নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যুবদল নেতা শামীম হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরের রিমান্ড শুনানিতে আদালতে হট্টগোল হয়েছে। তখন বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘কোর্ট রাগ দেখানোর জায়গা নয়, যতক্ষণ গাউন পরে থাকবেন।’
আজ রোববার বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল শনিবার সাবেক সচিব ও সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এবং আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবিরকে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই তন্ময় কুমার বিশ্বাস আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে ফারুকী বলেন, ‘এই আসামি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের সমস্ত অন্যায়-অপকর্মে সহযোগিতা করেছেন তিনি। বিরোধীদের হত্যা ও গুমে তাঁর ভূমিকা ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ব্যবহার করে বিরোধীদের হয়রানি করতে ইন্ধন জুগিয়েছেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলায় তাঁর ভূমিকা ছিল। সেখানে যুবদল নেতা শামীম মারা যান।’
আবুল কালাম আজাদের পক্ষে তাঁর আইনজীবী শুনানিতে বলেন, ‘তিনি একজন সফল সচিব।’
এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েন রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করা আইনজীবী।
তখন বিচারক বলেন, ভুলে যাবেন না, আইনজীবীদের আচরণ আইনজীবীদের মতো হতে হবে। উনি (আবুল কালামের আইনজীবী) একজন সিনিয়র আইনজীবী।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ এসডিজির সচিব ছিলেন। এসডিজির সচিব আর মুখ্য সচিব কিন্তু এক না, সম্পূর্ণ সেপারেট। বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তিনি ভূমিকা রেখেছেন। বিভিন্ন প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছেন।’ এ সময় বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, মামলা নিয়ে কথা বলুন।
একপর্যায়ে বিচারক বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ মানে ইনটলারেন্স টু আদার্স। এ রকম হট্টগোল আগে দেখিনি। বড় বড় মামলা করেছি। উনাদের (আসামিপক্ষ) সুযোগ দিতে হবে।’
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ৭০৪ জন আসামির মধ্যে আবুল কালাম আজাদের নাম নেই। একজন সচিব হিসেবে জাপানের মতো দেশে রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে তাঁকে। তিনি কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন, এসডিজির মুখ্য সচিব। ২০১৮ তে অবসরে যান। মামলার বিষয়ে জানেন না। এমপি হিসেবে এলাকায় অনেক কাজ করেছেন। এত কাজ করেছেন যে তাঁর কাছে কিছু চাইতে হয়নি। এলাকাকে আলোকিত করেছেন।
তখন বিরোধীরা বলেন, ‘এত টাকা কোথায় পেলেন? ভোট তো চাইতে হয়নি। ভোট চুরি করেছেন।’
তখন বিচারক বলেন, ‘বায়োডাটা না দিয়ে ফ্যাক্ট বলুন।’
এরপর তাঁর আইনজীবী বলেন, ২০১৮ সালে অবসরে গেছেন। সম্প্রতি একটা ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
এরপর হট্টগোল শুরু হলে আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘আদালতে হট্টগোল করলে নিউজ হয়। আমি সবার বক্তব্য শুনতে এখানে বসেছি। আপনারা হট্টগোল করছেন, বিষয়টা এমন যেন কোর্টকে প্রেশার দিচ্ছেন। প্রেশার নেওয়ার মানুষ আমি না।’
বিচারক আরও বলেন, ‘আর আপনারা যে হট্টগোল করছেন, আপনাদের তো নাম আসছে না। কারণ, আদালতের ভেতরে কোনো টেলিভিশন নেই। বাইরে গিয়ে যত বক্তব্য দেওয়ার দেবেন। এমন করলে মানুষ বলবে এটা ক্যাঙারু কোর্ট। কোর্ট রাগ দেখানোর জায়গা নয়, যতক্ষণ গাউন পরে থাকবেন।’
এরপর আদালত আবুল কালাম আজাদ ও হুমায়ন কবিরের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানিতে থাকাবস্থায় আবুল কালাম আজাদকে অশ্রুসিক্ত দেখা যায়।
যুবদল নেতা শামীম হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরের রিমান্ড শুনানিতে আদালতে হট্টগোল হয়েছে। তখন বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘কোর্ট রাগ দেখানোর জায়গা নয়, যতক্ষণ গাউন পরে থাকবেন।’
আজ রোববার বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল শনিবার সাবেক সচিব ও সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এবং আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবিরকে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই তন্ময় কুমার বিশ্বাস আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে ফারুকী বলেন, ‘এই আসামি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের সমস্ত অন্যায়-অপকর্মে সহযোগিতা করেছেন তিনি। বিরোধীদের হত্যা ও গুমে তাঁর ভূমিকা ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ব্যবহার করে বিরোধীদের হয়রানি করতে ইন্ধন জুগিয়েছেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলায় তাঁর ভূমিকা ছিল। সেখানে যুবদল নেতা শামীম মারা যান।’
আবুল কালাম আজাদের পক্ষে তাঁর আইনজীবী শুনানিতে বলেন, ‘তিনি একজন সফল সচিব।’
এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েন রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করা আইনজীবী।
তখন বিচারক বলেন, ভুলে যাবেন না, আইনজীবীদের আচরণ আইনজীবীদের মতো হতে হবে। উনি (আবুল কালামের আইনজীবী) একজন সিনিয়র আইনজীবী।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ এসডিজির সচিব ছিলেন। এসডিজির সচিব আর মুখ্য সচিব কিন্তু এক না, সম্পূর্ণ সেপারেট। বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তিনি ভূমিকা রেখেছেন। বিভিন্ন প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছেন।’ এ সময় বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, মামলা নিয়ে কথা বলুন।
একপর্যায়ে বিচারক বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ মানে ইনটলারেন্স টু আদার্স। এ রকম হট্টগোল আগে দেখিনি। বড় বড় মামলা করেছি। উনাদের (আসামিপক্ষ) সুযোগ দিতে হবে।’
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ৭০৪ জন আসামির মধ্যে আবুল কালাম আজাদের নাম নেই। একজন সচিব হিসেবে জাপানের মতো দেশে রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে তাঁকে। তিনি কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন, এসডিজির মুখ্য সচিব। ২০১৮ তে অবসরে যান। মামলার বিষয়ে জানেন না। এমপি হিসেবে এলাকায় অনেক কাজ করেছেন। এত কাজ করেছেন যে তাঁর কাছে কিছু চাইতে হয়নি। এলাকাকে আলোকিত করেছেন।
তখন বিরোধীরা বলেন, ‘এত টাকা কোথায় পেলেন? ভোট তো চাইতে হয়নি। ভোট চুরি করেছেন।’
তখন বিচারক বলেন, ‘বায়োডাটা না দিয়ে ফ্যাক্ট বলুন।’
এরপর তাঁর আইনজীবী বলেন, ২০১৮ সালে অবসরে গেছেন। সম্প্রতি একটা ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
এরপর হট্টগোল শুরু হলে আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘আদালতে হট্টগোল করলে নিউজ হয়। আমি সবার বক্তব্য শুনতে এখানে বসেছি। আপনারা হট্টগোল করছেন, বিষয়টা এমন যেন কোর্টকে প্রেশার দিচ্ছেন। প্রেশার নেওয়ার মানুষ আমি না।’
বিচারক আরও বলেন, ‘আর আপনারা যে হট্টগোল করছেন, আপনাদের তো নাম আসছে না। কারণ, আদালতের ভেতরে কোনো টেলিভিশন নেই। বাইরে গিয়ে যত বক্তব্য দেওয়ার দেবেন। এমন করলে মানুষ বলবে এটা ক্যাঙারু কোর্ট। কোর্ট রাগ দেখানোর জায়গা নয়, যতক্ষণ গাউন পরে থাকবেন।’
এরপর আদালত আবুল কালাম আজাদ ও হুমায়ন কবিরের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানিতে থাকাবস্থায় আবুল কালাম আজাদকে অশ্রুসিক্ত দেখা যায়।
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সালাউদ্দিন (৩৫) নামের এক দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের বর্ণির চক (দৌঁড়েরবাজার) এলাকার রাইতখালী খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।
২৩ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুরে পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান (স্থানীয়ভাবে আলমসাধু হিসেবে পরিচিত) সেতুর ওপর উল্টে গেছে। এ সময় যানবাহনটির নিচে চাপা পড়ে চালকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাঁর সহকারী ও পথচারী আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মনিরামপুর-ঢাকুরিয়া সড়কের ঢাকুরিয়া খালকান্দা সেতুর ওপর এ ঘটনা ঘটে।
২৮ মিনিট আগেহবিগঞ্জের চুনারুঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ডুলনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৩১ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চলন্ত অবস্থায় ঝুটবোঝাই একটি ট্রাকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রাকের পেছনে থাকা একটি মাইক্রো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা ট্রাকটি সড়কের পাশের খালে নামিয়ে দেন চালক। তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার
১ ঘণ্টা আগে