্যাল এইড (আইনি নোটিশ) পাঠাব।’ 

এ সময় উপস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী জাতীয় সংসদ। সেই কমিটিতে যাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে, তা সেখানে আলোচনা করা হবে এবং সিদ্ধান্ত যদি হয় কাউকে বহিষ্কার করতে হবে–তাহলে বহিষ্কার হবে। সুতরাং, এটা একটি মতলববাজি।’ 

সংবাদ সম্মেলনে (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৫৯
খান সানজিয়া সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত
খান সানজিয়া সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ড. মোছা. সানজিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। বিধি অনুযায়ী তিনি সব সুবিধা পাবেন।

নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি চিঠি পেয়েছেন এবং এর পর থেকে দায়িত্ব নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মুসিন উদ্দিন ইউজিসির চারটি অবজারভেশনসহ নানা কারণে পদত্যাগ করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে হেলমেট ছাড়াই মোটরসাইকেলে সতর্ক মহড়ায় পুলিশ, ভিডিও ভাইরাল

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত

‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত

তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জনগণের জানমাল রক্ষায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ মহড়া দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী আলফাডাঙ্গা বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়, জনবহুল স্থান ও গ্রামীণ এলাকায় টহল দেওয়া হয়। এতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলযোগে উপজেলাজুড়ে টহল ও মহড়ায় অংশ নেন। এ সময় তাঁরা জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।

পরে ওই মহড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন এসআই লিয়াকত হোসেন, যা ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ছয়টি মোটরসাইকেলে পুলিশের দুজন সদস্য করে ১২ জন রয়েছেন এবং ছয়জন চালকসহ কারও মাথায় হেলমেট নেই। তাঁদের পেছনে ছিল টহলরত আরও একটি জিপগাড়ি।

ফরিদপুর নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কান্তি বালা পান্না বলেন, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট না পরা, এটা একটা অপরাধ। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালালে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। অবশ্যই তাঁদের হেলমেট পরা উচিত ছিল।

জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আসলে হেলমেট পরা উচিত ছিল। কিন্তু হেলমেটটা পরলে ওইভাবে আমরা যে মুভ করতেছি, বোঝা যেত না। পরলে ভালো হতো। আসলে সব ভুল ধরলে তো আর কাজ করা যাবে না। পরে আমরা হেলমেট পরে নেব।’

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ‘টহলের সময় আমি ছিলাম না। বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি দেখছি। যদি এমন হয়, তাহলে পরবর্তীতে যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আটজন। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আটজন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেনসাগর (৩০), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম ওরফে সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), ওসমান (২৮) ও দিদারুল আলম রাসেল (২৪)।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় নগরের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোডের সৈয়দ শাহ রোড এলাকায় ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি হয়। যুবদল নেতা পরিচয় দেওয়া সোহেল ও বোরহান উদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার অনুসারীদের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বাকলিয়া থানা-পুলিশ জানায়, গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় যুবদল কর্মী সাজ্জাদ হোসেন মারা যান। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও ১৩ জন। তাঁরা হলেন মো. পারভেজ (২০), শরীফ (২৯), রিফাত (২৫), ইউসুফ (৩০), জিসান (২২), জুয়েল (২৫), একরাম (২৩), ইব্রাহিম (২৩), শুক্কুর (২৫), ওবাইদুল (৩০), সাব্বির (২২), ফারুক (২৮) ও ফয়সাল (২০)।

তবে ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় ব্যানার টানানোসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর গুলিবর্ষণ করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পুলিশের তথ্যে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (২৯), নজরুল ইসলাম সোহেল (৪২), মিল্টন (৪৪), বাদশা ওরফে ছোট বাদশা (৩০), ইউসুফ ওরফে হিরন (২৫), সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেন সাগর (৩০), মোহাম্মদ দিদার (৪৫), রিয়াজ করিম (৩৩), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), বোরহান (২৫), মোজাহের মেম্বার (৫০), এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) ও নাঈম উদ্দিন (২৪)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, মামলার আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম সোহেল যুবদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকলেও তাঁরা গত বছর অভ্যুত্থানের আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত সোমবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাটির সূত্রপাত বোরহান উদ্দিনের একটি ব্যানার টানানো নিয়ে। ওই ব্যানারে বোরহান নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে চসিক মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেনের ছবি যুক্ত করেছিলেন।

একই মামলায় এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যিনি সারা দেশে আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

ভোলার বিরুদ্ধে মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলে পুলিশ। তবে ভোলা এসব অস্বীকার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হালদায় ভেসে উঠেছে ২০ কেজি ওজনের মৃত কাতলা

রাউজান প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম 
হালদায় ভেসে উঠেছে ২০ কেজি ওজনের মৃত কাতলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হালদায় ভেসে উঠেছে ২০ কেজি ওজনের মৃত কাতলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন ফাহিম জানান, প্রায় ২৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের কাতলা মাছটির বয়স ছিল ১১-১২ বছর। মাছটির দেহে গুরুতর কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং অর্ধেকের বেশি পচে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

প্রাথমিকভাবে এটি একটি পুরুষ মাছ বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং বার্ধক্যজনিত কারণে এটির মৃত্যু হতে পারে। সুরতহাল শেষে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মৃত মাছটি মাটিচাপা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে হালদা নদী অরক্ষিত। এ সুযোগে হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে জাল ও বড়শি দিয়ে প্রতিনিয়ত মাছ ধরা হচ্ছে। তাই এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে নিয়মিত প্রশাসনিকভাবে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত