Ajker Patrika

হিলিতে দুদিনের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
হিলিতে দুদিনের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ

ঈদুল ফিতর আসতে আরও কয়েক দিন সময় বাকি থাকলেও এরই মধ্যে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। এবারে দাম বাড়ার তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে রসুনের নাম। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা করে। দুদিন আগে প্রতি কেজি রসুন ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তবে সরবরাহ কমের কারণে রসুনের দাম বাড়তি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। 

হিলি বাজারে রসুন কিনতে আসা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাজারে কোন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই যে যার মতো যখন যেভাবে পারছে জিনিসপত্রের বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছে। একেতো রমজান মাসের কারণে বাড়তি খরচের জোগান দিতে আমাদের মতো মানুষদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর ওপর বাজারে প্রতিদিন কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ছে যার কারণে আমাদের মতো মানুষদের চলা একেবারেই অসম্ভব বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুদিন আগে বাজার থেকে যে রসুন কিনলাম ৩০ টাকা কেজি দরে সেই রসুন এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। যেই দেখেছে ঈদ ঘনিয়ে আসছে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি রয়েছে সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরা রসুনের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে।’ 

হিলি বাজারের রসুন বিক্রেতা মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন পূর্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হিলি বাজারে রসুন আসত, যার কারণে বাজারে আমদানি বেশি হতো এবং দাম কম ছিল, দিনদিন রসুনের সরবরাহ কমে আসার কারণে বাজার এখন বাড়তির দিকে, দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি রসুনের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, তিন চার দিন আগে হিলি বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি।’ 

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, ‘তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ে কেউ যেন কোন ধরনের কারসাজি করতে না পারে বা এ জন্য বাজারে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে মূল্যতালিকা না টাঙানোয় ও বাড়তি মূল্যে পণ্য বিক্রির দায়ে বেশ কয়েকটি দোকানকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদ জাকসু নেতাদের

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকা 
জাবি ক্যাম্পাসে জাকসু ও হল সংসদের নেতাদের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাবি ক্যাম্পাসে জাকসু ও হল সংসদের নেতাদের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিলে ‘শহীদ আলিফ যেই গেটে, ছাত্রলীগ কেন সেই গেটে’, ‘ছাত্রলীগ মিছিল করে, প্রশাসন কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-সংলগ্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বটতলায় এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিত নেতারা। মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।

সমাবেশে জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে তাদের উপস্থিতি জানান দিতে চাইছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেও তাদের কিছু সদস্য উপস্থিত হয়ে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালায়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সুযোগ বাইরে থেকে নয়, বরং ভেতর থেকে দেওয়া হচ্ছে। জুলাইয়ের হামলাকারীদের বিচার ও জাকসু নির্বাচনের পর আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে আজও আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। প্রশাসনকে সতর্ক করছি, আপনারা কি ফ্যাসিবাদী দোসরদের পুনর্বাসন করতে চান, নাকি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট রক্ষা করতে চান? বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই নিষিদ্ধ সংগঠনের উপস্থিতি আমরা মেনে নেব না। অবিলম্বে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে নতুবা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ কেমন হতে পারে, তা আপনারা ভালোভাবেই জানেন।’

জাকসুর সহসভাপতি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘আমরা খুবই লজ্জিত হয়েছি, যখন দেখেছি গতকাল রাতে আমাদের প্রধান ফটকের সামনে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা মানববন্ধন করে যায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেসব ব্যক্তি বসে আছেন, এটা কিন্তু আপনাদের জন্য অনেকটা লজ্জার।’

এর আগে একই ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাখা ছাত্রদল ও জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃত্বে শামসুল আলম-জামাল উদ্দিন

জাবি প্রতিনিধি 
অধ্যাপক শামসুল আলম ও অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক শামসুল আলম ও অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সভাপতি এবং পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫ পদের মধ্যে ৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৫৪ জন ভোট দেন। ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক খন্দকার শরিফুল হুদা ফলাফল ঘোষণা করেন।

সহসভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছালেহ আহাম্মদ খান, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানসুর, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুন হোসেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা। এই পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যুগ্ম সম্পাদক পদে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রায়হান শরীফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

এ ছাড়া অন্য পদগুলোতে শিক্ষকেরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক আল-আমিন খান, কোষাধ্যক্ষ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক গণিত বিভাগের অধ্যাপক আমিনুর রহমান খান, প্রচার সম্পাদক পদে একই বিভাগের এস এম মাহমুদুল হাসান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইনস্টিটিউড অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক মো. ফজলুল করিম পাটোয়ারী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া, পরিবেশ ও গবেষণা সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল হালিম এবং নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শামছুন নাহার নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া কার্যকরী সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক মো. গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক মোহা. তালিম হোসেন, অধ্যাপক নাহিদ আখতার, কামরুন নেছা খন্দকার, অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, অধ্যাপক আবু ফয়েজ মো. আসলাম, অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, অধ্যাপক তাসলিমা নাহার, অধ্যাপক মোহাম্মদ এমাদুল হুদা, অধ্যাপক এ কে এম জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার ও অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। নির্বাচিত হয়ে আমি আনন্দিত এবং সেই সঙ্গে এই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জয়ী-পরাজিত সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে কাজ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভৈরবে মশাল মিছিল, জেলা ঘোষণা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
শহরের দুর্জয় মোড় থেকে মশাল মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শহরের দুর্জয় মোড় থেকে মশাল মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণা এবং রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন আন্দোলনকারীরা। গণঅধিকার পরিষদ ভৈরবের সমন্বয়ক ও জেলা আন্দোলনের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজলের ডাকে সাড়া দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরবের দুর্জয় মোড়ে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। পরে তাঁরা জেলা আন্দোলনের নেতা নজরুল ইসলাম জিহাদের নেতৃত্বে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুর্জয় মোড় থেকে মশাল মিছিল নিয়ে ভৈরব থানা এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দুর্জয় মোড়ে এসে সমবেত হন।

এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নজরুল ইসলাম জিহাদ বলেন, ‘ভৈরববাসীর ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’ তিনি রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ সময় রাতুল, রাহুল পারভেজসহ অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী মশাল মিছিলে অংশ নেন।

মশাল মিছিল চলাকালে ভৈরব থানা-পুলিশ ও সেনা টহল দলকে কড়া নজরদারিতে থাকতে দেখা যায়। প্রশাসন সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মশাল মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যে ১৫ মিনিটের মধ্যে মিছিল শেষ করে চলে যান তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুয়াকাটায় রিসোর্ট প্রকল্প: বিসিসির বিলাসী প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ নগরবাসীর

  • শুধু জমি কিনতেই ব্যয় হবে শতকোটি টাকা।
  • প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আয় বাড়বে, দাবি বিসিসির।
  • নাগরিক সমস্যা সমাধানের তাগিদ স্থানীয়দের।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ৪০
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সৈকতে অনেকে সমুদ্রস্নান করছেন, আবার অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সৈকতে অনেকে সমুদ্রস্নান করছেন, আবার অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় জমি কিনে রিসোর্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। জমি কিনতে এরই মধ্যে দরপত্র গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে শতকোটি টাকার বেশি। নগরবাসী যেখানে নানাবিধ নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত, সেখানে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ নগরবাসী। যদিও বিসিসির প্রধান নির্বাহীর দাবি, এতে করে সিটি করপোরেশনের আয় বাড়বে।

বিসিসি জমি কেনার দরপত্র আহ্বান করে ১৯ অক্টোবর। এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৈকতের কাছাকাছি সড়কের পাশে কমপক্ষে ৩ একর জমি কেনা হবে। আগ্রহী জমিমালিকদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়।

বিসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান শাকিল জানিয়েছেন, মাসিক সভায় রিসোর্ট করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দরপত্র অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে একটিতে ৮ একর এবং অন্য দুটিতে ৬ একর করে জমি রয়েছে। বিসিসি ৮ একরের জমিটির প্রতি আগ্রহী।

কুয়াকাটায় জমি কেনাবেচার সঙ্গে সম্পৃক্ত স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, সৈকত থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সড়কের পাশে প্রতি শতাংশ জমি গড়ে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে ১ একরের দাম হবে ১৫ কোটি টাকা। বিসিসি ৮ একর কিনলে দাম পড়বে ১২০ কোটি টাকা। আধা কিলোমিটারের বাইরে পৌর এলাকার মধ্যে প্রতি শতাংশ বিক্রি হয় ১০ লাখ টাকায়। সে ক্ষেত্রে ১ একরের দাম ১০ কোটি এবং ৮ একরের দাম ৮০ কোটি টাকা।

কুয়াকাটায় জমি কিনে রিসোর্ট করার বিসিসির সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নগরবাসী। বরিশাল জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিটি করপোরেশন পানি শোধনাগার চালুর উদ্যোগসহ সার্বিক জনবান্ধব উন্নয়নের উদ্যোগ না নিয়ে কুয়াকাটায় জমি কিনছে, অথচ বরিশালে কোনো আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা নেই।

নগরীর ময়লাখোলায় শহরের মধ্যে ৫৮ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলা হয়। অচল হয়ে থাকা দুটি পানি শোধনাগার আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। বহু রাস্তাঘাট-ড্রেন সংস্কার করা হয়নি। এসব বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া অতি জরুরি হলেও বাজেট ঘাটতির কথা বলে কোনো কাজ করা হচ্ছে না।

বাম গণতান্ত্রিক জোট বলছে, নগরীর যখন এ বেহাল দশা তার মধ্যেই ১৯ অক্টোবর কুয়াকাটায় জমি কেনার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। তারা নিজেদের সীমানার বাইরে জমি কিনতে চাইলে সরকারের পূর্বানুমোদনের প্রয়োজন হয়। অথচ এটি নেওয়া হয়েছে কি না, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।

নগরবাসী বলছেন, নগর উন্নয়নে বরাদ্দ না দিয়ে কুয়াকাটায় বিলাসবহুল রিসোর্ট নির্মাণের জন্য জমি কেনার বিজ্ঞাপন জনগণের প্রতি দায়হীনতার পরিচয় বহন করে। সিটি করপোরেশনকে অবিলম্বে বিলাসিতা ও অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে কুয়াকাটায় জমি কেনার মতো প্রকল্প থেকে সরে আসতে হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সমস্যা আছে। নগরীতে এত সংকট। তার মধ্যে কী করে তারা কুয়াকাটায় রিসোর্ট স্থাপনের মতো উচ্চবিলাসী প্রকল্পের কথা চিন্তা করে। নগরী থেকে যানজট দূর করতে বাস টার্মিনাল অপসারণ করতে পারছে না, যথাযথ বর্জ্যব্যবস্থাপনা নেই, পর্যাপ্ত রাস্তাঘাট নেই। নাগরিক সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা না করে বিলাসিতার জন্য রিসোর্ট করতে চাইছে। আশা করি, তারা এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। পারলে প্রয়োজনে নগরীতে পাঁচতলাবিশিষ্ট হোটেল করুক।’

জেলা বাসদের সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সময় একজন প্রশাসক এভাবে বিপুল অর্থ খরচ করে কুয়াকাটায় রিসোর্ট করতে পারেন না। দেশের এত আর্থিক সংকটের মধ্যে সরকার এ ধরনের বিলাসী প্রকল্প হাতে নিতে বিসিসিকে অনুমতি দিয়েছে কি না, তাও স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ। আমরা এ ধরনের প্রকল্প চাই না।’

এসব সমালোচনার সঙ্গে একমত নন বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী। তিনি বলেন, কুয়াকাটায় রিসোর্ট করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি। গত ২০ মার্চ পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় সেখানে জমি কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। তাই কমপক্ষে ৩ একর জমি কেনার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। রিসোর্ট ভাড়া দিলে বিসিসির আয় বাড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

পরীক্ষায় অটো পাসের মতো কোনো বিষয় তো সংবিধানে থাকতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত