নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টিটিই বরখাস্তের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুরো ঘটনাটি বের হয়ে আসবে। তা ছাড়া গতকাল পর্যন্ত আমি জানতাম না যে অভিযোগকারীরা আমার স্ত্রীর আত্মীয়। পরে আমি জানতে পেরেছি। তবে মন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে তিনি শুধু অভিযোগ করেছেন, কাউকে সাসপেনশন করতে বলেননি।’
রোববার সকালে রেল ভবনে রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করার অপরাধে তিন যাত্রীকে জরিমানা করার জন্য টিটিইকে বরখাস্তের ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার সময় এমনটি জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘একজন যাত্রী হিসেবে তিনি এ ধরনের অভিযোগ করতে পারেন। কিন্তু মন্ত্রীর বউ হিসেবে অভিযোগ করতে পারেন না। আমার স্ত্রীর রেলের বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে আমাকে বলতে পারেন। এটাই হলো নিয়ম। কাজেই এই জায়গায় কিছুটা ব্যত্যয় আছে। সংগত কারণে আমি মনে করি টিটিইর বারখাস্তের অর্ডারটা যথাযথ হয়নি, তাই প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার নিজের ভাইগনা ভাগনি আছে ৩৭ জন। তাদের ছেলেমেয়ে আছে, নাতি-নাতনি এবং পুতি পর্যন্ত হয়েছে। সুতরাং কে, কোথায়, কীভাবে পরিচয় দিচ্ছে সেটা আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়।’
এ ঘটনায় মন্ত্রীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘মিডিয়ায় আপনারা যেভাবে শুনেছেন, প্রথমে আমিও ঠিক একইভাবে শুনেছি। আমার স্ত্রীর খালাতো বোন, মামাতো বোন, ফুফাতো বোন বলে দাবি করে যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, আপনারা যেভাবে শুনেছেন, আমি মন্ত্রী হিসেবেও ঠিক একইভাবে শুনেছি। তবে আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীর আত্মীয়ের কোনো কথা হয়নি, যেগুলো মিডিয়ায় এসেছে। মাত্র ৯ মাস হলো আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আমার স্ত্রী ঢাকাতেই থাকেন। তাঁর মামাবাড়ি-নানাবাড়ি ঈশ্বরদীতে এবং তার খালার বাড়ি পাবনায়। ওই ঘটনার দিন আমার স্ত্রী ঈশ্বরদীতে ছিলেন বলে জানতে পেরেছি।’
টিটিই যে কাজটি করেছেন তা সঠিক করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিনা টিকিটে ট্রেনে যাত্রী উঠলে টিটিইর যা দায়িত্ব ছিল, তিনি সেটি পালন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি একটি দুর্ঘটনা। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তদন্তে বেরিয়ে এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ ঘটনায় টিটিইর যদি কোনো দোষ না থাকে, তাহলে ওই টিটিইকে পুরস্কৃত করা হবে।’
এদিকে টিআইবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘টিআইবি এত দ্রুত সময়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে, এখানে মন্ত্রীর কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা দেখার আগেই তারা এটা করেছে। এটা তাদের ঠিক হয়নি।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে তিন যাত্রী বিনা টিকিটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি কেবিনে চেপে বসেন। ট্রেনে কর্তব্যরত টিটিই শফিকুল ইসলাম তাঁদের টিকিট দেখতে চাইলে তাঁরা রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন। টিটিই বিষয়টি পাকশী বিভাগীয় রেলের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (এসিও) মো. নুরুল আলমের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি সর্বনিম্ন ভাড়া নিয়ে টিকিট কাটার পরামর্শ দেন। এসিওর পরামর্শ অনুযায়ী টিটিই শফিকুল ওই তিন যাত্রীকে এসি টিকিটের পরিবর্তে মোট ১ হাজার ৫০ টাকা নিয়ে জরিমানাসহ সুলভ শ্রেণির নন-এসি কোচে সাধারণ আসনের টিকিট করে দেন। পরে ওই তিন যাত্রী তাঁদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে টিটিই শফিকুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার রাতেই সাময়িক বরখাস্ত করে রেল কর্তৃপক্ষ।
টিটিই বরখাস্তের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুরো ঘটনাটি বের হয়ে আসবে। তা ছাড়া গতকাল পর্যন্ত আমি জানতাম না যে অভিযোগকারীরা আমার স্ত্রীর আত্মীয়। পরে আমি জানতে পেরেছি। তবে মন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে তিনি শুধু অভিযোগ করেছেন, কাউকে সাসপেনশন করতে বলেননি।’
রোববার সকালে রেল ভবনে রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করার অপরাধে তিন যাত্রীকে জরিমানা করার জন্য টিটিইকে বরখাস্তের ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার সময় এমনটি জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘একজন যাত্রী হিসেবে তিনি এ ধরনের অভিযোগ করতে পারেন। কিন্তু মন্ত্রীর বউ হিসেবে অভিযোগ করতে পারেন না। আমার স্ত্রীর রেলের বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে আমাকে বলতে পারেন। এটাই হলো নিয়ম। কাজেই এই জায়গায় কিছুটা ব্যত্যয় আছে। সংগত কারণে আমি মনে করি টিটিইর বারখাস্তের অর্ডারটা যথাযথ হয়নি, তাই প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার নিজের ভাইগনা ভাগনি আছে ৩৭ জন। তাদের ছেলেমেয়ে আছে, নাতি-নাতনি এবং পুতি পর্যন্ত হয়েছে। সুতরাং কে, কোথায়, কীভাবে পরিচয় দিচ্ছে সেটা আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়।’
এ ঘটনায় মন্ত্রীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘মিডিয়ায় আপনারা যেভাবে শুনেছেন, প্রথমে আমিও ঠিক একইভাবে শুনেছি। আমার স্ত্রীর খালাতো বোন, মামাতো বোন, ফুফাতো বোন বলে দাবি করে যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, আপনারা যেভাবে শুনেছেন, আমি মন্ত্রী হিসেবেও ঠিক একইভাবে শুনেছি। তবে আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীর আত্মীয়ের কোনো কথা হয়নি, যেগুলো মিডিয়ায় এসেছে। মাত্র ৯ মাস হলো আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আমার স্ত্রী ঢাকাতেই থাকেন। তাঁর মামাবাড়ি-নানাবাড়ি ঈশ্বরদীতে এবং তার খালার বাড়ি পাবনায়। ওই ঘটনার দিন আমার স্ত্রী ঈশ্বরদীতে ছিলেন বলে জানতে পেরেছি।’
টিটিই যে কাজটি করেছেন তা সঠিক করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিনা টিকিটে ট্রেনে যাত্রী উঠলে টিটিইর যা দায়িত্ব ছিল, তিনি সেটি পালন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি একটি দুর্ঘটনা। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তদন্তে বেরিয়ে এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ ঘটনায় টিটিইর যদি কোনো দোষ না থাকে, তাহলে ওই টিটিইকে পুরস্কৃত করা হবে।’
এদিকে টিআইবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘টিআইবি এত দ্রুত সময়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে, এখানে মন্ত্রীর কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা দেখার আগেই তারা এটা করেছে। এটা তাদের ঠিক হয়নি।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে তিন যাত্রী বিনা টিকিটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি কেবিনে চেপে বসেন। ট্রেনে কর্তব্যরত টিটিই শফিকুল ইসলাম তাঁদের টিকিট দেখতে চাইলে তাঁরা রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন। টিটিই বিষয়টি পাকশী বিভাগীয় রেলের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (এসিও) মো. নুরুল আলমের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি সর্বনিম্ন ভাড়া নিয়ে টিকিট কাটার পরামর্শ দেন। এসিওর পরামর্শ অনুযায়ী টিটিই শফিকুল ওই তিন যাত্রীকে এসি টিকিটের পরিবর্তে মোট ১ হাজার ৫০ টাকা নিয়ে জরিমানাসহ সুলভ শ্রেণির নন-এসি কোচে সাধারণ আসনের টিকিট করে দেন। পরে ওই তিন যাত্রী তাঁদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে টিটিই শফিকুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার রাতেই সাময়িক বরখাস্ত করে রেল কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৪ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৫ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৬ ঘণ্টা আগে