Ajker Patrika

স্কুলছাত্রী ও নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্কুলছাত্রী ও নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

পাবনার সুজানগর উপজেলায় স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও রাজধানীর শাহ আলী-মিরপুর এলাকায় নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ রোববার সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার ভাটাপাড়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান ও সুজানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওহাবের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটান। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় গত ১৭ মে শুক্রবার এলাকার যুবক বারেক, ইমন, সাব্বির, তুহিন ও সাজিদ ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।

নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানীর জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম অপর এক নারী খেলোয়ারের সহযোগিতায় অন্য নারী খেলোয়ারদের সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করত।

ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে অভিযুক্ত সহযোগী নারী ক্রীড়াবিদ নারী নির্যাতনের শিকার নারীর নগ্ন ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে রফিকুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতিহিংসার কারণে নারী ও কন্যাশিশুরা ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের মত নৃশংস সহিংসতার শিকার হচ্ছে। সেই সঙ্গে ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের মত জায়গায় নারীদের প্রতি যৌন হয়রানিমূলক আচরণ এবং ধর্ষণের ঘটনা নারীদের স্বাভাবিক জীবন, কর্মক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে এবং তাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দুটি পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত