Ajker Patrika

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার: ভোটের আগের দিন কারাগারে চেয়ারম্যান প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪, ০১: ০৩
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার: ভোটের আগের দিন কারাগারে চেয়ারম্যান প্রার্থী

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ আস-সামছ জগলুল হোসেন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই মামলায় ফরিদপুরের পৌর মেয়র অমিতাভ বোস ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নাসিমকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের এই তিন নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। দুপুরের পর শুনানি শেষে আদালত একজনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ও অপর দুজনকে জামিন দেন।

ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল এই মামলায় সাবেক মন্ত্রীর ভাই মোহতেশামসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন এই আদালত।

গত বছর ২৫ জুন এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন ৩৭ জন আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগের অভিযোগপত্রে ১০ জন আসামি ছিলেন।

এই মামলায় ৪৭ আসামির মধ্যে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমানসহ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী রয়েছেন।

গত বছর ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তাঁরা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তাঁরা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।

পরে এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হাসান একটি দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে জানান, এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে অর্থ পাচারের দায় স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে আসামি নিশান মাহমুদ শামীম ও বিল্লাল হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। কিন্তু তাঁদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্যদিকে অন্যান্য আসামির স্বীকারোক্তিতে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়ে গেছে এমন কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাঁদেরকেও মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আদালত শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। পরে অধিকতর তদন্ত শেষে আরও ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘নির্যাতন সইতে না পেরে’ কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন, গৃহবধূর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মিতু বেগম। ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মিতু বেগম। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ এক গৃহবধূ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। যৌতুকের জন্য স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মারা যাওয়া নারীর নাম মিতু বেগম (২০)। গায়ে আগুন দেওয়ার পাঁচ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মিতু বেগম ফরিদগঞ্জের উত্তর হাঁসা গ্রামের অটোরিকশাচালক রাকিবের স্ত্রী।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিতু তাঁর স্বামীর বসতঘরে পারিবারিক কলহের জেরে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় তাঁর মা পারভীন বেগম ফরিদগঞ্জ থানায় মিতুর স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে যৌতুকের জন্য চাপ ও নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়।

পারভীন বেগম বলেন, ‘তিন বছর আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে জামাতা ও তার পরিবার আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় এবং শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও আমার মেয়েকে মারধর করলে নির্যাতন সইতে না পেরে নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাঁচ দিন পর আমার মেয়ের মৃত্যু হয়। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার চাই।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিতু বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর স্বামী রাকিব ও পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অগ্নিদগ্ধ মিতু ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর মায়ের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় আসামি দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জেলার গৌরীপুর উপজেলার বাড়িওয়ালাপাড়ার এলবার্ট ডেবিট বাদলের দুই ছেলে এলবার্ট ডেবিট রকি (২৫) ও এলবার্ট ডেবিট সেন্টু (৪০)। তাঁরা পলাতক রয়েছেন। আদালত পরিদর্শক পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান মামলার রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গৌরীপুর পাটবাজারে টিপু সুলতান জুয়েলার্সে সোনার দরদাম নিয়ে রকি ও সেন্টুর সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ সময় দোকানির চাচাতো ভাই জহিরুল ইসলাম মিঠু বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে এলে সেন্টু বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে মিঠুর বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মিঠুকে প্রথমে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মিঠুকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন জহিরুল ইসলাম মিঠুর বাবা মো. মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের অনুদান দেয় বিআরটিএ, জানেন না ইউএনও

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভায় বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভায় বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ও আহত ব্যক্তিরা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ট্রাস্টি বোর্ড থেকে অনুদান পেতে পারেন। নিহত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ৫ লাখ টাকা আর আহত বিবেচনায় দেওয়া হয় ১ থেকে ৩ লাখ টাকা। এ টাকা দেওয়ার জন্য প্রতিবেদন প্রস্তুত করে প্রথম সুপারিশটি করে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। অথচ রাজশাহীর বাগমারার ইউএনও মাহবুবুল ইসলাম এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।

বিআরটিএর ট্রাস্টি বোর্ড থেকে ২০২৩ সাল থেকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে এই অনুদানের ব্যাপারে কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। এ সময় তিনি সভায় উপস্থিত বাসচালক, হেলপার, শ্রমিক নেতা ও পরিবহনমালিকদের কাছে জানতে চান, তাঁরা এই অনুদানের বিষয়ে কিছু জানেন কি না। এ সময় বেশ কিছু ব্যক্তি উচ্চস্বরে জানান, তাঁদের জানানো হয়নি।

তখন বিভাগীয় কমিশনার উপস্থিত বিআরটিএ কর্মকর্তাদের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে বলেন। তখন বিআরটিএর একজন কর্মকর্তা বলতে থাকেন, ‘উপজেলা অফিসারেরা উপজেলা থেকে সুপারিশ পাঠান...।’ তখন তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘উপজেলা অফিসার কে? উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলতে পারেন না?’ এ সময় পাশ থেকে আরও একজন বিআরটিএর কর্মকর্তা বলতে শুরু করলে তিনিও ‘ইউএনও’ বলতে ভুল করেন। তাঁকেও থামিয়ে দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা পর্যায় থেকে আহত-নিহত ব্যক্তিদের তথ্য জেলা প্রশাসককে পাঠাবেন। তারপর ট্রাস্টি বোর্ডে যাবে।

এ সময় বিভাগীয় কমিশনার জানতে চান, গত ২৪ আগস্ট জেলার বাগমারায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুজনকে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে কি না। তিনি বাগমারার ইউএনওকে ফোন করতে বলেন। জেলা প্রশাসনের একজন নারী কর্মকর্তা বাগমারার ইউএনও মাহবুবুল ইসলামকে ফোন করে বিভাগীয় কমিশনারকে কথা বলতে দেন। বিভাগীয় কমিশনার মোবাইল ফোনে লাউড স্পিকার দিয়ে সেটি মাইক্রোফোনের সামনে ধরে কথা বলেন।

কমিশনার বলেন, ‘মাহবুবুল ইসলাম, তোমার ওইখানে মাস দু-এক আগে যে একটা অ্যাকসিডেন্টে মা মারা গেল দুইটা বাচ্চা রেখে, সেখানে গেছিলা তুমি, সেই বাড়িতে?’ ইউএনও বলেন, ‘জি স্যার।’ কমিশনার জানতে চান, ‘সেই বাচ্চাদের অবস্থা কী?’ ইউএনও বলেন, ‘বাচ্চাদের অবস্থা এখন ভালো স্যার। আর দুজনকে স্যার ৫০ হাজার ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।’ বিভাগীয় কমিশনার জানতে চান, ‘এই টাকা তুমি কই পাইলা?’ ইউএনও জানান, উপজেলা পরিষদের অপ্রত্যাশিত ব্যয় থেকে এটা দেওয়া হয়েছে।

এরপর বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘বিআরটিএর যে এই ধরনের অনুদানের খাত রয়েছে, এটা তুমি জানো?’ এ সময় কিছুটা থেমে ইউএনও বলেন, ‘জি স্যার, এইটা জানা ছিল না আমার।’ বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘এইটা তুমি জানো না, এইটা কেউই জানে না। এখন আমরা বিআরটিএর অনুষ্ঠান থেকে তোমাকে ফোন দিচ্ছি। সমস্ত সাংবাদিক ভাইয়েরা আছেন। মালিক সমিতি, আমাদের বিভিন্ন ধরনের লোকজন আছে। বিআরটিএতে এই ধরনের ফান্ড করা হয়েছে। যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তাঁর পরিবার ৫ লাখ টাকা পাবে, কেউ আহত হলে সর্বনিম্ন ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পাবেন। অতএব, তুমি ওই পরিবারকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার জন্য বলো। আর যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, জেলা প্রশাসনকে বলছি—সকল কেস, কোনো কেস যেন বাদ না পড়ে। সবাই আবেদন করবে।’

বিভাগীয় কমিশনার জানান, সড়ক দুর্ঘটনার এক মাসের মধ্যে অনুদানের জন্য আবেদন করতে হয়। তবে এক মাসের নয়, রাজশাহীতে যেন এক বছর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয়, সেই নির্দেশনা দেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান।

সভায় রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল বলেন, ‘প্রতিটা গাড়ির যখন আমরা ফিটনেস সনদ নিই, তখন কিন্তু এই টাকা আমাদের মালিকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। প্রতিটি গাড়ির জন্য ১ হাজার ৭০০ টাকা দিতে হয়। এই টাকাটা সবাইকে দেওয়ার জন্য আমরা খুব আন্তরিকভাবে চেষ্টা করি। কিন্তু তাদের প্রচারটা খুব কম। অনেক মানুষ জানেই না, কীভাবে কার কাছে আবেদন করবে। এখন সবাই জানলেন।’ এক বছর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তিনি বিভাগীয় কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।

জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেল এ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক ফয়সাল হাসানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিয়ের দাবিতে দড়ি হাতে মেয়ের বাড়িতে যুবকের অনশন

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
বিয়ের দাবিতে দড়ি হাতে মেয়ের বাড়িতে যুবকের অনশন

ছবি: প্রতীকীএক কলেজছাত্রীকে প্রেমিকা দাবি করে বিয়ের দাবিতে তাঁর বাড়িতে ফাঁসির দড়ি হাতে উপস্থিত হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবক। দাবি না মানলে আত্মহত্যার হুমকিও দেন তিনি। পরে তাঁর এক আত্মীয় এসে তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রবিউল একই উপজেলার উত্তর মেরুন্ডি এলাকার বাসিন্দা। তিনি একজন ঠিকাদারি ব্যবসায়ী।

রবিউল জানান, ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকলেও এখন তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন। এতে সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই তিনি ফাঁসির দড়ি নিয়ে এসেছেন।

অন্যদিকে কলেজছাত্রী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তার (রবিউল) সঙ্গে শুধু কথাবার্তা ও দু-একবার দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছিল। প্রেম বা বিয়ের কোনো সম্পর্ক ছিল না।

সে ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। আমি এই ছেলেকে বিয়ে করব না। ও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। এক আত্মীয় ছেলেকে নিয়ে গেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত