Ajker Patrika

দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত, চলতি মাসে হতে পারে বৃষ্টি

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১২: ০৯
দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত, চলতি মাসে হতে পারে বৃষ্টি

অগ্রহায়ণ মাসের শেষ। শুরু হতে যাচ্ছে পৌষের শীতকাল। তবে পৌষের দিন গণনা কেবল শুরু হলেও দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শীত জেঁকে বসেছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ। ফলে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সকাল ১০টার দিকে সূর্যে দেখা গেলেও বিকেল ৪টা বাজতে না বাজতেই তা ফের হারিয়ে যাচ্ছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৬ ভাগ। জেলায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় চলতি সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করবে। এ ছাড়া চলতি মাসে এই জেলার ওপর দিয়ে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।

দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়, শীতের কারণে রাস্তায় কমে গেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউবা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়, বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অপরদিকে শীতের কাপড় কেনার ধাক্কা। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষেরা ছুটছেন ফুটপাত ও দিনাজপুর বড় ময়দানে কমদামি কাপড়ের মার্কেটে।

অগ্রহায়ণ মাসের শেষ। শুরু হতে যাচ্ছে পৌষের শীতকাল। তবে পৌষের দিন গণনা কেবল শুরু হলেও দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শীত জেঁকে বসেছে। শহরের রামনগর এলাকার হরেক মালের ফেরিওয়ালা কলিন্স জানান, জিনিসপত্রের দাম ভয়ানকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই বেচাবিক্রি খুব কম। যা বেচা কেনা হয় তা দিয়ে সংসারের বাজার খরচই হয় না। তারপরও শীতের জন্য বাচ্চাদের কাপড় যে কোথা থেকে কিনব এই নিয়ে চিন্তায় আছি।

ইজিবাইক চালক সাজেদুর রহমান জানান, শীতের কারণে শহরে লোকজনের চলাচল অনেক কমে গেছে। আগে যেখানে দিনে ৭ / ৮ শ টাকা আয় হতো এখন ৫ শ টাকাই হয় না। জমা দেওয়ার পর বাজারের টাকাই থাকে না।

এদিকে, ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন।হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। জেলায় চলতি ডিসেম্বরে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করবে। 

এদিকে, জেলা সিভিল সার্জন এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। হঠাৎ করেই দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্তের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ জন্য শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখাসহ সতর্কতা অবলম্বন বিশেষভাবে প্রয়োজন। পাশাপাশি কোনো শিশু আক্রান্ত হলে তাকে অন্য শিশুদের থেকে আলাদা রেখে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এ বছর দেশে দ্বিগুণ সাংবাদিক সহিংসতার শিকার—বরিশালে আর্টিকেল ৯৯-র সংলাপের তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে আর্টিকেল ৯৯ সাউথ এশিয়া আয়োজিত নারীদের নিরাপত্তাবিষয়ক সংলাপে অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশালে আর্টিকেল ৯৯ সাউথ এশিয়া আয়োজিত নারীদের নিরাপত্তাবিষয়ক সংলাপে অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের ছয় মাসে সারা দেশে সহিংসতার শিকার সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। এ বছর ছয় মাসে সহিংসতার শিকার হন ৭১৫ সাংবাদিক। এর মধ্যে নারী সাংবাদিকও রয়েছেন।

রোববার বরিশালে আর্টিকেল ৯৯ সাউথ এশিয়া আয়োজিত নারীদের নিরাপত্তাবিষয়ক এক সংলাপে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আর্টিকেল ৯৯ সাউথ এশিয়ার প্রোগ্রাম অফিসার শায়লা রহমান ইমা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মোট ৩৬৫ জন সাংবাদিক সহিংসতার শিকার হন। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সহিংসতার শিকার হন ৭১৫ সাংবাদিক। এ বছর প্রথম ছয় মাসে ৩৫০ জন সাংবাদিক সহিংসতায় বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।

সংলাপে নারী সাংবাদিকেরা অভিযোগ করেন, তাঁরা সাংবাদিকতা করতে গিয়ে নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ কারণে নারীরা এ পেশায় আসতে চান না। তবে কেউ কেউ এ পেশায় আসতে হলে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, কেউ জায়গা ছেড়ে দেবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানান।

আলোচনায় মফস্বল সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি সাংবাদিকতায় মানসিকতার পরিবর্তন আনারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সংলাপে আরও বক্তব্য দেন আর্টিকেল ৯৯ সাউথ এশিয়ার হেড অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিন মো. রুবায়েত হোসেন, হেড অব প্রোগ্রাম শাহ নেওয়াজ পাটোয়ারীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরিশালের সাংবাদিকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

রাবি প্রতিনিধি  
রাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সুইমিংপুল থেকে সায়মা হোসাইন নামের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হন। এ সময় তাঁরা ‘তুমি কে? আমি কে? সায়মা, সায়মা’, ‘বিচার চাই, বিচার চাই সায়মা হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। প্রতিবেদন লেখা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান ছিল।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমরা সায়মা হত্যার বিচার না নিয়ে এখান থেকে যাব না। শুধু সায়মা নয়, এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। প্রশাসন চায় আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তারপর তারা কথা বলবে। তারা এখনই আমাদের সামনে আসুক এবং নিশ্চিত করুক দ্রুত বিচার।’

রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমরা সায়মা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। কেন ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়া তাকে সাঁতার কাটতে দেওয়া হলো, সেই প্রশ্নের জবাব চাই। প্রশাসনের অবহেলায় আমরা বারবার আমাদের ভাইবোনদের হারাচ্ছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে শিক্ষার্থীদের কাছে ১৪ দিন সময় চেয়েছি।’

এর আগে আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে যান সায়মা হোসাইন। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সায়মা হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাসা কুষ্টিয়ায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে কুমির আতঙ্কে পদ্মা পাড়ের মানুষ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জে কুমির আতঙ্কে পদ্মা পাড়ের মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুন্সিগঞ্জে কুমির আতঙ্কে পদ্মা পাড়ের মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় কুমির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের শ্যামুবাড়ি গ্রামে কয়েক দিন ধরে এ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের দাবি, রাতে ও ভোরে পদ্মা নদী থেকে কুমির উঠে আসছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দা।

শ্যামুবাড়ি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে অন্তত দুটি কুমির দেখা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কৌতূহলী হয়ে পুকুর পাড়ে ভিড় করছে স্কুলশিক্ষার্থী ও আশপাশের এলাকার মানুষ।

মো. হায়াত হোসেন ও মো. রানা ওরফে মধু নামের দুই যুবক জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পথচারীরা পুকুর পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় গোয়ালঘরে কাছে একটি কুমির দেখতে পান। আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে টর্চলাইটের আলোতে কুমিরটির ছবি তোলার চেষ্টা করলে কুমিরটি ধীরে ধীরে পুকুর পাড় থেকে নদীর দিকে চলে যায়।

গৃহবধূ সালিনা বেগম বলেন, ‘রাতে গোয়ালঘরে পাশে কুমির দেখতে পাই। ছবি তুলতে গেলে সেটা পুকুর পাড় থেকে সরে যায়।’ এ ঘটনায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তাঁরা দ্রুত কুমিরগুলোকে উদ্ধার এবং এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি বন বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালের মালিকানা কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই। শুধু লাইসেন্সিং হিসেবে অপারেটর নিয়োগপ্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণরূপে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও জনবান্ধব। আজ রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বন্দরের চিফ পারসোনাল অফিসার মো. নাসির উদ্দিনের পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্তৃক ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ আনা হয়।

এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের সব টার্মিনাল, জেটি, ইয়ার্ড ও অন্য সব স্থাপনার একক মালিকানা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। বন্দরের কোনো টার্মিনালের মালিকানা ইতিপূর্বে কখনোই কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বন্দর কর্তৃপক্ষ বা সরকারের ছিল না বা এখনো নেই।

বাংলাদেশের প্রচলিত বিধিবিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে শুধু লাইসেন্সিং হিসেবে অপারেটর নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে, যা সম্পূর্ণরূপে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও জনবান্ধব।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালগুলো পরিচালনার ব্যাপারে কতিপয় সংবাদমাধ্যম সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করছে। এসব অসত্য, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সাধারণ জনগণ ও বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কোনো বিষয়ে প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞাত না হয়ে মনগড়া, ধারণাভিত্তিক বা অনির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে সংবাদ পরিবেশন করা হলে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।

বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরসম্পর্কিত মনগড়া, অবাস্তব সংবাদ বন্দরের স্বাভাবিক কর্মপরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড চট্টগ্রাম বন্দর এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় অন্তরায়।

বন্দরের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ বজায় রাখা এবং ক্রমবর্ধমান উন্নতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখাসহ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য—বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), বে-টার্মিনাল ও লালদিয়ার চর পরিচালনার জন্য তিনটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ডিসেম্বরের মধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তি হওয়ার কথা ইতিমধ্যে সরকারের নীতিনির্ধারকদের ভাষ্যে এসেছে।

এরই মধ্যে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন রাখতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৩০ দিন চট্টগ্রাম বন্দরসংলগ্ন বারেক বিল্ডিং মোড়, নিমতলা মোড়, ৩ নম্বর জেটি গেট, কাস্টমস মোড়, সল্টগোলা ক্রসিংসহ বন্দর এলাকায় যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক, শ্রমিক বা সামাজিক সংগঠনের মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, পথসভা নিষিদ্ধ করা হয়।

তবে শুরু থেকেই বন্দরের স্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন ঢাকা-চট্টগ্রামে প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি), স্কপসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনও রাজপথে নামে। আগামী ১ নভেম্বর স্কপ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত