Ajker Patrika

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি গদি রক্ষার আইন’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি গদি রক্ষার আইন’

বাংলাদেশের সংবিধান নাগরিকদের বাক্‌স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তা ক্ষুণ্ন করেছে। এই আইনের সবটাই অপপ্রয়োগ হচ্ছে। সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন হলেও গণতন্ত্র, আইনের শাসনের মতো অদৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য এ আইন করেছে। এই আইন সরকারের গদি রক্ষার আইন। 

সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে আজ সোমবার বক্তারা এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আর এটা যে বিরূপ মন্তব্য তা নির্ধারণ করার জন্য পুলিশকে একচেটিয়া ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিজে মামলা না করলেও অনেকে একাধিক মামলা করছে। আমাদের সংবিধানে বাক এবং সংবাদপত্রের যে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এই আইন তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এটা সরকারের অগণতান্ত্রিকভাবে নেওয়া গদী রক্ষার আইন। যে দেশে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না সেটা ফ্যাসিবাদের লক্ষণ। এই আইনে লেখক মোশতাককে ছয়বার জামিন দেওয়া হয়নি। তাঁকে পরে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটা সস্তা আইন। এটাকে বানানোই হয়েছে মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য। জনগণের নিরাপত্তার জন্য আইন হয়, কিন্তু এই আইন করা হয়েছে সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দরকার, তবে তা শুধু সাইবার সিকিউরিটির জন্য। এই আইনের কারণে পত্রিকায় আর কার্টুন দেখা যাচ্ছে না। আইন হবে জনগণকে রক্ষার জন্য, যা সরকারের জন্য ব্যবহার করা হবে না। তাই এই আইন সরিয়ে ফেলা উচিত। 

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এই আইনে যাকে তাকে যখন ইচ্ছে ধরে নিয়ে আসা যায়। এই আইনের কুফল মানুষ পাচ্ছে। এটা আমাদের গণতন্ত্রকে উল্টোদিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই আইন সাংবাদিক, ছাত্র, আমাদের রাজনীতি বিরোধীদের দমনের জন্য করা হয়েছে। উন্নয়ন দুই প্রকার, একটা দৃশ্যমান আরেকটা হলো অদৃশ্যমান। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এগুলোর উন্নয়ন হয়নি। 

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আগে রায় দিয়ে পরে তদন্ত করা, এটা আবার কেমন আইন? তদন্ত করতে করতে কয়েক বছর চলে যায়। এই আইনে রাষ্ট্র একজনকে নয়, পুরো সমাজের ক্ষতি করছে। এ আইনে ভারসাম্য রক্ষা হয়নি। এটার প্রয়োগের চেয়ে অপপ্রয়োগ বেশি হচ্ছে। 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, মানহানির মামলা ঠিক আছে, কিন্তু অনুভূতিতে আঘাত হানা এটা আবার কি? যার যার অনুভূতিটা কী, সেটা লেখা উচিত। যাকে নিয়ে কিছু বলা হয় তার আঘাত লাগেনা, আঘাত লাগে আরেকজনের। হ্যাকিংয়ের জন্য আইন করা যায়, কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নয়। 

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হলো সমাজ এবং রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা দেওয়া। রাসুল (সা.) কে নিয়ে যে অবমাননা করবেন, তার জন্য সিকিউরিটি আইনের কি দরকার নেই? গুজব, মিথ্যা এগুলো ছড়াবেন, তার জন্য কি এই আইনের দরকার নেই? লেখক মোশতাকের যে মৃত্যু হয়েছে এটা কি হত্যা? স্বাভাবিকভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। 

সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব প্রয়োগই অপপ্রয়োগ। এই আইনে মানুষ কি অপরাধ করেছে, সে নিজেই অনেক সময় বুঝে উঠতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে বললে মামলা হবে বলা হলেও, এত দিনেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি তার সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে চড়, তদন্ত করছে পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে রুস্তম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর সাত-আট বছর বয়সী মেয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল। তখন ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

পুলিশ দাবি করেছে, এতে তাদের কোনো সদস্য জড়িত নয়। কে শিশুটিকে চড় মেরেছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গত বৃহস্পতিবার ভোরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুই পক্ষের মারামারির সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে মো. জাহিদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হন। সেদিন সন্ধ্যায় সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তখন রুস্তমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুস্তমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে থাকা কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। পরে শিশুটিকে তার বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেন।

অভিযানের সময় সেখানে ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মফিজ উদ্দিন। ঘটনার বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি রুস্তমকে গ্রেপ্তারের পর সেখান থেকে নিয়ে আসছিলাম আমরা। ওখানে পুলিশের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকে ছিলেন। টানাহেঁচড়ার মধ্যে কে চড় মেরেছে, সেটি দেখিনি। আমরা তদন্ত করে সেটা বের করার চেষ্টা করছি।’

পুলিশ জানিয়েছে, মো. জাহিদ হত্যার ঘটনায় করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রুস্তম। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাঁকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় বিভিন্ন মামলার আসামিরা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নানা কৌশল নেয়। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী ও বাচ্চাদের দিয়ে নানা পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়।

ওই ঘটনার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। পুলিশ চড় মারেনি। রুস্তমকে গ্রেপ্তার করার পর মেয়েটি ওর বাবার কাছে এসে কান্না করতে থাকে। তখন ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। কাজটি ঠিক হয়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভ্যানগাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় নারী নিহত

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি  
ট্রাকের ধাক্কায় আহতদের হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ট্রাকের ধাক্কায় আহতদের হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ভ্যানগাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় সিক্ত খাতুন (২৬) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরদিয়া জামরুলতলা এলাকায় বাগেরহাট-রূপসা আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত সিক্ত খাতুন উপজেলার আট্টাকা গ্রামের মৃত কালাম শেখের মেয়ে। এ ঘটনায় ভ্যানচালক শাহাদাৎ হোসেন (৫৫) এবং আরেক ভ্যানযাত্রী শাহেব আলী (৬৫) আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যাত্রীবাহী ভ্যানটি ছোটবাহিরদিয়া জোড়াকবর এলাকা থেকে ফকিরহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিল। ভ্যানটি জামরুলতলা এসে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা রূপসাগামী একটি ট্রাক এটিকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে সিক্ত খাতুন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত দুজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফকিরহাট মডেল থানার ওসি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ার সময় বাহিরদিয়া ক্যাম্প পুলিশ জব্দ করেছে। ট্রাকচালক ও সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গুরুত্ব পাবে শিক্ষা খাত: তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকদের পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। সব স্কুলে বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শনিবার ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা’ বিষয়ে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের বনিয়াদটাকে শক্তিশালী করতে পারলে তাদের ভবিষ্যতটা শক্ত, সুন্দর হবে বলে জানান বিএনপির নেতা। তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে। শিক্ষকদের এমন সাপোর্ট দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা পাঠদানে পুরো মনোযোগ দিতে পারেন।

তারেক রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণি থেকে কারিগরি শিক্ষা, বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি বিদেশি বিভিন্ন ভাষা, খেলাধুলা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে—যাতে ছেলেমেয়েরা দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে গিয়েও যেকোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গত ১৫-১৬ বছর দেশ থেকে বহু অর্থ-সম্পদ পাচার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘ফলে সার্বিকভাবে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। যেহেতু আমরা অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছি, আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে অল্প অর্থটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার।’

অনুষ্ঠানস্থল থেকে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার ওপর গত ১৬ আগস্ট উপজেলার ৮৪টি বিদ্যালয়ের ১০ হাজারের

বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়া হয় ৬০ জনকে। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার ২৫ হাজার, দ্বিতীয় পুরস্কার ১৫ হাজার, তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার এবং চতুর্থ পুরস্কার ৫ হাজার টাকা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনটি স্কুলকে ১ লাখ করে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বামীর সহযোগিতায় স্ত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামীর সহযোগিতায় এক নারীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন স্বামীর পরিচিত তিন ব্যক্তি। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই নারী একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশানী ইসলামিয়া ইটভাটায়। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নারীর স্বামী নোয়াখালীর সুধারাম থানার রামহরিতালুক গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রাজু আহাম্মেদ (২৬), ধর্ষণকারী একই এলাকার সিরাজ মাঝির ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে হৃদয় (২৫), চান মিয়া মাঝির ছেলে মহিন (২৬), একই উপজেলার মুন্সিতালুক গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আবুল কালাম (৪৫)।

এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারী মামলায় উল্লেখ করেন, স্বামী রাজুর সঙ্গে তাঁর ২০২৩ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারেন রাজু একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। চলতি মাসের প্রথম দিকে রাজু পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সালিসে আর নেশা করবে না বলে স্ত্রীকে কথা দেন। আগামী দিনে তাঁরা মিলেমিশে সংসার করবেন বলেও জানান।

১৫ অক্টোবর স্বামী রাজু তাঁর স্ত্রীকে কুমিল্লা শহরে থাকার কথা বলে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশানী ইসলামিয়া ইটভাটায় নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁরা শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন। এই সময় তাঁদের থাকার জন্য অভিযুক্ত বেলালের সহযোগিতায় একটি ঘর ভাড়া নেন। ১৬ অক্টোবর রাত ১০টায় অভিযুক্ত বেলাল ও আবুল কাশেম তাঁদের ঘরে প্রবেশ করেন। এই সময় তাঁর স্বামী ঘরে ছিলেন। বেলাল ও কালাম রুমে প্রবেশের কিছুক্ষণ পর তাঁর স্বামীর সহায়তায় বেলাল তাঁকে ধর্ষণ করেন।

অভিযোগে ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, লজ্জার কারণে তিনি বিষয়টি কাউকে জানাননি। ১৮ অক্টোবর অপর অভিযুক্ত হৃদয় ও মহিন উদ্দিন তাঁদের ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁর স্বামী উপস্থিত ছিলেন। আগের একই কায়দায় হৃদয় ও মহিন উদ্দিন তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ২০ অক্টোবর রাতে একই কায়দায় অভিযুক্ত হৃদয় আবারও তাঁর ঘরে প্রবেশ করেন এবং তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন তাঁর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে হৃদয় পালিয়ে যান।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারী শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা আজ শনিবার ভোরে ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীর নারীর স্বামী রাজুসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করি। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত