নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত স্মৃতিসহ এই অঞ্চলের গণমানুষের নির্যাতন, সংগ্রাম ও গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি পুনঃসৃজন করতে রাজধানীর রাজপথে আসছে গণ-অর্থায়নে নির্মিতব্য রাজপথ-গণপরিবেশনা ‘লাল মজলুম’। আগামী শনিবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হবে।
এই গণপরিবেশনার ভাবনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. শাহমান মৈশান।
পরিবেশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, উদীচী, প্রাচ্যনাটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পী ও কর্মী এবং বিভিন্ন পেশাজীবীসহ দুই শতাধিক কলাকুশলী এই পরিবেশনায় অভিনয় ও বিভিন্ন স্তরে অংশ নিচ্ছেন। অক্টোবর মাসের শুরু থেকে পরিবেশনাটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে প্রতিদিন টিএসসির সুইমিংপুলে পরিবেশনা তৈরির মহড়া চলছে।
এই পরিবেশনায় ওরস সংস্কৃতির গান, অভ্যুত্থানের মিছিল, রাষ্ট্রীয় ও সংকীর্ণ সেক্টারিয়ান সন্ত্রাস, নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার বিভিন্ন আঞ্চলিক বাংলা ও চাকমা ভাষায় গণরূপায়ণ, রবীন্দ্র-নজরুল কাব্যের রাপ সংগীতায়ন, নারী ও প্রকৃতির বহু রূপ অন্বেষণ প্রয়াসের মিশ্রণ থাকবে। একই সঙ্গে এতে পথনাটক, পোস্টার নাটক, ইনস্টলেশন ও পারফরম্যান্স আর্টের ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে।
তবে এই গণপরিবেশনার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ‘তাৎক্ষণিক উদ্ভাবন প্রক্রিয়া’। অর্থাৎ যখন এটি ১৬ নভেম্বর শনিবার বিকেল ৪টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে শাহবাগ পর্যন্ত স্থানে স্থানে সংঘটিত হবে, সেদিনই কেবল এই পরিবেশনার পূর্ণাঙ্গ রূপ গঠিত হবে। তাই অনেকাংশেই এটি কোনো পূর্বনির্ধারিত নাট্যিক পরিবেশনা নয়। বরং স্থান-স্থাপত্য-চলমানতা ও দর্শকের সংযোগে পূর্ণ হবে লাল মজলুম।
গণপরিবেশনার নির্দেশক শাহমান মৈশান আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাল মজলুম একদিকে শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত স্মৃতি যেমন রোমন্থন করে পুনঃসৃজন করবে, তেমনি এই জনপদে ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানকেও একসূত্রে গাঁথবে। জনগণের রাজনৈতিক আত্মত্যাগের স্মৃতি ভুলে যাওয়ার বিরুদ্ধে অবিরত সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তাকে জনপরিসরে শিল্পরূপ দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা এটি।
এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিবাদ, ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিবাদ, এমনকি ব্যক্তির ক্ষুদ্রতম পরিসরে থাকা মাইক্রো ফ্যাসিবাদকেও এই পরিবেশনা প্রশ্ন করবে। যেকোনো প্রকার ক্ষমতাকেই সমালোচনার নৈতিক সৌন্দর্য এবং মজলুমের কথা বলার রাজনৈতিক পরিসরকে কল্পনা করার ভাষা প্রভৃতি আত্মস্থ করে একটি হাইব্রিড শিল্পভাষ্য হবে লাল মজলুম।’
গণপরিবেশনার সহযোগী নির্দেশক ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন রাগীব নাঈম। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে গণপরিবেশনাটি শুরু হবে। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের সামনের রাস্তা ও চারুকলার সামনে খণ্ড খণ্ডভাবে চলমান পরিবেশনাটি শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে একটি গণ-অধিবেশনমূলক সংলাপের দৃশ্যায়নের মাধ্যমে শেষ হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত স্মৃতিসহ এই অঞ্চলের গণমানুষের নির্যাতন, সংগ্রাম ও গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি পুনঃসৃজন করতে রাজধানীর রাজপথে আসছে গণ-অর্থায়নে নির্মিতব্য রাজপথ-গণপরিবেশনা ‘লাল মজলুম’। আগামী শনিবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হবে।
এই গণপরিবেশনার ভাবনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. শাহমান মৈশান।
পরিবেশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, উদীচী, প্রাচ্যনাটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পী ও কর্মী এবং বিভিন্ন পেশাজীবীসহ দুই শতাধিক কলাকুশলী এই পরিবেশনায় অভিনয় ও বিভিন্ন স্তরে অংশ নিচ্ছেন। অক্টোবর মাসের শুরু থেকে পরিবেশনাটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে প্রতিদিন টিএসসির সুইমিংপুলে পরিবেশনা তৈরির মহড়া চলছে।
এই পরিবেশনায় ওরস সংস্কৃতির গান, অভ্যুত্থানের মিছিল, রাষ্ট্রীয় ও সংকীর্ণ সেক্টারিয়ান সন্ত্রাস, নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার বিভিন্ন আঞ্চলিক বাংলা ও চাকমা ভাষায় গণরূপায়ণ, রবীন্দ্র-নজরুল কাব্যের রাপ সংগীতায়ন, নারী ও প্রকৃতির বহু রূপ অন্বেষণ প্রয়াসের মিশ্রণ থাকবে। একই সঙ্গে এতে পথনাটক, পোস্টার নাটক, ইনস্টলেশন ও পারফরম্যান্স আর্টের ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে।
তবে এই গণপরিবেশনার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ‘তাৎক্ষণিক উদ্ভাবন প্রক্রিয়া’। অর্থাৎ যখন এটি ১৬ নভেম্বর শনিবার বিকেল ৪টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে শাহবাগ পর্যন্ত স্থানে স্থানে সংঘটিত হবে, সেদিনই কেবল এই পরিবেশনার পূর্ণাঙ্গ রূপ গঠিত হবে। তাই অনেকাংশেই এটি কোনো পূর্বনির্ধারিত নাট্যিক পরিবেশনা নয়। বরং স্থান-স্থাপত্য-চলমানতা ও দর্শকের সংযোগে পূর্ণ হবে লাল মজলুম।
গণপরিবেশনার নির্দেশক শাহমান মৈশান আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাল মজলুম একদিকে শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত স্মৃতি যেমন রোমন্থন করে পুনঃসৃজন করবে, তেমনি এই জনপদে ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানকেও একসূত্রে গাঁথবে। জনগণের রাজনৈতিক আত্মত্যাগের স্মৃতি ভুলে যাওয়ার বিরুদ্ধে অবিরত সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তাকে জনপরিসরে শিল্পরূপ দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা এটি।
এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিবাদ, ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিবাদ, এমনকি ব্যক্তির ক্ষুদ্রতম পরিসরে থাকা মাইক্রো ফ্যাসিবাদকেও এই পরিবেশনা প্রশ্ন করবে। যেকোনো প্রকার ক্ষমতাকেই সমালোচনার নৈতিক সৌন্দর্য এবং মজলুমের কথা বলার রাজনৈতিক পরিসরকে কল্পনা করার ভাষা প্রভৃতি আত্মস্থ করে একটি হাইব্রিড শিল্পভাষ্য হবে লাল মজলুম।’
গণপরিবেশনার সহযোগী নির্দেশক ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন রাগীব নাঈম। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে গণপরিবেশনাটি শুরু হবে। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের সামনের রাস্তা ও চারুকলার সামনে খণ্ড খণ্ডভাবে চলমান পরিবেশনাটি শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে একটি গণ-অধিবেশনমূলক সংলাপের দৃশ্যায়নের মাধ্যমে শেষ হবে।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২৫ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৬ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৪২ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে