Ajker Patrika

সাতক্ষীরার পৌর মেয়রের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বেঞ্চ ৬ মাসের জন্য ওই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। 

গত ১৫ জুন স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাতে অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কথা উল্লেখ করা হয়। 

আদালতে তাজকিনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করেননি। মার্চ ২০১৬ হতে জুন ২০২১ পর্যন্ত সময়ে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭০১ টাকা পানির বিল মওকুফসহ বিল যথাযথভাবে আদায় না করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়র এককভাবে মওকুফ করেছেন। 

এ ছাড়া ৬ বছরে সাতক্ষীরা পৌরসভার হাটবাজার ইজারা বাবদ ৬৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫১ টাকা বকেয়া রয়েছে। ভ্যাট, আয়কর বাবদ ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ টাকা আদায় ও সরকারি খাতে জমা করা হয়নি। ওই সময়ের ইজারা লব্ধ অর্থ হাটবাজার ইজারা নীতিমালা-২০১১ অনুযায়ী বণ্টন না করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। 

তদন্তকালীন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ৯৪৩ টাকার পৌরকর মওকুফ করা হয়েছে। ওই পৌরকর যথাযথভাবে আদায় না করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়র কর্তৃক এককভাবে মওকুফ করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। নিয়মকানুন যথাযথভাবে অনুসরণ না করে মার্চ ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত সময়ে ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৭২৬ টাকা ট্রেড লাইসেন্স ফি মওকুফ এককভাবে মওকুফ করেছেন মেয়র। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১(১) মোতাবেক সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় মেয়রকে পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফিরোজ আহমেদ বলেন, পৌরসভার মেয়রের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ১১ জন কাউন্সিলর চলতি বছরের মার্চ মাসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন। পরবর্তী সময়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় স্থানীয় সরকার বিভাগের সাতক্ষীরার উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌসকে। তবে মাশরুবা ফেরদৌসের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না মিললে তারা অধিকতর তদন্তের জন্য আবারও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুস সবুর অধিকতর তদন্তে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সত্যতা পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত