মেট্রোরেলের টিকিট
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল এ নিয়ে আগ্রহ না দেখিয়ে নিজেরা বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি অর্থ ব্যয় করে একটা ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার পর ডিএমটিসিএলের বিকল্প ব্যবস্থা চালুর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
মেট্রোরেলের লাইন ৬ চালু হওয়ার সময় ৩ লাখ ২০ হাজার একক যাত্রার টিকিট সরবরাহ করা হয়েছিল। পুনর্ব্যবহারযোগ্য এই টিকিটগুলোর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টিকিট হারিয়ে গেছে। অর্থাৎ যাত্রীরা যাত্রা শেষে বের হওয়ার সময় গেটের যন্ত্রে জমা দেননি।
একক যাত্রার টিকিটের অভাবে মেট্রোর যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, টিকিটের অভাবে স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, যা যাতায়াতের সময় বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যস্ত সময়ে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। কুখ্যাত যানজটের শহরে মেট্রোরেল দ্রুতগতির নির্বিঘ্ন সফরের যে সুবিধা বয়ে এনেছে, তা কিছুটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে টিকিটের এই সমস্যার কারণে।
ডিটিসিএর উদ্যোগ
সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে, কিউআর কোডভিত্তিক একক যাত্রার টিকিটিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করেছে ডিটিসিএ। ডিএমটিসিএলের কাছে এটার পরীক্ষামূলক সংস্করণ দেখানো (ডেমো) হয়েছে। মেট্রোরেল কোম্পানিকে ব্যবস্থাটি চালুর জন্য আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছে ডিটিসিএ। কিন্তু ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু না করে ডিএমটিসিএল বিকল্পের দিকে ঝুঁকেছে। তারা একক যাত্রার টিকিটের জন্য গত ২৮ মে ইউনিভার্সাল টিকিটিং সিস্টেম (ইউটিএস) নামের ব্যবস্থা চালু করতে দরপত্র আহ্বান করেছে।
কোডভিত্তিক টিকিট কেনার দুই পদ্ধতি
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মেট্রোর কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট একটি আধুনিক ডিজিটাল টিকেটিং ব্যবস্থা, যা যাত্রীরা মোবাইল অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিনে মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করতে পারেন। কিউআর কোড টিকিট দুইভাবে কেনা যেতে পারে। অ্যাপ দিয়ে এবং পয়েন্ট অব সেল (POS) বা পজ মেশিন দিয়ে। যাত্রীরা বিশেষ অফিশিয়াল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে গন্তব্য ও সময় নির্বাচন করে অনলাইনে টাকা দিয়ে টিকিট কিনবেন। অর্থ পরিশোধের পর যাত্রীর মোবাইলে একটি কিউআর কোড আসবে। স্টেশনে ঢোকার সময় মোবাইলে আসা কিউআর কোডটি বাস ভ্যালিডেটর স্ক্যানারের সামনে ধরতে হবে। কিউআর কোড স্ক্যান হলেই গেট খুলে যাবে এবং যাত্রী প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন।
আর পজ মেশিন দিয়ে কিউআর কোড টিকিট কাটার প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে মেট্রো স্টেশনে একজন কর্মচারীর মাধ্যমে। যাঁদের স্মার্টফোন নেই, তাঁরা স্টেশনে এসে এই সেবা নিতে পারবেন। পজ মেশিন দিয়ে টিকিট কাটার জন্য যাত্রীকে স্টেশনে আসতে হবে। স্টেশনের কাউন্টারে গিয়ে গন্তব্য জানালে অপারেটর পজ মেশিনে তথ্য দিয়ে কিউআর কোডওয়ালা কাগজের টিকিট তৈরি করে দেবেন। এ ব্যবস্থায় নগদ অর্থ দিয়ে টিকিটের দাম দেওয়া যাবে।
ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালু হলে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। দ্রুত প্রবেশ ও বের হওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। অ্যাপ থেকে যাত্রীরা চাইলে যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে টিকিট কেটে রাখতে পারবেন।
চালু না করায় ডিএমটিসিএলের যুক্তি
ডিটিসিএর প্রস্তাবিত টিকেটিং সিস্টেমকে মেট্রোর উপযোগী মনে করছে না ডিএমটিসিএল। মেট্রোরেল লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে এ বিষয়ে বলেন, ডিটিসিএ যা করেছে, তা মূলত বাসের জন্য কার্যকর। সুপারশপে ব্যবহৃত পজ মেশিনের মতো এই প্রযুক্তি মেট্রোর নিয়ন্ত্রিত গেট সিস্টেমে কার্যকর হবে না।
মো. জাকারিয়া বলেন, ‘ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু করতে হলে প্রতিটি গেটে নতুন যন্ত্র বসাতে হবে, যা পুরো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এতে বাড়তি লোকবল ও খরচের বিষয় জড়িত। তা ছাড়া এতে স্বয়ংক্রিয় গেট না থাকায় যাত্রীরা অবৈধভাবে প্রবেশ করতে পারবে।’
প্রকল্প পরিচালক জানান, ডিএমটিসিএল বর্তমানে ইউটিএস (ইউনিফায়েড টিকেটিং সিস্টেম) নামে একটি ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এতে কিউআর কোড ও ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা থাকবে। একটি নির্ধারিত ঠিকাদার প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করছে।
বিশেষজ্ঞ যা বললেন
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি অর্থে ডিটিসিএ যখন একটি কার্যকর কিউআর কোড টিকেটিং সিস্টেম তৈরি করেছে, তখন তা ব্যবহার না করে নতুন আরেকটি ব্যবস্থা চালু করাটা জনগণের সম্পদ ও সময়ের অপচয়। একই শহরে ভিন্ন ভিন্ন টিকেটিং সিস্টেম থাকলে যাত্রীরা বিভ্রান্ত হবে এবং একীভূত পরিবহন ব্যবস্থার লক্ষ্যও ব্যাহত হবে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ শুরুতেই কেন কিউআর কোড টিকিটের ব্যবস্থা রাখেনি? আমাদের কোনো কিছুরই সঠিক পরিকল্পনা নেই, যখন যেটা মনে হয় সেটা করা হয়।’
সংকট কেটেছে স্থায়ী টিকিটের
এদিকে ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ র্যাপিড পাসের (স্থায়ী টিকিট) সংকট কাটিয়ে উঠেছে। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্টেশনগুলোতে সরাসরি র্যাপিড পাস বিক্রি শুরু হয়েছে। কয়েকটি মেট্রো স্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে এই কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। আগের চেয়ে র্যাপিড পাস বিক্রি কিছুটা স্বাভাবিক দেখা গেছে।
র্যাপিড পাসের দায়িত্বে থাকা ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলেছেন, গত মাসে তাঁরা আড়াই লাখ পাস হাতে পেয়েছেন। আরও আড়াই লাখ কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল এ নিয়ে আগ্রহ না দেখিয়ে নিজেরা বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি অর্থ ব্যয় করে একটা ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার পর ডিএমটিসিএলের বিকল্প ব্যবস্থা চালুর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
মেট্রোরেলের লাইন ৬ চালু হওয়ার সময় ৩ লাখ ২০ হাজার একক যাত্রার টিকিট সরবরাহ করা হয়েছিল। পুনর্ব্যবহারযোগ্য এই টিকিটগুলোর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টিকিট হারিয়ে গেছে। অর্থাৎ যাত্রীরা যাত্রা শেষে বের হওয়ার সময় গেটের যন্ত্রে জমা দেননি।
একক যাত্রার টিকিটের অভাবে মেট্রোর যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, টিকিটের অভাবে স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, যা যাতায়াতের সময় বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যস্ত সময়ে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। কুখ্যাত যানজটের শহরে মেট্রোরেল দ্রুতগতির নির্বিঘ্ন সফরের যে সুবিধা বয়ে এনেছে, তা কিছুটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে টিকিটের এই সমস্যার কারণে।
ডিটিসিএর উদ্যোগ
সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে, কিউআর কোডভিত্তিক একক যাত্রার টিকিটিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করেছে ডিটিসিএ। ডিএমটিসিএলের কাছে এটার পরীক্ষামূলক সংস্করণ দেখানো (ডেমো) হয়েছে। মেট্রোরেল কোম্পানিকে ব্যবস্থাটি চালুর জন্য আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছে ডিটিসিএ। কিন্তু ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু না করে ডিএমটিসিএল বিকল্পের দিকে ঝুঁকেছে। তারা একক যাত্রার টিকিটের জন্য গত ২৮ মে ইউনিভার্সাল টিকিটিং সিস্টেম (ইউটিএস) নামের ব্যবস্থা চালু করতে দরপত্র আহ্বান করেছে।
কোডভিত্তিক টিকিট কেনার দুই পদ্ধতি
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মেট্রোর কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট একটি আধুনিক ডিজিটাল টিকেটিং ব্যবস্থা, যা যাত্রীরা মোবাইল অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিনে মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করতে পারেন। কিউআর কোড টিকিট দুইভাবে কেনা যেতে পারে। অ্যাপ দিয়ে এবং পয়েন্ট অব সেল (POS) বা পজ মেশিন দিয়ে। যাত্রীরা বিশেষ অফিশিয়াল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে গন্তব্য ও সময় নির্বাচন করে অনলাইনে টাকা দিয়ে টিকিট কিনবেন। অর্থ পরিশোধের পর যাত্রীর মোবাইলে একটি কিউআর কোড আসবে। স্টেশনে ঢোকার সময় মোবাইলে আসা কিউআর কোডটি বাস ভ্যালিডেটর স্ক্যানারের সামনে ধরতে হবে। কিউআর কোড স্ক্যান হলেই গেট খুলে যাবে এবং যাত্রী প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন।
আর পজ মেশিন দিয়ে কিউআর কোড টিকিট কাটার প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে মেট্রো স্টেশনে একজন কর্মচারীর মাধ্যমে। যাঁদের স্মার্টফোন নেই, তাঁরা স্টেশনে এসে এই সেবা নিতে পারবেন। পজ মেশিন দিয়ে টিকিট কাটার জন্য যাত্রীকে স্টেশনে আসতে হবে। স্টেশনের কাউন্টারে গিয়ে গন্তব্য জানালে অপারেটর পজ মেশিনে তথ্য দিয়ে কিউআর কোডওয়ালা কাগজের টিকিট তৈরি করে দেবেন। এ ব্যবস্থায় নগদ অর্থ দিয়ে টিকিটের দাম দেওয়া যাবে।
ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালু হলে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। দ্রুত প্রবেশ ও বের হওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। অ্যাপ থেকে যাত্রীরা চাইলে যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে টিকিট কেটে রাখতে পারবেন।
চালু না করায় ডিএমটিসিএলের যুক্তি
ডিটিসিএর প্রস্তাবিত টিকেটিং সিস্টেমকে মেট্রোর উপযোগী মনে করছে না ডিএমটিসিএল। মেট্রোরেল লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে এ বিষয়ে বলেন, ডিটিসিএ যা করেছে, তা মূলত বাসের জন্য কার্যকর। সুপারশপে ব্যবহৃত পজ মেশিনের মতো এই প্রযুক্তি মেট্রোর নিয়ন্ত্রিত গেট সিস্টেমে কার্যকর হবে না।
মো. জাকারিয়া বলেন, ‘ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু করতে হলে প্রতিটি গেটে নতুন যন্ত্র বসাতে হবে, যা পুরো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এতে বাড়তি লোকবল ও খরচের বিষয় জড়িত। তা ছাড়া এতে স্বয়ংক্রিয় গেট না থাকায় যাত্রীরা অবৈধভাবে প্রবেশ করতে পারবে।’
প্রকল্প পরিচালক জানান, ডিএমটিসিএল বর্তমানে ইউটিএস (ইউনিফায়েড টিকেটিং সিস্টেম) নামে একটি ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এতে কিউআর কোড ও ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা থাকবে। একটি নির্ধারিত ঠিকাদার প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করছে।
বিশেষজ্ঞ যা বললেন
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি অর্থে ডিটিসিএ যখন একটি কার্যকর কিউআর কোড টিকেটিং সিস্টেম তৈরি করেছে, তখন তা ব্যবহার না করে নতুন আরেকটি ব্যবস্থা চালু করাটা জনগণের সম্পদ ও সময়ের অপচয়। একই শহরে ভিন্ন ভিন্ন টিকেটিং সিস্টেম থাকলে যাত্রীরা বিভ্রান্ত হবে এবং একীভূত পরিবহন ব্যবস্থার লক্ষ্যও ব্যাহত হবে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ শুরুতেই কেন কিউআর কোড টিকিটের ব্যবস্থা রাখেনি? আমাদের কোনো কিছুরই সঠিক পরিকল্পনা নেই, যখন যেটা মনে হয় সেটা করা হয়।’
সংকট কেটেছে স্থায়ী টিকিটের
এদিকে ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ র্যাপিড পাসের (স্থায়ী টিকিট) সংকট কাটিয়ে উঠেছে। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্টেশনগুলোতে সরাসরি র্যাপিড পাস বিক্রি শুরু হয়েছে। কয়েকটি মেট্রো স্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে এই কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। আগের চেয়ে র্যাপিড পাস বিক্রি কিছুটা স্বাভাবিক দেখা গেছে।
র্যাপিড পাসের দায়িত্বে থাকা ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলেছেন, গত মাসে তাঁরা আড়াই লাখ পাস হাতে পেয়েছেন। আরও আড়াই লাখ কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
মেট্রোরেলের টিকিট
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল এ নিয়ে আগ্রহ না দেখিয়ে নিজেরা বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি অর্থ ব্যয় করে একটা ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার পর ডিএমটিসিএলের বিকল্প ব্যবস্থা চালুর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
মেট্রোরেলের লাইন ৬ চালু হওয়ার সময় ৩ লাখ ২০ হাজার একক যাত্রার টিকিট সরবরাহ করা হয়েছিল। পুনর্ব্যবহারযোগ্য এই টিকিটগুলোর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টিকিট হারিয়ে গেছে। অর্থাৎ যাত্রীরা যাত্রা শেষে বের হওয়ার সময় গেটের যন্ত্রে জমা দেননি।
একক যাত্রার টিকিটের অভাবে মেট্রোর যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, টিকিটের অভাবে স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, যা যাতায়াতের সময় বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যস্ত সময়ে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। কুখ্যাত যানজটের শহরে মেট্রোরেল দ্রুতগতির নির্বিঘ্ন সফরের যে সুবিধা বয়ে এনেছে, তা কিছুটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে টিকিটের এই সমস্যার কারণে।
ডিটিসিএর উদ্যোগ
সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে, কিউআর কোডভিত্তিক একক যাত্রার টিকিটিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করেছে ডিটিসিএ। ডিএমটিসিএলের কাছে এটার পরীক্ষামূলক সংস্করণ দেখানো (ডেমো) হয়েছে। মেট্রোরেল কোম্পানিকে ব্যবস্থাটি চালুর জন্য আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছে ডিটিসিএ। কিন্তু ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু না করে ডিএমটিসিএল বিকল্পের দিকে ঝুঁকেছে। তারা একক যাত্রার টিকিটের জন্য গত ২৮ মে ইউনিভার্সাল টিকিটিং সিস্টেম (ইউটিএস) নামের ব্যবস্থা চালু করতে দরপত্র আহ্বান করেছে।
কোডভিত্তিক টিকিট কেনার দুই পদ্ধতি
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মেট্রোর কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট একটি আধুনিক ডিজিটাল টিকেটিং ব্যবস্থা, যা যাত্রীরা মোবাইল অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিনে মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করতে পারেন। কিউআর কোড টিকিট দুইভাবে কেনা যেতে পারে। অ্যাপ দিয়ে এবং পয়েন্ট অব সেল (POS) বা পজ মেশিন দিয়ে। যাত্রীরা বিশেষ অফিশিয়াল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে গন্তব্য ও সময় নির্বাচন করে অনলাইনে টাকা দিয়ে টিকিট কিনবেন। অর্থ পরিশোধের পর যাত্রীর মোবাইলে একটি কিউআর কোড আসবে। স্টেশনে ঢোকার সময় মোবাইলে আসা কিউআর কোডটি বাস ভ্যালিডেটর স্ক্যানারের সামনে ধরতে হবে। কিউআর কোড স্ক্যান হলেই গেট খুলে যাবে এবং যাত্রী প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন।
আর পজ মেশিন দিয়ে কিউআর কোড টিকিট কাটার প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে মেট্রো স্টেশনে একজন কর্মচারীর মাধ্যমে। যাঁদের স্মার্টফোন নেই, তাঁরা স্টেশনে এসে এই সেবা নিতে পারবেন। পজ মেশিন দিয়ে টিকিট কাটার জন্য যাত্রীকে স্টেশনে আসতে হবে। স্টেশনের কাউন্টারে গিয়ে গন্তব্য জানালে অপারেটর পজ মেশিনে তথ্য দিয়ে কিউআর কোডওয়ালা কাগজের টিকিট তৈরি করে দেবেন। এ ব্যবস্থায় নগদ অর্থ দিয়ে টিকিটের দাম দেওয়া যাবে।
ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালু হলে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। দ্রুত প্রবেশ ও বের হওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। অ্যাপ থেকে যাত্রীরা চাইলে যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে টিকিট কেটে রাখতে পারবেন।
চালু না করায় ডিএমটিসিএলের যুক্তি
ডিটিসিএর প্রস্তাবিত টিকেটিং সিস্টেমকে মেট্রোর উপযোগী মনে করছে না ডিএমটিসিএল। মেট্রোরেল লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে এ বিষয়ে বলেন, ডিটিসিএ যা করেছে, তা মূলত বাসের জন্য কার্যকর। সুপারশপে ব্যবহৃত পজ মেশিনের মতো এই প্রযুক্তি মেট্রোর নিয়ন্ত্রিত গেট সিস্টেমে কার্যকর হবে না।
মো. জাকারিয়া বলেন, ‘ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু করতে হলে প্রতিটি গেটে নতুন যন্ত্র বসাতে হবে, যা পুরো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এতে বাড়তি লোকবল ও খরচের বিষয় জড়িত। তা ছাড়া এতে স্বয়ংক্রিয় গেট না থাকায় যাত্রীরা অবৈধভাবে প্রবেশ করতে পারবে।’
প্রকল্প পরিচালক জানান, ডিএমটিসিএল বর্তমানে ইউটিএস (ইউনিফায়েড টিকেটিং সিস্টেম) নামে একটি ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এতে কিউআর কোড ও ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা থাকবে। একটি নির্ধারিত ঠিকাদার প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করছে।
বিশেষজ্ঞ যা বললেন
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি অর্থে ডিটিসিএ যখন একটি কার্যকর কিউআর কোড টিকেটিং সিস্টেম তৈরি করেছে, তখন তা ব্যবহার না করে নতুন আরেকটি ব্যবস্থা চালু করাটা জনগণের সম্পদ ও সময়ের অপচয়। একই শহরে ভিন্ন ভিন্ন টিকেটিং সিস্টেম থাকলে যাত্রীরা বিভ্রান্ত হবে এবং একীভূত পরিবহন ব্যবস্থার লক্ষ্যও ব্যাহত হবে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ শুরুতেই কেন কিউআর কোড টিকিটের ব্যবস্থা রাখেনি? আমাদের কোনো কিছুরই সঠিক পরিকল্পনা নেই, যখন যেটা মনে হয় সেটা করা হয়।’
সংকট কেটেছে স্থায়ী টিকিটের
এদিকে ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ র্যাপিড পাসের (স্থায়ী টিকিট) সংকট কাটিয়ে উঠেছে। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্টেশনগুলোতে সরাসরি র্যাপিড পাস বিক্রি শুরু হয়েছে। কয়েকটি মেট্রো স্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে এই কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। আগের চেয়ে র্যাপিড পাস বিক্রি কিছুটা স্বাভাবিক দেখা গেছে।
র্যাপিড পাসের দায়িত্বে থাকা ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলেছেন, গত মাসে তাঁরা আড়াই লাখ পাস হাতে পেয়েছেন। আরও আড়াই লাখ কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল এ নিয়ে আগ্রহ না দেখিয়ে নিজেরা বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি অর্থ ব্যয় করে একটা ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার পর ডিএমটিসিএলের বিকল্প ব্যবস্থা চালুর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
মেট্রোরেলের লাইন ৬ চালু হওয়ার সময় ৩ লাখ ২০ হাজার একক যাত্রার টিকিট সরবরাহ করা হয়েছিল। পুনর্ব্যবহারযোগ্য এই টিকিটগুলোর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টিকিট হারিয়ে গেছে। অর্থাৎ যাত্রীরা যাত্রা শেষে বের হওয়ার সময় গেটের যন্ত্রে জমা দেননি।
একক যাত্রার টিকিটের অভাবে মেট্রোর যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, টিকিটের অভাবে স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, যা যাতায়াতের সময় বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যস্ত সময়ে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। কুখ্যাত যানজটের শহরে মেট্রোরেল দ্রুতগতির নির্বিঘ্ন সফরের যে সুবিধা বয়ে এনেছে, তা কিছুটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে টিকিটের এই সমস্যার কারণে।
ডিটিসিএর উদ্যোগ
সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে, কিউআর কোডভিত্তিক একক যাত্রার টিকিটিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করেছে ডিটিসিএ। ডিএমটিসিএলের কাছে এটার পরীক্ষামূলক সংস্করণ দেখানো (ডেমো) হয়েছে। মেট্রোরেল কোম্পানিকে ব্যবস্থাটি চালুর জন্য আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছে ডিটিসিএ। কিন্তু ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু না করে ডিএমটিসিএল বিকল্পের দিকে ঝুঁকেছে। তারা একক যাত্রার টিকিটের জন্য গত ২৮ মে ইউনিভার্সাল টিকিটিং সিস্টেম (ইউটিএস) নামের ব্যবস্থা চালু করতে দরপত্র আহ্বান করেছে।
কোডভিত্তিক টিকিট কেনার দুই পদ্ধতি
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মেট্রোর কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট একটি আধুনিক ডিজিটাল টিকেটিং ব্যবস্থা, যা যাত্রীরা মোবাইল অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিনে মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করতে পারেন। কিউআর কোড টিকিট দুইভাবে কেনা যেতে পারে। অ্যাপ দিয়ে এবং পয়েন্ট অব সেল (POS) বা পজ মেশিন দিয়ে। যাত্রীরা বিশেষ অফিশিয়াল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে গন্তব্য ও সময় নির্বাচন করে অনলাইনে টাকা দিয়ে টিকিট কিনবেন। অর্থ পরিশোধের পর যাত্রীর মোবাইলে একটি কিউআর কোড আসবে। স্টেশনে ঢোকার সময় মোবাইলে আসা কিউআর কোডটি বাস ভ্যালিডেটর স্ক্যানারের সামনে ধরতে হবে। কিউআর কোড স্ক্যান হলেই গেট খুলে যাবে এবং যাত্রী প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন।
আর পজ মেশিন দিয়ে কিউআর কোড টিকিট কাটার প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে মেট্রো স্টেশনে একজন কর্মচারীর মাধ্যমে। যাঁদের স্মার্টফোন নেই, তাঁরা স্টেশনে এসে এই সেবা নিতে পারবেন। পজ মেশিন দিয়ে টিকিট কাটার জন্য যাত্রীকে স্টেশনে আসতে হবে। স্টেশনের কাউন্টারে গিয়ে গন্তব্য জানালে অপারেটর পজ মেশিনে তথ্য দিয়ে কিউআর কোডওয়ালা কাগজের টিকিট তৈরি করে দেবেন। এ ব্যবস্থায় নগদ অর্থ দিয়ে টিকিটের দাম দেওয়া যাবে।
ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালু হলে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। দ্রুত প্রবেশ ও বের হওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। অ্যাপ থেকে যাত্রীরা চাইলে যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে টিকিট কেটে রাখতে পারবেন।
চালু না করায় ডিএমটিসিএলের যুক্তি
ডিটিসিএর প্রস্তাবিত টিকেটিং সিস্টেমকে মেট্রোর উপযোগী মনে করছে না ডিএমটিসিএল। মেট্রোরেল লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে এ বিষয়ে বলেন, ডিটিসিএ যা করেছে, তা মূলত বাসের জন্য কার্যকর। সুপারশপে ব্যবহৃত পজ মেশিনের মতো এই প্রযুক্তি মেট্রোর নিয়ন্ত্রিত গেট সিস্টেমে কার্যকর হবে না।
মো. জাকারিয়া বলেন, ‘ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু করতে হলে প্রতিটি গেটে নতুন যন্ত্র বসাতে হবে, যা পুরো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এতে বাড়তি লোকবল ও খরচের বিষয় জড়িত। তা ছাড়া এতে স্বয়ংক্রিয় গেট না থাকায় যাত্রীরা অবৈধভাবে প্রবেশ করতে পারবে।’
প্রকল্প পরিচালক জানান, ডিএমটিসিএল বর্তমানে ইউটিএস (ইউনিফায়েড টিকেটিং সিস্টেম) নামে একটি ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এতে কিউআর কোড ও ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা থাকবে। একটি নির্ধারিত ঠিকাদার প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করছে।
বিশেষজ্ঞ যা বললেন
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি অর্থে ডিটিসিএ যখন একটি কার্যকর কিউআর কোড টিকেটিং সিস্টেম তৈরি করেছে, তখন তা ব্যবহার না করে নতুন আরেকটি ব্যবস্থা চালু করাটা জনগণের সম্পদ ও সময়ের অপচয়। একই শহরে ভিন্ন ভিন্ন টিকেটিং সিস্টেম থাকলে যাত্রীরা বিভ্রান্ত হবে এবং একীভূত পরিবহন ব্যবস্থার লক্ষ্যও ব্যাহত হবে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ শুরুতেই কেন কিউআর কোড টিকিটের ব্যবস্থা রাখেনি? আমাদের কোনো কিছুরই সঠিক পরিকল্পনা নেই, যখন যেটা মনে হয় সেটা করা হয়।’
সংকট কেটেছে স্থায়ী টিকিটের
এদিকে ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ র্যাপিড পাসের (স্থায়ী টিকিট) সংকট কাটিয়ে উঠেছে। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্টেশনগুলোতে সরাসরি র্যাপিড পাস বিক্রি শুরু হয়েছে। কয়েকটি মেট্রো স্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে এই কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। আগের চেয়ে র্যাপিড পাস বিক্রি কিছুটা স্বাভাবিক দেখা গেছে।
র্যাপিড পাসের দায়িত্বে থাকা ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলেছেন, গত মাসে তাঁরা আড়াই লাখ পাস হাতে পেয়েছেন। আরও আড়াই লাখ কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা জায়গায় হানিফকে মাটিতে ফেলে বারবার ইট দিয়ে আঘাত করছেন কয়েকজন। অন্তত ৫-৭ জনের ওই দল দফায় দফায় তাঁকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
৪ মিনিট আগে
চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানির মামলায় মামার পক্ষে যশোরের আদালতে হাজিরা দেন ভাগনে। আদালতে জেরার উত্তরও দেন তিনি। শেষে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত আসামিকে (ভাগনে) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আসামি নিয়ে প্রিজন ভ্যান কারাফটকে গেলে নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাইকালে বেরিয়ে আসে আসল পরিচয়।
৯ মিনিট আগে
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে সুপারি পাচারকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে আলমাস উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিজিবি সদস্যদের গুলিতে আলমাস মারা গেছেন। পুলিশ নিহত ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির আঘাত পাওয়ার বিষয়টি
২০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক তরুণীর মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করার অভিযোগ উঠেছে মর্গের ডোম আবু সাঈদের (১৯) বিরুদ্ধে। মর্গের চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করার পর পুলিশ দ্রুত ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের খানপুরে আবু হানিফ (৩০) নামের যুবককে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের সায়েস্তারা গ্রামের ফরচান মিয়ার ছেলে বাহার (৩৬) ও তাঁর ভাই সাইদুল ইসলাম (২৫), নারায়ণগঞ্জ শহরের মেট্রোহল এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান জিতু (২৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এ দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নিরাপত্তাকর্মী আবু হানিফকে হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
৬৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা জায়গায় হানিফকে মাটিতে ফেলে বারবার ইট দিয়ে আঘাত করছেন কয়েকজন। অন্তত ৫-৭ জনের ওই দল দফায় দফায় তাঁকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
তথ্যমতে, গত সোমবার দুপুরে আবু হানিফকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে শহরের খানপুর জোড়া ট্যাংকি মাঠে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে তাঁকে দফায় দফায় মারধর করা হয়।
সন্ধ্যায় হানিফ সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁকে রাস্তায় ফেলে যান অপরাধীরা। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবু হানিফ স্থানীয় একটি বাড়ির নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি তিনি বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আসামিরাসহ তাঁদের কয়েকজন সহযোগী আবু হানিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় দফায় দফায় মারধর করেন।
জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির বোন রাবেয়া বলেন, ‘দুপুরের দিকে হানিফ বাসায় শুয়ে ছিলেন। এলাকার কিছু ছেলে এসেই ভাইরে মারতে মারতে নিয়ে চলে যায়। আমাদের কোনো কথাই শোনেনি, কী কারণে মারতেছে তাও বলেনি। অনেক পরে বলতেছে সে (হানিফ) নাকি কোন বাচ্চারে ধর্ষণ করতে চাইছে। কিন্তু কোন মেয়ে-কবে, তার কিছুই আমরা জানি না।’
নিহত ব্যক্তির ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম ডিউটিতে। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, এলাকার কিছু যুবক ছেলে বাসায় ঝামেলা করতেছে। ফোন পাইয়া আমি বাড়িতে আসি। বাসায় আসার পর ওই ছেলেরা আমাকে ধইরা খানপুর জোড়া টাংকির মাঠে নিয়ে আসে। তখন দেখি, আমার সম্বন্ধীর (হানিফ) ভেতরে বসাইয়া রাখছে। ১০-১২ জন যুবক পোলাপান ছিল। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামের স্থানীয় একজনকে চিনেছি। সন্ধ্যায় হানিফ ভাইরে অটোতে তুলে কোথায় যেন নিয়ে চলে যায়। অনেক পরে আমরা তাঁরে হাসপাতালে পাই।’

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের খানপুরে আবু হানিফ (৩০) নামের যুবককে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের সায়েস্তারা গ্রামের ফরচান মিয়ার ছেলে বাহার (৩৬) ও তাঁর ভাই সাইদুল ইসলাম (২৫), নারায়ণগঞ্জ শহরের মেট্রোহল এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান জিতু (২৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এ দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নিরাপত্তাকর্মী আবু হানিফকে হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
৬৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা জায়গায় হানিফকে মাটিতে ফেলে বারবার ইট দিয়ে আঘাত করছেন কয়েকজন। অন্তত ৫-৭ জনের ওই দল দফায় দফায় তাঁকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
তথ্যমতে, গত সোমবার দুপুরে আবু হানিফকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে শহরের খানপুর জোড়া ট্যাংকি মাঠে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে তাঁকে দফায় দফায় মারধর করা হয়।
সন্ধ্যায় হানিফ সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁকে রাস্তায় ফেলে যান অপরাধীরা। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবু হানিফ স্থানীয় একটি বাড়ির নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি তিনি বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আসামিরাসহ তাঁদের কয়েকজন সহযোগী আবু হানিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় দফায় দফায় মারধর করেন।
জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির বোন রাবেয়া বলেন, ‘দুপুরের দিকে হানিফ বাসায় শুয়ে ছিলেন। এলাকার কিছু ছেলে এসেই ভাইরে মারতে মারতে নিয়ে চলে যায়। আমাদের কোনো কথাই শোনেনি, কী কারণে মারতেছে তাও বলেনি। অনেক পরে বলতেছে সে (হানিফ) নাকি কোন বাচ্চারে ধর্ষণ করতে চাইছে। কিন্তু কোন মেয়ে-কবে, তার কিছুই আমরা জানি না।’
নিহত ব্যক্তির ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম ডিউটিতে। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, এলাকার কিছু যুবক ছেলে বাসায় ঝামেলা করতেছে। ফোন পাইয়া আমি বাড়িতে আসি। বাসায় আসার পর ওই ছেলেরা আমাকে ধইরা খানপুর জোড়া টাংকির মাঠে নিয়ে আসে। তখন দেখি, আমার সম্বন্ধীর (হানিফ) ভেতরে বসাইয়া রাখছে। ১০-১২ জন যুবক পোলাপান ছিল। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামের স্থানীয় একজনকে চিনেছি। সন্ধ্যায় হানিফ ভাইরে অটোতে তুলে কোথায় যেন নিয়ে চলে যায়। অনেক পরে আমরা তাঁরে হাসপাতালে পাই।’

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল...
১২ জুন ২০২৫
চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানির মামলায় মামার পক্ষে যশোরের আদালতে হাজিরা দেন ভাগনে। আদালতে জেরার উত্তরও দেন তিনি। শেষে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত আসামিকে (ভাগনে) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আসামি নিয়ে প্রিজন ভ্যান কারাফটকে গেলে নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাইকালে বেরিয়ে আসে আসল পরিচয়।
৯ মিনিট আগে
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে সুপারি পাচারকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে আলমাস উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিজিবি সদস্যদের গুলিতে আলমাস মারা গেছেন। পুলিশ নিহত ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির আঘাত পাওয়ার বিষয়টি
২০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক তরুণীর মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করার অভিযোগ উঠেছে মর্গের ডোম আবু সাঈদের (১৯) বিরুদ্ধে। মর্গের চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করার পর পুলিশ দ্রুত ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানির মামলায় মামার পক্ষে যশোরের আদালতে হাজিরা দেন ভাগনে। আদালতে জেরার উত্তরও দেন তিনি। শেষে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত আসামিকে (ভাগনে) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আসামি নিয়ে প্রিজন ভ্যান কারাফটকে গেলে নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাইকালে বেরিয়ে আসে আসল পরিচয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, আসামি হাসানের পক্ষে কারাগারে যাওয়া ভাগনে মো. শামীম আহম্মেদ (২৭) যশোর সদর উপজেলা ভেকুটিয়া গ্রামের জামশেদ আলীর ছেলে। আর হাসান বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মন্টুর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আবিদ আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন আদালতের নির্দেশে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করা ও মূল আসামি হাসানের নামে পরোয়ানা জারি হবে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন বলে এর বেশি জানাতে চাননি তিনি।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর সদরের ভেকুটিয়া এলাকার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলামের বাড়িতে চাঁদাবাজি করতে আসেন স্থানীয় নিশানুর রহমান অন্তরের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন। এ সময় রাকিবুলের কাছে পাঁচ লাখ চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে তাঁদের ওপর হামলা ও রাকিবুলের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটে। এ সময় তাঁরা নগদ ও বিকাশে ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
পরদিন ভুক্তভোগী রাকিবুল চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি ও হামলার অভিযোগে সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার ৫ নম্বর আসামি হাসান। বিভিন্ন সময়ে আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনে রয়েছেন।
গতকাল দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আসামিরা হাজিরা দিতে আসেন। আসামি হাসানের পক্ষে তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দেন ভাগনে শামীম। এদিন (২১ অক্টোবর) শামীম আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফলে আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে পাঠানো হয় শামীমকে।
প্রিজন ভ্যানে আসামি কারাগারে যাওয়ার পর আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং আসামির নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা যাচাইয়ের সময় শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। ফলে কারাগারের সিস্টেমের মাধ্যমে তাঁর ফিঙ্গার প্রিন্টে প্রকৃত নাম মো. শামীম আহম্মেদ শনাক্ত হয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে যাওয়া শামীম জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন হাসান তাঁর আপন ছোট মামা। মামার পরিবর্তে তিনি তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন আকারে আদালতে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাবেরুল হক সাবুর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ ফোস্তফা রাজা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। অনেক সময় মুহুরিদের ম্যানেজ করে আসামির পক্ষে কেউ হাজিরা দিয়ে সহায়তা করতে পারে। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। কীভাবে এটি হলো।’

চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানির মামলায় মামার পক্ষে যশোরের আদালতে হাজিরা দেন ভাগনে। আদালতে জেরার উত্তরও দেন তিনি। শেষে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত আসামিকে (ভাগনে) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আসামি নিয়ে প্রিজন ভ্যান কারাফটকে গেলে নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাইকালে বেরিয়ে আসে আসল পরিচয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, আসামি হাসানের পক্ষে কারাগারে যাওয়া ভাগনে মো. শামীম আহম্মেদ (২৭) যশোর সদর উপজেলা ভেকুটিয়া গ্রামের জামশেদ আলীর ছেলে। আর হাসান বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মন্টুর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আবিদ আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন আদালতের নির্দেশে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করা ও মূল আসামি হাসানের নামে পরোয়ানা জারি হবে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন বলে এর বেশি জানাতে চাননি তিনি।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর সদরের ভেকুটিয়া এলাকার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলামের বাড়িতে চাঁদাবাজি করতে আসেন স্থানীয় নিশানুর রহমান অন্তরের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন। এ সময় রাকিবুলের কাছে পাঁচ লাখ চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে তাঁদের ওপর হামলা ও রাকিবুলের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটে। এ সময় তাঁরা নগদ ও বিকাশে ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
পরদিন ভুক্তভোগী রাকিবুল চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি ও হামলার অভিযোগে সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার ৫ নম্বর আসামি হাসান। বিভিন্ন সময়ে আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনে রয়েছেন।
গতকাল দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আসামিরা হাজিরা দিতে আসেন। আসামি হাসানের পক্ষে তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দেন ভাগনে শামীম। এদিন (২১ অক্টোবর) শামীম আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফলে আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে পাঠানো হয় শামীমকে।
প্রিজন ভ্যানে আসামি কারাগারে যাওয়ার পর আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং আসামির নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা যাচাইয়ের সময় শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। ফলে কারাগারের সিস্টেমের মাধ্যমে তাঁর ফিঙ্গার প্রিন্টে প্রকৃত নাম মো. শামীম আহম্মেদ শনাক্ত হয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে যাওয়া শামীম জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন হাসান তাঁর আপন ছোট মামা। মামার পরিবর্তে তিনি তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন আকারে আদালতে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাবেরুল হক সাবুর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ ফোস্তফা রাজা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। অনেক সময় মুহুরিদের ম্যানেজ করে আসামির পক্ষে কেউ হাজিরা দিয়ে সহায়তা করতে পারে। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। কীভাবে এটি হলো।’

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল...
১২ জুন ২০২৫
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা জায়গায় হানিফকে মাটিতে ফেলে বারবার ইট দিয়ে আঘাত করছেন কয়েকজন। অন্তত ৫-৭ জনের ওই দল দফায় দফায় তাঁকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
৪ মিনিট আগে
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে সুপারি পাচারকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে আলমাস উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিজিবি সদস্যদের গুলিতে আলমাস মারা গেছেন। পুলিশ নিহত ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির আঘাত পাওয়ার বিষয়টি
২০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক তরুণীর মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করার অভিযোগ উঠেছে মর্গের ডোম আবু সাঈদের (১৯) বিরুদ্ধে। মর্গের চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করার পর পুলিশ দ্রুত ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে সুপারি পাচারকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে আলমাস উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চারিকাটা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বালিদাড়া কান্দির মুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলমাস উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিজিবি সদস্যদের গুলিতে আলমাস মারা গেছেন। পুলিশ গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে জানিয়ে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তবে বিজিবি তাদের ওপর হামলা ও একজন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার কথা জানালেও ওই যুবকের মৃত্যু নিয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, আজ সকাল ১০টার দিকে বিজিবির জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধীন সুইরঘাট বিওপির চারজন সদস্য দুটি মোটরসাইকেলে টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় জৈন্তাপুরের সীমান্তবর্তী বালিদাড়া কান্দিরমুখ মসজিদের দক্ষিণে তাজ উদ্দিনের বাড়ির পাশে চতুল-লালাখাল সড়কের ওপর পিকআপে করে দেশীয় সুপারি নিয়ে যাওয়ার সময় গুলি চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলমাস উদ্দিন নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কান্দিরমুখে মসজিদের কাছে এলে বিজিবিকে দেখতে পেয়ে গাড়ি (পিকআপ) ঘুরিয়ে বাজারের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন আলমাসসহ অন্যরা। তখন বিজিবি তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সামসুজ্জামান সেলিমের জিম্মায় জব্দ সুপারি রেখে গেছে বিজিবি।
এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে সুরাইঘাট বিওপির একটি টহল দল জৈন্তাপুরের চারিকাটা ইউনিয়নের ভিত্তিখলা সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানবিরোধী অভিযানে যায়। অভিযানের সময় টহল দল একটি অবৈধ পণ্যবাহী পিকআপ আটক করলে অজ্ঞাতনামা একদল সশস্ত্র চোরাকারবারি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, দা, বল্লম, লাঠিসোঁটাসহ টহল দলের ওপর আকস্মিক হামলা করে জব্দ করা মালপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সরকারি সম্পদ অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং টহল দলের সদস্যদের জানমাল রক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা নিরুপায় হয়ে ৪-৫ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হামলাকারীদের আক্রমণে বিজিবির এক সদস্য মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
তবে চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি পিকআপে দেশি সুপারি ছিল। বিডিআর (বিজিবি) ধাওয়া দিয়ে পিকআপে বেশ কয়েকটি গুলি করে। পিকআপের ওপরে থাকা একটা ছেলেকে ডিরেক্ট (সরাসরি) গুলি করে। গুলির আঘাতে ছেলেটা মারা গেছে। হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যায়।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, নিহত ছেলেটি পিকআপশ্রমিক মানে চালকের সহকারী, চোরাকারবারি নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেন, ‘আমাদের হেডকোয়ার্টার্সে তথ্য পাঠানো হয়েছে, সেখান থেকে মেসেজ এলে আপনাদের জানানো হবে। এর বাইরে এখন কিছু বলতে পারব না।’
জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আমরা লাশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। নিহত ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির আঘাত পাওয়া গেছে।’
বিজিবির গুলিতে নিহতের অভিযোগ প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা দাবি করেছেন, বিজিবির গুলিতে আলমাস মিয়া মারা গেছেন।’
তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ তাঁদের কাছে কোনো অভিযোগ করতে আসেনি বলে জানান ওসি।

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে সুপারি পাচারকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে আলমাস উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চারিকাটা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বালিদাড়া কান্দির মুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলমাস উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিজিবি সদস্যদের গুলিতে আলমাস মারা গেছেন। পুলিশ গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে জানিয়ে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তবে বিজিবি তাদের ওপর হামলা ও একজন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার কথা জানালেও ওই যুবকের মৃত্যু নিয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, আজ সকাল ১০টার দিকে বিজিবির জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধীন সুইরঘাট বিওপির চারজন সদস্য দুটি মোটরসাইকেলে টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় জৈন্তাপুরের সীমান্তবর্তী বালিদাড়া কান্দিরমুখ মসজিদের দক্ষিণে তাজ উদ্দিনের বাড়ির পাশে চতুল-লালাখাল সড়কের ওপর পিকআপে করে দেশীয় সুপারি নিয়ে যাওয়ার সময় গুলি চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলমাস উদ্দিন নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কান্দিরমুখে মসজিদের কাছে এলে বিজিবিকে দেখতে পেয়ে গাড়ি (পিকআপ) ঘুরিয়ে বাজারের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন আলমাসসহ অন্যরা। তখন বিজিবি তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সামসুজ্জামান সেলিমের জিম্মায় জব্দ সুপারি রেখে গেছে বিজিবি।
এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে সুরাইঘাট বিওপির একটি টহল দল জৈন্তাপুরের চারিকাটা ইউনিয়নের ভিত্তিখলা সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানবিরোধী অভিযানে যায়। অভিযানের সময় টহল দল একটি অবৈধ পণ্যবাহী পিকআপ আটক করলে অজ্ঞাতনামা একদল সশস্ত্র চোরাকারবারি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, দা, বল্লম, লাঠিসোঁটাসহ টহল দলের ওপর আকস্মিক হামলা করে জব্দ করা মালপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সরকারি সম্পদ অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং টহল দলের সদস্যদের জানমাল রক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা নিরুপায় হয়ে ৪-৫ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হামলাকারীদের আক্রমণে বিজিবির এক সদস্য মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
তবে চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি পিকআপে দেশি সুপারি ছিল। বিডিআর (বিজিবি) ধাওয়া দিয়ে পিকআপে বেশ কয়েকটি গুলি করে। পিকআপের ওপরে থাকা একটা ছেলেকে ডিরেক্ট (সরাসরি) গুলি করে। গুলির আঘাতে ছেলেটা মারা গেছে। হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যায়।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, নিহত ছেলেটি পিকআপশ্রমিক মানে চালকের সহকারী, চোরাকারবারি নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেন, ‘আমাদের হেডকোয়ার্টার্সে তথ্য পাঠানো হয়েছে, সেখান থেকে মেসেজ এলে আপনাদের জানানো হবে। এর বাইরে এখন কিছু বলতে পারব না।’
জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আমরা লাশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। নিহত ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির আঘাত পাওয়া গেছে।’
বিজিবির গুলিতে নিহতের অভিযোগ প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা দাবি করেছেন, বিজিবির গুলিতে আলমাস মিয়া মারা গেছেন।’
তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ তাঁদের কাছে কোনো অভিযোগ করতে আসেনি বলে জানান ওসি।

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল...
১২ জুন ২০২৫
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা জায়গায় হানিফকে মাটিতে ফেলে বারবার ইট দিয়ে আঘাত করছেন কয়েকজন। অন্তত ৫-৭ জনের ওই দল দফায় দফায় তাঁকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
৪ মিনিট আগে
চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানির মামলায় মামার পক্ষে যশোরের আদালতে হাজিরা দেন ভাগনে। আদালতে জেরার উত্তরও দেন তিনি। শেষে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত আসামিকে (ভাগনে) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আসামি নিয়ে প্রিজন ভ্যান কারাফটকে গেলে নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাইকালে বেরিয়ে আসে আসল পরিচয়।
৯ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক তরুণীর মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করার অভিযোগ উঠেছে মর্গের ডোম আবু সাঈদের (১৯) বিরুদ্ধে। মর্গের চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করার পর পুলিশ দ্রুত ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক তরুণীর মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করার অভিযোগ উঠেছে মর্গের ডোম আবু সাঈদের (১৯) বিরুদ্ধে। মর্গের চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করার পর পুলিশ দ্রুত ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনাটি গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসক ও পুলিশ। বিষয়টি জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ওই তরুণীর মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়। পরদিন সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করার সময় অস্বাভাবিক কিছু বিষয় লক্ষ করেন।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পরে জানান, ময়নাতদন্তের সময় তিনি নিশ্চিত হন, মৃতদেহটি মর্গে আসার পর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে জানান।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্দেহবশত মর্গের দায়িত্বে থাকা ডোম আবু সাঈদকে (১৯) জিজ্ঞাসাবাদ করে। জেরায় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার করা ডোমের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ডোম সাঈদের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায়।
মেডিকেল কলেজের মর্গের মতো একটি সুরক্ষিত ও সংবেদনশীল স্থানে এমন ঘটনায় হাসপাতালের কর্মী মহল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মরদেহের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে বিবেচিত স্থানে এমন ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আত্মহত্যার ঘটনায় হালুয়াঘাট থেকে তরুণীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছিল। মৃতদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের খবর পেয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার পর আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক অপরাধ। আমরা দ্রুততম সময়ে তদন্ত শেষ করে আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব, যাতে এমন বর্বরতা কেউ আর কখনো করার সাহস না পায়।’

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক তরুণীর মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করার অভিযোগ উঠেছে মর্গের ডোম আবু সাঈদের (১৯) বিরুদ্ধে। মর্গের চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করার পর পুলিশ দ্রুত ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনাটি গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসক ও পুলিশ। বিষয়টি জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ওই তরুণীর মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়। পরদিন সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করার সময় অস্বাভাবিক কিছু বিষয় লক্ষ করেন।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পরে জানান, ময়নাতদন্তের সময় তিনি নিশ্চিত হন, মৃতদেহটি মর্গে আসার পর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে জানান।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্দেহবশত মর্গের দায়িত্বে থাকা ডোম আবু সাঈদকে (১৯) জিজ্ঞাসাবাদ করে। জেরায় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার করা ডোমের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ডোম সাঈদের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায়।
মেডিকেল কলেজের মর্গের মতো একটি সুরক্ষিত ও সংবেদনশীল স্থানে এমন ঘটনায় হাসপাতালের কর্মী মহল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মরদেহের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে বিবেচিত স্থানে এমন ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আত্মহত্যার ঘটনায় হালুয়াঘাট থেকে তরুণীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছিল। মৃতদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের খবর পেয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার পর আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক অপরাধ। আমরা দ্রুততম সময়ে তদন্ত শেষ করে আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব, যাতে এমন বর্বরতা কেউ আর কখনো করার সাহস না পায়।’

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল...
১২ জুন ২০২৫
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা জায়গায় হানিফকে মাটিতে ফেলে বারবার ইট দিয়ে আঘাত করছেন কয়েকজন। অন্তত ৫-৭ জনের ওই দল দফায় দফায় তাঁকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
৪ মিনিট আগে
চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানির মামলায় মামার পক্ষে যশোরের আদালতে হাজিরা দেন ভাগনে। আদালতে জেরার উত্তরও দেন তিনি। শেষে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত আসামিকে (ভাগনে) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আসামি নিয়ে প্রিজন ভ্যান কারাফটকে গেলে নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাইকালে বেরিয়ে আসে আসল পরিচয়।
৯ মিনিট আগে
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে সুপারি পাচারকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে আলমাস উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিজিবি সদস্যদের গুলিতে আলমাস মারা গেছেন। পুলিশ নিহত ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির আঘাত পাওয়ার বিষয়টি
২০ মিনিট আগে