নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চাহিদা মতো ওষুধ না পেয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকের সাতজন চিকিৎসকসহ ৩০ কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন সচিবালয় ক্লিনিকের ফার্মাসিস্ট, টেকনোলজিষ্ট, সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও গাড়িচালক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হারুন-অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই বদলি করা হয়েছে।
সচিবালয় ক্লিনিকে কর্মরতরা জানান, বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম যোগদানের পর থেকেই সচিবালয় ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের দুটি ওষুধ বাইজোরান ৫/২০ মিলির (জেনেরিক-অ্যামলোডিপিন+অলমিসার্টান মেডোক্সসিল) ট্যাবলেট এবং বিসোপল ২.৫ মিলির (জেনেরিক-বিসোপ্রলল) ৬০টি ট্যাবলেট প্রতিমাসে সরবরাহ নেন।
গত মঙ্গলবার সচিবের পিও আমিনুল সচিবালয় ক্লিনিকের অফিস সহায়ক আবুল কাশেমকে ফোন করে সচিবের জন্য ৩০টি বাইজোরান ট্যাবলেট পাঠাতে বলেন। তখন কাশেম ৩০টি বাইজোরান ট্যাবলেট সচিবের দপ্তরে দিয়ে যান। ওইদিন দিবাগত রাতে সচিব জাহাঙ্গীর আলম ওষুধ খেতে গিয়ে একটি ওষুধ দেখেন। তখন তিনি ফোন করে সংশ্লিষ্টদের রাগারাগি করেন। পরদিন সকালে তিনি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মহাপরিচালককে ক্লিনিকে কর্মরতদের বদলির নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিনিকের সাতজন চিকিৎসককে এক আদেশে বদলি করেন। বদলিকৃত স্থানে নতুনদের আদেশ করতে শুরু হয় তৎবির বাণিজ্য। অনেকই টাকা নিয়ে দ্রুত সেখানে পদায়ন করান বলে অভিযোগ ওঠেছে।
ক্লিনিকে কর্মরতরা জানান, সচিবালয় ক্লিনিকে বাইজোরান ও বিসোপল ওষুধ দুটির পরিবর্তে বেটাবিস ও অর্বাপিন ট্যাবলেট সরবরাহ রয়েছে। জেনেরিক নাম এক হওয়া সত্ত্বেও সচিব নিজের পছন্দের ব্র্যান্ডের ওষুধ খেয়ে থাকেন। সচিবের পছন্দের ওষুধ ক্লিনিকে সরবরাহ না থাকলেও সেখানকার লোকজন বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে কিনে সচিবকে সরবরাহ দিয়ে আসছেন। গত মঙ্গলবার সচিবের চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ দেওয়ার পরও তিনি একটি ওষুধ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন। পরে সবাইকে বদলির নির্দেশ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লিনিকে কর্মরতরা জড়ো হয়ে সচিবের সঙ্গে দেখা করে সরি বলতে আসেন। কিন্তু ওই সময় সচিব নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে সচিবালয় ত্যাগ করেন। পরে সবাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের কাছে গণবদলির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সচিবালয়ে কর্মরত চিকিৎসকসহ অন্যান্যরা অনেকেই ১২ বছর ধরে এখানে কর্মরত রয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে বদলির জন্য তিনি মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। সচিবালয় ক্লিনিক থেকে সবাই ওষুধ নেন। তিনিও নেন। তবে ওষুধ নেওয়ার বিষয়টি কাকতালীয়ভাবে সামনে এসেছে।’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. হারুন-অর-রশিদের কাছে সচিবালয় ক্লিনিকের সাতজন চিকিৎসক একসঙ্গে বদলির তালিকা তাদের কাছে আগেই ছিল নাকী স্বাস্থ্যসচিবের নির্দেশে বদলি হলো-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা যা শুনেছেন সেটিই ঠিক।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কাছে কোনো ফাইল গেলে তিনি তা ধরে রাখেন এবং আলোচনা করতে বলেন। এভাবে ফাইল আটকে থাকায় সারা দেশে হাসপাতাল উন্নয়ন ও মেরামতের কাজে বিঘ্ন ঘটছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের আচরণের কারণে পদ খালি থাকা সত্ত্বেও কয়েকটি অনুবিভাগে অতিরিক্ত সচিবের পদ খালি রয়েছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য ও ওষুধ প্রশাসন ও আইন অধিশাখার পদ খালি রয়েছে।
চাহিদা মতো ওষুধ না পেয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকের সাতজন চিকিৎসকসহ ৩০ কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন সচিবালয় ক্লিনিকের ফার্মাসিস্ট, টেকনোলজিষ্ট, সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও গাড়িচালক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হারুন-অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই বদলি করা হয়েছে।
সচিবালয় ক্লিনিকে কর্মরতরা জানান, বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম যোগদানের পর থেকেই সচিবালয় ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের দুটি ওষুধ বাইজোরান ৫/২০ মিলির (জেনেরিক-অ্যামলোডিপিন+অলমিসার্টান মেডোক্সসিল) ট্যাবলেট এবং বিসোপল ২.৫ মিলির (জেনেরিক-বিসোপ্রলল) ৬০টি ট্যাবলেট প্রতিমাসে সরবরাহ নেন।
গত মঙ্গলবার সচিবের পিও আমিনুল সচিবালয় ক্লিনিকের অফিস সহায়ক আবুল কাশেমকে ফোন করে সচিবের জন্য ৩০টি বাইজোরান ট্যাবলেট পাঠাতে বলেন। তখন কাশেম ৩০টি বাইজোরান ট্যাবলেট সচিবের দপ্তরে দিয়ে যান। ওইদিন দিবাগত রাতে সচিব জাহাঙ্গীর আলম ওষুধ খেতে গিয়ে একটি ওষুধ দেখেন। তখন তিনি ফোন করে সংশ্লিষ্টদের রাগারাগি করেন। পরদিন সকালে তিনি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মহাপরিচালককে ক্লিনিকে কর্মরতদের বদলির নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিনিকের সাতজন চিকিৎসককে এক আদেশে বদলি করেন। বদলিকৃত স্থানে নতুনদের আদেশ করতে শুরু হয় তৎবির বাণিজ্য। অনেকই টাকা নিয়ে দ্রুত সেখানে পদায়ন করান বলে অভিযোগ ওঠেছে।
ক্লিনিকে কর্মরতরা জানান, সচিবালয় ক্লিনিকে বাইজোরান ও বিসোপল ওষুধ দুটির পরিবর্তে বেটাবিস ও অর্বাপিন ট্যাবলেট সরবরাহ রয়েছে। জেনেরিক নাম এক হওয়া সত্ত্বেও সচিব নিজের পছন্দের ব্র্যান্ডের ওষুধ খেয়ে থাকেন। সচিবের পছন্দের ওষুধ ক্লিনিকে সরবরাহ না থাকলেও সেখানকার লোকজন বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে কিনে সচিবকে সরবরাহ দিয়ে আসছেন। গত মঙ্গলবার সচিবের চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ দেওয়ার পরও তিনি একটি ওষুধ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন। পরে সবাইকে বদলির নির্দেশ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লিনিকে কর্মরতরা জড়ো হয়ে সচিবের সঙ্গে দেখা করে সরি বলতে আসেন। কিন্তু ওই সময় সচিব নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে সচিবালয় ত্যাগ করেন। পরে সবাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের কাছে গণবদলির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সচিবালয়ে কর্মরত চিকিৎসকসহ অন্যান্যরা অনেকেই ১২ বছর ধরে এখানে কর্মরত রয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে বদলির জন্য তিনি মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। সচিবালয় ক্লিনিক থেকে সবাই ওষুধ নেন। তিনিও নেন। তবে ওষুধ নেওয়ার বিষয়টি কাকতালীয়ভাবে সামনে এসেছে।’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. হারুন-অর-রশিদের কাছে সচিবালয় ক্লিনিকের সাতজন চিকিৎসক একসঙ্গে বদলির তালিকা তাদের কাছে আগেই ছিল নাকী স্বাস্থ্যসচিবের নির্দেশে বদলি হলো-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা যা শুনেছেন সেটিই ঠিক।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কাছে কোনো ফাইল গেলে তিনি তা ধরে রাখেন এবং আলোচনা করতে বলেন। এভাবে ফাইল আটকে থাকায় সারা দেশে হাসপাতাল উন্নয়ন ও মেরামতের কাজে বিঘ্ন ঘটছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের আচরণের কারণে পদ খালি থাকা সত্ত্বেও কয়েকটি অনুবিভাগে অতিরিক্ত সচিবের পদ খালি রয়েছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য ও ওষুধ প্রশাসন ও আইন অধিশাখার পদ খালি রয়েছে।
রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনটির কাঠামোই দৃশ্যত সোমবারের বিপর্যয়কে এতটা প্রাণঘাতী করে তুলেছে। সরেজমিন ঘুরে এবং ভুক্তভোগী অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি শহরের কিফাইতনগর এলাকায় দেড় কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত আরসিসি সড়ক উদ্বোধনের মাত্র দুই মাসের মাথায় ধসে পড়েছে। খালের পাড়ঘেঁষা গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ায় সড়কের একটি বড় অংশ এখন কার্যত শূন্যে ঝুলছে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পুরো রাস্তা ধসে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
৩ ঘণ্টা আগেস্বপ্নের দেশ ইতালি। সেখানে গিয়ে নিজেরসহ পরিবারের সব স্বপ্ন পূরণ করবেন। এই আশায় লিবিয়া হয়ে অবৈধভাবে ইউরোপের দেশটিতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ আছেন মাদারীপুরের রাজৈরের ১৪ যুবক। পাঁচ মাস ধরে তাঁদের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা।
৩ ঘণ্টা আগেবাবার কপালে চুমু দিয়ে স্কুলে গিয়েছিল সারিয়া আক্তার। আর মাকে সালাম করে বিদায় নিয়েছিল জুনায়েত হাসান। হাসিমুখে স্কুলে যাওয়া এই দুই শিশু দিনশেষে ঘরে ফেরে লাশ হয়ে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই-বোন। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘সেকশন ক্লাউডের’ শিক্ষার্থী ছিল তারা। বাংলা মাধ্যমের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত এই দুই ভ
৩ ঘণ্টা আগে