Ajker Patrika

রাজধানীর দক্ষিণখান থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর দক্ষিণখান থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাইজু আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দক্ষিণখানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গতকাল শনিবার রাতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

জানা গেছে, নিহত লাইজু আক্তার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের সাজারুল ইসলামের মেয়ে এবং ঢাকার নবাবগঞ্জের মাসুদ রানার স্ত্রী। তিনি ওই ফ্ল্যাটে স্বামী ও বোনের সঙ্গে থাকতেন। 

নিহতের বড় বোন রুনা আক্তার বলেন, ‘একই ফ্ল্যাটের একটি রুমে আমরা স্বামী-স্ত্রী থাকি। আরেকটি ফ্ল্যাটে ছোট বোন লাইজু ও তাঁর স্বামী থাকে। ওই সময় আমি গার্মেন্টস থেকে এসে দেখি লাইজুর রুম লাগানো। দরজার সামনে তাঁর স্বামী মাসুদ রানা শুয়ে আছে। আর লাইজু রুমের ভেতরে। পরে ডাকাডাকি ও ফোন করে কোনো শব্দ না পেয়ে দরজা ভাঙা হয়। পরে লাইজুকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত দেখতে পাওয়া যায়।’ 

নিহত গৃহবধূর স্বামী মাসুদ রানা বলেন, ‘আমি ঈদের পর গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। ঘটনার দিন বিকেলে বাসায় ফিরেছিলাম। ফিরেই আমার বাসার পাশের এলাকার কম্পিউটারের দোকানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে এসে ক্ষুধা লাগায় সন্ধ্যায় ভাত চেয়েছিলাম। পরে লাইজু আমায় বলে, বাসায় গ্যাস নেই। তিন দিন ধরে না খেয়ে রয়েছি। পরে আমি বাহিরে গিয়ে খেতে চাইলে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে রুমে ঢুকে লাইজু ঘরের দরজা আটকিয়ে ছিটকিনি লাগিয়ে দেয়। তখন আমি দরজার সামনেই ফ্লোরে শুয়ে পড়ি। রাত ৮টার দিকে ডাকাডাকি ও ফোন করি। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখি লাইজু ফ্যানের সাথে ঝুলছে।’ 

তাঁর গলায় আঁচড়ের দাগ ও হাত কাটার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাসুদ রানা বলেন, ‘সেফটিপিন দিয়ে গলায় আঁচড় দিয়েছি। কয়েক দিন আগে গ্রামের বাসায় রাগে শোকেসের গ্লাস ভাঙতে গিয়ে ডান হাত কেটে গেছে। আর বাম হাত নিজেই কেটেছি।’ 

এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘মিজানের গ্যারেজ এলাকার একটি ভাড়া বাসার বেড রুম থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে দক্ষিণখান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।’ 

নিহতের স্বামীর শরীরের আঘাতের চিহ্ন ও ওই গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘নিহতের স্বজনদের কারও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অপরদিকে তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর বোনেরাই নিহতের স্বামীর জন্য সাপোর্ট করছে। তাই প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এবং তদন্তে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া গেলে পরবর্তীতে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাস্তি পাচ্ছেন বিটিআরসির মহাপরিচালকসহ ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা

ভূমি অফিসের কাণ্ড: এসি ল্যান্ড দপ্তরের নামে দেড় কোটি টাকা আদায়

‘তেলের ক্রেতা’ হিসেবে ভারতকে আর পাবে না রাশিয়া, জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

বরখাস্ত সৈনিককে অস্ত্র দিয়েছেন বিএনপি নেতা, অডিও নিয়ে তোলপাড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত