নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: একসময় পারিবারিক অসংখ্য সুখস্মৃতি থাকলেও এখন শতাধিক পরিবারের দুঃস্বপ্নের নাম 'রাখি নীড়'। মগবাজারের বিস্ফোরণ ঘটা সেই ভবনটির নামই 'রাখি নীড়'। গত রোববার সন্ধ্যার ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে আশপাশের প্রায় পাঁচশত মানুষ নানাভাবে আহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকে আশপাশের দালানের ভেঙ্গে যাওয়া কাঁচ সড়ানো, রাস্তা পরিষ্কার, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত এবং রাখি নীড়ের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে ভীড় করতে থাকে সাধারণ মানুষ। দুপুরের দিকেই বিস্ফোরিত ভবনের সামনের রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর পরই সাধারণ মানুষ ভীড় করতে থাকে।
মগবাজারের বাসিন্দা ইউনুস আলী বলেন, 'আমার বাসা এখানেই। গতকাল সন্ধ্যায় বিকট একটা আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়। তখন বুঝিনি। তারপর টিভিতে দেখছি। আজকে তাই এখানে দেখতে আসলাম। প্রায়ই এখান দিয়ে হেঁটে যাই, আল্লাহর রহমত গতকাল বাসায় ছিলাম।'
রাত সাড়ে আটটার সময়ও রাখি নীড়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের একটি দল জায়গাটি পরিদর্শন করছে। পাশে উৎসুক জনতার ভীড়। কেউ হেঁটে যাওয়ার সময় দাঁড়িয়ে দেখছেন আবার কেউ রিকশা দিয়ে যাওয়ার সময় আতঙ্কিত চোখে বিস্ফোরিত দালানটি দেখছেন।
মৌচাক মার্কেটের একটি দোকানে কাজ করেন শাহ আলম। তিনি ফেসবুকে লাইভ করছেন। তাঁর ভবনের কাছে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'গতকাল থেকেই অনেকে জিগাইসে এইখানে কি হইছে। সারাদিন সময় পাই নাই। এখন এখানে আইসা তাই লাইভ দিলাম যাতে সবাই দেখতে পারে।'
গতকাল সেঞ্চুরি অর্কেডে চশমা ঠিক করতে যাওয়ার সময় বিকট শব্দ শুনতে পান বেইলি রোডের বাসিন্দা শামীম হোসেন। কিন্তু তখন তিনি জায়গাটি দেখতে পারেননি। তাই আজ সন্ধ্যায় কি হয়েছে সেই উৎসাহ মেটাতে আবারো হাজির হয়েছেন রাখি নীড়ের সামনে। তিনি বলেন, 'গতকাল সন্ধ্যার সময় আমি চশমা ঠিক করতে বেড়িয়েছিলাম। সেঞ্চুরি অর্কেডে যাওয়ার সময় একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। তখন এদিকে আর ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাসায় গিয়ে টিভি খুলে দেখি এই অবস্থা। ভাগ্যিস, টিভি দেখতে দেখতে একটু দেরিতে বের হয়েছিলাম।'
একসময় শর্মা হাউজ, বেঙ্গল মিটের কল্যাণে রাখি নীড়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষের আসা যাওয়া থাকলেও এখন বিধ্বস্ত আর নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে রাখি নীড়। ভবনটির গাঁয়ে লাল রঙের ব্যানারে সেঁটে দেওয়া হয়েছে 'ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ'। কিন্তু তবুও আতঙ্কিত উৎসাহী মানুষ একবার রাখি নীড়কে স্বচক্ষে দেখার জন্যে ভবনের সামনে এসে দাঁড়াচ্ছেন, গল্প করছেন, ছবি তুলছেন, আফসোস করছেন। মৃত্যুর এই শহরে আরেকবার সজাগ হচ্ছে সবাই।
ঢাকা: একসময় পারিবারিক অসংখ্য সুখস্মৃতি থাকলেও এখন শতাধিক পরিবারের দুঃস্বপ্নের নাম 'রাখি নীড়'। মগবাজারের বিস্ফোরণ ঘটা সেই ভবনটির নামই 'রাখি নীড়'। গত রোববার সন্ধ্যার ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে আশপাশের প্রায় পাঁচশত মানুষ নানাভাবে আহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকে আশপাশের দালানের ভেঙ্গে যাওয়া কাঁচ সড়ানো, রাস্তা পরিষ্কার, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত এবং রাখি নীড়ের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে ভীড় করতে থাকে সাধারণ মানুষ। দুপুরের দিকেই বিস্ফোরিত ভবনের সামনের রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর পরই সাধারণ মানুষ ভীড় করতে থাকে।
মগবাজারের বাসিন্দা ইউনুস আলী বলেন, 'আমার বাসা এখানেই। গতকাল সন্ধ্যায় বিকট একটা আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়। তখন বুঝিনি। তারপর টিভিতে দেখছি। আজকে তাই এখানে দেখতে আসলাম। প্রায়ই এখান দিয়ে হেঁটে যাই, আল্লাহর রহমত গতকাল বাসায় ছিলাম।'
রাত সাড়ে আটটার সময়ও রাখি নীড়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের একটি দল জায়গাটি পরিদর্শন করছে। পাশে উৎসুক জনতার ভীড়। কেউ হেঁটে যাওয়ার সময় দাঁড়িয়ে দেখছেন আবার কেউ রিকশা দিয়ে যাওয়ার সময় আতঙ্কিত চোখে বিস্ফোরিত দালানটি দেখছেন।
মৌচাক মার্কেটের একটি দোকানে কাজ করেন শাহ আলম। তিনি ফেসবুকে লাইভ করছেন। তাঁর ভবনের কাছে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'গতকাল থেকেই অনেকে জিগাইসে এইখানে কি হইছে। সারাদিন সময় পাই নাই। এখন এখানে আইসা তাই লাইভ দিলাম যাতে সবাই দেখতে পারে।'
গতকাল সেঞ্চুরি অর্কেডে চশমা ঠিক করতে যাওয়ার সময় বিকট শব্দ শুনতে পান বেইলি রোডের বাসিন্দা শামীম হোসেন। কিন্তু তখন তিনি জায়গাটি দেখতে পারেননি। তাই আজ সন্ধ্যায় কি হয়েছে সেই উৎসাহ মেটাতে আবারো হাজির হয়েছেন রাখি নীড়ের সামনে। তিনি বলেন, 'গতকাল সন্ধ্যার সময় আমি চশমা ঠিক করতে বেড়িয়েছিলাম। সেঞ্চুরি অর্কেডে যাওয়ার সময় একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। তখন এদিকে আর ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাসায় গিয়ে টিভি খুলে দেখি এই অবস্থা। ভাগ্যিস, টিভি দেখতে দেখতে একটু দেরিতে বের হয়েছিলাম।'
একসময় শর্মা হাউজ, বেঙ্গল মিটের কল্যাণে রাখি নীড়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষের আসা যাওয়া থাকলেও এখন বিধ্বস্ত আর নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে রাখি নীড়। ভবনটির গাঁয়ে লাল রঙের ব্যানারে সেঁটে দেওয়া হয়েছে 'ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ'। কিন্তু তবুও আতঙ্কিত উৎসাহী মানুষ একবার রাখি নীড়কে স্বচক্ষে দেখার জন্যে ভবনের সামনে এসে দাঁড়াচ্ছেন, গল্প করছেন, ছবি তুলছেন, আফসোস করছেন। মৃত্যুর এই শহরে আরেকবার সজাগ হচ্ছে সবাই।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আছিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। আছিয়া বেগম ওই গ্রামের মৃত আফার উদ্দিনের স্ত্রী।
১ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৭২টি গরু। গত প্রায় দুই মাসে এ গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মধুপুরের চলতি মৌসুমে কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রচন্ড গরমে কাঁঠাল পেকে যাওয়ায় বাজারে এ ফলের আধিক্য বেড়েছে। তবে রোদ-বৃষ্টির সাথে সাথে কাঁঠালের দাম ওঠা-নামা করায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়িরা। তবে কাঁঠালের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ভোক্তারা খুশি।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিস্তা সেতু। নদীর নামের সঙ্গে মিলয়েই এ নামকরণ করা হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা সেতুটি উদ্বোধনের। সেতুটি দিয়ে যান চলাচল শুরু করলেই গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের যাতায়াত আরও সহজ হবে। এলাকার উৎপাদিত পণ্য সারা দেশে...
১ ঘণ্টা আগে