শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও আগাম বৃষ্টির কারণে মাদারীপুরের শিবচরে পাটের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তবে খেতে-জলাশয়ে আগাম পানি ওঠায় পাট জাগ দিতে সুবিধা হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার বহেরাতলা, বাঁশকান্দি, কুতুবপুর, কাদিরপুর, নিলখী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে পাটের আবাদ করেছেন কৃষকেরা। এ বছর পাটখেতে বন্যার পানি আগাম প্রবেশ করায় পাট কাটতে হচ্ছে কৃষকের। কোনো কোনো খেতের পাট এখনো পরিণত পর্যায়ে আসেনি। খেতে পানি ওঠায় পাট কেটে জাগ দিতে হচ্ছে তাঁদের।
আগাম পাট কাটায় ‘ভালো’ আঁশ পাওয়া নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। তবে পানি আগেভাগেই খেতসহ খাল-বিলে প্রবেশ করায় পাট জাগ দিতে সমস্যা হচ্ছে না তাঁদের।
কৃষকেরা জানান, গত বছর পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। জমি থেকে দূরের স্থানে নিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে। এতে খরচ বেড়ে যায়। তবে এবার পাট কেটে খেত ও সংলগ্ন খাল-বিলেই জাগ দিতে পারছেন কৃষকেরা। ফলে পরিবহন খরচ লাগছে না। বাজারদর ঠিক থাকলে লাভের আশা করছেন কৃষকেরা।
শিবচরের উৎরাইল হাট, চান্দেরচর হাট ও মাদবরেরচর হাটসহ বিভিন্ন হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পাটের বাজারদর রয়েছে মণ প্রতি ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল মঙ্গলবার উৎরাইল হাটে মান অনুযায়ী ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ পর্যন্ত পাট বিক্রি হয়েছে। বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেক চাষি নিজেদের ঘরে পাট মজুত করেছেন।
উৎরাইল এলাকার কৃষক মো. আচমত আলী বলেন, ‘দাম কম হলে বাজারে বিক্রি না করে অনেক ফসলই আমরা রেখে দিই। পাটও রাখা হয়। এ বছর এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২০০ টাকায় মণ বিক্রি হচ্ছে পাট। আমার খেতের পাট এখনো ওঠেনি। জাগ দেওয়া হয়েছে। আশা করি ভালো দাম পাওয়া যাবে। তবে পাটের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। গত ঝড়ে পাটখেতে ক্ষতি হয়েছে।’
শিবচর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার শিবচর উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করেছেন কৃষকেরা। গত বছর যেখানে ছিল ১৩ হাজার ৭০০ হেক্টর। এ বছর ৬০ হেক্টর জমিতে আবাদ বেড়েছে। শিবচরে বেশ কয়েকটি জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে জিআরও, ও-৯৮৯৭, বিজেআরআই তোষা পাট ও মেস্তা পাট।
এ বছর শিবচর উপজেলায় ৫২৫ হেক্টর জমিতে মেস্তাপাটের চাষ করা হয়েছে। উপজেলার মাটি পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। গত ঘূর্ণিঝড় রিমালে বেশির ভাগ জমির পাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আবাদ বেশি হলেও ফলন কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কা করছে উপজেলা কৃষি কার্যালয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে পাট কিনেছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাদারীপুরের উপপরিচালক সন্তোষ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘এবার পাটচাষিদের জন্য একটি বড় সুবিধা হচ্ছে আগাম বৃষ্টিপাত। এর ফলে চাষিরা পাট কেটে খেতের পাশেই জাগ দিতে পারছে। তাতে পরিবহন খরচ হচ্ছে না। তা ছাড়া খেতে পানি থাকায় ওই জমিতেই পাট কেটে আবার রোপা আমন লাগাচ্ছেন চাষিরা।’
সন্তোষ চন্দ্র আরও বলেন, ‘আগাম বৃষ্টিপাতের কারণে জমিতে পানি থাকায় পাট কিছুটা আগেই কেটে ফেলা হচ্ছে। যে পাট এক মাস পরে কাটা হতো তা আগেই কাটা হচ্ছে। এতে ফলন কিছুটা কম হতে পারে। তা ছাড়া ঘূর্ণিঝড় রিমালেও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও আগাম বৃষ্টির কারণে মাদারীপুরের শিবচরে পাটের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তবে খেতে-জলাশয়ে আগাম পানি ওঠায় পাট জাগ দিতে সুবিধা হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার বহেরাতলা, বাঁশকান্দি, কুতুবপুর, কাদিরপুর, নিলখী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে পাটের আবাদ করেছেন কৃষকেরা। এ বছর পাটখেতে বন্যার পানি আগাম প্রবেশ করায় পাট কাটতে হচ্ছে কৃষকের। কোনো কোনো খেতের পাট এখনো পরিণত পর্যায়ে আসেনি। খেতে পানি ওঠায় পাট কেটে জাগ দিতে হচ্ছে তাঁদের।
আগাম পাট কাটায় ‘ভালো’ আঁশ পাওয়া নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। তবে পানি আগেভাগেই খেতসহ খাল-বিলে প্রবেশ করায় পাট জাগ দিতে সমস্যা হচ্ছে না তাঁদের।
কৃষকেরা জানান, গত বছর পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। জমি থেকে দূরের স্থানে নিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে। এতে খরচ বেড়ে যায়। তবে এবার পাট কেটে খেত ও সংলগ্ন খাল-বিলেই জাগ দিতে পারছেন কৃষকেরা। ফলে পরিবহন খরচ লাগছে না। বাজারদর ঠিক থাকলে লাভের আশা করছেন কৃষকেরা।
শিবচরের উৎরাইল হাট, চান্দেরচর হাট ও মাদবরেরচর হাটসহ বিভিন্ন হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পাটের বাজারদর রয়েছে মণ প্রতি ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল মঙ্গলবার উৎরাইল হাটে মান অনুযায়ী ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ পর্যন্ত পাট বিক্রি হয়েছে। বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেক চাষি নিজেদের ঘরে পাট মজুত করেছেন।
উৎরাইল এলাকার কৃষক মো. আচমত আলী বলেন, ‘দাম কম হলে বাজারে বিক্রি না করে অনেক ফসলই আমরা রেখে দিই। পাটও রাখা হয়। এ বছর এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২০০ টাকায় মণ বিক্রি হচ্ছে পাট। আমার খেতের পাট এখনো ওঠেনি। জাগ দেওয়া হয়েছে। আশা করি ভালো দাম পাওয়া যাবে। তবে পাটের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। গত ঝড়ে পাটখেতে ক্ষতি হয়েছে।’
শিবচর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার শিবচর উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করেছেন কৃষকেরা। গত বছর যেখানে ছিল ১৩ হাজার ৭০০ হেক্টর। এ বছর ৬০ হেক্টর জমিতে আবাদ বেড়েছে। শিবচরে বেশ কয়েকটি জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে জিআরও, ও-৯৮৯৭, বিজেআরআই তোষা পাট ও মেস্তা পাট।
এ বছর শিবচর উপজেলায় ৫২৫ হেক্টর জমিতে মেস্তাপাটের চাষ করা হয়েছে। উপজেলার মাটি পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। গত ঘূর্ণিঝড় রিমালে বেশির ভাগ জমির পাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আবাদ বেশি হলেও ফলন কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কা করছে উপজেলা কৃষি কার্যালয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে পাট কিনেছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাদারীপুরের উপপরিচালক সন্তোষ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘এবার পাটচাষিদের জন্য একটি বড় সুবিধা হচ্ছে আগাম বৃষ্টিপাত। এর ফলে চাষিরা পাট কেটে খেতের পাশেই জাগ দিতে পারছে। তাতে পরিবহন খরচ হচ্ছে না। তা ছাড়া খেতে পানি থাকায় ওই জমিতেই পাট কেটে আবার রোপা আমন লাগাচ্ছেন চাষিরা।’
সন্তোষ চন্দ্র আরও বলেন, ‘আগাম বৃষ্টিপাতের কারণে জমিতে পানি থাকায় পাট কিছুটা আগেই কেটে ফেলা হচ্ছে। যে পাট এক মাস পরে কাটা হতো তা আগেই কাটা হচ্ছে। এতে ফলন কিছুটা কম হতে পারে। তা ছাড়া ঘূর্ণিঝড় রিমালেও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে