Ajker Patrika

খামখেয়ালি রাজার অধীনে বাস করছি: রিজভী 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খামখেয়ালি রাজার অধীনে বাস করছি: রিজভী 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘খামখেয়ালি’ রাজা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিরোধী দল ও বিরোধী মতকে সহ্য করতে পারে না—এমন এক খামখেয়ালি রাজা দেশ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। 

রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ রোববার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন রিজভী। 

বন্দুকযুদ্ধে নিহত ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর ছাত্রদল (পূর্ব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, ‘এক খামখেয়ালি রাজার অধীনে আমরা বাস করছি। তিনি কোনো বিরোধী দল, বিরোধী মতের সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না বলেই অল্প বয়সে জনি, রাজু ও বাপ্পিদের চলে যেতে হয়েছে।’ 

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র আপনি ডাকাতি করেছেন। ডাকাতি করে ডাকাতের মতো, সন্ত্রাসীর মতো অপহরণ করে খামখেয়ালি রাজার মতো দেশ চালাচ্ছেন।’ 

বন্দুকযুদ্ধে ছাত্রদল নেতাদের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার ঘোষণা দেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমরাও প্রতিশোধ নেব। তবে হত্যার বদলা হত্যা দিয়ে নয়। আমরা (প্রতিশোধ) নেব ন্যায়সংগত বিচারের মাধ্যমে। গণতন্ত্র ফিরে আসবে, বাক্‌স্বাধীনতা ফিরে আসবে, ন্যায়বিচার ফিরে আসবে। সেই ন্যায়বিচারের আদালতে যারা জনি, রাজু, বাপ্পিদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার অবশ্যই হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উত্তরায় নায্য বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড অ্যাসেম্বলি লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড অ্যাসেম্বলি লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিভিন্ন অজুহাতে বেতন কাটার প্রতিবাদ, প্রতিবাদ করলে চাকরিচ্যুতি এবং ন্যায্য বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। রাজধানীর উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া মহাসড়কে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। তা চলে বেলা ২টা পর্যন্ত। এতে তীব্র যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়ে পথচারীরা।

তুরাগের নিশাতনগর এলাকার গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড অ্যাসেম্বলি লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন।

কারখানাটির কয়েক শ শ্রমিক এই বিক্ষোভে অংশ নেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। শ্রমিকেরা জানান, গার্মেন্টসটি কাপালি গার্মেন্টস নামে পরিচিত। সেখানে প্রায় ১ হাজার ২০০ শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা যে বেতনে কাজ করেন, সেই বেতন ঠিকমতো পান না। নানা অজুহাতে মালিকপক্ষ তা কেটে নেয়। কেউ প্রতিবাদ করলেই বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাই সহজে কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পান না।

পোশাক কারখানার মেশিন অপারেটর কল্পনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা টাকার জন্য রাতদিন কষ্ট করে গার্মেন্টসে পরিশ্রম করি; অথচ ন্যায্য বেতন পাই না। যেটা পাই, তার থেকেও নানান বাহানায় টাকা কেটে নেওয়া হয়। কেউ কিছু বললেই চাকরিচ্যুত করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছি। শান্তিপ্রিয় আন্দোলনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা নেই। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

এদিকে বিক্ষোভের কারণে গতকাল এই সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। শ্রমিকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া মহাসড়কের হাউস বিল্ডিং থেকে কামারপাড়া এবং আশুলিয়া থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া কামারপাড়া থেকে টঙ্গী সংযোগ সড়কেও বিক্ষোভকালে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের জানানো হয়, এই সংকটের সমাধান হবে। তাঁরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। শ্রমিকদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে বেলা ২টার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকেরা।

এ বিষয়ে ডিএমপির তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তুরাগের গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড অ্যাসেম্বলি লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা কিছুসংখ্যক গার্মেন্টস শ্রমিক ছাঁটাই করার প্রতিবাদে কামারপাড়া পুলিশ বক্সের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গার্মেন্টস মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করে।’ তিনি বলেন, শ্রমিকদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার পর বেলা ২টার দিকে তাঁরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। শ্রমিকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শ্রমিকেরা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুরো সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিএনপি বিরোধিতা করেছে: নাহিদ

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর পর্যটন হোটেলে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
রংপুর পর্যটন হোটেলে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুরো সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিএনপি বিরোধিতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার রংপুর পর্যটন হোটেলে এনসিপির আট জেলা ও এক মহানগর আহ্বায়ক কমিটির পদপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন যথার্থ সুপারিশ দিয়েছে। সংস্কারের বিপক্ষে আমরা ঐকমত্য কমিশনে অনেক দলকে অবস্থান নিতে দেখেছি। বিএনপিও অনেকগুলো বড় সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবে গোটা সংস্কারপ্রক্রিয়াকে তারা চায় কি না, এইটা নিয়ে কিন্তু এখন প্রশ্ন তৈরি হবে। কারণ, পুরো সময় ধরে দেখেছি আমরা, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিএনপি ভেটো দিয়েছে, বিরোধিতা করেছে।’

নাহিদ আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে তো নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। জুলাই সনদ ও বিচারের রোডম্যাপ দিয়ে তারপরে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। এ কারণে দ্রুত সংস্কারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘জনগণের তো অনেক প্রত্যাশা ছিল গণ-অভ্যুত্থানের পরে, এই সরকারের পক্ষ থেকে এবং এমনকি আমাদের পক্ষ থেকেও। ফলে আমাদের সেই প্রত্যাশাগুলো পূরণ করতে হবে।’

দেশের মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছে দেশের। মানুষের একটা ভয় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সবকিছু আগের মতো হয়ে যাচ্ছে কি না, যাবে কি না। নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদ আসবে কি না, স্বৈরতন্ত্র আসবে কি না, মানুষের সে কথা বলার জায়গাটা থাকবে কি না। ৫ আগস্টের পরে আমরা দেখেছি যে, দেশে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি নতুন করে শুরু হয়েছে। আবার অন্যদিকে আমরা সামাজিক ফ্যাসিবাদের উত্থান দেখছি।’

দেশের নানামুখী সংকটের কথা জানিয়ে এনসিপি নেতা বলেন, ‘দেশে কিন্তু নানামুখী সংকট আছে। আবার পতিত স্বৈরাচারী শক্তি, তারা তো নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে, তাদের সঙ্গে বহু নানান বৈদেশিক শক্তি জড়িত। ফলে আমরা কিন্তু একটা সংকটের মুখেই আছি।

‘এই সংকটের মধ্যে আমাদের যেমন জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন, আবার এই জাতীয় ঐক্যের ভেতরে আমাদের নিজেদের দলগুলোর ভেতরে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেই সমস্যাগুলোও সমাধান করে আমাদের এক জায়গায় থাকতে হবে।’

এককভাবে সরকার গঠন সম্ভব নয় উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন কেউ যদি মনে করে, সে এককভাবেই সব নেতৃত্ব দেবে অথবা সরকার গঠন করে ফেলবে, এটা আসলে সম্ভব হবে না। যদি এই ন্যূনতম ঐক্য না থাকে দেশের সবগুলো পক্ষের মধ্যে, ফলে এককভাবে সরকার গঠন করা এবং সেই সংসদ ও সরকার টিকিয়ে রাখা কারও পক্ষে সম্ভব হবে না।

জনগণের যে ন্যূনতম আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল; সংস্কার ও বিচার—এই দাবিগুলোকে উপেক্ষা করে যদি নির্বাচনের দিকে যাওয়া হয়, সেটিও আসলে টেকসই হবে না।’

এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘একটা টেকসই পরিবর্তনের জন্য, স্থিতিশীল পরিবর্তনের জন্য অনেক সংস্কার আমরা চেয়েছিলাম, সেটা হয়নি। কিন্তু সংবিধানের অল্প কিছু জায়গায় আমরা ঐকমত্য হয়েছি, কিছু গণতান্ত্রিক, যেটা একটা স্পেস আমাদের তৈরি করে দেবে, ন্যূনতম এই সংস্কার নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই।

‘সেই জায়গায় যদি বাধা তৈরি হয়, সেই জায়গায়ও যদি সরকারের জায়গা থেকে কোনো গড়িমসি তৈরি হয়, তাহলে এই সরকারকে কিন্তু জনগণের মুখোমুখি হতে হবে এবং যারা বাধা দেবে, তাদেরও জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।’

জোট গঠন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা কারও মুখাপেক্ষী নই, কারও ওপর নির্ভরশীল হয়ে আমরা রাজনীতি করব না। কিন্তু নির্বাচনে কৌশলগত কারণে বা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে যদি কোনো ধরনের সমঝোতা প্রয়োজন হয়, আমরা সেটার জন্য ওপেন আছি। আমরা এইটুকুই বলছি। কিন্তু আমরা কার সঙ্গে জোট হবে কি হবে না, সেটার ওপর বসে নেই, সেটার ওপর নির্ভর করে নেই। আমরা আমাদের মতোই কার্যক্রম করছি এবং আমরা আমাদের মতো প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।’

নাহিদ আরও বলেন, ‘জনগণের আমাদের নিয়ে অনেক প্রত্যাশা আছে। আমাদের তারা একটা স্বতন্ত্র জায়গায় দেখতে চায় এবং পুরোনো দলগুলোর প্রতি জনগণের অনীহা আছে। আওয়ামী লীগ তো একটা ফ্যাসিস্ট রূপ নিয়েই ছিল, জনগণ তাকে বিতাড়িত করেছে।

‘এ ছাড়া যে দলগুলো আছে, গত ১৬ বছর তাদের ভূমিকা, জনগণের পক্ষে সঠিকভাবে দাঁড়াতে না পারা এবং ঐতিহাসিকভাবেও অনেক দলের অনেক ধরনের ব্যাগেজ (খারাপ নজির) থাকার কারণে কিন্তু জনগণের নতুন রাজনীতির আকাঙ্ক্ষা সমাজে তৈরি হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৫৯
খান সানজিয়া সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত
খান সানজিয়া সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ড. মোছা. সানজিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। বিধি অনুযায়ী তিনি সব সুবিধা পাবেন।

নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি চিঠি পেয়েছেন এবং এর পর থেকে দায়িত্ব নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মুসিন উদ্দিন ইউজিসির চারটি অবজারভেশনসহ নানা কারণে পদত্যাগ করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে হেলমেট ছাড়াই মোটরসাইকেলে সতর্ক মহড়ায় পুলিশ, ভিডিও ভাইরাল

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত

‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত

তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জনগণের জানমাল রক্ষায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ মহড়া দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী আলফাডাঙ্গা বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়, জনবহুল স্থান ও গ্রামীণ এলাকায় টহল দেওয়া হয়। এতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলযোগে উপজেলাজুড়ে টহল ও মহড়ায় অংশ নেন। এ সময় তাঁরা জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।

পরে ওই মহড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন এসআই লিয়াকত হোসেন, যা ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ছয়টি মোটরসাইকেলে পুলিশের দুজন সদস্য করে ১২ জন রয়েছেন এবং ছয়জন চালকসহ কারও মাথায় হেলমেট নেই। তাঁদের পেছনে ছিল টহলরত আরও একটি জিপগাড়ি।

ফরিদপুর নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কান্তি বালা পান্না বলেন, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট না পরা, এটা একটা অপরাধ। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালালে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। অবশ্যই তাঁদের হেলমেট পরা উচিত ছিল।

জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আসলে হেলমেট পরা উচিত ছিল। কিন্তু হেলমেটটা পরলে ওইভাবে আমরা যে মুভ করতেছি, বোঝা যেত না। পরলে ভালো হতো। আসলে সব ভুল ধরলে তো আর কাজ করা যাবে না। পরে আমরা হেলমেট পরে নেব।’

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ‘টহলের সময় আমি ছিলাম না। বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি দেখছি। যদি এমন হয়, তাহলে পরবর্তীতে যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত